Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টানা দুইদিন কমে বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দুইদিন দাম কমানোর পর দেশের বাজারে আবার বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। 

এর আগে ভালো মানের স্বর্ণ প্রতি ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা ক‌মি‌য়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছিল বাজুস। সেই হিসেবে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হ‌য়ে‌ছিল ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা। গতকাল বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে, গত মঙ্গলবার ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাজুস। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়। তবে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও বাড়ল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরকার আরও ৬ মাস বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে ।বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।গেল ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হয়। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না।

এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি। এরপর আরেক দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। দেশে করোনা শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



যাত্রাবাড়ী বাগিচা এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন সুরাইয়া খাতুন লিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃযাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল কোনাপাড়া বাগিচা এলাকায় সমাজের অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল সকাল ১১ টায় এমএস আইডিয়াল স্কুলের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সুরাইয়া খাতুন লিপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুরাইয়া খাতুন লিপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যাত্রাবাড়ী থানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, মোছাম্মৎ শিউলি আক্তার, মোছাম্মৎ সঞ্চিতা ইসলাম, এমএস আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আল মামুন, বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুদ্দিন বিপ্লব সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ থাকে যে সুরাইয়া খাতুন লিপি বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা  হাজী আনোয়ার হোসেন খানের স্ত্রী।

সুরাইয়া খাতুন লিপি আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনে ৬৪,৬৫,৬৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নানা সময়ে বিভিন্ন দুর্যোগে দুর্দশা গ্রস্থ মানুষের পাশে থেকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে থাকেন সুরাইয়া খাতুন লিপি ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন খান। স্থানীয় নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে সমাজের অবহেলিত নারীদের পক্ষে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক।নাবিকরা সুস্থ আছেন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ: প্রাণের উৎসবে জেগেছে আত্রাই

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই(নওগাঁ) প্রতিনিধি:চির নতুনের ডাক দিয়ে বাঙালির জীবনে আবার এসেছে পহেলা বৈশাখ। প্রাণের এ উৎসবকে ঘিরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৈশাখী শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নতুন বর্ষ ১৪৩১ কে বরণ করা হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে উপজেলা চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসাবে নেতৃত্বদেন সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, ইউএনও সঞ্চিতা বিশ্বাস,সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস, ওসি জহুরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম ও শেখ হাফিজুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি আজিজুর রহমান পলাশ, পল্লী বিদ্যুৎ আত্রাই এর ডিজিএম আব্দুল আলীম লিটন, মহিলা বিষয়ক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার সরকার, উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফিল উদ্দিন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর