Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তীব্র তাপদাহে ধানে ব্লাস্ট রোগ মাগুরার কৃষকরা হতাশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫৪জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান: মাগুরায় সপ্তাহব্যাপী তীব্র তাপদাহ,অনাবৃষ্টি থাকার কারণে সদরের বিভিন্ন মাঠের বোরো ধান,আটাশ ও উনত্রিশ ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে । প্রচন্ড তাপদাহের ফলে বোরো ধানের এ ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ায় জেলার কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন । এখন মাঠের প্রতিটি ধানের গোছায় ধানের ছড়া বের হয়েছে । আর কিছু দিন পর কাটা হবে ধান ধান । কিন্তু হঠাৎ করে ধানে এ ব্লাস্ট দেখা দেওয়ায় ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ধানের প্রথমে হলুদ ভাব হয়ে পরে চিটায় পরিণত   হচ্ছে । বিশেষ করে মাগুরা সদর উপজেলার  

আলাইপুর, মিঠাপুর, মির্জাপুর, শত্রুজিতপুর, বালিয়াডাঙ্গা, বারাশিয়া গ্রামে সরজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ বোরো ধানের ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে । ধানে ব্লাস্ট রোগ দেওয়াতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কম হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা । মাগুরা কৃষি বিভাগ তেকে জানান হয়,মাটি যদি বেলে প্রকৃতির ও শুকনো হয়,জমিতে ইউরিয়া সার বেশি ও পটাশ সার কম ব্যবহার হলে ও রাতে ঠান্ডা ,দিনে বেশি গরম হলে এ রোগ দেখা দিতে পারে । এ রোজ

প্রতিরোধে জমিতে জৈব সার প্রকারভেদে বিঘাপ্রতি ৫শ’-৮শ” এবং রাসায়নিক সার সুষম মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে । তাছাড়া ধানের পাতায় ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে জমিতে তাৎক্ষণিক সেচ দিতে হবে,আক্রান্ত জমিতে বিঘাপ্রতি ৫ কেজি এমওপি বা পটাশ সার দিতে হবে । আক্রান্ত বেশি হলে নি¤েœাক্ত বালাইনাশকের যে কোন একটি ৮-১০ দিও পরপর ২ বার স্প্রে করতে হবে ।

মাগুরা সদরের আলাইপুর গ্রামের কৃষক তোজাম্মেল বলেন, সে ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছে । ধান রোপনের সাথে সাথে জমির পরিচর্যা বৃদ্ধি, জমিতে উপযুক্ত সার ও সেচ প্রদান করা হয । ধানের গোছা আসার সাথে সাথে জমির আরো পরিচর্যা বৃদ্ধি করার পর পুরো সপ্তাহ খানেক ধরে তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে হঠাৎ ধানের গোছায় হলুদ রং হতে দেখা যায় । তার ২ বিঘার প্রায় ১ বিঘা জমির ধান এখন ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত । অনেক বার ঔষধ ও স্প্রে করেও কিš‘ কোন কাজ হয়নি । ধান চিটা হয়ে

গেছে । যেখানে প্রতি বছর ২ বিঘা জমিতে ৫০-৬০ মণ ধান ফলেছে এবার সেখানে পাওয়া যাবে মাত্র ৩০ মণ । এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে কাঙ্খিত ধানের উৎপাদন না পাওয়ায় হতাশা ব্যাক্ত করেন। মাগুরা সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক রিপন সরদার জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন । ধানের উপর তার সারা বছর চলে । এবার অতিরিক্তি তাপদাহের ফলে তার ২ বিঘা জমির ধান ব্লাস্ট

রোগে আক্রান্ত হয়েছে । সে এ ধান নিয়ে বিপাকে রয়েছে বলে জানান । অধিকাংশ ধানে চিটা হয়েছে বলে তিনি জানান। ধান কাটার শেষের দিকে এমন অবস্থায় তারা হতাশ বলে জানান। একই উপজেলার ছয়চার গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন,তীব্রতাপদাহে তার ৩ বিঘা জমির প্রায় ১ বিঘা বোরো ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে । ধান রোপনের সাথে সাথে সার ও সেচ নিয়মিত দেয়া হয় । প্রতিটি ধান গাছের গোছায় যখন ধান ছড়া আসতে শুরু করলো তখন পরিচর্যা বৃদ্ধি করা হয় । কয়েকদিন দিনের তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ধান হলুদ হয়ে চিটা হয়ে যা”েছ তখন বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়ি । কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও স্প্রে করেও কোন কাজ হয়নি ফলে ধান নিয়ে শঙ্কিত আছি ।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো: রফিকুজ্জামান জানান,সপ্তাহখানেক ধরে মাগুরাসহ সারাদেশে তীব্র তাপদাহের ফলে বোরো ধানের কিছুটা ক্ষতি দেখা দিয়েছে । তার পাশাপাশি কিছু এলাকায় ধানের ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে বোরোসহ অন্যান্য ধান । এ সময় কৃষকদের শঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি জমিতে সব সময় পানি জমিয়ে রাখার পরামর্শ দেয়া  হচ্ছে । চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ৩৮ হাজার ৪৩৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে । এ মধ্যে সদরে ১৬ হাজার ৬৮০ হেক্টর,শ্রীপুরে ১৫শ’ ৯০ হেক্টর,শালিখায় ১৩ হাজার ৪৫ হেক্টর ও মহম্মদপুর

