Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

তালতলীতে আশ্রায়ন ২য়-প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের ৩০টি ঘর উদ্বোধন করলেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪১২জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ বর্তমান সরকারের আশ্রায়ন ২য়-প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের শেখ হাসিনার উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর (আবাশন) ৪নং শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজারে লাল-সবুজের ৩০টি ঘরের উদ্বোধন করেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪নং শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন খান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান মৃধা। এছাড়াও স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  গত ২৬/০৬/২৩ইং মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উদ্বোধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা সরেজমিনে আবাশনের বরাদ্ধকৃত- ১নং ওয়ার্ডের কচুপাত্রা গ্রামের মোসাঃ খাদিজা বেগম-স্বামী মোঃ ফোরকান,  আবদুল মজিদ-স্ত্রী সাহাবাানু,  মোসাঃ জাকিয়া-স্বামী মোঃ আলমগীর,  মোসাঃ মাহিনুর-স্বামী মৃতু মোঃ নাসির,  মোসাঃ-রাবেয়া-স্বামী মৃতু মোঃ আহম্ম্দ,  মোসাঃ লিপি-স্বামী মোঃ মাহাবুব,  মোঃ বশির বেপারী-স্ত্রী মোসাঃ সুখী,  মোঃ আজাহার-স্ত্রী মোসাঃ পারভীন,  মোঃ আবু নাঈম(পঙ্গু)-মাতা মোসাঃ সাজেদা,  মোঃ রিপন-স্ত্রী মোসাঃ হাওয়া বেগম, মোঃ মাসুম বিল্লাহ-স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম,  মোঃ সালাম হাওলাদার-স্ত্রী হাজরা বিবি,  মোসাঃ রাহিমা-স্বামী মোঃ খলিল,  ৪নং ওয়ার্ডের দঃ বাদুরগাছা গ্রামের মনির-স্ত্রী অযুফা বেগম,  মোসাঃ রাশিনা-স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর,  মোসাঃ আয়শা-স্বামী মোঃ রাকিব,  ৭নং ওয়ার্ডের দঃ নলবুনিয়া গ্রামের পরিভানু-স্বামী আঃ রাজ্জাক,  জামাল-পিতা হজরত আলী প্যাদা,  মোঃ রফিক-স্ত্রী হাওয়া বেগম,  ৮নং ওয়ার্ডের চাউলাপাড়া গ্রামের রুহুল আমিন-পিতা নুর মোহাম্মদ হাং,  আয়শা বেগম-স্বামী নুরুল হক, রুপাইয়া আক্তার-স্বামী রাসেল হাওলাদার,  ৯নং ওয়ার্ডের আঙ্গারপাড়া গ্রামের কদম আলী হাং-স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম,  মনিরা বেগম-স্বামী বেল্লাল হোসেন,  মোঃ নুরহোসেন-স্ত্রী নুরুন্নাহার,  ৩নং কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দঃ ঝাড়াখালী গ্রামের মোসাঃ মারুফা আক্তার-স্বামী আঃ রাজ্জাক এবং  ১নং পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হুলাটানা গ্রামের মোসাঃ সেতারা বেগম-স্বামী পানজু হাং নামে সরকারের বরাদ্ধকৃত লাল-সবুজ রঙ্গের ৩০টি ঘর পরিদর্শন করেন।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কমান্ডার আরাফাত ইসলাম র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

র‌্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি র‌্যাব-১৩ এ দায়িত্ব পালনের সময়ে র‌্যাব-১৩ প্রথমবারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শুধু বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তাই নয়, তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র‌্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড থেকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হয়েছেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।


আরও খবর



লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে নিহত ৩৩

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী । নিহতরা সবাই ইথিওপিয়ান।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আট বছর বয়সী এক বালকসহ অন্তত ৩৩ ইথিওপিয়ান অভিবাসী জিবুতির উপকূলে তাদের নৌকা ডুবে মারা গেছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ইথিওপিয়ায় লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে যাওয়া ৭৭ জনের মধ্যে তারা ছিলেন।

মৎস্যজীবীরা মঙ্গলবার কয়েকজন অভিবাসীকে ডুবে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর ট্র্যাজেডির বিষয়ে উপকূলরক্ষীদের সতর্ক করেন। পরে উদ্ধারকারীরা ২০ জনেরও বেশি লোককে বাঁচাতে সক্ষম হন। তবে অন্যরা নিখোঁজ রয়েছেন।

উদ্ধারের পর জিবুতির উপকূলে গডোরিয়া শহরে নিয়ে আসা জীবিতদের চেহারায় বিপর্যয় এবং ভয় স্পষ্ট ছিল। পরে সেখানে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম তাদের ইথিওপিয়ায় প্রত্যাবাসন করে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেছেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কারণ তাদের নিজের দেশের তুলনায় সেখানে জীবন আরও বেশি সংগ্রামের ছিল।

এদিকে জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

রয়টার্স বলছে, স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকেরা প্রায়শই জিবুতি এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং তার বাইরেও অন্য অনেক দেশে ভালো সুযোগের সন্ধানে যেয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আটকে যায় ইয়েমেনে। আরব উপদ্বীপের এই দেশটিও যুদ্ধের কবলে রয়েছে। লোহিত সাগরে আরেকটি নৌকা দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৮ ইথিওপিয়ান মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবারের এই নৌকাডুবি ও অভিবাসীদের প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।

কর্মকর্তাদের মতে, গত এক দশকে লোহিত সাগরের একই এলাকায় প্রায় এক হাজার লোককে মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে সাংবাদিকের ওপর হামলা, হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৬জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে জেএমবি’র সাজাপ্রাপ্ত নেতা মন্তেজার রহমানের মৃত্যু ও মরদেহ দাফনের ছবি নিতে গেলে যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল আলীমের ওপর হামলা ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এ বিষয়ে শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে ক্ষেতলাল থানায় জিডি করা হয়েছে।

জিডি সুত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে পুলিশের উপর জেএমবির হামলার ঘটনায় আসামি হয়ে ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে থাকা মন্তেজার মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ায় মারা যান। গত বুধবার (১৫ মে) বিকেলে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হলে উৎসুক জনতা ভিড় করে।
সেখানে যমুনা টিভির রিপোর্টার আব্দুল আলীম ও নাগরিক টিভির প্রতিনিধি মাহফুজার রহমান সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেয়া হয়। একপর্যায়ে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন আব্দুল আলীম। তবে পরিচয় দেয়ার পরেও তার ওপর আক্রমন করা হয়। এসময় কয়েকজন গালিগালাজ করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওই রিপোর্টার ক্ষেতলাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ক্ষেতলাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, সাংবাদিককে হত্যা ও হুমকির জিডি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, মন্তেজার জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আ. রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। ২০০৬ সালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সে এতদিন জেলে ছিল।

আরও খবর



বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪] অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ (২৬ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৩টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি অনবদ্য থিয়েটার পারফরমেন্স ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’ পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ‘অদম্য শিল্পোৎসব’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, সেখানে আইআইডি’র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য সহ আরও নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় । এছাড়াও থিয়েটার পারফরমেন্স, প্যানেল আলোচনা, ফিল্ম প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রেআই থিয়েটার কোম্পানির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট, ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসিরুদ্দীন ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের অংশ এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। বাংলাদেশের শিল্পকলা খাত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরিই এই বহুস্তরীয় ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য। বৃহত্তর সমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে এনে সংযোগ স্থাপন করা এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার ও আইআইডির (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে চালু হয় প্রকল্পটি।

আয়োজনের প্রথম দিনে অতিথিদের জন্য রমেশ মেয়াপ্পানের ‘৭১ ইন সাইলেন্স’, মোস্তাফিজ শাহিন পরিচালিত ‘সার্কাস সার্কাস’, কাজী নওশাবা আহমেদের ‘ত্রিবেণী’, এশা ইউসুফ ও রফিকুল ইসলামের ‘কেন্দ্র বরাবর সুড়ঙ্গটির নাম পৃথিবী’ এবং কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর থিয়েটার অফ দ্য অপ্রেসডের পরিচালক সঞ্জয় গাঙ্গুলির ‘ওয়েস্টল্যান্ড- এ জার্নি’, এই ৫টি থিয়েটার প্রযোজনা পরিবেশিত হয়। প্রথম দিন ‘ডিজেবিলিটি রিপ্রেজেন্টেশন ইন দ্য আর্ট সেক্টর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিল্পকলা সহ সমাজের নানান স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী দিনে আরও ৫টি থিয়েটার প্রযোজনার আয়োজন করা হবে - শামীম সাগরের ‘অতঃপর করিম বাওয়ালি’,সামিউন জাহান দোলার ‘সঙ্গতি’, আল জাবিরের ‘কাজলরেখা’, ড. আমির জামানের ‘পিতৃগণ’ ও অসীম দাশের ‘স্বপ্নকাহন’। এছাড়া, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ ও ‘ফান্ডিং ইনক্লুশন ফর ডিজ্যাবিলিটি আর্টস’ এই দুইটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ প্যানেল আলোচনায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তাদের বেশিরভাগই বুদ্ধি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সৃজনশীলতার দিক থেকে অনেক সময়ই বেশি যদি তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা থিয়েটার, আইআইডি, এবং এই অনবদ্য আয়োজনের সাথে যারা জড়িত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার ভিত্তিতে পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগ ও অনুশীলনের সুযোগ তৈরি করতে যুক্তরাজ্য সারা বিশ্বে কাজ করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প ও এই উৎসব বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিভা ও অর্জনকে উদযাপন করা এবং একটি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার সুযোগ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্বোধন করতে পেরে আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত; যা আমাদের ডেয়ার প্রকল্পের একটি চূড়ান্ত আয়োজন। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের ডেয়ার প্রকল্পটি বাংলাদেশি থিয়েটার সংস্থাগুলো ও দেশব্যাপী ডেয়ার শিল্পীদের সক্ষমতা তৈরি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুশীলন চর্চা, নীতিমালা পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেবিলিটি আর্ট থিয়েটারকে মূলধারায় আনয়নে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করায় সরকার ও সকল অংশীদারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বলেন, “২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার থিয়েটারের সাথে ডিজেবিলিটি আর্টকে একীভূত করার ক্ষেত্রে ঢাকা থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নানান প্রতিবন্ধকতা এবং নিত্যনতুন বাধা আসার পরেও প্রতিবন্ধী শিল্পী, প্রশিক্ষক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের অব্যহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছি আমরা; আর এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সফল আয়োজন তারই প্রমাণ।”

এই আয়োজন থেকে অতিথিরা অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে বোঝার সুযোগ পান; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পের যাত্রায় তাদের অতিক্রান্ত বাধাগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পৌঁছেছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংককের ডং মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

সকাল ১০টা ১২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক গেলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা জানান। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর। এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।

গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার অভিপ্রায়পত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে।


আরও খবর