
সোহরাওয়ার্দীঃরাজধানীর যাএাবাড়ী থানার অন্তর্ভুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ডের মাতুয়াইল কেরানীপাড়ায় সম্পত্তির লোভে এক নারীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ঐ নারীর নাম মোছলেমা (৩৪) তিনি মাতুয়াইল কেরানীপাড়া হোল্ডিং-১/৬/এ লেন-০১ রোড নং-১ কেরানীপাড়া মাতুয়াইল থানা যাত্রাবাড়ি এলাকার মৃত-জুলহাস মিয়া ও মৃত শামসুন্নাহার এর কন্যা।গত ২১মে শনিবার এ ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মফিজুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এস.আই নাদিম মুন্সী মামলাটি তদন্ত করছেন।মামলার আসামি নাম, খোরশেদ আলম পিতা- মরহুম জুলহাস মিয়া-মেম্বার ও তার স্ত্রী নুর জাহান বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার দিন মরহুম জুলহাস মিয়া মেম্বারের জ্যেষ্ঠ পুত্র খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী মিলে সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্য ছোট বোন মোসলেমাকে রাস্তায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। মোসলেমা আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী দৌড়ে পালিয়ে যায়, পরে স্থানীয় লোকজন মোসলেমাকে উদ্ধার করে কোনাপাড়ার মেডিহোপ ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোসলেমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
অনুসন্ধান করে জানা যায়,মাতুয়াইল কেরানীপাড়া নিবাসী মরহুম জুলহাস মিয়া মেম্বার ও তার স্ত্রী মৃত শামসুন্নাহার সংসারের ৩(তিন) ছেলে ৭(সাত) মেয়ে রেখে তারা পরলোক গমন করেন, বাবা মা মারা যাওয়ার পর থেকেই বড় ছেলে খোরশেদ আলম সম্পত্তির লোভে সব ভাই-বোনদের উপর মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে, এমনকি মৃত মায়ের টিপসহি ও স্বাক্ষর নকল করে জাল দলিল তৈরি করে সম্পত্তি লুটে নেওয়ার চেষ্টাও করেছে অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে অন্যান্য ছোট ভাই-বোন একত্রে আদালতে দলিল বাতিলের মামলা করে রায় পেয়েছে,এরপরও খোরশেদ আলম ক্ষান্ত হয়নি শুরু করে নানান কুটকৌশল ও তাল বাহানা। এমনকি হুমকি ধামকি দিয়ে নিরীহ বোনদের কাছ থেকে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার পায়তারা চালিয়ে আসছে।এরই জের ধরে ছোট বোন মোসলেমাকে বিভিন্ন রকমের হুমকি ধামকি দিয়েও যখন লাভ হলো না তখনই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে চালিয়েছে এই অতর্কিত হামলা৷
ভুক্তভোগী মোসলেমা জানান,গত ২১/৫/২০২৩ ইং বিকাল আনুমানিক ৬:০০ ঘটিকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে ফাঁকা রাস্তায় আমি কর্মস্থল হতে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় হঠাৎ অতর্কিত পিছন দিক থেকে আমাকে ধাক্কা মারে, আমি ঘটনাস্থলে মাটিতে পড়ে যাই,পরে দেখতে পাই খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী নুর জাহান আমাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারধোর করছে,খোরশেদ আলমের স্ত্রী তার গায়ের ওড়না দিয়ে আমার হাত বেঁধে ফেলে এবং খোরশেদ আলম আমার দুই পা চাপ দিয়ে ধরে রাখে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।