মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য খ্যাত তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মূল্যের কয়লা পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাত ৩টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, নেকবর আলী, বাবুল মিয়া, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া ২৩টি লড়ি বোঝাই করে ৫শ মেঃটন, পাশের টেকেরঘাট সীমান্তের রজনী লাইন, বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া, চুনাপাথর খনি প্রকল্প, টেকেরঘাট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া, আক্কল আলী, কামাল মিয়া, মোক্তার মহলদারগং ৩শ মেঃটন, চাঁনপুর সীমান্তে নয়াছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে আবু বক্কর, আলমগীর, জম্মত আলী, রফিকুলগং ২শ মেঃটন, চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি এলাকা দিয়ে সোর্স শামসুল মিয়া, শরাফত আলী, সুলতান মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, হযরত আলীগং প্রায় ৪শ মেঃটন ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন, বাগলী এলাকা দিয়ে লেংড়া জামাল ও গোলাম মস্তোফাগংকে দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদ ভারত থেকে পৃথক ভাবে প্রায় দেড় হাজার মেঃটন কয়লা অবৈধ ভাবে পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন কয়লা থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে ৭ হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে ওই গডফাদার। কিন্তু এব্যাপারে কোন নেওয়া খবর পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা প্রয়োজন।
এব্যাপারে উপজেলার বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিয়ষক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- প্রতিদিন সরকারের লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ওপেন কয়লা পাচাঁরের কারণে শতশত বৈধ ব্যবসায়ীরা বিরাট ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। ইউপি সদস্য রাশিদ মিয়া, কফিল উদ্দিন ও ধন মিয়া বলেন- গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি হচ্ছে কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়না।
বালিয়াঘাট ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্য (ভিআইপি) আসলাম বলেন- আমরা কি করব তা আমাদের বিষয়, সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে কিছু বলার থাকলে আমাদের সিওকে বলবেন। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক (সিও) মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) বারবার ফোন করার পরও রিসিভ না করায় তা বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।