Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

‘সরকার ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে’

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, সরকার ২০১৮ সালের মতো একটি প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। সরকারকে বলব, ওই ধরনের নির্বাচন করার স্বপ্ন ভুলে যান। দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না,  জনগণ এ ধরনের নির্বাচন হতে দেবে না। তাই সময় থাকতে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় জনগণকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ১০ দফা দাবি আদায়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

দেশে এখন ডিজিটাল কায়দায় একদলীয় শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক।

নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া আন্দোলন চলবে বলেও জানান ফরহাদ।

জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন শিল্পী, গণদলের মহাসচিব আবু সৈয়দ, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল কাদের চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, যুগ্ম মহাসচিব আবু মেহেদী প্রমুখ।


আরও খবর



মাদারীপুরের শিবচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত বেড়ে ১৮

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খুলনা থেকে যাত্রীবাহী ইমাদ পরিবহনের বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে বাসটির সামনের একটি চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি নিচে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন মারা যান।

এ দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও চারজন মারা যান।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, এ দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও খবর



গণমানুষের আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে র‌্যাব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;র‌্যাব জননিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্ব শর্ত। দেশের উন্নয়নের এই পূর্ব শর্তকে সঠিকভাবে ধারণ করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, প্রতারণা বন্ধসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে র‌্যাব।”

আজ রোববার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “র‌্যাব জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারিদের কাছে একটা আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে। র‌্যাবের কার্যক্রমের ফলেই ধর্ষণ, খুন, অপহরণের আসামিদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারের বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। মানবিকবোধের জায়গা থেকে র‌্যাব দুস্থ, কাঙাল, প্রতিবন্ধীদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় সর্বহারা জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করছে গণমুখী এ বাহিনী।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিগত সময়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে র‌্যাব। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের তিন হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। র‌্যাব জঙ্গিবাদ দমনে মাঠপর্যায়ে নজরদারির পাশাপাশি সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে র‌্যাব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে সফল তৎপরতা চালিয়েছে তাতে র‌্যাবের ভূমিকা অগ্রগণ্য।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই মূলমন্ত্রকে বুকে লালন করে আগামীতে আরও উৎসাহ-উদ্দীপনায় দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠা-আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে র‌্যাব। এসময় একটি মাদকমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে র‌্যাব অবদান রাখবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দৃঢ়তা প্রদর্শন করেন তিনি।

এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন উপস্থিত রয়েছেন।


আরও খবর



মধুপুরের অরণখোলা বিটের সামাজিক বনায়নে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাংগাইলের  মধুপুরের অরণ খোলা সদর বিটের ৭৩ একর জমিতে ২০১১-১২ সনে  লাগানো সামাজিক বনায়নের  ২০২৩ হতে ২০২৪ পর্যন্ত  দুই বছর মেয়াদী  নির্বাচনের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে  একটি কমিটি গঠন করা হয় হয়েছে। সোমবার অরণখোলা সদর বিট প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টা হতে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত  ভোট গ্রহন চলে।

মোট ভোটারের সংখ্যা ১৮১জন।  ৫ টি পদে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ জন।  ২ জন প্রত্যাহার করায়  আর ২ জন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকী ৬ জনের মধ্যে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন  কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক সরকার।নির্বাচন পরিচালনা করেন অরণ খোলা সদর বিটের রেন্জ কর্মকর্তা  এস, এম, আঃ রশিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর বিটের রেন্জ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,, দোখলা বিটের রেন্জ কর্মকর্তা মোঃ হামিদুর রহমান,  ৯ নংওয়াডের ইউপি সদস্য মোঃ খলিল ফকির, ৭ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু, ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মোফাজ্জল হোসেন।

এসময় উপস্হিত ছিলেন  অরণখোলা বিটের এফ জি মোঃ জহিরুল ইসলাম, ওয়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ গোলাপ হোসেন ,  কুড়াগাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের  সভাপতি ফারুক হোসেন,।  উক্ত নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হন মোঃ আঃ বাতেন তালুকদার , সহ -সভাপতি পদে বিজয়ী হন মোঃ হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক,পদে বিজয়ী হন আঃখালেক, সহ- সাধারণ সম্পাদক পদে  মোঃ গিয়াস উদ্দিন , কোষাধক্ষ পদে  মোঃ আঃ সাত্তার।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

বাসস: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক এই ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়। তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দুটি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেদিনের সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাঁকে বললেন, জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাঁদের নেতা, আমি তাঁদের পরিচালিত করবো, তাঁরা আমাকে নয়।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লেখে। এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়; এটি ছিল জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা।


আরও খবর



আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
নিশাত আনজুমান, আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনীর মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।

পরে সকাল ৮.৩০ মিনিটে  সরকারি মুজিবর রহমান কলেজ মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার । পরে পুলিশ, আনসার, ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে মার্চপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন। চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ। পরে  শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকল সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আবু বক্কর  সিদ্দীক উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোকছেদ আলী, পৌর মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ। 


নিশাত আনজুমান 
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট
তারিখ ২৬/মার্চ/২০২৩ ইং।

আরও খবর