Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সেই টাইটানিক, যা আগে দেখেনি কেউ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৪৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ দুর্ঘটনায় টাইটানিক নামের যে বিলাসবহুল জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই প্রথম তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এসব ছবি আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার (১২ হাজার ৫০০ ফুট) নিচে ডুবে থাকা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান যা ‘গভীর সমুদ্র ম্যাপিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

এর ফলে পুরো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা! এই তিন মাত্রার দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে যেন সমুদ্রের তলদেশে পরিত্যক্ত বিশাল আকারের এই জাহাজটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।

ছবিতে টাইটানিকের খুঁটিনাটি জিনিসও দেখা যাচ্ছে

আশা করা হচ্ছে, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিতে কী ঘটেছিল এসব দৃশ্য থেকে সে সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাবে। জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। টাইটানিক যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল।

টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পার্কস স্টিফেনসন বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন আছে, মৌলিক কিছু প্রশ্ন। যেসবের উত্তর জানা প্রয়োজন। টাইটানিকের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনার ওপর ভিত্তি করে কোনো গবেষণা নয়, বরং তথ্যপ্রমাণ ভিত্তিক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই মডেল বড় ধরনের প্রথম কোনো পদক্ষেপ।’

শতাধিক বছর ধরে পানির নিচে পড়ে থাকার পরেও টাইটানিকের সামনের অংশ দেখলেই চেনা যায়

সমুদ্রের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৮৫ সালে। এরপর থেকে জাহাজটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এটি এতো বিশাল ও সমুদ্রের গভীরে এতো অন্ধকার যে ক্যামেরা দিয়ে এতদিন এর যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলোর সবই ছিল এই ক্ষয়িষ্ণু জাহাজের কিছু অংশের ছবি বা স্ন্যাপশট। তবে কখনোই ডুবে যাওয়া পুরো জাহাজের ছবি পাওয়া যায়নি। এখন এই নতুন অনুসন্ধানে সমগ্র টাইটানিকের ছবি পাওয়া গেল।

সমুদ্রের তলায় যেভাবে পড়ে আছে

দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের তলায় জাহাজটি দুটো অংশে ভাগ হয়ে পড়ে আছে। জাহাজের অগ্রভাগ যেখান থেকে বাঁকা হতে শুরু করে ওই অংশ এবং জাহাজের পশ্চাদভাগ। এই দুটো অংশের মধ্যে দূরত্ব ৮০০ মিটার (দুই হাজার ৬০০ ফুট)। ভেঙে যাওয়া জাহাজটির আশপাশে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।

২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে ম্যাগেলান লিমিটেড নামে একটি ডিপ-সি ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান যারা এ বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে তারা যৌথভাবে এসব ছবি তুলেছে।

নিমজ্জনযোগ্য একটি বিশেষ জাহাজে করে একদল কর্মী এই জরিপ পরিচালনা করেছে যা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে পুরো টাইটানিকে ছবি তুলতে তারা ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেছে।

নিমজ্জিত জাহাজের প্রত্যেকটি কোণ থেকে তারা সাত লাখেরও বেশি ছবি তুলেছে যেগুলোর সাহায্যে পুরো টাইটানিকের একটি ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়েছে।

জাহাজের পেছনের অংশ

এই অভিযানের পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাগেলান লিমিটেডের গেরহার্ড সেফার্ট। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত পানির নিচে ছবি তোলার যতো প্রকল্প তিনি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।

তিনি আরও বলেন, ‘গভীরতা প্রায় চার হাজার মিটার। আমাদের সামনে ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে সেখানে পানির স্রোতও আছে। আমাদের কোনো কিছু স্পর্শ করার অনুমতি ছিল না, যাতে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আরও ক্ষতি না হয়। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপনাকে প্রত্যেক বর্গসেন্টিমিটারের ম্যাপিং করতে হবে। এমনকি জাহাজের যেসব অংশ আগ্রহ-উদ্দীপক নয় সেগুলোরও। যেমন যেখানে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সেখানকার মাটির ছবি। কারণ জাহাজের বিভিন্ন অংশকে জোড়া দেওয়ার জন্য এগুলোও ছবি প্রয়োজন।

টাইটানিকের যা কিছু দেখা যাচ্ছে

ছবিতে টাইটানিকের বিশালত্বের পাশাপাশি এই জাহাজের একটি প্রপেলারের সিরিয়াল নম্বরের মতো ছোটখাটো বিষয়ও ধরা পড়েছে। জাহাজটির সম্মুখভাগে মরিচা ধরে ঢাকা পড়ে গেছে। তার পরেও শতাধিক বছর আগে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিকে চেনা যায়। এর ওপরেই রয়েছে জাহাজের ডেক যেখানে একটি গর্ত রয়েছে। সেখান থেকে একটা শূন্যতা দেখতে পাওয়া যায় যেখানে একসময় ছিল জাহাজের বিশাল সিঁড়ি।

আর জাহাজের পশ্চাদভাগে বিভিন্ন ধাতব পদার্থের জঞ্জাল। জাহাজের এই অংশটি সমুদ্রের তলদেশে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে। টাইটানিকের আশপাশে বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাহাজ থেকে খসে পড়া অলঙ্কৃত ধাতব বস্তু, মূর্তি এবং মুখ খোলা হয়নি এরকম শ্যাম্পেনের বোতল। সেখানে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও রয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের তলানির ওপর অসংখ্য জুতা পড়ে আছে।

পার্কস স্টিফেনসন, যিনি বহুবছর ধরে টাইটানিকের ওপর গবেষণা করছেন। তিনি বলছেন, ‘এসব ছবি প্রথমবার দেখে তিনি ‘বিস্মিত’ হয়েছিলেন। আপনি জাহাজের এমন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাচ্ছেন যা কখনও দেখা সম্ভব হয়নি। এবং আপনি ডুবন্ত পুরো জাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন। আশপাশের পরিবেশসহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি এটাকে দেখতে পাচ্ছেন। আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন এটাই এখন এই জাহাজের সত্যিকারের অবস্থা।

তিনি বলেন, ‘এসব ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে ১৯১২ সালের ওই ভয়াবহ রাত্রিতে টাইটানিকের ক্ষেত্রে মূলতই কী ঘটেছিল ওই বিষয়ে নতুন কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। আইসবার্গের সঙ্গে কেমন করে সংঘর্ষ হয়েছিল ওই বিষয়ে মূলত আমাদের ধারণা নেই। আমরা এও জানি না, সিনেমাতে যেমন দেখানো হয়েছে সেরকম করে জাহাজের সামনের একপাশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল কী না। জাহাজের পেছনের অংশ গবেষণা করলে টাইটানিক কিভাবে সমুদ্রের তলদেশে আঘাত হেনেছিল সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যেতে পারে।’

সমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, পেছনের অংশ

সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে। পানিতে থাকা অণুজীব বা জীবাণু ক্রমশই এটিকে খেয়ে ফেলছে। এ ছাড়া এর বিভিন্ন অংশ ক্রমশই আলাদা হয়ে খসে পড়ছে।

সমুদ্রে এ রকম একটি দুর্ঘটনার কারণ বুঝতে সময় যে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়েও সচেতন। কিন্তু এখন যেসব ছবি পাওয়া গেল, সেখান থেকে জাহাজের খুঁটিনাটি বিষয়ও বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে যে এখন হয়তো টাইটানিকের আরও অনেক গোপন বিষয় বের হয়ে আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা


আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান।

স্মৃতিসৌধে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এসময় তাদের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। স্বস্ত্রীক তিনি স্মৃতিসৌধে উপস্থিত থেকে প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা এ সময় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।


আরও খবর



গুইমারা রিজিয়ন এর উদ্যােগে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা সেনা রিজিয়ন এর উদ্যােগে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় সকালের দিকে গুইমারা সেনা রিজিয়ন, এর শহীদ লেঃ মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- উদযাপন উপলক্ষ্যে গুইমারা রিজিয়ন এর আওতায় ৪৫০টি দু:স্থ,অসহায় হতদরিদ্র  পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলেদেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল  বলেন, আর্তমানবতা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং যেকোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সকলের জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য ও প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে। পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূর্বের ন্যায় সকলের পাশে থেকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।

 এ সময় গুইমারা রিজিয়নের অন্যান্য সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



সুনামগঞ্জে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু:আহত ২৫,গ্রেফতার ৬

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে পৃথক ঘটনায় এক নারীসহ ৩জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলো- জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২২), একই গ্রামের মৃত নইমুল্লার ছেলে আব্দুল আউয়াল (৫৫) ও দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ধল গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু ফাহিমা বেগম (৩৭)। আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ১০টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার থলেরবন্দ গ্রামের রাস্তার পাশে ওই গ্রামের আশিক আলী বাড়ির সামনে একটি ঘোড়া গাছের সাথে বেঁধে রাখে একই গ্রামের শের আলী। ওই সময় আশিক আলীর ছেলে ফরিদ আলী তার বাড়িতে যাওয়ার সময় ওই বেঁধে রাখা ঘোড়াটি তাকে লাথি মারলে সে আহত হয়। এঘটনার জের ধরে দু‘পক্ষের মধ্যে প্রথমে কাটাকাটি, পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভাবে সমাধান করে দেন। কিন্তু তারই জের ধরে রাত ১২টায় দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ডাকাডাকি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর এই সংঘর্ষের উভয়পক্ষের ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় নুর মোহাম্মদ (২২) কে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আব্দুল আউয়াল (৫৫) কে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া  হচ্ছে।

এমতাবস্থায় আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা আহত আব্দুল আউয়াল ও গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ২টায় নুর মোহাম্মদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে দুইপক্ষের ৬জনকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ও আশেপাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

এদিকে সকাল ১১টায় দিরাই উপজেলার ধল গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু ফাহিমা বেগম (৩৯) তার ১৮ মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহণ করা মোটর সাইকেল যোগে পাশে রনভূমি গ্রামের যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেল থেকে রাস্তা পড়ে যায়। এঘটনায় ওই গৃহবধু তার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়। সেই সাথে তার শিশুকন্যাও। পড়ে  স্থানীয়রা মা ও মেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর গৃহবধু ফাহিমাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর আহত শিশুকন্যাকে ভর্তি করা হয়।

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন ও দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন  চৌধুরী পৃথক ঘটনায় ৩জনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এব্যাপারে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ বুধবার

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নির্ধারণ করা হবে ৩ এপ্রিল (বুধবার)।

সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত এপ্রিল ২০২৪ মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বুধবার দুপর ২টায় ঘোষণা করা হবে। এর আগে, গত ৩ মার্চ টানা ৮তম মাসের মতো ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় এলপিজির দাম। ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। গত ২ জানুয়ারি ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২৬মার্চ) বিকেলে কেক কাটা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সহধর্মিণী, ভুটানের রাজার সহধর্মিণী, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্যদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এদিন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ওয়াংচুকও শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে, সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা।


আরও খবর