স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা : মাগুরা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর একথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ানম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফম আব্দুল ফাত্তাহ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল।:
১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় স্থানীয় আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরো বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে উদারতা শেখায়, সবার সাথে মিশতে শেখায়, সৃজনশীলতা তৈরি করে শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে রাখে এবং সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার মতো কাজে উজ্জীবিত করে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন যে, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব। সকল অপসংস্কৃতিকে প্রতিহত করার অন্যতম মাধ্যম হলো সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা।
একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি হল তরুণ প্রজন্ম। দেশের তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ সাংস্কৃতিক মূল ধারায় আনা প্রয়োজন। তারই ধারাবাহিকতায় মাগুরায় সাংস্কৃতিক চর্চা বিকাশে জেলা প্রশাসন,মাগুরা এমন আরোও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হলে দেশের মানুষ যতটা খুশি হতো, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়াতে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকিদাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ জোর করে নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করতে যায়নি। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার প্রমাণিত হয়েছে। গাজীপুরের মতো আরও চার সিটিসহ আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি কোনো এটা স্লিপ অব টাং নয়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ ভোট বেড়ে গেছে। আর বিএনপির ভোট কমতে কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, আর আমাদের ভালো আচরণ - এই দুই নিয়ে আমাদের আগামী নির্বাচন।
মার্কিন ভিসানীতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা বাধা দেব কেন? আমাদের দেখা দরকার কারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। যারা নির্বাচন চায় না, তত্ত্বাবধায়ক চায় তারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। কোনো বিদেশি বন্ধু একবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলেননি। যারা নির্বাচনে বাধা দেয় তাদের বিরুদ্ধে এ ভিসানীতি কার্যকর হয় কী না সেটা দেখার বিষয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়েছিল নিষেধাজ্ঞা, এসেছে ভিসাপলিসি। এ ভিসাপলিসি দেখে বিএনপির ঘুম হারাম। ফখরুলের মুখ শুকিয়ে গেছে।
দণ্ডিত তারেক রহমান প্রতিনিয়ত অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তি কি করে প্রতিদিন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে? আদালতের আদেশ কেন মানছে না তারেক? মনের মত না হলে তারা আদালত-আইন মানে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:তুরস্কের দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। সংবাদ সংস্থাটির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আনাদোলু এজেন্সি বলেছে, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে এরদোয়ান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ পেয়ে জয় লাভ করেছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রথম দফার নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা সিনান ওগান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে সমর্থন দিয়েছেন। এতে করে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের আগেই শক্ত অবস্থানে আছেন এরদোয়ান।
এরদোয়ানের সমর্থকদের উল্লাস
প্রথম দফার নির্বাচনে সিনান পেয়েছিলেন ৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। এরদোয়ানকে তিনি সমর্থন দেওয়ার পরেই দেশটির বিশ্লেষকদের একাংশ জানান, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের পাল্লা ভারী হয়েছে। তার জয় এখন সময়ের ব্যাপার।
এদিকে, সরকারিভাবে এরদোয়ানের জয়ের ঘোষণা না এলেও ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা তাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, আমার প্রিয় ভাই রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তোমার এ বিজয়ে তোমায় অভিনন্দন।
এছাড়া হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানও এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে কয়েক শত মানুষ। এ ছাড়া ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ২৩ হাজার বাসিন্দা। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে এবং সংঘাতে ঘরছাড়া হয়েছে হাজার হাজার জন।
একই দিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক নিউজ চ্যানেলে বলেন, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি লোকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ
তবে বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটি থেকে দেশের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ বিমানে তাদের নিরাপদে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, মণিপুর থেকে অন্তত ৬০০ মানুষ পার্শ্ববর্তী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের প্রায় সবাই কুকি-চিন-মিজো জনগোষ্ঠীর মানুষ।
মণিপুর থেকে যেসব রাজ্য তাদের শিক্ষার্থীদের বা লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে সেগুলো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি বা মহারাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে সংঘাত থামলেও বর্তমানে রাজ্যটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অনেক রাজ্যই তাদের লোকদের মণিপুর থেকে সরিয়ে নিচ্ছে
এর আগে স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘাতে অনেক গাড়ি এবং ভবন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় সেনাবাহিনী নেমেছে এবং পাঁচদিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।
স্থানীয়রা বলছেন, তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায়। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফালের বাসিন্দা এল সানগ্লুম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা এখন আর আমাদের নিরাপদ মনে করছি না। কুকির সম্প্রদায়ের এ ব্যক্তি ইম্ফালের বিমানবন্দরের বাইরে তার পরিবারের ১১ সদস্যের সঙ্গে অবস্থান করছেন।
রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে
রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও বেশ থমথমে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এন বিরেন সিং জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে এক হাজারের বেশি বন্দুক লুট হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০০ টি উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, অস্ত্রগুলো ফেরত দেওয়া হলে রাজ্য অভিযান শুরু করবে।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরে মেইতেইরা মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। সেখানে নাগা ও কুকিরা ৪০ শতাংশ। এতদিন মেইতেইদের আদিবাসী বলে মানা হতো না।
কিন্তু এবার হাইকোর্ট তাদের সেই তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়। মেইতেইরা এতদিন ধরে ‘নোটিফায়েড' পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারতো না। কিন্তু এবার তারা পারবে। এ সিদ্ধান্তে অন্য আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হন। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগা ও কুকিরা গত সপ্তাহে প্রতিবাদ জানান, যা সহিংসতায় রূপ নেয়।
নিজস্বপ্রতিবেদক:আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সমালোচনার জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে সিপিডি বাজেটের প্রশংসা করতে পারেনি। নিজেদের পাণ্ডিত্য ফলাতে গিয়েই সিপিডি বাজেটের সমালোচনা করে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এবছর তো বাজেট প্রস্তাব অধিবেশন চলমান থাকা অবস্থায়ই সিপিডি বলেছে এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাজেট বাস্তবায়ন হবে না। অথচ বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ৯৭ শতাংশ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডলারের মূল্য না বাড়লে আমাদের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেত। এ সময় দেশের জিডিপি বেড়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এগুলো সিপিডির চোখে পড়ে না। আসলে সিপিডিকে তাদের পাণ্ডিত্য দেখাতে হয় এবং ভুল ধরাটাই তাদের পেশা। এভাবেই তারা নানা জায়গা থেকে ফান্ড পায়। এ কারণেই তারা প্রশংসা করতে পারে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বিল কুমারী বিলের দেবে যাওয়া সংযোগ সড়কের অবশেষে মেরামত শুরু হয়েছে। কাজ শেষ না হতেই দেবে যায় সংযোগ সড়ক শিরোনামে আমাদের রাজশাহী পত্রিকায় খবর প্রকাশের পড় টনক নড়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের। গত রবিবার উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান তদন্ত করে ঠিকাদার আব্দুর রশিদকে দেবে যাওয়ার জায়গা মেরামতের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরের দিকে সংযোগ সড়ক মেরামত করতে দেখা যায়। তবে নিম্মমানের মেরামত কাজ নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন, বিরাজ করছে সমালোচনা। ফলে প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে মেরামত কাজের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর ও মোহনপুর উপজেলা বাসীর সেতু বন্ধন বিলকুমারী বিলের ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক। ব্রীজ নির্মানের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বিগত প্রায় ১৫ বছরেও হয়নি শেষ। ব্রীজের পূর্বদিকের সংযোগ সড়ক বন্যায় ভেঙ্গে যায়। পূর্বদিকে ব্রীজের মুখ থেকে ২৯৫ ফিট সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু যত সামান্য বালু ভরাট দিয়ে এইচবিবি সংযোগ সড়ক করা হয়। কাজ চলমান, এরই মধ্যে সংযোগ সড়কের উত্তর দিকে ৮-১০ হাত দেবে যায়। দেবে যাওয়ার জায়গায় সামান্য পরিমান নিম্মমানের খোয়া দিয়ে দায় সারছেন ঠিকাদার।
কাজ করছিলেন শ্রমিক দাড়িয়ে ছিলেন মিস্ত্রি, সে জানায় সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলার কারনে দেবে গেছে। গত রবিবার প্রকৌশলী দেখে মেরামত করতে বলেছেন। বালু ভরাটের সময় পানি না দেওয়ার জন্য দেবে গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ভরাটকৃত বালুতে পানি দেওয়ার সাথে সাথে বের হয়ে যেত, এজন্য পানি দেওয়া হয়নি।পথচারী মনি, দেলোয়ার, টুটুল, সাইদসহ অনেকে জানান, বালু ভরাটের সময় প্রয়োজনীয় পানি ব্যবহার করা হয়নি। পানি ব্যবহার করলে এত দ্রুত দেবে যেত না। পূর্বদিকের সংযোগ সড়কের কাজ চলছে আর পশ্চিম দিকের সড়কে ভয়াবহ গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। কাজের সময় এলজিইডি অফিসের কোন কর্মকর্তা কে দেখা যায় না। ঠিকাদার ইচ্ছেমত কাজ করছেন।গোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিনা সাবেক কাউন্সিলর রাসেল সরকার উত্তম জানান, দেশে মেগা মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে না। দফায় দফায় শুধু বরাদ্দ আর বরাদ্দ। একদিকে করছে আরেক দিকে ভাঙ্গছে। য দেখারও কেউ নেই বলারও কেউ নেই। কাজ চলমান তারপরও দেবে যাচ্ছে তাহলে কি পরিমান অনিয়ম বা নিম্মমানের কাজ বুঝতে হবে। যাকে বলে আজব সংযোগ সড়কের আলৌকিক কাজ। আবার ব্লক দেওয়ার জন্য সড়কের নিচ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, যা সামনে বর্ষা মৌসুমেই ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাবে। শুধু তাই না সড়কের দু ধারে নামে খোয়া দেওয়া হচ্ছে। বালুর বিপরীতে মাটি দিয়ে দায় সারা কাজ করা হচ্ছে। এদিকে প্রায় দেড় যুগ চলছে, আরো কয়েকযুগ লাগবে মনে করেন তিনি।
ঠিকাদার আব্দুর রশিদ জানান, পূর্ব দিকের ব্রীজের মুখ থেকে টিবাঁধ পর্যন্ত ব্লক ও এইচবিবি কাজের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ২৯৫ ফিট সড়কে বালু ভরাট ও এইচবিবির জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ। দুপাশে ভিজে মাটি ও নিম্মমানের খোয়া দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুপাশে কাজের কোন বরাদ্দ নেই, ইচ্ছে করে করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমি কাজ করতে চায়নি। কারন বরাদ্দ আগের আর এখন সবকিছুর দাম বাড়তি, কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কাজ করা হচ্ছে। শেষ করতে পারলে জানে বাঁচা যায়।উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, সংযোগ সড়ক যত বসবে বা দেবে যাবে ততই ভালো, তাহলে টিকসই হবে। তারপরও কাজের স্থানে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্লক দেওয়ার জন্য সড়কের নিচ থেকে মাটি কাটা ও পুরাতন ব্লক দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন পুরাতন ব্লক ব্যবহার করা যাবে না। কাজ শেষে অনিয়ম হলে বিল দেওয়া হবেনা।প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকায় ব্রীজ সংযোগ সড়কের কাজ চলমান অবস্থায় দেবে গেছে শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।