
মোঃআবুর হোসেন আকাশ
ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে সারা মাঠজুড়ে হলুদ সরিষার ফুল। প্রকৃতির সাথে হলুদে মাঠ সেঁজেসে রঙিন সমারহে। ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছিরা।
এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায়। দুই ফসলি জমিতে সরিষাকে যোগ করে করা হচ্ছে তিন ফসলি জমি। লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকরা দেখেছেন সতেজ স্বপ্ন। দিনদিন ভোজ্যতেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি ফলনের আশায় উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা আবাদ করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি জাতের ১৪, ১৫, ১৭ এর পাশাপাশি স্থানীয় জাতের সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকরা। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। কৃষকদের সরকারিভাবে নানা ধরনের সাহায্য, পরামর্শ এবং প্রদর্শনী প্লট দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সরিষা। মাঠে হলুদ রঙের সরিষা খেতে হলুদের হাতছানি। ফুলে ফুলে ভরে গেছে খেতগুলো। ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছিরা। কথা হয় উপজেলা মুশুদ্দি ইউনিয়নের কৃষক মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এবার আমি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে এক একর জমিতে বারি ১৪ জাতের সরিষা আবাদ করেছি। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে ভালো ফলন পাবো। অপর কৃষক মো. নিয়ামত আলী বলেন, আমন ধান ঘরে তুলেই ৬০ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা অবাদ করেছি।
ফালনও ভালো। আশা করছি লাভবান হতে পারবো। কয়ড়া এলাকার কৃষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরিষা আবাদে খরচ কম। ফলে অল্প খরচই ও কম পরিশ্রমেই সরিষা আবাদ করা যায়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, সরিষা অল্প সময়ের ফসল। চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধান তুলেই সরিষা আবাদ করেছেন। সরিষা উঠিয়ে কৃষকরা যথা সময়ে বোরো ধান চাষ করতে পারে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকরা কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষা আবাদে ঝুঁকছে।
সরিষা আবাদ করলে ওই খেতে বোরো ধান চাষে সারের পরিমাণ কম লাগে। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষদের পরামর্শ দিচ্ছে। কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’