Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তানোরে আলুর জমিতে ধান রোপন শেষের দিকে

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর ,তানোর প্রতিনিধি ;রাজশাহীর তানোরে আলু উত্তোলন পর ধান রোপনও শেষের দিকে। উপজেলায় দুই ভাগে বোরো রোপন হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিল কুমারী বিলে আগাম জাতের বোরো রোপন হয়। আর আলু তোলার পর হয় বোরো রোপন। তবে সেচের জন্য বিলম্ব হচ্ছে বোরো রোপন বলেও কৃষকরা নিশ্চিত করেন। তবে ১৫ মার্চের আগে যে সব জমিতে রোপন হয়েছে সে গুলো বোরো হিসেবে ও এর পরে যে সব রোপন হবে সেগুলো আউশ হিসেবে ধরা হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত সেচ হার ও পটাশ সংকট নিয়ে বিব্রত অবস্থায় কৃষকরা।

জানা গেছে, উপজেলার চান্দুড়িয়া ব্রীজ ঘাট থেকে কালিঞ্জন, হাবিব নগর, বুরুজ ঘাট, জিওল, আমশো গোল্লাপাড়া, হিন্দুপাড়া, গুবিরপাড়া, ধানতৈড় চাপড়া, গোকুল তালন্দ, হাতিশাইল, কামারগাঁ, শ্রী খন্ডা, বাতাসপুর, পারিশো দূর্গাপুর, মাড়িয়া, মাদারিপুর, জমসেদপুর, মালশিরা, কুজিশহর, চন্দনকোঠা, লবাতলা ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিমে আগাম জাতের বোরো চাষ হয়েছে। এসব ধানে শীষ গজিয়েছে। প্রায় আড়াই মাসের বেশি বয়স হচ্ছে। 

অপর দিকে উপরের জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। ইতিপূর্বেই আলু উত্তোলন হয়ে গেছে। ওই সব জমিতে ধান রোপন শেষের দিকে। তবে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ ও পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারনে প্রতিদিন দু চারটি করে গভীর নলকূপ বিকল হতেই আছে। একারনে আলু উত্তোলনের পর জমি রোপনে বিলম্ব হয়েছে।

কৃষকরা জানান, আলু তোলার পর ধান রোপনের জন্য সেচ পেতে সপ্তাহ দশ দিন সময় লেগেছে। আবার দু তিন ঘন্টা গভীর নলকূপ চলার পরে আর চলছে না। এজন্য জমি রোপন করতে দেরি হয়েছে। তাছাড়া আরো আগেই জমি রোপন হয়ে যেত।

মোহর মাঠে ধান রোপন করছিলেন আদিবাসী মহিলা পুরুষ শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে আনসেল ও যশেফ জানান, একবিঘা জমি রোপন করতে ১ হাজার ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সাত আটজন শ্রমিক মিলে দিনে দুই বিঘা জমি রোপন করা যায়। কাজ শেষের দিকে। আজ করলেই শেষ হয়ে যাবে। বেকার থাকতে এক দেড় মাস। পরিচর্যার সময় আবার কাজ শুরু হবে। অবশ্য এক মাসের মধ্যে বিলের বোরো জমির ধান কাটা শুরু হবে।

কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, ১৫ মার্চের আগে যে সব জমিতে ধান রোপন হবে সে গুলো বোরো হিসেবে ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষকরা সঠিক সময়ে ধান রোপন করতে পেরেছেন। চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো চাষ হয়েছে এবং বিলের জমিতে রোগ বালা কম, ফলন ভালো হবে বলে আসা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। 


আরও খবর



ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;পবিত্র ঈদুল ফিতর,পহেলা বৈশাখ উদ্ধসঢ়;যাপন উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। সেই সাথে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সকল প্রকার কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান,৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে।

এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল ইসলাম জানান,ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হিলি  স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি- রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।


আরও খবর



মঙ্গল শোভাযাত্রা তিমির বিনাশের প্রত্যয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা ১৪৩১ সনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ স্লোগানের এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এর পর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে পৌনে ১০টার দিকে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা নববর্ষ বরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।

এ বছর বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া।

এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপা পুতুল, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ। শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু এবং বাঘের মুখোশ।

শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ-উল্লাস মাতিয়ে রেখেছিল পুরো শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি।

শোভাযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা। শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র‌্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।

পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। কারণ, চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয় রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা ও কেন্দ্রীয় রাস্তা।


আরও খবর



বাড়ি-ঘর নির্মাণে বাঁধা জমির মালিক কে মারপিট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে অন্যের পুকুর পাড়ে জোরপূর্বক বাড়ি-ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার কারনে মালিক শওকত আলীকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় মালিক শওকত আলী বাদি হয়ে বুরুজ গ্রামের রাজুকে প্রধান করে ৬ জনের নামে উল্লেখ   করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তানোর পৌর এলাকার বুরুজ গ্রামে সম্প্রতি ঘটে এমন ঘটনাটি। বাড়ি নির্মাণের আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে পুকুর পাড়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করেন ওই গ্রামের কালাম আলীসহ কয়েকজন। এঘটনায়ও থানায় অভিযোগ করেন শওকত। ফলে ঘটনাগুলো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে মনে করছেন গ্রামবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ, বুরুজ মৌজার অন্তর্গত আরএস ৯২ নম্বর খতিয়ানের মালিক বদর আলী সরকার দিং। তাহার মৃত্যুর পর শওকতের পিতা মালিক হন। তিনি মারা যাওয়ার পর ছেলে শওকত আলী জমির মালিক হন। ৪৯৬ নম্বর আরএস দাগে পুকুর ও পাড় মিলে ৮২ শতাংশ জমি রয়েছে। শওকত আলী জানান, পুকুরটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করার কারনে আবর্জনা পড়ে এক প্রকার ভরাট হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি পুকুর সংস্কার করতে লাগলে পাড়ে বসবাসরত রাজু ও তার বাপ চাচারা বাঁধা দেন এবং তাদের নিজের জায়গা দাবি করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে এবং আমাকে উদ্ধার করতে মা আসলে তাকেও পেটায়। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের দক্ষিণ, পূর্ব দিকে ব্যক্তিগত ভাবে প্রটেকশন ওয়াল দেয়া আছে  এবং উত্তর দিকে পৌরসভা থেকে ওয়াল দেয়া হয়েছে । পুকুরের কিছু অংশ পুন খনন করা আছে, মাঝে গালা পড়ে রয়েছে। চারদিকে বসবাস কারীরা আবর্জনা ফেলে রেখেছে। গ্রামের প্রবীন কিছু ব্যক্তিরা জানান, আগে পুকুরের পানি দিয়ে রান্নাবাড়ার কাজ সহ যাবতীয় কাজ করা হত। আর এখন আবর্জনা ও মলের জন্য কোন কাজ করা যায় না। পুকুর টি পুন খনন করা হলে মাছ চাষও হবে এবং যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ সারা যাবে। সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে পুকুর টি পুন খনন করা।

অভিযুক্তরা বলেন, পুকুর পুন খনন করতে বাঁধা নেই। আমরা বলেছি পুকুর পুন খনন করে পাড় বাঁধার জন্য। কিন্তু শওকত পাড় না বেধে মাটি বিক্রির জন্য বসতবাড়ি হুমকিতে ফেলছে। মারপিট হয়নি, ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। আমরাও অভিযোগ করেছে তদন্ত হলেই কার অপরাধ বুঝতে পারবে সবাই। 

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবর্জনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।

৭ এপ্রিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসঙ্গেথে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনেরো বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা-বাস্তবায়ন করেছে। নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৪ হাজার ২৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে সহজতর করা হয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সব চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত সেবার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকারকে অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল অর্জনকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং ‘বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর



তানোরে গণহত্যা দিবস পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার শেষ বিকেলের দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সন্ধ্যার পরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার,  টিএইচও বার্নাবাস হাসদা, উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, পিআইও এটিএম কাউসার আলী, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, পৌরসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান মুন্টু, ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল বারী, সোহরাব হোসেন প্রমুখ। শেষে ইফতার সামনে নিয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যার শিকার শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর