Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সৈয়দপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের ধুম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৫৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর ( নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীত আগেই ফুলকপি ও বাঁধা কপির চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা।চারা রোপনের ৮/১০ দিন থেকেই ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ২/৩ দিন বাদ বাদ কীটনাশক ও সেচ দিচ্ছেন তারা।সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর বড়দাহ গ্রামের কৃষক আহাদ জানায়,এবারে শীত মৌসুমের আগেই প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও ২ বিঘা জমিতে বাঁধা কপির চারা রোপন করেছেন। প্রায় ৫০/৬০ দিন পর ফুলকপি ও বাঁধা কপি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে অনেকেরই কাজ থাকে না।জমিও পড়ে থাকে প্রায় ২ মাস।একারনে আগাম ফুলকপি ও বাঁধা কপির চাষাবাদ করেছেন। এতে একদিকে যেমন বেশি দামে এসব বিক্রি করতে পারবেন অন্য দিকে বেকার থাকা মানুষরাও মজুরি পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন,  ফুলকপি ও বাঁধা কপির চারা রোপন থেকে বিক্রি করার আগ মুহূর্ত প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হলেও ২ লাখ টাকারও বেশি লাভের আশংকা করছেন তিনি। 


ওই ইউনিয়ন এর পোড়ার হাট এলাকার কৃষক সামাদ ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি, ১ বিঘা জমিতে ঢেরশ ৫ কাঠা জমিতে বেগুন ও ১ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছেন। তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তা বিধু ভুষন রায় এর পরামর্শে গত বছর থেকে আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করে অনেক লাভবান হয়েছি। এবারেও যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে  ২ লাখ টাকারও বেশি লাভ হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জুলাই মাসের শেষের দিকে তার দেড় বিঘা জমিতে বাঁধা কপির চারা রোপন করেছিলেন।এতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু ওই জমির বাধা কপি সেপ্টেম্বরের শেষে বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকায়।উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি, বাঁধা কপি,সিম,বেগুন,শশা ও ঢেরশ বিক্রি হচ্ছে এবং এসবের দামও চড়া।একরনে শীত কালিন আগাম সবজির চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ায় দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।কৃষি কর্মকর্তা বিধু ভুষন রায় জানান, এ উপজেলায় ৫০০ হেক্টর এর ও বেশি জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এতে উৎপাদন গতে পারে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মেট্রিকটন সবজি।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস: গাজাবাসীর উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে। তবে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে, যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিতে রাজি হওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস।

হামাস নেতা খলিল আল–হায়া বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিশ্চিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা।

মূলত কাতার ও মিশর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাইডেন প্রশাসনের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

হামাসের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও একই কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিসর। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের বিবৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাঁটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে,বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

হস্তান্তরের সময় মিয়ানমার থেকে বুধবার আসা প্রতিনিধিরা ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে এবারে হস্তান্তর কার্যক্রম স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশ ছিল সংরক্ষিত। এমনকি গণমাধ্যমের সাথে কথাও বলেননি কোনো কর্মকর্তা।

ভোর সাড়ে ৪টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ১০টি বাসে করে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আনা হয়। যেখানে আছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্য আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে গতবার ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাঁটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

মূলত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় আসে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘কর্ণফুলী টাগ-১’ জাহাজে করে কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের। একই প্রক্রিয়ায় এসব জাহাজের স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিরে যাবেন মিয়ানমারের এই ২৮৮ নাগরিক।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরও ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষংছড়ির বিজিবি স্কুলে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল আরও ৩৩০ জনকে।


আরও খবর



ফকিরহাটে ট্রাক কাভার্ডভ্যানের সংর্ঘষে ১জন নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

ফটিক ব্যানার্জী,ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে কাকডাঙ্গা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের সাথে গ্যাস ডিলিন্ডার বাহী ট্রাকের সংর্ঘষে ট্রাক চালকের সহকারির ঘটনা স্থালে মৃত্যু হয়েছে। রাবিরার সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত রইচ কাজী (২২) রাজবাড়ী সদর উপজেলার বড় ভবানীপুর গ্রামের মালাম কাজীর ছেলে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ ও স্থানীয়রা  ওই ট্রাকের চালক মোঃ আজিজকে উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করে। অপরিকল্পিত ভাবে কাভার্ডভ্যান পার্কিং করায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী স্থানীয়দের।

মোল্লাহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ শেখ নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পেছনে খুলনাগামী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে ট্রাকের হেলপার নিহত হয়। আহত হয় চালক। মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর কারা হবে।


আরও খবর



মসজিদ সংস্কারের অভাবে অন্যের গোডাউনে নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ মসজিদ সংস্কার কাজ। বছরখানে ধরে পাশে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ভাড়ায় গোডাউন দিয়ে এক দম্পতি ও অর্থ অনুদান দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ।সরেজমিনে ঘুরে ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব শুয়াপুর গ্রাম। উপজেলার একেবারে শেষ প্রান্তের শেষ গ্রাম এটি। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। নদী ভাঙ্গনে কবলে পড়ে বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বর্তমান এ গ্রামে প্রায় সাত শতাধিক জনসংখ্যা। এখানে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ হতদরিদ্র। গত আড়াই যুগেরও আগে জীবিত থাকাবস্থায় ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতাব্বর মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তোলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। কোন রকমে ছাপড়া তোলে মসজিদের কাযক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছিল।

যুগের সাথে তাল মিলিতে গিয়ে উন্নয়নের লক্ষে ওই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়। এরপর পাশে ছাপড়া দিয়ে বছর দুয়েক আগে কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু সেটাও অনুপযোগী হয়ে পড়লে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। গত এক বছর ধরে পাশের একটি গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এর জন্য ভাড়া না নেয়ায় রিপন রহমান ও নাজমা বেগম নামে এক দম্পতি ওই গ্রামে প্রশংসিত হয়েছেন। মসজিদের পাঁচ তলা ভবনের ফাইন্ডেশন দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর ধরে অর্থাভাবে ওই মসজিদের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আর সংস্কারের অভাবে নিরুপায় হয়েই পাশের ওই গোডাউনে মসজিদ কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন খবর পান আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ। এরপর তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই মসজিদে মোটা অংকের অর্থ অনুদান দেন। এছাড়াও ওই মসজিদের সংস্কার শুরু হলে নিজের তহবিল থেকে আরো অনুদানের আশ^াস দেন তিনি। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। অপর দিকে খুব তাড়াতাড়ি মসজিদের সংস্কার কাজ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। তবে মসজিদ উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ। ওই গোডাউনের মালিক দম্পতি নাজমা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে মানিকগঞ্জ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করি। এরও আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। টাকার অভাবে মসজিদের সংস্কার বন্ধ ও নামাজের উপযুক্ত স্থান না থাকায় আমাদের গোডাউন ব্যবহার করতে দিয়েছি। এর জন্য ভাড়া দিতে চাইলেও আমরা নেয়নি। তবে যতদিন মসজিদের কাজ না হবে, ততদিন এটা ব্যবহার করবে। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, বরং আমরাও অনেক খুশি।

বিনা ভাড়ায় ওই গোডাউনে কার্যক্রম ও নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান,আগে এই পুরো গ্রাম প্রায় খালি ছিল। নদী ভাঙ্গণের শিকার হয়ে আসতে আসতে এখানে মানুষ ভরে গেছে। আর এসব মানুষের কথা ভেবে আমার বাবা জমি ওয়াকফ করে দিলে সবাই মিলে এই মসজিদ নির্মাণ করে। মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগী করছে। এজন্য খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করবো। তবে সকলেও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম জানান, ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। তবে আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের সকল থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনা এবং অস্ত্র-গোলাবারুদের নিরাপত্তা জোরদার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পুলিশ সদরদপ্তরের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশের সকল থানায় কমপক্ষে তিনটি সেইন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া থানা কিংবা পুলিশের যেকোনো স্থাপনা হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে তার নির্দেশনা পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সকল ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, সম্প্রতি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন এড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বান্দরবানে অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সকল ইউনিটে অ্যালার্ম প্যারেডের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের মতো ঢাকা মহানগর পুলিশ থানা ও স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে গত ২৩ এপ্রিল একটি সার্কুলার জারি করেছে।

এতে বলা হয়, প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে ৩টি স্থায়ী সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। রাতে ডাবল সেন্ট্রি ডিউটি মোতায়েন করতে হবে।

অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশের ছুটি বা অন্যত্র দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখা। বাইরের কারও দেওয়া খাবার না খাওয়া। অস্ত্রাগার সুরক্ষিত রাখা। রাতে নির্দিষ্ট সময় পর থানায় বাইরের কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং এবং সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশ করতে দেওয়া।


আরও খবর