Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

শীতের রাতে মোজা পরে ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৭৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : শীতের সময় রাতের ঘুমটা হওয়া চাই আরামদায়ক। অনেকেই ভাবেন, এক জোড়া মোজা রাতে ঘুমের সময় ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা দিতে পারে। রাতে মোজা পরে ঘুমালে ঘুমের ধরনে আসতে পারে পরিবর্তন। সেই সঙ্গে মোজা পরে ঘুমালে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে, আবার টাইট মোজা পরলে স্কিনে র‌্যাশ দেখা দেয়।এমন মনে করে থাকলে আজই আপনার অভ্যাস ত্যাগ করুন। মোজা পরে রাতে ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানলে আপনি নিজেই অবাক হবেন।


উচ্চ রক্তচাপ


ঘুমানোর সময় মোজা পরলে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। আবার আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে মোজা পরে থাকেন, তবে রক্তপ্রবাহ হ্রাস পায়।

পায়ের স্বাস্থ্যবিধি

মোজা নিয়ে ঘুমানো খারাপ স্বাস্থ্যের কারণ হতে পারে। আপনি দেখুন, যদি আপনার মোজা খুব বেশি টাইট হয় বা নিয়মিত পরিষ্কার না হয়, তবে আপনার পায়ে সঠিকভাবে বাতাস চলাচল করতে পারবে না।  

স্কিনে ইনফেকশন

নাইলন বা অন্যান্য উপাদান, যা ত্বকের সঙ্গে মানানসই নয়, সেগুলো দিয়ে তৈরি মোজা পরা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতএব, এমন মোজা বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের সঙ্গে মানানসই। উদাহরণস্বরূপ, তুলো দিয়ে তৈরি মোজাগুলো পরার চেষ্টা করার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া আপনার মোজা নিয়মিত পরিবর্তন করুন।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি

সঠিক মোজা পরা অপরিহার্য, কারণ এটি না করা অতিরিক্ত গরমের কারণ হতে পারে। এমনকি আপনার দেহের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

ঘুমে ব্যাঘাত

টাইট মোজা পরলে আপনার সারারাতের ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটবে। যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয় তবে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন আপনার বিছানায় মোজা পরা উচিত কি না। আপনি যদি ভুল ধরণের মোজা পরে থাকেন তবে ত্বকের বিভিন্ন জ্বালা হতে পারে।

মোজা ছাড়াও যেভাবে পা গরম রাখবেন

গরম তেল দিয়ে পা ম্যাসাজ করতে পারেন। গরম পানিতে পা ধুয়ে কম্বলের নিচে শীত কাটাতে পারেন।হট ওয়াটার বোতল ব্যবহার করুন,যা আপনার পাকে গরম রাখবে। ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে আপনি পা গরম হয় এমন একটি জুতা পরতে পারেন এবং বিছানায় যাওয়ার আগে খুলে ফেলতে পারেন। শীতকালে এ বিষয়গুলো মেনে চললে অনেকটাই সুস্থ থাকা সম্ভব।


আরও খবর

"নোবেলের ম্যাজিক শুধু প্রতারণা"

মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24

ভালোবাসার দিন আজ

বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




শাকিব খান এবার হাজির আমেরিকান মডেল নিয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি;ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’ ছবিটি। এতে তার নায়িকা একজন মার্কিন নারী। যার নাম কোর্টনি কফি। এবার আরেক স্বনামধন্য মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রীর সঙ্গে শাকিব খানের একটি ছবি ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জানা যায়, মার্কিন মডেল কেলসি নটেজের সঙ্গে জুটি বেঁধে নতুন একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। শুটিং করেছেন বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নাসাউতে। এটি শাকিবের নিজের কোম্পানি রিমার্ক-হারল্যানের ব্র্যান্ড লিলির বিজ্ঞাপন।

বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে রিমার্ক এইচবির অপারেটিভ ডিরেকটর হাসান ফারুক বলেন, ‘কেভস বিচ, কোরাল হারবার, ওশেন ক্লাব ও রক পয়েন্টের মতো দৃষ্টিনন্দন ও বৈচিত্র্যময় স্পটে শাকিব খান, কেলসি ও অন্যান্য আমেরিকান কলাকুশলীদের নিয়ে চিত্রায়িত করা হয়েছে বিজ্ঞাপনটি। লিলির সৌন্দর্যবর্ধনকারী পণ্য সমূহের গুণাবলি তুলে ধরার পাশাপাশি এই বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে দেশীয় শিল্পীদের সঙ্গে আমেরিকান আর্টিস্টদের এক অভূতপূর্ব পারফরম্যান্সের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, রিমার্কের সঙ্গে এর আগে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়িকা পরীমনি, অপু বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া ও চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




অল্প সময়ে মানুষের মন জয় করেছেন কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:লাখো শহীদের রক্তে ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সোনার বাংলাদেশে জন নিরাপত্তায় নিয়োজিত অন্যতম বাহিনী “বাংলাদেশ পুলিশ” যা এখন আর আতংকের নাম নয়,পুলিশ মানে হিংস্র মনোভাবের প্রাণী নয়, পুলিশ মানে শুধুই লাঠিপেটা আর ভীতিকর চরিত্রের বেরসিক দায়িত্বশীল নয়, পুলিশ মানে এখন মানুষের ভালবাসার অরণ্য, পুলিশ মানে এখন মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা, পুলিশ মানে এখন সমাজ ও মানবতার সিনবাদ।

গোটা দেশের প্রশাসনিক দায়িত্বরত পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কাফরুল থানার পুলিশ এ পর্যন্ত নতুন নতুন কিছু কার্যক্রম ও মানবিক কাজে নিজেদেরকে একত্রিত করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। এইজন্য কাফরুল থানা  পুলিশ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় মানুষের হৃদয়ে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে ও পুলিশ বাহিনীকে বরেণ্য করেছেন মানবিক পুলিশ  অফিসার (ওসি)  ফারুকুল আলম ।

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ  ফারুকুল আলম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে শুরু করেছি  যুদ্ধ, জনমত গড়ে তুলতে আমরা  বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে ছুটে যাচ্ছি, তেমনি ইভটিজিং ও কিশোর  গ্যাং কালচার রুখতে যাচ্ছি স্কুল-কলেজে। সেবা প্রদানের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা করে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি  । 

২৪ ঘন্টায় ওসিকে ফোনে পাওয়া যায়। জঙ্গিবাদে না জড়ানো, ইভটিজিং না করা, গুজব না ছড়ানোর আহ্বান যেমন রয়েছে, ভাড়া বাড়ির মালিককে সতর্ক করে ভাড়াটিয়া সম্পর্কে খোঁজ রাখার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

এছাড়া তার সাথে রয়েছে দক্ষ চৌকস  অফিসার এসআই রানা। তার নাম ও কাফরুল থানা এলাকার মানুষ মনে রাখবে সবসময়।

আরও খবর



দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকেঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সুচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী’র সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙ্গামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙ্গামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি  বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কেএনএফের ৯ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




মাগুরা জেলা পরিষদের ২২৬ প্রকল্পে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা জেলা পরিষদ এর অনুকুলে ২০২৩- ২৪ অর্থ বছরে এডিপি সাধারণ বরাদ্দের আওতায় গৃহীত  প্রকল্পের চেক বিতরণ করা হয়। ৩১ মার্চ রবিবার দুপুরে এ চেক বিতরণ উপলক্ষে মাগুরা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সানিউল কাদের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেণ। অনুষ্ঠানে জেলার মোট ৩০৮   টি প্রকল্পের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে  ২২৬ টি প্রকল্পে মোট ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার  চেক বিতরণ করা হয়। এ প্রকল্পে মোট ৩০৮ টিতে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি প্রকল্পের চেক বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খোকন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রকৌশলী দীনেশ চন্দ্র সাহা, জেলা পরিষদের সদস্য মন্ডলী ও  প্রকল্পের চেক গ্রহনকারী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে হঠাৎ ঝড়-শিলাবৃষ্টি একরাতে তছনছ গ্রামের পর গ্রাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি;গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শনিবার রাতে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হাওয়া ও ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে এক রাতে তছনছ হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বাড়িঘর ও গবাদি পশু রাখার ঘরের টিনের চাল ফুটো হওয়ায় বিপদগ্রস্থ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।

