Logo
আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিইসির সঙ্গে এসবি প্রধান মনিরুলের বৈঠক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে  ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ‍উপস্থিত ছিলেন। তবে কি বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানা যায়নি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিকেলে বৈঠক করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

সেদিন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদকেও ইসিতে দেখা যায়। এরপর সারা দেশে ওসি ও ইউএনওদের বদলির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি জারি করে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, দেশের তিনজন জেলা প্রশাসককে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তবে কোন কোন জেলা প্রশাসককে বদলি করা হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে, গত ৭ নভেম্বর সিইসি সাথে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেন দেশের তিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান।

তারা হলেন-প্রতিরক্ষা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের এবং এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।

ওই বৈঠকে সিইসি ছাড়া অন্য কেউই উপস্থিত ছিলেন না। তিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান পৃথকভাবে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের তিন স্থানে সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দেশের তিন স্থানে সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে আলপনা উৎসব ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১।’ দেশের সর্ববৃহৎ এ আলপনা উৎসব গত ১২ এপ্রিল প্রথমে শুরু হয় কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে। মিঠামইনের জিরোপয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক আলপনায় রাঙিয়ে তুলছেন শিল্পীরা, যার মাধ্যমে উদ্যোগ করা হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম আল্পনার রেকর্ড গড়ার। এরপর, গত ১৩ এপ্রিল খুলনার শিব বাড়ি মোড় ও ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতেও একযোগে শুরু হয় এ উৎসব।

আজ পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) মিঠামইন এলাকার আল্পনা অঙ্কন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।

‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’ -এর ঢাকার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম,; এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটি’র চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নূর, এমপি; গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, চিফ অপারেটিং অফিসার ও ডিরেক্টর মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও বরেণ্য শিল্পী মো. মনিরুজ্জামানসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবৃন্দ।

খুলনার শিব বাড়ি মোড়ে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল; খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ইন্টারনাল অডিট ডিরেক্টর মোহাম্মাদ মাহবুব ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ক্লাস্টার ডেপুটি ডিরেক্টর মো. মারুফ হোসেন চৌধুরী; এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শাকিল এম হুমায়ুন।

এ আয়োজন নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী বলেন, “ দীর্ঘতম আলপনা আঁকার মাধ্যমে এই ওয়ার্ল্ড রেকর্ড প্রতিস্থাপনে বার্জার এর অংশগ্রহন আমাদের সীমানা ছাড়িয়ে এক ইতিহাস গড়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নজির করে। আগামী বছরগুলোতেও আমরা এমন রঙিন এবং স্মরণীয় বৈশাখী উৎসবের প্রত্যাশা করছি।"

আবারও ‘আল্পনায় বৈশাখ’ আয়োজনের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটি’র গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের বলেন,”আল্পনায় বৈশাখ’র দেশব্যাপী এ আয়োজন বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরা ও বাংলাদেশের সৃজনশীলতারই উদযাপন। 'আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’ উৎসবে বাংলালিংক ও বার্জার পেইন্টস কে সাথে পাওয়া আমাদের আয়োজন ও উদযাপনকে সম্পূর্ণ করেছে। এশিয়াটিকে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সৃজনশীল চেতনাকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরায় বিশ্বাস করি।”

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান তার উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন উৎসব উদযাপনে বাংলালিংক গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পহেলা বৈশাখ—দেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ উৎসব আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও প্রসারে বাংলালিংকের নিবেদনেরই প্রতিফলন।”

পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব ও সাংস্কৃতিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক বাংলাদেশে আল্পনা একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হিসেবে বহিঃপ্রকাশ করছে। তাই, নতুন বছরকে বরণ করার জন্য এই আল্পনা অঙ্কন একটি অনন্য ধাপ; যা যুব সমাজকে অস্প্রাদায়িকতা ভুলে একত্রিত হতে শেখাবে; একসাথে সব বিবেধ ভুলে, আগামীর পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ আয়োজনে ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড মানিক মিয়া এভিনিউসহ দেশের নানা প্রান্তে ‘আল্পনায় বৈশাখ’ শীর্ষক আল্পনা অঙ্কনের আয়োজন করে আসছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত কয়েক বছর তা আয়োজিত হয়নি। অবশেষে, এ বছর অষ্টমবারের মতো ‘আল্পনায় বৈশাখ-১৪৩১’ সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীতে তীব্র তাপদাহের মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে।আজ শনিবার সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। 

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



ডেমরায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ২৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজধানীর ডেমরা এলাকার সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। এখানে ট্রাফিক পুলিশ প্রচন্ড দাবদাহে পুড়েও নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছে।বাসের চালক- হেলপার সহ পথচারীদের সচেতন করা এবং ট্রাফিক আইন ও নিয়ম কানুন মেনে চলতে উৎসাহিত করছেন প্রতিনিয়ত। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো,অবৈধ পার্কিং নিরুৎসাহিত করা, দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন টিআই জিয়া।ডেমরা,ষ্টাফ কোয়াটার, হাজী নগর, বাঁশের পুল,দেইল্লা সহ আশেপাশের এলাকার ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, মিশুক নসিমন, করিমন ভটভটি, প্রধান সড়কে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে কঠোর নজরদারি রাখছে ট্রাফিক পুলিশ। 

ডিএমপি ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর নির্দেশে টিআই জিয়ার নেতৃত্বে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে সবসময় তৎপরতা চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কনষ্টেবল। অবৈধ পার্কিং করলে যানবাহন রেকার করে জরিমানা আদায় করছে। সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে যা কিছু দরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ষ্টাফ কোয়াটার এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া উদ্দিন বলেন,আমরা সবাই যদি ট্রাফিক আইন ও নিয়ম-কানুন মেনে চলি, তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবেই।’

তিনি আরো বলেন,ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটি জাতির সভ্যতার প্রতীক। সড়ক দুর্ঘটনারোধে চালক, মালিক ও পথচারীদের দায়িত্ব রয়েছে। সবাই সচেতন হলে ট্রাফিকের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত কাজ করছে।

এতসব ভালো কাজের পরেও নানা সময়ে বিভিন্ন মহলের বেআইনি অন্যায় আবদার রক্ষা না করায় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। কখনো অপপ্রচার চালিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়।

তবে সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ডেমরা ষ্টাফ কোয়াটার এলাকার ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনায় দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর

জিয়া।


আরও খবর



রৌমারীতে এলডিডিপি প্রকল্পে দুর্নীতি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব শেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের একাউন্টে টাকা আসলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৌশলে তাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ছাগল ও মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিংহভাগ টাকা পকেট অস্ত্র করেন।

সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রের মতে, উপকারভোগীদের একাউন্টে প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের পরিবেশ বান্ধব ঘর তৈরির কথা থাকলেও সংশিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সে সুযোগ না দিয়ে নিজেরাই এসব ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজের শুরুতেই এলডিডিপি প্রকল্পের প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার শুরু করলে দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তা দ্বয় উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দেয় । 

অভিযোগ উঠেছে , এসব পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণের জন্য ৯৭ জন উপকার ভোগীর জন্য ২৫ হাজার করে এবং ৩৪ জন উপকারভোগীর জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র সাত আট হাজার টাকায় প্রতিটি সেড নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবেই অবশিষ্ট সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, "আমাদের কাছ থেকে প্রথমেই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি  নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তীতে ওই একাউন্টে সেড নির্মাণের বরাদ্দ আসলে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তারা ছাগল রাখার ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থে শেড নির্মাণের জন্য উপকারভোগীদের সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া হয়। এছাড়াও সেড ঘরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। এসব অর্থ খরচের বৈধ কোন ভাউচার পাওয়া যায়নি।  

উপকারভোগীদের বরাদ্দে টাকার পরিমানে কমবেশি থাকলেও সরজমিন ঘুরে ১৩১ টি ঘর একই রকম পাওয়া গেছে। যার প্রতিটি ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৪ টি ঘর নিমার্ণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

একাধিক উপকারভোগীর দাবী, "বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আমরা সেড নির্মাণ করলে শেডগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং টেক সই হতো। যা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেত। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা শেড গুলো অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন উপকারভোগীকে ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন ঠিকাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত কৌশলে উপকারভোগীদের নামে আসা বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। 

এদিকে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম ব্যবহার না করায় উপকারভোগীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার কথা থাকলেও  ওই কর্মকর্তারা তা না করে শেড ঘরের মেঝে পাকা করার জন্য উপকারভোগীদের কাছে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আমাদের কাছ থেকে চেকে সই করে তারা টাকা উত্তোলন করেন। যে ঘর নিমার্ণ করে দেন তা একে বারেই নি¤œমানের।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমরা বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। নি¤œমানের শেড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। শেড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এগিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।



আরও খবর



বগুড়ায় এবার পিতার চাকুর আঘাতে প্রাণগেল শিশুকন্যার,পিতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সাগাটিয়া গ্রামে পিতা আব্দুর রহিমের চাকুর আঘাতে প্রাণ গেল শিশুকন্যা রাহী মনি (৭)। বগুড়ার কাহালু থানা পুলিশ রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়: বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার সাগাটিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র আব্দুর রহিম তার শিশু কন্যা রাহী মনিকে পড়তে বসতে বললে সে পড়তে না বসায় দিনমজুর আব্দুর রহিম রাগান্বিত হয়ে অসাবধানতা বসত তার হাতে থাকা ব্যাগ দিয়ে শিশুকন্যা রাহী মনিকে আঘাত করলে ব্যাগের ভিতর থাকা চাকু রাহী মনির শরীরের উরুতে ঢুকে যায়।গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে কাহালু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাহী মনি কাহালু সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার ১ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। 

বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম-সার্কেল) ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিম উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তবে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর