Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

টাইটানিক ঘিরে ভিন্ন এক রহস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪৫৬জন দেখেছেন

Image

দুই টুকরো হয়ে মহাসাগরের ৪ হাজার মিটার নিচে ডুবে আছে টাইটানিক। ১৯৯৬ সালে যখন এই জায়ান্ট শিপে ডুবুরি পাঠানো হয় তারা শুনতে পান অদ্ভুত প্রতিধ্বনি। তা নিয়ে জমাট বাঁধে রহস্য।

ওই দফায় সেই প্রতিধ্বনির কোন রকম সুরাহা না করেই ফিরে আসে ডুবুরিরা। সম্প্রতি বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। এর পেছনে রয়েছে জলজগত নিয়ে নতুন আবিষ্কার।

সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, চারজন গবেষককে সঙ্গে নিয়ে এ বছর টাইটানিকে আরেক দফা অভিযান চালান বিখ্যাত ডুবুরি পিএইচ নারজিওলেট। তাদের উদ্দেশ্য সেই অমীমাংসিত রহস্যের উৎস সন্ধান। নারজিওলেটের বিশ্বাস ছিল নতুন কোন জাহাজের সন্ধান মিলতে পারে। আদতে কোন জাহাজ মিলেনি।

পাওয়া গিয়েছে, হাজার বছরের পুরোনো প্রবাল, অতল সাগরের মাছ এবং শামুকসহ সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগত। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে এই অঞ্চল ও সামুদ্রিক প্রজাতি বিজ্ঞানীদের বিস্মিত করেছে।

১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রথম অভিযাত্রায় সলিল সমাধি হয় টাইটানিকের। মৃত্যুবরণ করে ১৪৯১ থেকে ১৫১৩ জন যাত্রী ও কর্মী। গবেষকরা এর আগে নানাভাবে উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে শুয়ে থাকা টাইটানিক নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করলেও বলা হচ্ছে, নারজিওলেটের এই আবিষ্কার সমুদ্রবিজ্ঞানের জগতে নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে।

ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের অ্যাপ্লায়েড মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুরে রবার্টস দাবি করেন, ‌‌ওইখানে পাওয়া প্রাণীরা বিশাল সমুদ্রের অন্য যে কোনো স্থানের প্রাণীর চেয়ে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। ফলে নারজিওলেটের কাজটি বৈজ্ঞানিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। হয়তো তিনি বিধ্বস্ত কোন জাহাজ খুঁজতে গিয়েছেন। কিন্তু এই আবিষ্কার তার চেয়ে বেশি কিছু। এটি সমুদ্রের তলদেশে প্রাণের প্রবাহ ও জীববৈচিত্র্য বুঝতে সাহায্য করবে।

নারজিওলেটের অভিযানে প্রাপ্ত ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণে ব্যস্ত গবেষকরা। তারা সমুদ্র সম্পর্কিত এ যাবতকালের জ্ঞানকে সামগ্রিকভাবে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক। আটলান্টিক মহাসাগরের বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য রবার্ট এর মধ্যে ‌‘আইআটলান্টিক’ নামে একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

এ দিকে নারজিওলেটের আবিষ্কৃত প্রবাল অঞ্চলের ঠিক অদূরেই নতুন একটা স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষকদের ধারণা, বর্তমানে আবিষ্কৃত স্থানের চেয়ে এটি পরিসরে অনেক বড়। 

নারজিওলেটের অভিযানে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে ‌‘ওশেনগেট এক্সপেডিশান্স’। টাইটানিক ও তার আশেপাশের অঞ্চলে আগামী বছর পর্যন্ত চলতে থাকবে এই অনুসন্ধান। নারজিওলেটের ভাষায়, সামুদ্রিক জীবন সুন্দর। সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি জীবনে ওসব দেখবো বলে কল্পনাও করিনি‌। 


আরও খবর



বাংলার মেয়েরা ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে সাফের ফাইনালে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নেপালের কাঠমান্ডুতে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলার মেয়েরা,সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।সুরভী আকন্দ প্রীতিরা পরবর্তী নিয়মরক্ষার ম্যাচে ৮ মার্চ ভূটানের বিপক্ষে নামবে।

এদিন, ৯ মিনিটে আলপি আক্তারের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের আনুস্কা গোল করে সমতায় ফিরিয়েছিলেন দলকে। সুরভী আক্তার প্রীতি গোল করে ২-১ গোলে লিড এনে দেন ৭৯ মিনিটে। শেষ সময়ের আগ মুহূর্তে গোল করে বাংলাদেশের সহজ জয় নিশ্চিত করেন অর্পিতা।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে চার দল অংশগ্রহণ করছে। রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে ৩ ম্যাচ শেষে শীর্ষ দুই পয়েন্ট ধারী দল ফাইনাল খেলবে।

দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ উঠেছে ফাইনালে। ভুটান ২ ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে। ভারত ও নেপালের ম্যাচের ফল নির্ধারণ করবে ফাইনালে কোন দেশকে পাবে বাংলাদেশ। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১০ মার্চ।


আরও খবর



কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্দোগে বিশ্ব নারী দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও কুষ্টিয়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কর্যালয়ের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব নারী দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে কালেক্টরেট চত্ত¡রন জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার আয়োজনে বার্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে বিশ্ব নারী দিবস ২০২৪ কার্যক্রম শুরু করা হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশসাকের সম্মেলন কক্ষে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোছা: নাসরিন বানু’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ তারেক জুবায়ের, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোঃ কাওছার হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রেভিনিউ মুন্সিখানা শাখা, ভ‚মি অধিগ্রহণ শাখা ও জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা) মোঃ জিল্লুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব শাখা) স্বরুপ মুহুরী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ট্রেজারী ও স্ট্যাম্প শাখা এবং নেজারত শাখা) শাহেদ আরমান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ব্যবসা, বানিজ্য ও বিনিয়োগ শাখা, রেকর্ডরুম শাখা) আদিত্য পাল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা, প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা) মোঃ রাহাতুল করিম মিজান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুমতাহিনা পৃথুলা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা, প্রবাসী কল্যাণ শাখা) সৈয়দা আফিয়া মাসুমা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আইসিটি শাখা ও ই-সেবা কেন্দ্র) মোঃ তাফসীরুল হক মুন এবং মহিলা অধিদপ্তর কষ্টিয়ার উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস সহ জেলা প্রশাসন ও মহিলা অধিদপ্তর কষ্টিয়ার কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন নারী সংগঠনের প্রতিনিধিগণসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা বিশ্ব নারী দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে আমাদের জীবন শক্তিশালী প্রযুক্তিগত একীকরণের ওপর নির্ভর করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজ যেমন: প্রিয়জনকে কল করা, ব্যাংক লেনদেন করা বা একটি মেডিকেল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা সবকিছু একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। তা সত্তে¡ও বিশ্বব্যাপী ৩৭ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। পুরুষদের তুলনায় ২৫৯ মিলিয়ন নারীর ইন্টারনেটে কম প্রবেশাধিকার রয়েছে। যদি নারীরা ইন্টারনেট ব্যবহার না করেন অথবা অনলাইনে নিরাপদ বোধ না করেন তবে তারা ডিজিটাল দুনিয়ায় জড়িত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন না, যা তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত সম্পর্কিত পেশা অর্জনের সুযোগ কমাবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ চাকরি এই ক্ষেত্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর কম পদচারণার কারণে উন্নয়ন ও লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আরও খবর



আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি নেতারা বলেন- ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনল? বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেপ্তারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো। এখন যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ এক কদম এগুতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগুতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা প্রতিবেশীসহ অনেক দেশের সহায়তা। আবার পেয়েছি, অনেক বড় বড় দেশের বৈরিতা। অবশ্য, সে দেশের নাগরিকদের সমর্থনও পেয়েছি। যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে, তাদের আমরা সম্মানিত করেছি, স্বীকৃতি দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশই এটা করেছে। এতে বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। তারা সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়। একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্পোন্নোত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন শেখ মুজিব। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।

আজকের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর



প্রতিটি ফ্লোরের সিঁড়িতে ছিল সিলিন্ডার, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বেশিরভাগ মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল।অন্যান্য ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। যেগুলোতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি। যে কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ।তিনি জানান, আগুনে দগ্ধ হওয়ার চেয়ে বেশিরভাগ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানান তিনি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘দ্বিতীয় তলা ছাড়া ভবনটার প্রতিটি ফ্লোরের সিঁড়িতে ছিল সিলিন্ডার। যেটা খুবই বিপজ্জনক ব্যাপার। কারণ, আগুন লাগলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়, যা ভয়ংকর ও বিপজ্জনক। ভবনটা মনে হয়েছে অনেকটা আগুনের চুল্লির মতো।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখছি ভবনটা অত্যন্ত বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ ভবনে মাত্র একটি সিঁড়ি। আমরা এখনও উদ্ধার অভিযান ও তল্লাশি চালাচ্ছি।

‘আগুনে দগ্ধ না হয়ে মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অর্থাৎ অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বা অবচেতন হয়েছেন। প্রত্যেকটি অগ্নিদুর্ঘটনার পর তদন্ত হয়। এক্ষেত্রেও তদন্ত হবে। চুলা থেকে অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর



বাজারে প্রভাব এড়াতে শনিবারেই চিনি রিফাইন ও সরবরাহ শুরুতে আশাবাদী এস. আলম গ্রুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি চিনির গুদামের দুর্ভাগ্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিগত ৪ মার্চ বিকেলে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনা ঘটে। সরকারের উচ্চমহল, ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনী সহ মিলের কর্মচারী ও প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৬৪ ঘণ্টা পর গুদামের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগামী শনিবার (৯ মার্চ) থেকে যেন আবারো চিনি উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা যায়, তাই মিল পরিষ্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে আগুনে পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি। সৌভাগ্যবশত আশেপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩-৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগামী ১০-১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে যা ভোক্তাদের জন্য বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। অধিকন্তু, শনিবার থেকে পুনরায় চিনি পরিশোধন কার্যক্রম শুরু হলে তা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

এস. আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন,  “আজ বিকেল থেকে ইতোমধ্যে পরিশোধিত থাকা চিনির মজুত থেকে বাজারে সরবরাহ শুরু হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে মূল কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই অগ্নিদুর্যোগের কোনো প্রভাব যেন বাজারে না পড়ে।”

তিনি আরো বলেন, “পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামগুলোতে বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।”

এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে প্রয়োজন মোতাবেক সব ধরনের ফায়ার ইকুইপমেন্ট ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাই ছিল। তবে আগুনের ভয়াবহতা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দেশের সুগার মিলে সবচেয়ে বড় এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে  সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবেশ দূষণ এড়াতে- গলিত চিনি এস. আলম গ্রুপের নিজস্ব খালি জায়গায় সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রায় ৩০টি ডাম্পট্রাক দিয়ে গলিত র-সুগার ডাম্পিং করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে হচ্ছে যাতে র-সুগার নদীতে না পড়ে। এছাড়া, গুদামের দেওয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কায় দেওয়া হয়েছে বালির বাঁধ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছিল সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।


আরও খবর