Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস

সরকারী আইনকে বৃদ্বাঙ্গুলী প্রদর্শন করে চলছে ফসলী জমির মাঠি কেটে ফিসারী নির্মানের কাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান: দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হাড় ও খাদ্য সংকটের কথা চিন্তা করে,যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে আরোচনা করে দেশের প্রত্যেক জেলা প্রসাশককে নির্দেশ দিয়েছেন যেন কোন ফসলী বা তিন ফসলী জমি খনন করে পুকুর, বাড়ি,ইমারত বা নতুন কোন শিল্পখারকানা নির্মান না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য।জানা গেছে এ নিয়ে ইতিমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপনও জারী করতে চলেছে সরকার।

আর সরকারের এ নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে প্রায় ১২০ বিঘা ফসলী জমি কেটে চলছে ফিসারী বা পুকুর তৈরীর কাজ।সরেজমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের গোর্কণ বেড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাগেছে কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা মৌজার বেড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ভেকু একযোগে মাঠি কাটছে আর বেশ  লড়িগুলো মাঠি টানছে।সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ফসলী জমির মাঠি কেটে পুকুর খননের  বিষয়ে জানতে চাইলে ফিসারীর মালিক মোঃ উসমান মিয়া বলেন আমি কুন্ডা ইউনিয়নের তহশীলদারের সাথে যোগাযোগ করে খাজনা পরিশোধ করেছি।

তাছাড়াওজমির শ্রেণী পরিবর্তনের জন্য তহশীলদারের মাধ্যমে আবেদন ও করেছি।কুন্ডা ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূসি-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সরকারের নির্দেশ থাকার পরও ফসলী জমির মাঠি কেটে পুকুর নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন আমার কি করার আছে,আর এ ধরনে কোন পরিপত্র আমার কাছে এখনো আসেনি। তিনি আরো বলেন তিন ফসলী জমি হলে আমারা বাধা দিতাম।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন প্রার্থী আনারুল ইসলামকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে আচরনবিধি লংঘনের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগটনিক সম্পাদক ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সদর-মুজিবনগর রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ওয়ালিউল্লাহ। আজ শনিবার বিকেলের মধ্যেই স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়, নির্বাচনী আচরনবিধি মালা ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর (ঘ) এবং বিধি ৩১ অনুযায়ী তাহার পক্ষে উস্কানীমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে মতবিনিময় সভায় আপনার কর্মী সমর্থকেরা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করেছে। 

উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর ১৮ (ঘ) এবং ৩১ বিধি লংঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ০৪.০৫.২৪ তারিক বিকেল ৪টার মধ্যে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে স্বশরিরে হাজির হয়ে লিখিত আকার বাখ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেছিলেন, ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের ( মোটরসাইকেল প্রতিক) ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচন কার্যালয় থেকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া গেছে। নোটিশের ব্যপারে আইননুসারে বাখ্যা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত: আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ ভাই এর মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃমহান জাতীয় সংসদের মাননীয় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এম,পি এবংবাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সন্মানিত প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এম,পি মহোদয়ের শ্রদ্ধাভাজন পিতা,বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে,স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই) এর ৩৩-তম মৃত্যু বার্ষিকী' তে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন(সিবিএ) নেতারা।রোববার ১৯ মে ছিল ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের এই দিনে পঞ্চম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদা ভাইয়ের ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন এর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে.এম কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন ফারুক আহমেদ, অর্থ সম্পাদক ফারুক হোসেন শেখ,সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী রতন বসু,দপ্তর সম্পাদক মজিবুর রহমান, কার্যকরী সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান খান।

আড়িয়াল খাঁ নদীতীরবর্তী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই। তাঁর পিতা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মাতা ফাতেমা বেগম। জন্মের আগেই পিতা মারা যাওয়ায় মায়ের বিচক্ষণ শাসনে একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মাতা চৌধুরী ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দত্তপাড়ার টিএন একাডেমী থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করেন।

তিনি বিয়ে করেন খালাতো বোন ফিরোজা বেগম মায়া চৌধুরীকে। তাদের কোল আলো করে জন্ম নেয় সাত সন্তান। বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী, এমপি যিনি লিটন চৌধুরী নামে সমধিক পরিচিত। তিনি জাতীয় সংসদের ২১৮ মাদারীপুর-১ আসন তথা শিবচর থেকে সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের  চীফ হুইপ (সেক্রেটারি, আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টি)। ছোট ছেলে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এমপি ২১৪ ফরিদপুর-৪ ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে তার মামা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দাদাভাই। তাঁর নেতৃত্বে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী, তখন তিনি মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নানা শেখ লুৎফুর রহমান ও নানী সায়েরা খাতুনসহ শেখ পরিবারের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাড়িতে আশ্রয় নেন। শেখ কামালসহ  অন্যান্য  অনেক মুক্তিযোদ্ধা এই বাড়িতে থেকেই যুদ্ধ পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ পাক হানাদার বাহিনী  দাদাভাইয়ের বাড়িতে দু’বার অগ্নিসংযোগ করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরষ্কারে ভূষিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন  করেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রসারে শিবচরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দাদাভাই ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-১৩ (বিলুপ্ত) আসন থেকে ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি। তিনি একাধারে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তাঁর কর্মজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় তিনি খুলনায় অতিবাহিত করেন এবং সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। তাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফুটবল ভালোবাসতেন। তিনি ফুটবল খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন এবং খেলায় সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠা করেন খুলনা আবাহনী ক্রীড়াচক্র। এছাড়াও তিনি আরামবাগ ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণ, ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের উন্নয়নসহ বাংলাদেশ একদিন উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করবে এমনই স্বপ্ন দেখতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে।


আরও খবর



ব্যবসায়ীর ২৪ লক্ষ টাকা লুট, ৬ লাখ টাকাসহ মূল হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা খাইয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। তার নাম ইয়াকুব আলী মাসুদ (৬৫)। সে নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার চর জব্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ মিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল হালিমের ছেলে। এসময় তাঁর কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, স্বর্ণের তাবিজ ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন ইয়াছিন এক্সপ্রেস বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক কাজে রওয়ানা হন আবুল কালাম। পথিমধ্যে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে পাশের সিটে বসা অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার সাথে ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হাতে পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়। নোয়াখালী জেলার ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী আবুল কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার থান্ডাচড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদের বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

আবুল কালাম বলেন, সেদিন আমি চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার বাস স্টপেজ থেকে সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস এসি বাসযোগে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। শহর থেকে আমার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিও বসেন। মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি আমাকে একটি জুস পান করান। সেটা খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সাথে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় সেই ব্যক্তি। এই ঘটনায় আমি মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত দীপ্তেশ রায় জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কাজ করতে থাকি। সনাক্তপূর্বক গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর চর জব্বর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় আমরা ইয়াকুব আলী মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার নিজ বাড়িতে রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, একটি সুজুকি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি সোনার তাবিজ, হারসহ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেছি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

রুবেল মিয়া,সরাইল:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের  ঐতিহ্যবাহী  স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়" এর ম্যানেজিং কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্কুল কমিটির ৪ জন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এ উপলক্ষ্যে  বৃহস্পতিবার দুপুরে  বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সদ্য নির্বাচিত সদস্যদের কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান  সাবেক সংসদ সদস্য ও কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এড. জিয়াউল হক মৃধা, এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, স্কুলের  সদস্য মো. ফয়সাল আমহেদ দুলাল, স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হলেন যারা- অহিদুজ্জামান লস্কর (অপু), কামরুজ্জামান সজল, দূলাল চন্দ্র সুত্রধর, মো. মোশাররফ এছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় স্কুলের দাতা পদে সদস্য মো.আইয়ুব খান, সাধারণ শিক্ষক সদস্য জসিম উদ্দিন খান, শেখ মো. ইব্রাহিম, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য দিপু দেব, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি নাজনীন আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। 

সাবেক সাংসদ ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এড. জিয়াউল হক  মৃধা বলেন,  বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে নব নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যরা কাজ করবে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  ও প্রিজাইডিং অফিসার মো. মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, স্কুল কমিটির নির্বাচনে পদ ও প্রার্থীর সংখ্যা সমান থাকায়, তাদের কে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় ছিল ২৮ এপ্রিল  থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ।মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন - সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে ৫ জন, দাতা সদস্য পদে ১ জন ও সাধারণ শিক্ষক সদস্য পদে ২ জন। পরে ৫ই মে অভিভাবক সদস্য পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন মো. মামুন মিয়া ।

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগনিয়ে দ্বন্দ্বঃবাড়ি অগ্নিসংযোগ,,,আহত-২

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের মৃত্যু মফিজ উদ্দিনের ২ ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৬৩) ওশাহা মিয়া(৬০) এর পুরাতুন ভিটা ও ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বজরা হলদিয়া মৌজাস্ত নলডাঙ্গা রাস্তার পাশের জমির সমবন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন হতে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

এর জেরে গতকাল সকাল ৯টারদিকে সিরাজল ও শাহা মিয়ার জমির মাঝের ঘিরা সরানোকে কেন্দ্রকরে তর্কাতর্কির শুরুহলে একপর্যায়ে শাহা মিয়া ও তার ছেলে জাকিরুল,ভাতিজা মোজাম্মেল পিতা মহির উদ্দিন গংরা সহ সিরাজুলের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান সিরাজুল।এতে তার টিনের চৌচালা বসত ঘর ও রান্নাঘর পুড়ে ভস্ষিভুত হয়।এসময় বাধাঁ দিতে গেলে তারা সকলে মিলে সিরাজুলের স্ত্রী জরিনা বেগমকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে ও সিরাজুলকে বেধরক মারপিট করলে তারা উভয়ে মারাত্নক আহত হওয়ায় সুন্দরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোকলেছুর রহমান মণ্ডল জানান,ঘটনার দিন সকাল অনুমান ৯টার দিকে আমি ঘটনাস্হলে যাই,,এসময় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্হিতি লক্ষ করি,এবং উভয়পক্ষকে আমি শান্তহতে বলে আমি পাশে মিজানুরের বাড়িতে যাই,,,এর কিছুক্ষনের মধ্যে সিরাজুলের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি ঘটে।ঘটনা চলাকালিন সিরাজুল ৯৯৯ ফোন করায় তাৎক্ষনিক ভাবে সুন্দরগঞ্জথানার এ এসআই আলমগির হোসেন সঙ্গীয র্ফোসসহ ঘটনা স্হান পরিদর্শন করেন এবং পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে নেন।

এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুত্তি চলছে বলে জানা গেছে।

আরও খবর