উপজেলায় ৬ হাজার ৮২৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে । এবার চাষের লক্ষ্যমাত্রো নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮শ’ হেক্টর । লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৬৩৯ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে । এবার হেক্টর প্রতি উৎপাদনের লক্স্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪.৪৪ মেট্রিকটন চাউল । মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ্যমাত্রা ১লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৮০ মেট্রিকটন চাউল । এবার ব্রী ধান-৮১,৮৯,২৯০৪.৬৭১১,৩৮০৫ এবং হাইব্রীড এসএল,এইট-এইচ,সিনজেনটা-১২০৩ জাতের ধানের চাষ জেলায় বেশি হয়েছে । এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে ।


আরও খবর



ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ আ’লীগ ডোমার থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক এর ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার ও মেধাবী কৃতি ছাত্রীকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজ হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি আনজারুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডোমার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু।

শিক্ষক রেজওয়ানুল হক উৎপলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী, পৌর কমান্ডার ইলিয়াস হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্টপোষক অবঃ প্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক আনিছুল হক গোল্ডেন, ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ লতিফুল মোস্তাকীম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এলাকার কৃতি সন্তান সাবিহা বিনতে বৃষ্টি মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৩৮তম স্থান অর্জন করায় ফাউন্ডেশনের পক্ষথেকে বিশেষ সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান করা হয়। আলোচনা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলাকার ৩ শতাধীক অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসাবে খাদ্য ও শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকেঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সুচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙ্গামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙ্গামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কেএনএফের ৯ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শক্তিশালী ভূমিকম্পে তাইওয়ানের পর এবার কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে এ থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এখনো পর্যন্ত ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল)। রাজধানী টোকিওতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে টেকটোনিক সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি জাপান। সে কারণে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমনটা নিশ্চিত করতে তারা ভবনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলে।

১২৫ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল এই দ্বীপপুঞ্জ। প্রতি বছর সেখানে প্রায় ১৫০০ ছোট-বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ এবং এর গভীরতা ছিল ৪০ দশমিক ১ কিলোমিটার।

এর মাত্র একদিন আগেই প্রতিবেশী তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আরও এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

ওই ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

জাপানে এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার অতি শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামির আঘাতে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




কামরাঙ্গীর চরে মামার চুড়িকাঘাতে ভাগ্নে নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদ চৌধুরীঃরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নূরবাগ এলাকায় মাদকাসক্ত মামার ছুরিকাঘাতে তানিন হোসেন (২৩) নামে ভাগ্নে নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় তানিনের বড় ভাই তামিম হোসেন (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।  মামা রাকিব মাদকাসক্ত।

তাকে মাদকের টাকা না দেওয়ায় দুই ভাগ্নেকে ছুরিকাঘাত করেছে।রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালের  নিয়ে আসলে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তানিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি (ওসেক) সার্ভিসের চিকিৎসক ডা . মোহাম্মদ রাসেল।নিহতের বাবা জামিল হোসেন জানান, আমার দুই ছেলেই ইলেকট্রিকের কাজ করে।

বিকেলের দিকে ওদের মামা রাকিব বাসায় এসে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিনকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায়। আমার তিন ছেলে এক মেয়ে।ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে আরও জোরালো সমর্থন চেয়েছেন। এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর অ্যান্ড থিম) ফাতিমা ইয়াসমিন রোববার (৩১ মার্চ) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই সমর্থন কামনা করেন।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতি। কারণ সরকার গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেছে। কারণ এটি শিল্পায়ন প্রসারিত ও আরও কাজের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি, নদী খনন ও পুনরুদ্ধারের মতো খাতে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন। তিনি এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে আরও জনকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে করে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬-২০০১ সালে বেসরকারী খাতে বিভিন্ন শাখা খোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যাতে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং প্রাণবন্ত করে তোলে- যার ফলে কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হয়।

ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশ এডিবির অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকারের দেশ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এডিবির সহায়তা পাঁচ গুণ বেড়ে ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলেন, এডিবি নদী পুনরুদ্ধার, নদী ভিত্তিক পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র ও সেচের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, মানব ও সামাজিক উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর