Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে গ্রামীণফোনের `চলো বাংলাদেশ ২০২৩’

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অনুপ্রেরণা ও একতাবদ্ধ হওয়ার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আজ (০২ অক্টোবর) রাজধানীর এক হোটেলে “চলো বাংলাদেশ ২০২৩” ক্যাম্পেইন শুরু করল গ্রামীণফোন। আড়ম্বরপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশিদ ও প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মার্কেটিং ফারহা নাজ জামান সহ বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণদের অদম্য চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার অনন্য যাত্রার উদযাপনেই এ ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। 

একটি শব্দের চেয়েও বেশি, "চলো বাংলাদেশ" দীর্ঘকাল ধরে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশীর জন্য আশার আলো এবং প্রকৃত অনুপ্রেরণার উৎস।  অর্থবহ আইকনিক এ গানটি যেন আমাদের জাতীয় চেতনাকেই তুলে ধরে। কিছু দিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি মেন’স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৩। এ উপলক্ষে ‘চলো বাংলাদেশ’এর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণদের আরো ভালো কিছু করতে অনুপ্রাণিত করতে র‍্যাবিটহোল, ওয়ালটন, এপেক্স, মাস্টারকার্ড, সুজুকি মোটরস, পাঠাও, র‍্যাংগস, শাওমি, শেয়ারট্রিপ, খাজানা মিঠাই, আর্টিসান, ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিকস, তাবাক কফি, সিম্ফনি, সেলেক্সট্রা লিমিটেড-সহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে গ্রামীণফোন।

পাশাপাশি, “চলো বাংলাদেশ ২০২৩” ক্যাম্পেইনে ভক্তদের জন্য থাকছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় কার্যক্রম, যার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম র‍্যাবিটহোলে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর লাইভ দেখার সুযোগ। এ ক্যাম্পেইনের অন্যতম আকর্ষণ ‘চলো বাংলাদেশ প্যাক।’ মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা দুর্দান্ত এই ইন্টারনেট প্যাকটি উপভোগ করতে পারবেন। এর ফলে, ক্রিকেট বিশ্বকাপের উন্মাদনা উপভোগে করতে পারবেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারীরাও। তরুণদের লাইফস্টাইলকে সমৃদ্ধ করতে থাকবে চলো বাংলাদেশ থিমের জুতা, উইন্ডব্রেকার, টি-শার্ট, সুইট বক্স, কফি কাপ প্রভৃতি, যা পাওয়া যাবে গ্রামীণফোনের পার্টনার আউটলেটগুলোতে। আইসিসি মেন’স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৩ এর সাথে মিলিয়ে গ্রামীণফোন ‘চলো বাংলাদেশ’ গানের থিম তৈরি করেছে, যা বিশ্বকাপকে করে তুলবে আরও উত্তেজনাপূর্ণ, ফিরিয়ে আনবে ক্রিকেটপ্রেমীদের রোমাঞ্চকর স্মৃতিকে।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশিদ বলেন, “গ্রামীণফোন গ্রাহক-কেন্দ্রিক ব্র্যান্ড। আর এ হিসেবে আমরা গ্রাহকদের সেবাদানে অঙ্গীকারবদ্ধ – হোক সেটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা কিংবা এর চেয়েও বেশি কিছু। গ্রামীণফোনে আমাদের লক্ষ্য সবাইকে অনুপ্রাণিত করা। এজন্য, আমাদের "চলো বাংলাদেশ ২০২৩" ক্যাম্পেইন-এর মাধ্যমে, আমরা সবাইকে, বিশেষ করে আমাদের সম্ভাবনাময় তরুনদেরকে একটি নতুন যাত্রা শুরু করার জন্য আহ্ববান জানাই, যেখানে আকাঙ্ক্ষা উদ্ভাবনের সাথে মিলিত হয়, যেখানে ঐক্য শক্তি হয়ে ওঠে এবং যেখানে বাংলাদেশের অদম্য চেতনা প্রগতির আলো জ্বালায়। আর এ যাত্রা শুরুর এখনই সময়। আমাদের এ যাত্রায় আমি আমাদের সকল অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আসুন আমরা একসাথে আমাদের প্রিয় দেশের জন্য প্রত্যাশা ও সীমাহীন সম্ভাবনার নতুন আখ্যান রচনা করি এবং আরও ঐক্যবদ্ধ ভবিষ্যতের পথকে আলোকিত করি”।

অনুষ্ঠানটিতে যারা "চলো বাংলাদেশ ২০২৩" প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তাদের প্রতি গ্রামীণফোনের পক্ষ প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও সন্মান প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও, বিভিন্ন কার্যক্রম ও ব্র্যান্ড অংশীদারিত্ব সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে ক্যাম্পেইনটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। গ্রামীণফোন #চলোবাংলাদেশ -এ যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সবাইকে এ ক্যাম্পেইনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কেননা, গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে এর মাধ্যমেই একসাথে আরও একতাবদ্ধ ও উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।


আরও খবর



নাসিরনগরে কালবৈশাখীর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ বাড়ি, বিদ্যুৎহীন অনেক গ্রাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় কালবৈশাখীর তান্ডবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে পল্লী বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি ও বেশ কিছু ট্রান্সমিটার। চার শতাধিক সংযোগ লাইন ও দুই শতাধিক মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গাছ সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুতের এ বিপর্যয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলায় প্রায় ৪০টির মতো বসতঘর, দোকানপাট ও হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ১৩০টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়টি রোববার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে থেমে থেমে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। বিশেষ করে উপজেলা সদর ইউনিয়ন, নাসিরপুর, দাতমন্ডল, ধনকুড়া,  কুলিকুন্ডা ও মন্নরপুর এলাকায় বেশি আঘাত হেনেছে।এসব গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ঝড়ে টিনসেড ঘরের চালা প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে উড়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি গ্রামের গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে। কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি শতবর্ষী কৃষ্ণচুড়া গাছের গোড়া ওপড়ে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডা ৩টি, দাতমন্ডল ১০টি, নাসিরপুর ৫টি, ধনকুড়া ৪টি  মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ও বুড়িশ্বর গ্রামে ৩টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ঘাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ৫টি খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তারসহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। অনেক গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার অপসারণের কাজ শুরু করেছে।নাসিরপুর গ্রামের মনা ঘোসাই বলেন, আমার পাকের ও গরুর দুটি ঘরের টিনের ঘরনপড়ে গেছে।আশুরাইল গ্রামের সুমন রাজা জানায়,ঝড়র আশুরাইল নদীর পারের কাউছার ও মজনু মিয়ার দুটি ঘর পড়ে গেছে।

নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ঝড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক জায়গায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশকিছু খুঁটি ও মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা অফিসে যোগাযোগের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুঁটি মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবারহের চেষ্টা করা হলেও সে লাইনটি কাজ করছে না। ফলে রাত থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বিএনপি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর



ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়” এর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয় হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডোমার পৌর কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন এর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১৯১৯ সালে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির বয়স শত বছর হলেও বিভিন্ন কারনে সেই সময় শত বছর উদযাপন করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরামর্শে বিদ্যালয়ের শত বছর উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। আগামী ঈদুল আযহা এর ৩য় দিনে শতবর্ষ উদযাপন করা হবে। বর্তমানে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে যার শেষ সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত। শতবর্ষ উদ্যাপনের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯১৯-২০১৫ ব্যাচ ১০০০ টাকা। ২০১৬/২০১৭/২০১৮ ব্যাচ ৭০০ টাকা এবং ২০১৯ থেকে ২০২৪ ব্যাচ ৫০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে কেউ চাইলে নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফির অতিরিক্ত দিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যত টাকা দিবেন সেই পরিমান রশিদে লিখে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।যারা আগে ৩০০ টাকা দিছে তারা রশিদ সহ বুথে বা প্রতিনিধির নিকট রেজিস্ট্রেশন করবে, রশিদ না থাকলে স্কুলে গিয়ে

রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফরমের সাথে ছবি ও মোবাইল নম্বর সহ নির্ধারিত ফর্ম নিজ দায়িত্বে পুরন করে জমা দিতে হবে।বর্তমানে স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। এ সময়ের বিদ্যালয়ের সকল বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্ধসঢ়;বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্ধসঢ়;বায়ক ও অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুহুল আমিন, কমিটির সহযোগী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, ম্যােিনজিং কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন, উজ্জল কাঞ্জিলাল, মামুনুর রশিদ বসুনিয়া সজিব, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিরামপুরে ছোট যমুনা নদীর পাড়ে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী ফারুক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃহাঁস পালন একটি লাভজনক পেশা। হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার জহুরুল ইসলাম ফারুক নামে এক যুবক। তিন বছর আগে ৭০০ হাঁস দিয়ে খামার শুরু করলেও তিনি। তিন বছরে ৫ হাজারেরও বেশি হাঁস বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তাঁর খামারে  এক হাজার হাঁস রয়েছে। সেই হাঁসগুলো অল্প দিনের মধ্যেই ডিম দেবে। যমুনা নদীর ধারে তাঁর এই খামার দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অনেকেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে নানান পরামর্শ।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর পাড়ে ফারুক গড়ে তুলেছেন এ হাঁসের খামার। দল বেঁধে চলছে হাঁসের দল। প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা ৩০ টাকা দরে কিনেছেন বলে জানান তিনি। প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ৭০০ হাঁসের মাধ্যমে খামার তৈরি করলেও তিন বছরে তিনি ৫ হাজারেরও বেশি হাঁস বিক্রি করেছেন। নদীর বুকে সারাদিন হাঁসগুলো খাবার খেয়ে থাকেন। বর্তমানে তাঁর খামারে ক্যাম্বেল জাতের হাঁসও রয়েছে।

হাঁসগুলোকে সন্ধ্যার পর শুধু ৫০ কেজি গম খেতে দেন তিনি। দেখা যায়, ফারুক হাঁসগুলোকে ডাকা মাত্রই ছুটে আসে তাঁর কাছে। সারাদিন হাঁসগুলো এখানে প্রাকৃতিক খাবার খায়। সন্ধ্যায় সেগুলোকে শুকনো স্থানে রেখে পরিচর্যা শেষে পুনরায় সকালে নদীতে উন্মুক্ত করা হয়। এক জায়গায় স্থির না রেখে পানি ও প্রাকৃতিক খাবারের প্রাপ্যতানুসারে স্থানান্তর করা হয় হাঁসগুলোকে। ভ্রাম্যমাণ খামারটি একদিকে বদলে দিয়েছে তাঁর ভাগ্য। অপরদিকে ওই এলাকাবাসী পেয়েছে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রেরণা। হাঁস পালন সম্পর্কে নানা পরামর্শ নিতে আসছেন অনেকেই। তাঁর খামারে কাজ করে সংসার পরিচালনা করছেন অনেক পরিবার।

এ বিষয়ে হাঁস খামারি জহুরুল ইসলাম ফারুক বলেন, ছোট পরিসরে প্রায় তিন বছর ধরেই যমুনা নদীর তীরে হাঁস পালন করছেন তিনি। তাঁর খামারে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস রয়েছে। সরকার থেকে সহযোগিতা পেলে তিনি হাঁসের একটি বড় হ্যাচারি তৈরি করবেন। তাঁর খামারের হাঁসগুলো অল্পদিনের মধ্যেই ডিম দেবে। সেই ডিম থেকে তিনি আবার বাচ্চা তৈরি করার চিন্তা করছেন।

বিরামপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপুল কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিরামপুরের ছোট যমুনা নদীতে ভ্রাম্যমাণ হাঁস পালনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ফারুকের খামারটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে খামারিদের সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ভ্যাকসিন, চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকি। বিরামপুর উপজেলাতে প্রায় ৩৪টির মতো ছোট -বড় হাঁসের খামার রয়েছে। এই খামারগুলোতে বিভিন্ন জাতের হাঁস রয়েছে। হাঁসগুলো থেকে স্থানীয় মাংস এবং ডিমের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর