Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শ্রম আইন লঙ্ঘন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

প্রকাশিত:রবিবার ২০ আগস্ট ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২৭৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলে রুল খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

এ সময় ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলায় গত ৬ জুন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক। পরে অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন।

এ শুনানি নিয়ে গত ২৩ জুলাই বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। রুলে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার বাদীসহ প্রতিপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত ৩ আগস্ট এ মামলায় জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

প্রসঙ্গ, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাজধানী ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান। একই বছরের ১৯ আগস্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, ৬৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এছাড়া কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।

পরে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান মামলা দায়ের করেন। গত ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




দুইবার অসন্তোষ আখ্যা পেলেও তৃতীয় মূল্যায়নে সফল মারুফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) এর দশম ব্যাচের  ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং  ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মো: রবিউল আলম মারুফ আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে বিশেষ অনুদান প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হন।
"ডেভেলপমেন্ট অব এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণাটি হলো পাখা ছাড়া উড়ন্ত যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা; এটি বানানোর ক্ষেত্রে এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইসের জন্য প্লাজমা জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে এবং ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয়েছে। এই উদ্ভাবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলে এটি শব্দহীন গতিবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। দীর্ঘ দুই-বৎসরের গবেষণালব্ধ, এ নতুনত্বপূর্ন প্রযুক্তিটি অদূর ভবিষ্যতে "স্টার ওয়ার্স" চলচ্চিত্রে দেখানো স্টারশিপ বিমান ডিজাইনের অনুকরণ হতে পারে।

গবেষণা কাজটি পরিচালনার জন্য  বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম ধাপের প্রাপ্ত কিস্তির পর অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তির অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় হতে অবগত করা হয়েছে। তবে এই গবেষণা কাজ চলমান অবস্থায়  পূর্বে ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ ও ১১ এপ্রিল, ২০২৩ সালে দুইবার রিপোর্ট প্রেরণ করা হলেও সেগুলোর সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি বলে মূল্যায়িত করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে। এমতাবস্থায় অনেক জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ  ব্যক্তি প্রজেক্টটি অসমাপ্ত রেখেই ইতি টানার পরামর্শ দিলেও মারুফ তার প্রবল ইচ্ছেশক্তি দিয়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যায়।

৩১ জানুয়ারি,২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে ভার্চুয়ালি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফ জানান বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব কামরুল আলম খান এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ চলমান রেখেছেন এবং উক্ত গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে, দেশের বাহির হতে এটি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন শেষে সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পটির মূল্যায়নে সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হলেই কেবল পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব  ড. এমডি শাহেদুল আলম কে উক্ত প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়।

পুনরায় ১১ এপ্রিল,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর পুনরায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় এবং  প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মারুফ মূল্যায়ন কমিটিকে জানান যে, তিনি দেশের বাহির হতে হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আসলেও কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব-সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে তাদের ল্যাব ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনোপ্রকার অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় এবারেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, কিছু শর্তে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জনাব ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়।

সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের কাজ মূল্যায়ন কমিটির দৃষ্টিভঙ্গিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করেছে বলে বিবেচিত হয় এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

শত বাঁধা উপেক্ষা করে প্রকল্পটির সাথে লেগে থাকজ জনাব মো: রবিউল আলম মারুফ তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, "আলহামদুলিল্লাহ প্রায় আড়াই বছরেরও অধিক সময় পরে সন্তোষজনক মূল্যায়নটি পেয়েছি, এরমধ্যে আমার সাথে যাহারা ফান্ড পেয়েছিল তাদের অনেকের ই কাজ শেষ করে প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। খুব আফসোস আর অসহায় লাগত কিন্তু ধৈর্য ধরে ছিলাম দিনটির জন্য। ২০২২ এবং ২০২৩ এর প্রথম  দু'বারের মূল্যায়নে অসন্তোষজনক আখ্যা পেলেও আমি গবেষণাতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে, টানা দশ মাসের ৭০ এর ও অধিক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর উড়েছে পাখা ছাড়া যন্ত্র।" মারুফ ব্যক্তিগত গবেষণা কাজ ছাড়াও দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া নামে একটি রিসার্চ কমিউনিটি পরিচালনা করেন যারা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন নতুন গবেষণা প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন এবং দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিওিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই কমিউনিটির সদস্যদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, গবেষণায় সরকারি অনুদান লাভসহ বিভিন্ন গবেষণা কনফারেন্সে কাজের উল্লেখযোগ্য উৎসাহমূলক প্রসংশা পেয়ে আসার সুনাম রয়েছে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




বগুড়ার শাজাহানপুর ইউএনও অফিসে রহস্যজনক চুরি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২৮জন দেখেছেন

Image
লতিফ-বগুড়া-বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অফিসে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ইউএনও বিদায় আগের দিন তার অফিস থেকে ৪টি হার্ডডিস্ক,১ টি ল্যাপটপ সহ ২টি সিসি ক্যামেরা উধাও হয়েছে বলেছে জানা গেছে।রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শাজাহানপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম থানায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম।

সম্প্রতি ইউএনও তাহমিদা আক্তারকে নানা সমালোচনার মুখে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার প্রিয়াংকা দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য পাওয়া যায়।স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী জানায়, ইউএনও বিদায়ের আগেরদিন অনিয়ম দুনীতি তথ্য মুছে ফেলতে তার রুমে অফিস থেকে ৩ টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক,১ ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক‍্যামরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হওয়ার মিথ্যা অভিযোগ উঠতে পারে।সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়েছে তারা।

আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




রওশনের জাতীয় পার্টিতে পদ পেলেন যারা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির (একাংশ) দশম জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আংশিক তালিকা প্রকাশ হয়েছে,বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন।

দলীয় মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদের সুপারিশক্রমে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পার্টির চেয়ারম্যান আংশিক তালিকায় স্বাক্ষর করেন। এরপর রাতে মহাসচিব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয় পর্যায়ক্রমে কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।

ঘোষিত কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে রয়েছেন- রফিকুল হক হাফিজ (সাবেক উপ-মন্ত্রী), অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন (সাবেক সংসদ সদস্য), ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর (সাবেক সংসদ সদস্য), জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (সাবেক সংসদ সদস্য), কারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, ডা. কে আর ইসলাম, নিগার সুলতানা রাণী, আবুল কাশেম সরকার (সাবেক সংসদ সদস্য), ইয়াহিয়া চৌধুরী (সাবেক সংসদ সদস্য), শফিকুল ইসলাম শফিক (নরসিংদী), শংকর পাল (হবিগঞ্জ), আমানত হোসেন আমানত, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, হাজী মো. ফারুক (ঢাকা), আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাস (খুলনা), নুরুল ইসলাম নুরু (টাঙ্গাইল), তুহিনুর রহমান-নুরু হাজী (ঢাকা), ১৬ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা হিসেবে কমিটিতে আছেন- এম এ গোফরান (লক্ষীপুর), এম. এ. কুদ্দুস খাঁন (ঝালকাঠী), ভাইস-চেয়ারম্যান পদে শেখ আলমগীর হোসেন (গোপালঞ্জ), মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক (ঢাকা), ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ (জামালপুর) সাবেক সংসদ সদস্য, মো. মোক্তার হোসেন (খুলনা) সাবেক সংসদ সদস্য, হাজী নাসির সরকার (ঢাকা), আব্দুল আজিজ খাঁন (গুলশান), মোল্যা শওকত হোসেন বাবুল (খুলনা), মো. শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু (ঢাকা), মিজানুর রহমান দুলাল (পটুয়াখালী), শাহ্ আলম তালুকদার (বরিশাল), অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাইয়ুম (ময়মনসিংহ), শাহ্ জামাল রানা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।

যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে আছেন- ফকরুল আহসান শাহজাদা (বরিশাল), পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ (বাহ্মণবাড়িয়া), শেখ মাসুক রহমান (ঢাকা), সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ (খুলনা), সুজন দে (চট্টগ্রাম), এস,এম হাসেম (ঢাকা)।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন- শাহানাজ পারভীন (ঢাকা), মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ), অ্যাডভোকেট এস. এম. মাসুদুর রহমান (খুলনা), অ্যাডভোকেট মো. আবু সালেহ চৌধুরী (সিলেট), অধ্যাপক বিলকিস সরকার পুতুল (নরসিংদী), ফজলে ইলাহী সোহাগ (নোয়াখালী), জাফর ইকবাল নিরব (পিরোজপুর), শামসুল আলম (কক্সবাজার)।

যুগ্ম- সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন- কাওসার আহমেদ (ঢাকা), মো. মোসলেম আলী (মেহেরপুর), আবুল বাশার (মানিকগঞ্জ), নাফিজ মাহবুব (ময়মনসিংহ), সিরাজুল আরেফিন মাসুম, এম, এম, আমিনুল হক সেলিম।

সম্পাদকমন্ডলীর মধ্যে রয়েছেন- কোষাধ্যক্ষ ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর (রংপুর); প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক-খোরশেদ আলম খুশু (চাঁদপুর); দপ্তর সম্পাদক-আবুল হাসান আহমেদ জুয়েল; কৃষি বিষয়ক সম্পাদক- অ্যাডভোকেট এমদাদ (নড়াইল); সমবায় বিষয়ক সম্পাদক-পারভেজ আলম মীর (বরিশাল); সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক-নাজমুল খাঁন (লালমনিরহাট); তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদ-সাহিন আরা সুলতানা রিমা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ); আইন বিষয়ক সম্পাদক- অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন সেনা (কুষ্টিয়া); যুব বিষয়ক সম্পাদক-মো. জহির উদ্দিন (ঢাকা); শিল্প বিষয়ক সম্পাদক-আবুল কালাম আজাদ; মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা-সুলতানা আহমেদ লিপি; আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-সায়িকা হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া); মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক-শরিয়ত আলী তালুকদার (সুনামগঞ্জ); প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক-আব্দুস সাত্তার; যুগ্ম- সম্পাদকমন্ডলী: যুগ্ম- প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক-আসাদ খান; যুগ্ম- কৃষি বিষয়ক সম্পাদক-মেহবুব হাসান; যুগ্ম- সমবায় বিষয়ক সম্পাদক- চিশ্তী খায়রুল আবরার শিশির; যুগ্ম- ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক-নজরুল ইসলাম মুকুল; যুগ্ম- সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক-মো. তৌহিদুর রহমান খাঁন; যুগ্ম- শ্রম বিষয়ক সম্পাদক-হাজী মাসুম পারভেজ; যুগ্ম- এনজিও বিষয়ক সম্পাদক-এম. আবু জাফর কামাল; যুগ্ম- সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক-শরীফুল ইসলাম শরীফ; যুগ্ম- সাহিত্য ও কৃষ্টি বিষয়ক সম্পাদক-আফতাব গনি; যুগ্ম- প্রাদেশিক সম্পাদক- মনিরুল ইসলাম রবিন।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে রিয়াজ খান; মকবুল হোসেন মুকুল, এস. এম. মুর্তজ আলম বুলবুল, নাসির নেওয়াজ, আবু নাসের সিদ্দিকী, কাদের মুন্সি, আব্দুল হালিম, আহমদ আলীর (সিলেট) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির দপ্তর প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পার্টির মুখপাত্র ও কো-চেয়ারম্যান সুনীল শুভরায় কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে গণমাধ্যমে পাঠান মহাসচিবের বিশেষ সহকারী কাজী লুৎফুল কবীর।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




তানোরে দুই শতাধিকের অধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা! উত্তেজনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে দুই শতাধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী হাসানের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার জিওল গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় জমির মালিকের ছেলে জিওল গ্রামের আলি হোসেন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাছ কেটে জমি দখলের ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলে আশঙ্কা গ্রামবাসির। 

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মৌজার অন্তর্গত আরএস ৩৩ নম্বর খতিয়ানে আরএস ২৫৩ দাগে জমি রয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ। জমিটির মালিক ওই গ্রামের মুন্তাজের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তার নিজ নামে খাজনা খারিজও রয়েছে। যার খারিজ কেস নম্বর ৩৫৬০/1x-1/২০০৫-২০০৬ ইং, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৭, হিসাব নম্বর ২০৩। কিন্তু জমিটি নিয়ে বারবার ঝামেলা ও দখল করার পায়তারা করে আসছেন জিওল গ্রামের প্রভাবশালী হাসান আলী। 
সরেজমিনে দেখা যায়, জিওল গ্রামের ধানী মাঠে পোল্ট্রি খামারের পূর্ব দিকে জমিটির অবস্থান। জমিটিতে গত মঙ্গলবার মালিক আনোয়ারা বেগমের ছেলে আলী হোসেন প্রায় আড়াই শত মত আম গাছ রোপন করেন। আমের জাত আমরুপালি। গাছ রোপনের পরদিন বুধবার  দখলদার হাসান গংয়ের নেতৃত্বে তরতাজা আম গাছ কর্তন ও ত্যারের বেড়া ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। গাছগুলো কাটা অবস্থায় নিথর ভাবে পড়ে রয়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, জমির মালিকের ছেলে আলী হোসেন তিনি জানান, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে জমিটি আমাদের দখলে ছিল। মাঝে মধ্যেই হাসান দলবল এনে দখল বাজী ও আবাদের ক্ষতি করে থাকে। আমার মা বিগত ১৯৮১ সালের দিকে  এজমিসহ আরো জমি কিনেন। কিনার পর খাজনা খারিজ করা হয়েছে। হাসান খারিজ বাতিলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু তার লাঠি ও টাকার জোরে দখলের চেষ্টা করে থাকেন। তিনিই থানায় অভিযোগ করেন, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় বসার কথা হয়। অথচ বসার আগেই আমার রোপনকৃত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে করে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চায়। জমি তার হলে অবশ্যই ছেড়ে দিব।

দখলদার হাসান বলেন, আমি জমিটি বিগত ২০০৫ সালে কিনেছে। কিন্তু তারা কিভাবে খাজনা খারিজ করে ফেলেছে আমি জানিনা। আমার দলিল আগে। আপনার দলিল আগে হলে তো মিস কেস করলে খারিজ বাতিল হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এডিসিতে আবেদন করেছিলাম, সে রায় ভূমি অফিসে আছে। রায় থাকলে তো জমি খারিজ হয়ে যাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বসে মিমাংসা করা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 
জমির মালিক আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুন্তাজ আলী বলেন, কাগজ যার জমি তার। আমার নামে খাজনা খারিজ আছে। হাসানের কাগজ যদি সঠিক থাকে  ও খারিজ বাতিল করতে পারলে এবং আমাদের বিপক্ষে রায় গেলে আমরা জমি ছেড়ে দিব। কিন্তু বারবার লাঠিয়াল বাহিনী এনে সব নষ্ট করে ফেলা কোন কাজ। এতগুলো আমগাছ কেটে ফেললো এর ক্ষতি পূরুন কে দিবে। তার লোকজন ও টাকা পয়সা আছে বলেই সবকিছু করবে এটা কোন ধরনের কথা। আমরা এসবের ন্যায্য বিচার চাই।  গাছ কাটার পর থানা পুলিশ তদন্ত করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর