Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

তানোরে বোরো ধান কাটা মাড়ায় শুরু বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫৫১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বিলকুমারী বিলের বোরো ধান কাটা মাড়ায় শুরু হয়েছে। তবে বহিরাগত শ্রমিক না আসায় সংকট দেখা দিয়েছে। এবারে পাকা ঝরঝরে ধান তুলতে পারছেন কৃষকরা। বিগত ৮-১০ বছরেও এমন ফলন হয়নি বলে জানান কৃষকরা। প্রতি বিঘায় নিম্মে ৩০ থেকে ৩৫ মন ফলন হচ্ছে এবং বাজার দামও ভালো থাকায় খুশি কৃষক কৃষানিরা। তবে দাম ও আবহাওয়া নিয়ে অনেকটাই সংকিত। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিলের জমির ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি দপ্তর। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারনে দ্রুত ধান কাটা নিয়ে রয়েছে সন্দিহান।

বিলের একাবারে নিচে থেকে মাথায় ও বাঁশের ভারে করে দিন নিয়ে এসে তালন্দ বাজার পার হয়ে  মুল রাস্তায় পালা দিয়ে রেখেছেন শ্রমিকরা। রাখার পর শ্রমিকরা বসে আরাম করছিলেন। সেখানেই কথা হয় শ্রমিক  সুজন, জগদিস সইবুর ও শাহাজাদের সাথে। তারা জানা ১০ জন শ্রমিক এক সাথে কাজ করছি। বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ মন মুজরীতে ধান কাটা হচ্ছে। যে সব জমি একেবারেই নিচে সেগুলো থেকে ধান বহনে প্রচুর কষ্ট হয়। ওই সব জমিতে বিঘায় ৫ মন করে নেওয়া হয়। আর রাস্তার ধারের জমি সেগুলোতে ৪ মন করে নেওয়া হয়।  তারা হরিদেবপুর গ্রামের সঞ্জয়, বিপুল ও উজ্জলসহ কয়েকজন কৃষকের ধান কেটে বহন করছেন।

শ্রমিক সুজন জানান, বিলের প্রায় সব জমির ধান পেকে গেছে। নিচ থেকে ধান কেটে বহন করে রাস্তায় রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে ভ্যান ভটভটি ও ট্রলি এবং ট্র্যাক্টরে করে কৃষকের উঠানে যাচ্ছে।
জগদিস জানান, আমরা একসাথে ১০ জন শ্রমিক ধান কাটা মাড়ায়ের কাজ করছি। প্রতি বিঘায় ৫ মন ধানের চুক্তিতে কাটা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত উজ্জলের দেড় বিঘা জমির এক বিঘার সামান্য বেশি জমিতে মাড়ায়ের পর ৩৮ মন ফলন হয়েছে। তারা আরো জানান, বিগত ৮-১০ বছরের মধ্যে এবারের ফলন প্রচুর হচ্ছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে প্রখর তাপমাত্রা ছিল, এজন্য শুকনো ঝরঝরে ধান ও খড় পাচ্ছে কৃষকরা। 

চৌবাড়িয়া টু মাদারিপুর রাস্তার পশ্চিমে একসঙ্গে ২২ জন শ্রমিক ধান কাটছেন। তারা সবাই চাপাইনবাবঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকসা ইউনিয়ন থেকে এসেছেন।তারা জানান গত রোববার এসেছি ধান কাটতে। থাকছি মালশিরা গ্রামে। এখন পর্যন্ত ১৫-১৭ বিঘা জমির ধান কাটতে পেরেছি। বিঘায় নিম্মে ৩০ মন থেকে ৩৫ মন করে ফলন হচ্ছে। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শ্রমিক আকতার, সহিদুল, এমদাদুল জানান, বিগত ১০-১২ বছরের মধ্যে ধানের এমন চেহারা দেখা যায় নি। যেমন ধানের ফলন হচ্ছে তেমনি ভাবে মিলছে খড়। যার কারনে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ধান কাটা মাড়ায় খাওয়া খরচ বাদে ১৮-২০ মন করে ধান নিয়ে যাওয়া যায় বাড়িতে,  যা সারা বছরের খাবার। তবে বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি হলে মড়কের শেষ থাকবে না।

পৌর সদরের কৃষক মতিউর, সাহেব, মফিজ জানান, আর এক সপ্তাহ খরতাপ থাকলে বিলের জমির ধান উঠে যাবে। বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে এবারে ফলন হবে বাম্পার এবং  দামও ভাল আছে। কিন্তু শ্রমিক সংকট প্রচুর। অবশ্য বহিরাগত শ্রমিকরা আসা শুরু করেছেন। পৌর সদরে চলে কাচির হিসেব, বিঘায় ৩৫-৩৮ মন করে ফলন হচ্ছে। আর পাকি ৩০-৩২ মন করে বিঘায় ফলন হচ্ছে।

ধান ব্যবসায়ী সুনিল জানান, পাকি ১১শ টাকা মন ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের দাম আরো বাড়বে। তবে উপজেলায় কাচি পাকি দুই ধরনের হিসাব হয়। ২৮ কেজিতে কাচি ১ মন, বাজার মুল্য ৭০০ টাকা, আর ৩৭ কেজিতে পাকি ১ মন বাজার মুল্য ১১০০ টাকা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবার বোরো চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। সোমবার পর্যন্ত ৩০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। কেজিতে বিঘা প্রতি ২৬-২৭ মন করে ফলন হচ্ছে। সেই হিসেবে ১ লক্ষ মে:টন ফলন হবে। আমাদের টার্গেট ছিল ৭০ হাজার মে : টন। বৈশাখ মাস এজন্য কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে বলা হয়েছে। বিগত দশ বছরে এমন ফলন হয়নি এবার হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান আবহাওয়া অনুকুলে ছিল, সব সময় কৃষকের মাঝে থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর মহান সৃষ্টি কর্তার রহমতও ছিল। এপ্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত আকাশে প্রচুর মেঘ ছিল। একারনে এক প্রকার আতংকিত কৃষকরা।


আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




রূপগঞ্জে প‌বিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে দুই হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে দুই হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ   সদর ইউ‌নিয়‌নের ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়া‌র্ডে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এর প‌ক্ষে দুই হাজার প‌রিবা‌রের মা‌ঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প‌রিষ‌দের সদস্য মোহাম্মদ আনছার আলী এর উ‌দ্যো‌গে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


এ‌তে প্রধান অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে যোগ দেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। সে সময় তি‌নি ব‌লেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দে‌শের মানু‌ষের কল্যা‌নে কাজ ক‌রে যাচ্ছেন।অসহায় মানুষের পাশে সমাজের বৃত্তবান‌দের এ‌গিয়ে আসার আহবান জানান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।


তি‌নি ব‌লেন, সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরকেও গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সাধ্য মোতাবেক সহযোগিতা করা উ‌চিত।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জ থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলী‌গের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ ভুঁইয়া।


রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলী‌গের কার্যকরী সদস্য হা‌বিবুর রহমান হা‌বিব, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবম‌হিলালী‌গের সভাপ‌তি ফের‌দৌসী আক্তার রিয়া, রূপগঞ্জ ইউ‌নিয়ন আওয়ামীলী‌গের সহসভাপ‌তি মোহাম্মদ ফারুক মিয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা ম‌হিলালী‌গের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক রেহেনা আক্তার, রূপগঞ্জ ইউ‌নিয়ন যুবলী‌গের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মোহন মিয়া, রূপগঞ্জ ইউ‌নিয়ন স্বেচ্ছা‌সেবকলী‌গের সাবেক সভাপ‌তি শাহ মোহাম্মদ জিলানী ভান্ডারী সহ অনেকে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



অল্প সময়ে মানুষের মন জয় করেছেন কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:লাখো শহীদের রক্তে ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সোনার বাংলাদেশে জন নিরাপত্তায় নিয়োজিত অন্যতম বাহিনী “বাংলাদেশ পুলিশ” যা এখন আর আতংকের নাম নয়,পুলিশ মানে হিংস্র মনোভাবের প্রাণী নয়, পুলিশ মানে শুধুই লাঠিপেটা আর ভীতিকর চরিত্রের বেরসিক দায়িত্বশীল নয়, পুলিশ মানে এখন মানুষের ভালবাসার অরণ্য, পুলিশ মানে এখন মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা, পুলিশ মানে এখন সমাজ ও মানবতার সিনবাদ।

গোটা দেশের প্রশাসনিক দায়িত্বরত পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কাফরুল থানার পুলিশ এ পর্যন্ত নতুন নতুন কিছু কার্যক্রম ও মানবিক কাজে নিজেদেরকে একত্রিত করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। এইজন্য কাফরুল থানা  পুলিশ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় মানুষের হৃদয়ে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে ও পুলিশ বাহিনীকে বরেণ্য করেছেন মানবিক পুলিশ  অফিসার (ওসি)  ফারুকুল আলম ।

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ  ফারুকুল আলম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে শুরু করেছি  যুদ্ধ, জনমত গড়ে তুলতে আমরা  বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে ছুটে যাচ্ছি, তেমনি ইভটিজিং ও কিশোর  গ্যাং কালচার রুখতে যাচ্ছি স্কুল-কলেজে। সেবা প্রদানের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা করে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি  । 

২৪ ঘন্টায় ওসিকে ফোনে পাওয়া যায়। জঙ্গিবাদে না জড়ানো, ইভটিজিং না করা, গুজব না ছড়ানোর আহ্বান যেমন রয়েছে, ভাড়া বাড়ির মালিককে সতর্ক করে ভাড়াটিয়া সম্পর্কে খোঁজ রাখার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

এছাড়া তার সাথে রয়েছে দক্ষ চৌকস  অফিসার এসআই রানা। তার নাম ও কাফরুল থানা এলাকার মানুষ মনে রাখবে সবসময়।

আরও খবর



উন্নয়নে ঢাকা-থিম্পু একযোগে কাজের তাগিদ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ ও ভুটানের আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে যৌথ সমন্বয় ও উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে ঢাকা সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য এলে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুই দেশ নিজ নিজ দেশের শক্তি ও অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচক হয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, সংযোগ, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপ্রধান সার্ক, বিমসটেক, এসএসইসি এবং বিবিআইএন-এর মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সহযোগিতার জন্য ভুটান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।

৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা ও রানী জেটসুন পেমার এখন চারদিনের সরকারি সফরে ঢাকায় রয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মার্চের এই ঐতিহাসিক মাসে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান দু’দেশের অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য, জনগণের আকাঙ্খা পূরণে দুই সরকারই যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞ চিত্তে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি তার দেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

ভুটানের রাজা বাংলাদেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ঔষধসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগত মানের প্রশংসা করেন। তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ও জ্বালানীসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ভুটানের পক্ষে সে দেশের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ভুটানের রাজা ও রানী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাকে ফুলের তোড়া উপহার দেন এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ভুটানের রানী জেটসুন পেমাকে আরেকটি ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে ভুটানের রাজা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে বঙ্গভবনের মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জন জীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙীন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।

এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর,পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  মোঃ শানে আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  মোঃ দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৬৭জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রানওয়ের ৪০০ গজ উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ওই ভবন নির্মাণ করলেও আইনি কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।  বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকার মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি না থাকলেও শুধুমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন নেয়ার কথা বলে নির্মাণ কাজ চলছে বহুতল ভবনের। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত বিমান কর্তৃপক্ষ। 

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষা মৌসুমে বা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তায় বিপদসীমার অনেক নিচে দিয়ে ৪৫ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে উড়ন্ত বিমান অবতরণ করা হয় বিমানবন্দরে। ওই সময় ঘন মেঘের কারণে বিমান পাইলট সামনের কোন উঁচু স্থাপনা বা টাওয়ার ভালোভাবে দেখতে পান না। যার ফলে পাইলট বারবার বিমান বন্দর টাওয়ারের কাছে জানতে চান অবতরণ বিমানের সামনে কোন বহুতল ভবন, টাওয়ার বা গাছপালা আছে কিনা। থাকলে সেখানে আঘাত লেগে বিমান ক্রাশের সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। এ কারণে শুধুমাত্র বিমান ক্রাশের ভয়েই বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে কোন প্রকার বহুতল ভবন বা টাওয়ার স্থাপনে অনুমতি দেয়া হয় না। বিমান ও যাত্রীদের নিরপত্তায় ওই নির্দেশনা দেয়া না হলেও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উত্তর পার্শে সহ কয়েক স্হানে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর রানওযের উত্তর পার্শে ৪০০ ফিট্ এর মধ্যে নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি সিভিল অ্যাভিয়েশন এর আইনকে তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেছেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও পোরসভার নকশা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন কারো অনুমতির দরকার নাই।ভবনটি নির্মানের জন্য উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা  সৈয়দপুরে দালানকোঠা বা বহুতল ভবন  নির্মাণ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে নির্মাণের জোর তাগিদ দেয়া হলেও তা মানছেন না নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তি সহ অনেকেই। 

জানা,গেছে,সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পূর্বপাশে সেনাসিবাস, উত্তর ও পশ্চিম পাশে পৌর এলাকা এবং দক্ষিণ পাশে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন। বিধি অনুযায়ী ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ওই চিঠির জবাবে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুসা উদ্দিন বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের নকশা পাশ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানা যায় । এছাড়াও যদি কোন ভবনের কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওইসব বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু তারা মারা যাওয়ার পর তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কোন কাজই হচ্ছেনা। বর্তমান পৌর পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে বিমান উঠানামায় আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শুপ্লব কুমার ঘোষ জানান,বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । বর্তমানে এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান,ও ইউএস-বাংলার বিমান চলাচল করছে। যাত্রীসেবাও দেওয়া হচ্ছে শতভাগ। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে উঁচু ভবন থাকায় আতঙ্কে রয়েছে বিমানের পাইলটরা। তিনি বলেন নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তিকে রানওয়ে সংলগ্ন ভবন নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয় নি। অবতরণে আতঙ্কিত ভবনগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করেন তিনি । 

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, নিরাপদে বিমান চলাচলের স্বার্থে রানওয়ে সংলগ্ন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কোন নকশা পাস করা হয় নি। যারা রানওয়ের আশপাশ এলাকার বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তারা এক প্রকার গায়ের জোরেই করছেন। রানওয়ের আশপাশ এলাকার সকল অবৈধ বহুতল ভবন গুড়িয়ে দিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।


আরও খবর