Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজি উৎপাদন হয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: নানা জাত ও স্বাদের সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম। বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজির উৎপাদন হয় এ গ্রামগুলোতে। গ্রামগুলোতে বেশিরভাগ পরিবার এখন সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত। এতে হতদরিদ্র গ্রামবাসীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক যুবকের বেকারত্ব ঘুচেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে গ্রামগুলোর সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই ইউনিয়নের মধ্যে বাগেরহাট, চন্ডীপুর, নীলারহাট, গুঞ্জরগড় ও চকহলদি গ্রামে বছরে উৎপাদন হচ্ছে দেড় হাজার মেট্রিক টন সবজি। তিনি বলেন, গ্রামগুলোর উৎপাদিত শাকসবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাট-বাজারে। এখান থেকেই বছরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সবজি।
গ্রামগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এ সময়ে মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন, ঢেড়স, কাকরোল, করলা, পটোলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে।গ্রামগুলোতে সকাল হলে ছুটে যান ব্যবসায়ীরা।

চকহলদি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগেও তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করতেন। তবে এখন রবি মৌসুমে পুরো জমিতেই সবজি আবাদ করছেন। আলিম উদ্দিন বলেন, ধান চাষের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। এক বছরে মৌসুমভিত্তিক নানা সবজি চাষ করা যায়। এতে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছি। পাশের নীলারহাট গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোবাশ্বির আলম এক সময় শুধু বোরো, আমন ধান চাষাবাদ করতেন। কয়েক বছর ধরে অন্য ফসলের চাষাবাদ কমিয়ে সবজি চাষে ঝুঁকছেন। শুক্রবার সকালে চন্ডীরহাট আড়তে কুমড়া ও কাকরোল বিক্রি করতে আসেন মোবাশ্বির। মোবাশ্বির আলম বলেন, এবার সবজির ফলন ভালো হয়েছে। তবে শুরুতে কিছুটা বাড়তি দাম পেলেও এখন বাজার দর পড়ে গেছে। একই এলাকার সবজিচাষি রব্বানী মিয়া বলেন, সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে আমার আয় হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এতে আমাদের ধানের চেয়ে সবজিতে বেশি লাভ হচ্ছে।পাশের বাগেরহাট আড়তের স্থানীয় ব্যাপারী আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন এই ইউনিয়নের বাগেরহাট, চন্ডীপুর মোড় ও গড়েয়া আড়তে পাইকারিভাবে সবজি বেচাকেনা হয়। বিকালের পর থেকে ট্রাকে সবজি লোড করা হচ্ছে। রাতে এসব সবজি ট্রাকে করে সরাসরি রাজধানী ঢাকার আড়তে পৌঁছে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার মধ্যে গড়েয়া ইউনিয়ন কৃষিতে সমৃদ্ধ একটি এলাকা। কয়েক বছর ধরে সবজির ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। এ কারণে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ভবিষ্যতে সবজির গ্রামগুলোকে রোল মডেল করে আদর্শ কৃষিগ্রাম করার পরিকল্পনা


আরও খবর



পরোয়ানাভুক্ত আসামি ঢাকা থেকে আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : ১৮ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি রাজিব হাসান চৌধুরী ওরফে রিপন চৌধুরীকে ঢাকার লালবাগ এলাকা আটক করেছেন র‌্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। রিপনের নেতৃত্বে গত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বোমা ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। আটক রিপন চৌধুরী যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত শহিদুল ইসলাম চৌধুরী নয়নের ছেলে। শনিবার ভোর রাতে ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান।

শনিবার যশোর র‌্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দেশ ও বিদেশে পালিয়ে ছিলেন রাজিব হাসান চৌধুরী ওরফে রিপন। তার বিরুদ্ধে দস্যুতা, ডাকাতি, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৩ টি বিস্ফোরক, ০১টি সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ০২ টি বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ০২ টি হত্যা চেষ্টা
অপরাধে মোট ১৮ টি মামলা রয়েছে। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামি তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে তাকে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য ডিসির আদেশে তানোরে ফসলী জমিতে পুকুর খনন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে জেলা প্রশাসক ডিসির আদেশে রাজশাহীর তানোরে কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খনন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বোরো ধান কাটা হয়েছে জমিগুলো থেকে। জমিতেই বাঁশের খুটি পুতে সাটানো হয়েছে সাইনবোর্ড। লিখা আছে রাজশাহী স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি,  নিবন্ধন নম্বর ১৬০৭, পক্ষে জেলা প্রশাসক। এমন সাইনবোর্ড লিখে কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খননের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, রক্ষক কেন নির্দেশ দাতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কি ভাবে আদেশ দিলেন, কিসের বিনিময়ে জেলা জুড়ে এমন ঘটনার জন্ম দিয়ে কেনই তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়লেন। কি এমন ক্ষমতার বলে সরকার প্রধানের নির্দেশ অমান্য করে  চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন( ইউপির) ব্রীজ ঘাটের উত্তরে বন্যা নিয়ন্ত্রিত বাঁধের পূর্বদিকে বিস্তৃর্ণ ফসলী জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছেন রাজশাহী স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতির সাইনবোর্ডে । সমিতির নিবন্ধন নং ১৬০৭, পক্ষে জেলা প্রশাসক। এতে করে ডিসির এমন কর্মকান্ডে চরম বিব্রত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ফলে দ্রুত বন্ধ করে কৃষি জমি রক্ষার দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।

তবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামিম আহম্মেদের সাথে মোবাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে কথা বলা হলে তিনি বলেন, স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি টি হচ্ছে জেলার বাগমারা উপজেলার চরম পন্থিদের।  সরকারের কাছে আত্ম সমর্পন করেছিল তারা। সরকার তাদের পুনর্বাসনের জন্য সমিতি করে দেয়। আর আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সমিতি দেখভাল করি। কিন্তু কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খননের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুকুর খননের জায়গাতে বা কৃষি জমিতে সমিতি যে সাইনবোর্ড মেরেছে সেখানে পক্ষে জেলা প্রশাসক লিখা আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনি কি সাইনবোর্ডের কাছে আছেন, না,  গত মঙ্গলবারে ছবি তুলে নিয়ে এসেছি। ঠিক আছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, চান্দুড়িয়া ইউপিতে প্রায় জমিতে পুকুর খনন হয়ে গেছে। কৃষি শ্রমিকরা কোন কাজ পাচ্ছে না। বিশেষ করে হাড়দহ বিল হলেও তিনটি করে ফসল হত এবং আশপাশের গ্রামের মানুষ প্রচুর গরু, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করে জীবন পরিচালনা করত। বর্তমানে ৪০-৪৫ বিঘা জমি ফাঁকা ছিল। এবার সেখানে শুরু হয়েছে পুকুর খনন। পুকুর হলে ইউপিতে তেমন ভাবে কৃষি জমি থাকবে না। আবার বর্ষা বন্যা মৌসুমে হড়দহ গ্রামের অনেক মৎস্যা জীবিরা মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করত। সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। আর কৃষি ফসলী জমিতে চারটির মত ভেকু মেশিন দিয়ে দাপটের সাথে পুকুর খনন করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন রহস্য জনক কারনে নিরব।  কারন একটাই সাইন বোর্ডে পক্ষে জেলা প্রশাসক। মুলত এজন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনরা কিছুই করতে পারছেন না।
সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি চলছে। কিন্তু বাংলার পা ফাঁটা কৃষকদের জন্য দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই।

এছাড়াও এউপজেলাকে কৃষি ভান্ডার হিসেবে ধরা হয়। প্রধান চাষ ধান তারপর আলু এরপরেই রয়েছে মাছ উৎপাদন। কিন্তু বিগত ১৪-১৫ বছরে  মধ্যে ব্যাপকহারে কৃষি জমিতে পুকুর হয়েছে। কমেছে প্রচুর কৃষি জমি। এভাবে পুকুর হতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতির আশংকা করছেন কৃষি বিভাগ।সম্প্রতি বোরো ধান কাটা শেষের দিকে, বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। যা চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষি দপ্তর।এবিষয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব যুগ্ন সচিব ইমতিয়াজ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জায়গার লোকেসন নেন এবং সাইনবোর্ড ও কৃষি জমির ছবি হটসআপে চান।  ছবি লোকেসান দেওয়ার পর তিনি বলেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

আরও খবর



আইপিএল ফাইনাল দেখতে ভারত যাচ্ছেন পাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:এবারের আইপিএলে ডাক পেয়েছিলেন তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। তার মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস খেললেও কোনো ম্যাচ না খেলে যৌথ সম্মতিতে নাম প্রত্যাহার করে নেন সাকিব আল হাসান। যদিও পারফরম্যান্সে হতাশ করেছেন এই দুই তারকা।

দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে মাত্র ২ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ, উইকেট নিয়েছেন একটি। আর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাত্র ১ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন লিটন। ৪ রানেই শেষ হয় উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যানের যাত্রা।

আগামী ২৮ মে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হতে যাচ্ছে আইপিএলের চলতি আসরের ফাইনাল। সেই ম্যাচে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার না থাকলেও যাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা (বিসিসিআই) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সভাপতি জয় শাহর আমন্ত্রণেই ভারত যাচ্ছেন পাপন।

মূলত, পাপন যাচ্ছেন আসন্ন এশিয়া কাপে ভেন্যু নির্ধারণ সংক্রান্ত আলোচনায়। জয় শাহ সেই বৈঠকে আরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকেও।

পিটিআইকে জয় শাহ বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ আয়োজনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আমরা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। আইপিএলের ফাইনাল দেখতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি), বাংলাদেশ (বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিরা আসছেন। সেখানে আমরা একটি আলোচনা করব এবং যথাসময়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।


আরও খবর



দুটি বগি লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ঝড়ে রেললাইনের ওপর হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।আজ শনিবার ভোরে উপজেলার লাউয়াছড়া বনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ ভোর ৫টার দিকে লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। যতটুকু জানা গেছে, রাতে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল, যার কারণে রেললাইনের ওপর গাছ হেলে পড়েছিল। গাছের সঙ্গে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কুলাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসেছে যেটি উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রিলিফ ট্রেন শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন ক্রস করেছে। 

এ ঘটনার পর সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে। তবে কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি বলেই জানান শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের এই কর্মকর্তা।এদিকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় ঢাকাগামী আন্তনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে রেলওয়ে বিভাগ। আজ শনিবার সকাল ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভানুগাছ রেলস্টেশনের মাস্টার কবির আহমেদ।তিনি বলেন, ‘ভোরে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে পৌঁছেছে। লাইনের পাশে পড়ে থাকা বগিগুলো উদ্ধার করতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগে যাবে।


আরও খবর



দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বেশকিছু পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক কর এবং ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওই সব পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ হলো এলপিজি সিলিন্ডার, মোবাইল ফোন, সিগারেট, ফ্ল্যাট নিবন্ধন, বিদেশ ভ্রমণ প্রভৃতি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের বাজেটে যেসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে তার অন্যতম হলো-

এলপিজি সিলিন্ডার: রান্নার কাজে ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ এবং উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে বাজেটে। এর ফলে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে।

মোবাইল ফোন: প্রতি বছর মোবাইলফোন পাল্টানো ফ্যাশনের অংশ, যা শখে পরিণত হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে আইএমএফ-এর পরামর্শে মোবাইলফোনকে বিলাসীপণ্য বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। বর্তমানে মোবাইলফোন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি আছে, সেখানে ২ শতাংশ ভ্যাট বসানো হচ্ছে। আর সংযোজন পর্যায়ে ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে মোবাইলফোনের দাম বাড়তে পারে।

গৃহস্থালি সামগ্রী: বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী উৎপাদনে থাকা ৫ শতাংশ ভ্যাটকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। একইহারে বাড়ানো হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী ও তৈজসপত্রের (হাঁড়িপাতিল, থালাবাসন) ভ্যাট। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিস্যু পেপারের দাম বাড়তে পারে। হরে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত বাড়িতে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করা হয়।

শুল্ক ফাঁকি রোধে বাজেটে সব ধরনের মাইক্রোওয়েব ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়াচ্ছে। এর ফলে মাইক্রোওয়েব ওভেনে মোট করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ হচ্ছে। এতে বিদেশি গৃহস্থালি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।

বাসমতি চাল: রসনা বিলাসে বিরিয়ানি-তেহারির প্রধান উপকরণ বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এতে চালের দাম বাড়তে পারে। বাসমতি চালের দাম বাড়ায় বাড়তে পারে বিরিয়ানি কিংবা কাচ্চির দামও।

নির্মাণসামগ্রী: বাড়ি নির্মাণের প্রধান উপকরণ সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা শুল্ক আছে, এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হচ্ছে। এ কারণে সিমেন্টের দাম বাড়তে পারে। বিদেশি টাইলস আমদানিতে এতদিন কর রেয়াত ছিল, যা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ কারণে বিদেশি টাইলসের দাম বাড়তে পারে।

ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডিএ) এলাকায় জমি নিবন্ধনের ট্যাক্স বিদ্যমান ৩ শতাংশ ও ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৫ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া ফ্ল্যাট বিক্রিতে বিদ্যমান গেইন ট্যাক্স বাড়তে পারে। ফলে আগামী অর্থবছর থেকে উভয় ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ গুণতে হবে।

কলম: কলম উৎপাদনে বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এতে কলমের দাম বাড়তে পারে।

সিগারেট: বাজেটে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানো হচ্ছে। নিম্নস্তরের এক প্যাকেট (২০ শলাকার) সিগারেটের (যেমন-হলিউড, ডার্বি) দাম ৯০ টাকা, মধ্যমস্তরের (স্টার, নেভি) ১৩৪, উচ্চস্তরের (গোল্ডলিফ) ২২৬ এবং অতি উচ্চস্তরের (বেনসন, মালবোরো) সিগারেটের দাম ৩০০ টাকা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে জর্দা-গুলের দামও। তবে বিড়ির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।

বিদেশি ফল: দেশে কাজুবাদাম চাষকে উৎসাহিত করতে এ ফলটি আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই আমদানি করা কাজু বাদামের দাম বাড়তে পারে। বাজেটে তাজা ও শুকনা খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে বিদেশি এ ফলটির দাম। বাজেটে শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করায় অন্যান্য বিদেশি ফলের দামও বাড়তে পারে।

চশমা: চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে সব ধরনের চশমার দাম বেড়ে যেতে পারে।

বিদেশ ভ্রমণ: ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি করের চাহিদা মেটাতে বিদেশগামী যাত্রীদের ওপর ৩০০-৫০০ টাকা বাড়তি কর আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। এতে বিদেশে যাওয়া-আসা খরচ বেড়ে যেতে পারে। তবে হজ কিংবা চিকিৎসার জন্য যারা বিদেশ ভ্রমণ করবেন, তারা আগের মতোই কর সুবিধা পাবেন।


আরও খবর