Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করছি: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এভাবে সশস্ত্র বাহিনী আজ জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আজ সোমবার দেয়া এক বাণীতে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করছি।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। এ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল এবং প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরো অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট গঠন করেন। তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভারত ও যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার ইত্যাদি বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালেই একটি প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। দুর্ভাগ্য, জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বাঁধাগ্রস্থ হয় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করি। নতুন প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরি। সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’, ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করি। আমরাই সর্বপ্রথম ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতা অর্জন করে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা এ দিনে সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন।

শেখ হাসিনা বলেন, দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবেন এমন আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ। বাণীতে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

একই সাথে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর



নিজ নির্বাচনী আসনকে বেকারত্ত্ব ও দারিদ্রমুক্ত করার অঙ্গীকার হুইপ স্বপনের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ  আল মাহমুদ  স্বপন বলেন,আমরা জনগণের প্রথম চাহিদাগুলো পূরণ করে একটা জায়গায় এসেছি। এখন আমাদের টার্গেট বেকারত্ত্ব ও দারিদ্রমুক্ত আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট-২) উপজেলা গড়ে তোলা। এই স্বপ্ন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী ২০২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ সালের এই চার বছরের মধ্যে আমরা এই তিন উপজেলাকে বেকারত্ত্ব ও দারিদ্রমুক্ত গড়ে তুলবো। এতে যত রকমের কাজ করার দরকার আমরা সমস্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজগুলো করবো।তিনি বলেন, আক্কেলপুর পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আগামীতে আরও রাস্তাঘাট-হাট বাজারের উন্নয়ন হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আবারও নৌকা ভোট দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।  হুইপ স্বপন বলেন, যদি কেউ এক-এগারো করার দুঃস্বপ্ন দেখছেন বা অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবেন তারা সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডিত হবেন।  

তিনি আরও  বলেন, যদি কোন বিদেশি নাগরিক অসাংবিধানিক পন্থায় দেশের ক্ষমতা রদবদলের চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধেও দেশের যেকোন নাগরিক সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করলে সেই ব্যক্তিও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবার মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের আমলে আসবেন। এমন কাজ যদি কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠি করে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের আর কেউ মামলা না করলেও আমি একজন নাগরিক হিসেবে তার বিরিদ্ধে মামলা করবো। সুতরাং এমন কাজ কেউ করার আগে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ পাঠ করবেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সরকারি ফজর উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আক্কেলপুর পৌরসভা আয়োজিত গণ-সংলাপে এক-এগারো নিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে হুইপ স্বপন এসব কথা বলেন।আক্কেলপুর পৌর এলাকার উন্নয়ন, নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও দারিদ্র দূরীকরণ বিষয়ক এই গণ-সংলাপে নানা প্রশ্ন তুলে ধরেন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ। তাদের সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ কবিরাজ বলেন, গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু সমস্যা নিয়ে হুইপ মহোদয়কে প্রশ্ন করেছিলাম। হুইপ মহোদয় বিষয়গুলো দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

হাস্তাবসন্তপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০ ঘরের বাসিন্দারা একটি পুকুর চাষ করতেছে। আর আমরা ১৭৫ ঘর পুকুর থেকে বঞ্চিত। পুকুর পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হুইপ মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। হুইপ মহোদয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী। 
এ  গণসংলাপ অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর



৩০০ আসনেই নৌকার প্রার্থী থাকবে: কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে আমরা নিরপেক্ষতা প্রমাণ করে দেব। এরপর দেশি বিদেশি নানা জল্পনা কল্পনা ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে নমিনেশন দেওয়া হলেও শরিকদের জন্য ১০০ আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। ৩০০ আসনেই নৌকার প্রার্থী থাকবে। কোথাও প্রয়োজন হলে সেখানে সমন্বয় করে ছাড় দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোটে কারা কারা নমিনেশন চায়, আমাদের আগে বুঝতে হবে। চৌদ্দ দলের সঙ্গে আমাদের জোট আছে। তারা কারা কারা প্রার্থী সেটা দেখি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। আমরা অবজারভ করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর



মানুষ পুড়িয়ে কিছু অর্জন করা যায় না: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের অকল্যাণ করে কিছু অর্জন করা যায় না। একদল মানুষ অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে মানুষকে পোড়াতে পারে তারা! এভাবে কিছু অর্জন করা যায় না। তাদের চেতনা ফিরে আসুক।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এ বীরশ্রেষ্টদের উত্তরাধিকারী ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে পাঁচজন সেনা, তিনজন নৌ ও তিনজন বিমান বাহিনীর সদস্যদের শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা ধরনের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সেসব অতিক্রম করছি। আরও সচেতন হতে হবে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির ধারা অব্যহত রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি ছেলেমেয়ে যাতে উন্নত জীবন পায়, সে লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে সবসময় মাথায় রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা একটি বিজয়ী জাতি।

ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর



ফিলিপাইনে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ প্রান্তে বুরিয়াস থেকে প্রায় ১৬ মাইল দূরে সমুদ্রের তলদেশে ৭.২ মাত্রার এ ভূকম্পনটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন সুনামির আশঙ্কা করা হচ্ছে না তবে আফটারশকের আশঙ্কা রয়েছে, এর জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ কোটাবাটোর জেনারেল সান্তোস শহরের রেডিও উপস্থাপক লেনি আরানেগো বলেছেন, শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেওয়ালে ফাটল তৈরি হয়েছে এবং ডেস্ক থেকে কিছু কম্পিউটার পড়ে যায়। ভূমিকম্পের পর শহরের একটি বিমানবন্দরের যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

গবেষকরা ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬.৭ থেকে ৭.২ মাত্রার মধ্যে রেখেছেন।

ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, যে ভূমিকম্পটি ছয় মাইল গভীরতায় আঘাত হানে। প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে আগ্নেয়গিরির একটি ভূমিকম্প প্রবণ বেল্ট যাকে ‘রিং অফ ফায়ার’ বলা হয়, ফিলিপাইন সেই অঞ্চলে অবস্থিত।


আরও খবর

ভারতের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




সীমাহীন দুর্নীতির কারণে জনগনকে মোকাবেলা করতে ভয় পায় বিএনপি :মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ¦ এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি বার বার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই। কিন্তু তারা কিভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়? এটা আমার জানা নাই। কাজেই তাদের এটা ভুল সিদ্ধান্ত। বিগত দিনেও এটা বার বার প্রমানিত হয়েছে, ভবিষতে এটা প্রমানিত হবে। নির্বাচনে না আসা তাদের সিদ্ধান্ত ভুল।

নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোন উপায় নেই। আর আমরা সব সময় প্রতিযোগীতা বিশ^াস করি। কিন্তু তাদের কি এমন দুর্বলতা? হয়তো তাদের শাসন আমলে সীমাহীন ব্যর্থতা ও দুর্নীতি ইত্যাদি কারণে তারা জনগনকে মোকাবেলা করতে ভয় পায় বলে আমার ধারণা।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারন সিকদার মোশারফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেন জয়, সাধারণ সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়সহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এসময় দলের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে নৌকার এ প্রার্থী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যারা আসছেন, তারাও দলের লোক। এটা কোনো সমস্যা নয়। একাধিক প্রার্থী তাদের কথা বলতে পারে ও চাইতে পারে। তবে জনগন কখনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। এদেশের ভোটাররা সারা জীবনই এটা প্রমাণ করেছেন। কাজেই আগামী সিদ্ধান্ত জনগন ভুল করবে না। এটা আমি শতভাগ আস্থা রাখি। শুধু গাজীপুর-১ আসনেই নয় সারা দেশেই এরকম প্রার্থী আছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ভোটারদের কাছে যাবো, তাদের সাথে স¦াক্ষাৎ করবো। সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে জনগণের কাছে ভোট চাইবো। তাদের বলবো আমি একজন একটি দলের প্রার্থী। আমাদের দলের যে মেন্যুফেস্টু আছে, সেটা বাস্তবায়নের জন্য জনগনের রায় চাইবো। বাকীটা জনগনের ইচ্ছা। তবে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ব্যক্ত করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, গাজীপুর-১ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও এ পর্যন্ত ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। এছাড়া ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৫ জানুয়ারী থেকে প্রচার- প্রচারণা শুরু হবে। ৭ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনী মাঠে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।


আরও খবর