Logo
আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব, জানালেন শমশের মবিন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ২০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমশের মবিন চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমরা অংশ নেব।

রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সিলেটের ভাদেশ্বরের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শমশের মবিন চৌধুরী বলেন, সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। আগামী নির্বাচনে আমি সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমার দল সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে।

তিনি বলেন, আমার রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। সব সময় আমি তৃণমূলের মানুষকে ভালোবাসি। তাদের সুখ-দুঃখের সারথি হয়ে পাশে থাকব।

এর আগে শমশের মবিন চৌধুরী ভাদেশ্বর মোকামবাজার শাহ পুতলা জামে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করেন। এরপর স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও কুশল বিনিময় করেন। পরে মৎস্য সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।


আরও খবর



নতুন বছর নতুন সম্ভাবনায় শুরু হোক: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নতুন সম্ভাবনা ও আশার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে শুরু হোক বাংলা নতুন বছর,বলেছেন  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।নতুন ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে বরণ করে নিতে হবে। অতীতের ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে ভবিষ্যৎ সুন্দরের দিকে। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একুশে টেলিভিশনের ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



২৩ নাবিক জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত, বিস্তারিত জানাল মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর নানা আলোচনা চলছিল বিভিন্ন মহলে। এতে জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে নানা দেনদরবার শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা হয় জাহাজের মালিকপক্ষের। এরপর মুক্ত হয় জাহাজ ও ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এ নিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের করপোরেট কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাজে অস্ত্রধারী গার্ড না থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান।

তিনি বলেন, একটা কথা বার বার আসছে, কেন আমরা আর্মড গার্ড নেইনি। এটার কারণ হচ্ছে আমরা হাই রিস্ক অ্যারিয়ার বাইরে ছিলাম। সাধারণত ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতর হাইরিস্ক অ্যারিয়া হিসেব করা হয়। কিন্তু আমরা যাচ্ছিলাম মোটামুটি ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে দিয়ে। গত ৮-৯ বছরে ওই এলাকায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেখানে আর্মড গার্ড নিতে হয়। একারণে আমরা আর্মড গার্ড নেইনি।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



নাসিরনগরে সালীশে কথা কাটা কাটি ছুঁড়ি ঘাতে আহত দুই

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃনাসিরনগরে জমি ও পুকুর নিয়ে সালীশে কথা কাটা কাটির জের ধরে সালীশ কারকদের সামনেই দুই সহোদর পাবেল ও রুবেলকে  ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।আহতরা এখন হাসপতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  পূবর্ভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে।জানা গেছে  গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী ওসমান,জমসু,মারুফ ও ফরুকের পুকুর ও জমি নিয় সংঘর্ষ হয়।এ সংর্ষ শেষ করতে ঘটনার তারিখে গ্রামের ও পাড়ার সর্দার মাতাব্বররা  মিলে একটি সালীশের আয়োজন করে।সালীশের শেষ পর্যায়ে,জমসুর মিয়ার ছেলে এংরাজ মিয়া, এংরাজের ছেলে তারেক মিয়া,আহাদ মিয়া, আহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে পাবেল ও রুবেলকে সালীশকারকদের সামনে ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে পিটে মারাত্বক ভাবে আহত করে।আহত দুই সহোদর এখন নাসিরনগর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরে জমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

হাবিবুর রহমান জানায় তারা প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও পুকুর দখল করে রেখেছে।আমি দুর্বল মানুষ।আমার ছেলেরা বাড়িতে থাকে না।তারা ঢাকায় কেউ চাকুরী আর কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে।তারা বড় গোষ্টির লোক ও প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ মেহেরপুরে ক্ষেপেছে তামাক চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃব্রিটিস এমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি) মেহেরপুরের এক কর্মকর্তার প্রলোভনে তামাক কিনে বিপাকে পড়েছেন তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা। বেশি দরে তামাক কিনে বিএটিবি এখন কম দর দেওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য বিক্ষুদ্ধদের ম্যানেজ করতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন বিএটিবি এরিয়া ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন মাঠকর্মী। 

অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের মানিক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন তামাক চাষের পাশাপাশি তামাকের ব্যবসা করেন। এবার তামাক ক্রয় মৌসূমের শুরুতে বিএটিবি কর্মকর্তারা তাদের তামাকের দর যা দেয় তাতে মোটামুটি সšুÍষ্ট হয় চাষীরা। পরবর্তীতে দর নিয়ে নানা টালবাহানা এবং ওজনে বেশি নেওয়ার ঘটনায় চাষীদের মাঝে শুরু হয় অসন্তোষ। 

ভুক্তভোগী কয়েজনের অভিযোগ, বিএটিবির কর্মকর্তাদের আশ^াসে তারা অন্য চাষীদের কাছ থেকেও তামাক ক্রয় করেন। এলাকার অনেক চাষীর বিএটিবি তামাক চাষের কার্ড নেই। এমন চাষীদের কাছ থেকে তামাক ক্রয় করে কার্ডধারীদের মাধ্যমে বিএটিবি মেহেরপুর বাইংয়ে তামাক বিক্রি করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন থেকেই চলমান। তবে মানিকসহ কয়েকজন চাষী যে দরে এবার তামাক কিনেছেন তার চেয়ে অনেক কম দর দেয় বিএটিবি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ঠরা। এতে চাষীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। 

কালিগাংনী গ্রামের ইয়ারুল নামের এক চাষী বলেন, আমার চোষা তামুক প্রথমে ১৬০ টাকা কেজি দাম দেয়। দরাদম করার পর এক ম্যাডাম (বিএটিবি কর্মকর্তা) ১৭২, টাকা, ১৮৫ টাকা ও ১৯৫ টাকা কেজি দর দেয়। দাম কম হওয়ায় আমি তামাক  বাড়িতে ফিরিয়ে এনে ২১৫ টাকা কেজি দরে অন্য পার্টির কাছে বিক্রি করি। এভাবে তারা চাষীদের তামাকের দর কম দিয়ে ঠকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন চাষীরা। 

একই গ্রামের গোলাম দাউস নামের আরেক কৃষকের অভিযোগ, বিএটিবিতে তামাক নিয়ে গেলে বেলের ভেতর থেকে কয়েকটি ছোট তামাক পাতা বের করে। তখন মণ প্রতি দুই কেজি কম দেওয়া এবং কম দাওয়ার কথা বলায় তামাক নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরে আবুল খয়ের টোব্যাকোতে সেই তামাক ২২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আসি। 

চাষীদের অভিযোগ, বিএটিবি চাষীদের নানাভাবে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। ক্রয় মৌসূমে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় চাষীদের সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। এতে অনেক চাষী বিপাকে পড়েছেন। 

এদিকে বিএটিবি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী চাষীরা রোববার সংবাদ সম্মেলেন ডাক দেয়। এ খবর পেয়ে বিএটিবি কর্মকর্তারা নানাভাবে চাপ দিয়ে চাষীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা তদবির শুরু করে। 

কালিগাংনী গ্রামে গিয়ে তারা চাষীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও চাষীরা তাতে সাই দেয়নি। বিএটিবি কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন চাষীরা যাতে কোথাও লিখিত অভিযোগ না করে। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেন নি। 


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর