Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিংড়ায় কৃষি উপকরণ বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৯৬জন দেখেছেন

Image

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২৩- ২৪ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, গম, ভূট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারি বীজ এবং সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব বিতরণ করেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ। উল্লেখ্য, উপজেলার ৭২২০ জন কৃষকের মাঝে পর্যায়ক্রমে এ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হবে।


আরও খবর



১৫৭ উপজেলায় মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বিতীয় ধাপে দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনসের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশের ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৫৭ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

এদিকে নির্বাচনের কারণে ওই দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ব্যাংক বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসি ঘোষিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে রংপুর বিভাগের ২১টি, রাজশাহী বিভাগের ১৯টি, খুলনা বিভাগের ২৫টি, বরিশাল বিভাগের ১৪টি, ঢাকা বিভাগের ৩০টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র তাপদাহে পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এর আগে খেটে খাওয়া মানুষসহ সড়কে থাকা নারী-পুরুষ সবাইকে এ গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় পল্লবী থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর উদ্যোগে  দিনভর রাজধানীর পল্লবী থানা  এলাকার বিভিন্ন সড়কে থাকা প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। এ সময় পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান  বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশক্রমে পল্লবী থানা এলাকায় পথচারী, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করানো হচ্ছে। এই প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশুদ্ধ পানি সাধারণত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পথচারী ও অন্যান্যদের মধ্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছি। তাপদহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভ্রাম্যমান গাড়ির উপরে তৈরি করা হয়েছে 'ওয়াটার বুথ'। আর এই বুথ থেকেই পথচারী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষ বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করছেন সকলে। প্রয়োজনে দেওয়া হচ্ছে ওরস্যালাইনও। এ বুথেও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন পল্লবী থানার বিভিন্ন পুলিশ সদস্যরা।

আরও খবর



মাগুরাসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরাসহ অতিরিক্ত তাপ দাহে জ্বলছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষ।  মাগুরা জেলায় অসহনীয় অবস্থায় পড়েছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলা। যেখানে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা এসেছে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এই খরতাপে ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা।সেখানে এই নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলা গরমের জ্বালার থেকেও পেটের জ্বালা অনেক বড় হয়ে উঠায় এই তাপদাহের মধ্যেও নিজেদের রোজগারের আশাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে।

মাগুরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো যেখানে অতিরিক্ত যানজট নাস্তানাবুদ অবস্থা লেগেই থাকতো। সেখানে শহরগুলো একেবারে জনশুন্য হয়ে পড়েছে। আর একারনে শহরের দোকানপাট খুলে বেচাকেনার আশায় বসে থাকা ব্যবসায়ীরাদের বেচাকেনা  আশাঅনুরূপ হচ্ছেনা। আর যারা  রিক্সা চালিয়ে,ভ্যান চালিয়ে দিনমজুরের মাধ্যমে নিজেদের দৈনন্দিন ও পারিবারিক চাহিদা মেটাত তারা পড়েছে মহা সংকটে।তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। শহরে লোক না থাকলে তাদের রিকসায় উঠবে কারা। তারপরও

তাদের পরিবার পরিজনের আহার জোটাতে  এ তাপদাহের মাঝেও বেরহতে হচ্ছে রাস্তায়। অনেক কষ্ট করে চালাতে হচ্ছে তাদের সংসার। জনৈক রিক্সা শ্রমিক জানান, বাড়িতে তিন সন্তান স্ত্রী ছাড়া ও পিতা মাতা রয় সংসারে প্রতিদিন ৮ /৯ শ' টাকার বাজার করা লাগে । তাই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আর গরমে শরীর জ্বলে গেলেও রিক্সা চালাতেই হবে, ইনকাম করতেই হবে।কারণ পেটের জ্বালা সব থেকে বড় জ্বালা।

তাই সরকারীভাবে  ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করলেও  ঘরে থাকার কোন উপায় নেই। একটা দুইটা টিপ মেরে চলছি। চায়ের দোকানে গিয়ে পানি খাই বুক ফেটে যায়। তবে মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন গত কয়েকদিন ধরে শহরে পথচারি, রিক্সা অটো শ্রমিকদের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছে। অপরদিকে পৌর সভা প্রতিদিন শহরের রাস্তাগুলোতে পানি ছিটিয়ে ঠান্ডা করছে। গ্রাম এলাকার মানুষ ঠান্ডার আশায় ঘরবাড়ি ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছে।  এ অবস্থার মধ্যেও বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষকে নিদারুন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। মাগুরা শহরের কয়েকটি হোটেল মটরের মাধ্যমে পানির ঝরনা সৃষ্টি করে ঘরে চালা ঠান্ডা করেছে। এদিকে গরমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া হীট স্টোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব রুগী নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ হীমসিম খাচ্ছে।  গত ২০ এপ্রিল মাগুরায় ৪o.০৬ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা ছিল। রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় টায় মাগুরায় ৩৪ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা বিরাজ করে।


আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর



ভারী বৃষ্টিতে বন্যা, ৩৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এ বন্যায় কমপক্ষে ৩৯ জন মারা গেছেন এবং ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের

আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্যটিতে এবারের ঝড় ও বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নদনদীর পানি এখনো বাড়ছে, বহু এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