Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আপনি হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনার পছন্দের কোন মার্কেটে যাবেন আজ। কিন্তু সেই মার্কেট খোলা আছে কিনা তা হয়তো জানেন না। তাই আগে জেনে নিন ঢাকার কোন মার্কেট আজ বন্ধ এবং খোলা রয়েছে। না হলে কষ্ট করে গিয়ে ফিরে আসতে হতে পারে।

মনে রাখাতে হবে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক শুক্রবার রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট, মার্কেট বন্ধ থাকে।

যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে:
বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ।

যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকবে:

আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তানবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটারা, বড় কাঁটারা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




মাগুরা পুলিশ ব্যাডমিন্টনে কলিমুল্লাহ সজিব জুটি চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:মাগুরা জেলা পুলিশ ব্যাডমিন্টন ক্লাব  আয়োজিত এসপি কাপ ব্যাডমিন্টন টূর্নামেন্টে কলিমুল্লাহ সজিব জুটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের  ফাইনাল খেলায় কলিমুল্লাহ-সজিব জুটি জনি- রাফসান জুটির মুখোমুখী হয়। টুর্নামেন্টে ২-১ গেমে চ্যাম্পিয়নশীপ নির্ধারিত হয়। টুর্নামেন্টে মোট ৩২টি দল অংশগ্রহন করে। গত শুক্রবার প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে ফাইনাল খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পিবিআই এর পুলিশ সুপার রওনক জাহান, মাগুরার ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক কামরজ্জামান চাঁদ, বিশিষ্ঠ ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম রিপন, স্থানীয়  এনএস আই এর উপ পরিচালক সায়লক হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তা ও স্থানীয় ক্রীড়ামোদী ব্যক্তিবর্গ। ফায়নাল খেলাটি চরম প্রতিদন্দিতাপূর্ণ হয়। যা দর্শকদের প্রচুর আনন্দ দেয়।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে নব্য পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারকে ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল-২০২৪ এ নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জন নব্য পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ কে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর  ফুল দিয়ে বরণ
করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে  'সেবার ব্রতে চাকরি’—এই শ্লোগানে খাগড়াছড়ি জেলায় নিয়োগ যোগ্য শূণ্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

এসময় অভিভাবকরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করেন যে, তারা কৃষক, দিনমজুর, অটোচালক বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। যদি বাংলাদেশ পুলিশ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিতেন তাহলে আজ তাদের সন্তানেরা বাংলাদেশ পুলিশের মত গর্বিত বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পেত না । এ সময় তারা মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত আইজিপি মহোদয় এবং খাগড়াছড়ি জেলার  পুলিশ সুপার মহোদয় কে ধন্যবাদ জানান।

চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ উষা চিং মারমা'র মা বলেন, আমি একজন গৃহিণী। আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করে পড়া লেখা করেছে। আজকে আমার মেয়ে কোন ধরনের তদবির, ঘুষ ছাড়াই সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ পেয়েছে।ছোট থেকেই আমার মেয়ের পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমার মেয়ে ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছি। ১২০ টাকায় যে চাকরি হয় আমার মেয়ে না পেলে  বুঝতেই পারতাম না। ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।

মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করা মো. সুমন মিয়ার বাবা জানান যে,তিনি একজন কৃষক। দরিদ্র পরিবারে স্ত্রী,সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ছেলে সুমন চাকুরী পাওয়ায় তিনি খুব আনন্দিত।তিনি চান যে,তার ছেলে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিক। 

প্রথম স্থান অধিকারী সুমন জানান যে,ছোটবেলা থেকেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকতেন তিনি।আজ তার সেই স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে।সুমন আরও প্রত্যাশা করেন যে,পুলিশ বাহিনীতে যোগদান  করে দেশ ও জনগণের সেবার মাধ্যমে দেশের আইন- শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদা তৎপর থাকবেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা হতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মতো গর্বিত বাহিনীতে তারা সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন যা তাদের পরিশ্রমের ফসল এবং এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে ফলপ্রসু করার পেছনের কারিগর খাগড়াছড়ি জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,  সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান। এবং প্রশিক্ষণকালীন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। 

এ সময়  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার  সৈয়দ মুমিদ রায়হান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ পরিচালনায় আছেন বলেই দেশের ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বিগত ১৫ বছর দেশ পরিচালনায় আছেন বলেই দেশে ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও তা দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন।  সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে বলেই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আজ রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।

রোববার (১০মার্চ) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের কল্যাণে প্রশাসনের সকল সেক্টরে সেবকের ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য শুধু প্রকল্প গ্রহণ করলেই চলবে না, প্রকল্পের কাজ দ্রুত সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নেও নিবেদিত হতে হবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সরকারের উন্নয়ন কাজের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা নিজ নিজ দায়িত্বে জনসেবার জন্য কী কী প্রয়োজন ও কী কী ঘাটতি রয়েছে সেগুলো বিচক্ষণতার সাথে নিরূপণ করবেন। তিনি বলেন, কোথাও আগুন লাগলে আগে প্রয়োজন হবে পানি। তাই পানির সোর্স কোথায় রয়েছে এবং সোর্সগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো আগে থেকেই নিতে হবে। পুকুর শুকিয়ে গেছে, পানি নেই এসব দোহাই দিলে আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে যাবে। কাজেই এখনই পানির সোর্সের জন্য বনায়ন করা, রিজার্ভ ফরেস্ট, ভিলেজ কমন ফরেস্ট এর মতো নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে এবং তা যথাযথভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নও করতে হবে।  

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতা এবং যুগোপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই আমরা বিশ্বে করোনার মতো অতিমারী ভয়াবহ রোগকে প্রতিহত করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমরা আইনের শাসনের প্রতি বিশ্বাসী। দেশের উন্নয়নে সকলকে সমভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি পার্বত্য জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সেক্টরের সকল কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে বলেণ, পার্বত্য অঞ্চলের যা কিছু অর্জন হয়েছে তা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। তিনি দেশে শান্তি, সম্প্রীতি, শৃঙ্খলা, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে একযোগ কাজ করার আহ্বান জানান।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আইন-শৃঙ্খলা সভাশেষে আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আইন-শৃঙ্খলা কমিটি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য স্থিতিশীল ও বাজার মনিটরিং সভা দু’টির সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। 

এসময়  খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), রামগড় ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক  লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন, ৩২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এমদাদুল হক, খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ছাবের, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,  খাগড়াছড়ি রিজিয়নের  (জি টু আই) মেজর জাহিদ হাসান সহ ,খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, জনপ্রতিনিধি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে,১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ই মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি। পরে ২৫ মার্চের কালরাতে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপর দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন আকাশে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। আর সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তিনি তার ভাষণের শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।’

এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম..., এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।

এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা।’

ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার একটি লেখায় বলেছেন, ‘সাত মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক চিন্তাধারার পরিচয় দিয়েছেন। রণকৌশলের দিক থেকে এই ভাষণ অসাধারণ। এই বক্তৃতা এখনো মানুষকে শিহরিত করে।

তিনি বলেন, এই বক্তৃতার আগে রাজনৈতিক কর্মী ও জনসাধারণ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করলে যে পাকিস্তানি সেনা শাসকরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাবে, সে বিষয়েও তিনি অবহিত ছিলেন।

আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু নিউজউইকের এক সাংবাদিককে বলেছিলেন ‘আমরাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমাদের উপর নির্ভর করছে তারা বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ তার একটি লেখায় বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৯ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাকে বললেন জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাদের নেতা, আমি তাদের পরিচালিত করব, তারা আমাকে নয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লিখে।

তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়া এদিন বিকেল ৪ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে (তেজগাঁও) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। :বাসস


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




তানোরে গণহত্যা দিবস পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার শেষ বিকেলের দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সন্ধ্যার পরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার,  টিএইচও বার্নাবাস হাসদা, উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, পিআইও এটিএম কাউসার আলী, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, পৌরসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান মুন্টু, ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল বারী, সোহরাব হোসেন প্রমুখ। শেষে ইফতার সামনে নিয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যার শিকার শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর