Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

সংবর্ধনা নেবেন না বিচারপতি ইমদাদুল হক আজাদ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৪৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে এমন মন্তব্য করা বিচারপতি ইমদাদুল হক আজাদ আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) নিজের শেষ কর্মদিবসে কোনো সংবর্ধনা নেবেন না।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, রীতি অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি থেকে বিদায়ী বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কিন্তু বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ কোনো সংবর্ধনা নেবেন না।

সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতিদের যে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ওই সংবর্ধনাও নেবেন না তিনি। তবে প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা তাকে ফুল ও ক্রেস্ট পৌঁছে দেবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



আমতলীতে সওজের ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীর একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে বুধবার দুপুরে সওজের জমি দখল করে গড়ে তোলা ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, আমতলী একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে সওজের জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী মনির পঞ্চায়েত আলম পঞ্চায়েত,জাকির হাওলাদার, গফফার হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার, মাসুম পঞ্চায়েত, ইউনুছ ফকির ও খলিল ফকিরসহ বিভিন্ন ব্যাক্তিরা সওজের জমি দখল করে ১৫টি ঘর তুলে বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা না সরোনোয় বুধবার দুপুরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান।

আমতলী উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব নাজমুন আরা সুলতানা বলেছেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। সরকারী চাকুরীজীবিদের পাশাপাশি  সকল শ্রেণির মানুষের সুরক্ষায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। ১৮ বছর থেকে ৫০বছর বয়সী ব্যাক্তিরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রবাসী, বেসরকারী চাকুরীজীবি, অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও স্বল্প আয়ের ব্যাক্তিরা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীজন অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী, মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মিজানুর রহমান, বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মজীবনে উপার্জিত টাকার কিছু অংশ পেনশন স্কীমে বিনিয়োগ করে একজন নাগরিক নিশ্চিত করতে পারেন তার আর্থিক নিরাপত্তা। স্বামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আসার আহবান জানান তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে মাটিরাঙ্গার সকল ইউনিয়নে অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হবে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

অবহিতকরণ সভা শেষে গোমতি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও আলেক চেয়ারম্যান পাড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-নচিব নাজমুন আরা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন সহ ২০জন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় স্পট রেজিস্ট্রেশন করেন। এসময় তাদের হাতে পেনশন স্কীমের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট তুলে দেন খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) নাজমুন আরা সুলতানা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে ২ ইটভাটা মালিককে কাঠ পোড়ানোর দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইট-ভাটায় কাঠ খরি  পোড়ানোর অপরাধে দুই ভাটা মালিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ফকিরটলি ও রাতোর ইউনিয়নের শখের টাউন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান। 
 
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটায় কাঠ,খরি পোড়ানো হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও  এক্সিকম্যাজিস্ট্রেট।  উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের এনইবি ব্রিকস ও রাতোর ইউনিয়নে পদ্ম ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায়। দুই ইটভাটা মালিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান বলেন,  ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর আইন অমান্য করে কয়লার পরিবর্তে কাট খরি পোড়ানোর দায়ে ২ ইটভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

আরও খবর



দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকেঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সুচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙ্গামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙ্গামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আরও খবর



আত্রাইয়ে তীব্র গরম,দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:বৈশাখের শুরুর দিন থেকেই নওগাঁয় আত্রাইয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তাপমাত্রা বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।বিশেষ করে গাড়ি চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট বেড়েছে অনেক বেশি।

তীব্র গরমে ছন্দপতন ঘটেছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। জীবিকার তাগিদে প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেও তারা ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারায় এবং রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভাটা পড়েছে তাদের আয়ে।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের প্রচন্ড তাপে নাজেহাল অবস্থায় রিকশাচালক, পথচারী, হকার, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে আছেন। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা ও কেউবা আবার মাথায় মাথাল ব্যবহার করছেন। আবার গরমে হাঁপিয়ে ওঠা অনেকে ক্লান্তি দূর করতে সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে শরবত পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের সিএনজি চালক রায়হান আলী বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। অন্যদিকে, আগের মতো ভাড়া পাওয়া যায় না।

আবার বেশি সময় ধরে রিকশা চালানোও যায় না। অল্পতেই পানি পিপাসা পায়। এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় বের হতে হয়। কষ্ট পাচ্ছে প্রাণিকুল। এদিকে কৃষকদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মাঠের কার্যক্রম।উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। খুব বেশি সময় মাঠে থাকা যায় না। অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে নওগাঁর নদ-নদীর পানি। ফলে চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য পানি পেতে কষ্ট পেতে হবে চাষিদের। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জনজীবন।

শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান তিনি বলেন, আগে এরকম গরম দেখিনি। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। একটু হাঁটার পরপরই বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। গরমে দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় কমে গেছে।

শনিবার নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর