Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো আপস নয়, প্রয়োজনে পদত্যাগ: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো কম্প্রোমাইজ (আপস) করব না। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে আমরা সরে যাব। আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হলে এ চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি সেটা যদি না-ই করতে পারি তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমাদের কমিশনে যারা আছি সকলের মনোভাব একইরকম। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না, এটা বিশ্বাস করি না। প্রয়োজনে দায়িত্ব থেকে সরে যাব। দেশি-বিদেশি কেউ কোনো চাপ দেয় না।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না- এ ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ভাঙার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়টিতে আমাদের কিছু করার নেই। সংবিধানও সেই দায়িত্ব আমাদের দেয়নি।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সম্পর্কে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা যেন স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলে যাতে ভোটারদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে, সেসব বিষয় নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, ‘আমরা সে দায়িত্ব পালনের প্রতি শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছি। আমরা সেটা করব। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন বর্তমান ইসি শতভাগ সৎ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে।’


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাচালান বৃদ্ধি, ছাগলসহ কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে ৩টি শুল্কস্টেশন থাকার পরও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একাধিক মামলার আসামীরা ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও পাথরসহ পান-সুপারী, বিড়ি, চিনি, কাঠ ও ছাগল পাচাঁরের পাশাপাশি মদ-গাঁজা, ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২টি ছাগলসহ চোরাই কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাত ১২টার পর থেকে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী রফ মিয়া, রিপন মিয়া ও লেংড়া জামালগং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে ৫০মেঃটন কয়লা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতরে লুকিয়ে রাখে।

এরপর আজ শনিবার (২৫ মার্চ) ভোরে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা লড়ি বোঝাই করে পাশর্^বর্তী কলাগাঁও পাথরঘাট নামক¯’ানে নিয়ে ছোট নৌকায় বোঝাই করে সমসার হাওরের বাঁধের পাশে নিয়ে যায়। তারপর পাটলাই নদীতে বড় ইঞ্জিনের নৌকায় ৩৫মে.টন চোরাই কয়লা বোঝাই করে নদীপথে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার সামনে অব¯ি’ত মনতলা নামক¯’ানে নিয়ে ডিপুতে বিক্রি করে। এখবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৪০কেজি ওজনের ৫বস্তা চোরাই কয়লা জব্দ করে। এরআগে চোরাকারবারী রফ মিয়া ও তার বাহিনী ভারত থেকে ছাগল পাচাঁর করার সময় ২টি ছাগল জব্দ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে- গত বুধবার (১৫ মার্চ) রাত ১২টায় একই সীমান্তের লালঘাট বড় মসজিদের সামনে অব¯ি’ত সমসার হাওর পাড়ের নালা দিয়ে ৩টি বারকি নৌকা বোঝাই করে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত ২৫মেঃটন চুরাই কয়লা ও বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য প্লাষ্টিকের বস্তা ভর্তি করে পাশর্^বতী বালিয়াঘাট সীমান্তের বোরাঘাট গ্রাম সংলগ্ন পাটলাই নদীতে নিয়ে বড় ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী চোরাকারবারী খোকন মিয়া,মানিক মিয়া ও তার বাহিনী। এরআগে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত ২টায় একই সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি ও মাইজহাটি এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী রফ মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং প্রায় ৭৫মেঃটন চোরাই কয়লা ও মদ পাচাঁর করে নিয়ে যায়। তার আগে গত সোমবার (১৩ মার্চ) রাত ১টায় লালঘাট থেকে একই ভাবে ১৮ মেঃটন চোরাই কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চোরাকারবারী খোকন মিয়া, মানিক মিয়াগং। এসব চোরাকারবারীদের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। তাই সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করার জন্য চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব বাহিনীর সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বৈধ কয়লা ব্যবসায়ীসহ সচেতন এলাকাবাসী।

এব্যাপারে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার পন্ডিত বলেন- কয়লা পাচাঁরের খরব পেয়ে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ২টি ছাগলসহ ৫বস্তা চোরাই কয়লা জব্দ করেছি। কিš‘ কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে এলাকাবাসীর সহযোগীতা পেলে চোরাকারবারী রফ মিয়া ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে চোরাচালান বন্ধ করতে সক্ষম হব।


আরও খবর



‘সব পাখির গন্তব্য থাকে না’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচণ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

দেশের শিল্প-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দুইযুগের বেশী দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে নক্ষত্র সাহিত্য সংসদ। আর শিল্প-সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছে নানা বৈচির্ত্রময় অভিজ্ঞতা। জাতীয় দিবস গুলোর পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ‘মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা’, স্বীকৃতি স্বরূপ ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’- ২০২৩ প্রদান ও ‘সব পাখির গন্তব্য থাকে না’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচণ অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯, মঙ্গলবার, সময় সন্ধ্যা ৬টা, স্থান : বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন : ৯০ দশকের অন্যতম কবি রানা হোসেন। প্রধান আলোচক : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান। অতিথিবৃন্দ হিসেবে ছিলেন: কবি শাহীন রেজা, মোঃ মামুনুর হাসান টিপু (চেয়ারম্যান, কেটিভি বাংলা)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গীতিকবি শান্তনা মিঠু ও জে আহমেদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন : বশিরুল আলম নান্নু। ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৩ যারা পেলেন তারা হলেন: রুবিনা খাঁন (বীরমুক্তিযোদ্ধা), এ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান (বিজ্ঞ আইনজীবি), আমান সোবহান (গীতিকবি),জ্যোতিষ সম্্রাট জে আহমেদ (বিশিষ্ট সমাজ সেবক), মাহামুদুর রহমান ওয়াহাব (কবি), সানজিদা আক্তার (সাংবাদিক), মেহেদী হাসান (প্রতিষ্ঠাতা, গ্রেট আইটি), মোঃ মোক্তার হোসেন (সাংবাদিক), সুহেনা আক্তার হেনা (কবি), মোঃ তরিকুল ইসলাম (সাংবাদিক)।



আরও খবর



প্রবাসী বাংলাদেশিদের অপরাধের দায় সরকার নেবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

বাসস: প্রবাসী বাংলাদেশিদের তারা যেসব দেশে কাজ করেন সেসব দেশের আইন কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইন ভঙ্গ করে কেউ কোনো অপরাধে যুক্ত হলে বাংলাদেশ তাদের বাঁচাতে ন্যূনতম প্রচেষ্টা চালাবে না বলেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ এমএইচ স্কুলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির অপরাধে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এটা আর বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যে দেশে থাকবেন সে দেশের আইন মেনে চলতে হবে। যেমন- আপনি কাতারে আছেন, এদেশের যেটা প্রচলিত আইন সেটা আপনাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘কেউ যদি এই আইন ভঙ্গ করেন বা আইন ভঙ্গ করে কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন সেই দায় দায়িত্ব কিন্ত আমরা (সরকার) নেব না, কেউ নেবে না। যে দেশে অবস্থান করেন সেই দেশের আইন যদি না মানেন তাহলে সে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে এবং এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। কোন অপরাধির দায়িত্ব সরকার নেবে না।

‘কেউ যদি কোনো আপরাধে জড়িয়ে পড়েন তাহলে সেটা থেকে কিন্তু আমরা উদ্ধার করার কোনো চেষ্টা করব না, কোনো ব্যবস্থাও নেব না, সেটা স্পষ্ট বলে দিচ্ছি,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, একজনের জন্য অন্য মানুষগুলো কষ্ট পায়। তাদের বিপদ হয়। সেজন্য আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েই লোক পাঠাতে চাই। যে প্রশিক্ষণটাও অনেকে ঠিকভাবে নেন না।

ট্রেনিংয়ের সময়কার টাকাটা নিয়ে অনেকে ঘুষ দিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন মর্মে তথ্য রয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে এই বার্তাটা পৌঁছে দেবেন, এখানে কেউ যদি কোনো অপরাধ করেন সেই অপরাধের দায় দায়িত্ব বাংলাদেশ নেবে না। এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই। কারণ, আমাদের এসব কথা শুনতে হয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং প্রবাসে লোক পাঠাবার যে সুযোগটা আমরা পাই সে সুযোগটাও হারিয়ে যায়। আরও ১০টি মানুষের কাজের যে সুযোগটা থাকে সেটা তারা পায় না। একটি মানুষের অপরাধের জন্য অন্য মানুষ শাস্তি পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ায় আপনারাও বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন আমার দেশ বাংলাদেশ। সেখানে কারও কোনো অপরাধের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এটা কিন্তু মেনে নেওয়া যায় না। এটা সহ্য করা যায় না।

তিনি বলেন, ‘আজকে অন্তত এটুকু বলতে পারি দেশের মানুষের জন্য দুবেলা দুই মুঠো খাবার ব্যবস্থাটা করতে পেরেছি। তাদের জীবনমান উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। গৃহহীনকে ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, রাস্তা-ঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি।

বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামান্য একটু বেশি পাওয়ার লোভে অনেক সময় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সেটা আপনাদের বিবেচনায় থাকা উচিত।’ এ সময় ধোকায় পড়ে বিদেশে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার না হয়ে তার সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ নিয়ে বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার জন্যও সবাইকে পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন সরকারপ্রধান। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় পুণর্ব্যক্ত করেন তিনি।


আরও খবর



নতুন বাজার খুঁজে কাজে লাগানোর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের খারাপ দিকের সঙ্গে এর ফলে বাজার সৃষ্টির একটা সুযোগও সামনে আসছে। ওই জায়গাটা আমাদের ধরা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। বহু দেশ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য এখন নিতে চায়, কিনতে চায়। আমরা সেটা করতে পারি। রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী করা এটা একান্তভাবে প্রয়োজন এবং নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে।’

আজ সোমবার গণভবনে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পণ্য রপ্তানি কয়েকটার মধ্যে ধরে থাকলে হবে না উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পণ্য বহুমুখীকরণ, কোন দেশে কোনটি প্রয়োজন আমরা সেটা উৎপাদন করব এবং রপ্তানি করব।’

তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে এবং এর চাহিদাটাও বাড়ছে।’

দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের এখানে বিনিয়োগও আসছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে।’

খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য পণ্য রপ্তানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকগুলো দেশ আমার কাছে খাদ্যপণ্য নিতে চাচ্ছে।’


আরও খবর



দোকানে নেই স্বর্ণ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উধাও আরাভ খান !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক ;বহুল আলোচিত পুলিশ হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান একের পর এক লাইভ ও স্ট্যাটাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকলেও এখন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তার সেই স্বর্ণের দোকানেও নেই কোনো স্বর্ণ।

গত রোববার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত আরাভ খানকে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকতে দেখা গেলেও গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া তাকে আর চোখে পড়েনি।

এদিকে আরাভ খানের আলোচিত জুয়েলার্সের দোকানেও কোনো স্বর্ণালঙ্কারের দেখা মেলেনি। কেবল বাজপাখির আদলে তৈরি স্বর্ণের লোগোটি এখন শোভা পাচ্ছে দোকানটিতে। ক্রেতারা তার দোকানে গিয়ে স্বর্ণ না পেয়ে ফিরে আসছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে জানান, আরাভের দোকান যেসব স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়েছিল সেসব ছিল আরেক ব্যবসায়ীর থেকে ধার নেয়া। এসব জুয়েলারির জন্য আরাভ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা জামানত রেখেছিলেন। কিন্তু আরাভ খানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর ওই ব্যবসায়ী জামানতের টাকা ফেরত দিয়ে স্বর্ণালঙ্কারগুলো ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।

আরাভের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির পর থেকেই তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই বলছেন, আরাভ কয়েকদিনের মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রেড অ্যালার্ট জারির পর সে আদৌ দুবাই ছাড়তে পারবে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রবাসীরা। এদিকে কেউ কেউ বলছেন, ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার পর তিনি ভারতে চলে গেছেন।


গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হয়। এরপর রেড নোটিশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খোলা চিঠি দেন আরাভ খান।

খোলা চিঠিতে আরাভ লিখেন, ‘খোলা চিঠি বাংলাদেশ, আসসালামু আলাইকুম। আমি আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সর্বদাই আমার দোয়া থাকবে আপনাদের ওপর। আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি বাঁচি আর না বাঁচি এ কথা আমার মনে থাকবে। জানি না আমার জীবনে আমি জেনে না জেনে যে ভুলগুলো করেছি, আপনারা যারা আমার পাড়া-প্রতিবেশী এবং আমাকে যারা চেনেন, যাদের সঙ্গে আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তারা আমাকে মাফ করে দেবেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে মাফ করে দেবেন। আমি জানি না কাল আমার সঙ্গে কী হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায়বিচার, সেটা হয়তোবা সম্ভব না। যাই হোক, আল্লাহ একজন আছে। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।’

সম্প্রতি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্র তারকাদের আমন্ত্রণ জানান আরাভ খান। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে জানা যায় এই আরাভ খান ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয় ওরফে সোহাগ। মামলার পরপর তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়ে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট তৈরি করেন। এরপর দুবাইয়ে পাড়ি জমান।


আরও খবর