অপরদিকে আম ও লিচুর মকুল, কাঁঠাল, মাঠের বোরো ধান, কলাবাগানসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের পর গ্রামের কৃষকের মাথায় হাত। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাতে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার তারাবির নামাজ ও রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ। রাত পৌনে ১০টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। আবারও রাত ১টার দিকে আঘাত হানে ঝড়ো হাওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। বসত-ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে ছোট-বড় শিলা। এর সঙ্গে ছিল বৃষ্টির পানিও। আতকে উঠেন ঘুমন্ত মানুষ। মুহুর্তের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বাড়িঘর, ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কেউ কেউ ঘরের চৌকি, আবার কেউ কেউ টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নেন। নষ্ট হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক লাইন, ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল। এ অবস্থায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন গ্রামের পর গ্রামের মানুষ। দুই দফায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতের কবলে পড়ে উপজেলার বহেড়াতলী, গাছবাড়ী, সোনাতলা, কাথাচুড়া, চাবাগান, ঠেঙ্গারবান্দ, বোয়ালী, বর্মণপাড়া, ফুলবাড়িয়া, পাবুরিয়াচালা, বড়ইবাড়ী, কুটামনি, ডাকুরাইল, কোন্দাঘাটা, পিপড়াসিট, গোলুয়া, ঢোলসমুদ্রসহ বিভিন্ন গ্রাম। এই ঝড় ও ভয়াবহ শিলা বৃষ্টির কবলে পড়ে এসব গ্রামের গরু রাখার ঘর ও গবাদি পশুও। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে আম ও লিচুর মকুল, কাঁঠাল, মৎস্য খামার, মাঠের বোরো ধান, কলাবাগানসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের পর গ্রামের কৃষকের মাথায় হাত বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তাদের অভিযোগ, কৃষকের এমন অবস্থায়ও কোনো খোঁজ-খবর রাখেনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। অপরদিকে এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর থেকে বৈদ্যুতিক লাইন ত্রুটি হয়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এসব গ্রাম। ফলে বন্ধ রয়েছে রাইস মিল, মশলা গুড়ার মেশিন, ফ্রিজ, অনেকের মোবাইল ফোনসহ বৈদ্যুতিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র।

ঠেঙ্গারবান্দ এলাকার সাংবাদিক ইমারত হোসেন জানান, হঠাৎ করে রাতে দুই দফায় ঝড় ও ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আমার ৮০ হাত ঘরের টিনের চাল নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু আমার নয় গ্রামের বিভিন্ন লোকের ঘরের চালা ফুটো হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

সম্পূর্ণ টিনের চাল বদলাতে হবে। টিন না বদলালে কোনো লোক তাদের ঘরে বসবাস করতে পারবেন না। তবে এই শিলাবৃষ্টিতে জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মহসিন মিয়া বলেন, ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মাটিতে শিলার স্তুপ জমে গিয়েছিল। এরকম শিলা বৃষ্টি এর আগে কখনো দেখি নাই। অপর ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টিতে কিছু কিছু গ্রামে ঘরের টিনের চাল ঝাজড়া হয়ে গেছে। এছাড়াও গ্রামের পর গ্রামের মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্য খামারীরাও ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের সুপাভাইজাররা জানিয়েছে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সব গ্রামের কৃষকের খুব ক্ষতি হয়নি। কিন্তু চাবাগান গ্রামে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়নি।


আরও খবর