শফিক আহমেদ :রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গত এক সপ্তাহে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন গত সপ্তাহে ১৫ জন। এদের অচেতন অবস্হায় উদ্বার ক
রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ষ্টমাক ওয়াশ করার পর ভর্তি করা হয়।পুলিশ জানায়,-লালবাগ চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে নাদিম হোসেন (৪০), ধানমন্ডিতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন মো. শমসের আলী (৩৯), আসাদগেটে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৪) ও সায়দাবাদ মো. মাসুদ (৩৮), খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে অজ্ঞাতপরিচয় (২২) ও পল্টন থানার গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক।রোববার দুপুর, থেকে ও রাত পর্যন্ত আসাদগেট, ধানমন্ডি, সায়দাবাদ, খিলগাঁও গুলিস্তান ও লালবাগ- আজমপুর পৃথক ছয়টি এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
সোমবার বিকেলে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এসব ঘটনার বিষয় গুলো নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন জানান, সোমবার দুপুর ২টার দিকে লালবাগ চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে নাদিম হোসেন (৪০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী। এসময় তিনি নগদ টাকা-পয়সা সর্বস্ব খুইয়েছেন। পরে তাকে পথচারীরা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।তিনি আরও জানান, আমরা খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চৌরাস্তা পুলিশ বক্স থেকে তাকে অচেতন অবস্হায় উদ্ধার করি। নাদিমের বন্ধু কাজল জানান, নাদিমের বাসা গাজীপুরের কালীগঞ্জে।
পেশায় সে একজন কাপড় ব্যবসায়ী । ঢাকায় মালামাল কেনার জন্য এসে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে নগদ টাকা-পয়সা সর্বস্ব খুয়েছেন ।জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. আরাফাত জানান, তাদের বাসা লালবাগ আমলিগোলায়। তার বাবা উত্তরা একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শনিবার সকালে উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। দুপুরে জানতে পারেন তার বাবা আসাদগেট এলাকায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েছেন। পরে পথচারী তাকে দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।এদিকে, ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শফিউর রহমান জানান, ধানমন্ডি ১২/এ তাকওয়া মনজিদের পাশ থেকে গতকাল রোববার বিকেলে সাড়ে ৪ টার দিকে মো: শমসের (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েছেন।এছাড়া মাসুদের সহকর্মী রবিউল ইসলাম জানান, মাসুদের বাসা যাত্রাবাড়ি শনিরআখড়া এলাকায়।
শ্যামপুর ঢাকা ম্যাচ এলাকায় একটি ডায়িং কারখানায় কাজ করেন। শনিবার সকালে কাজে নারায়নগঞ্জ আড়াইহাজার এলাকায় গিয়েছিলেন মাসুদ। সেখান থেকে কর্মস্থল হয়ে ঢাকায় ফেরার পথে বাসের মধ্যে কৌশলে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তাকে কিছু খাইয়ে টাকা টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে যায়। তিনি জানান, গতকাল রোববার বিকেল ৪ টার দিকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন তিনি। পরে তাকে অচেতন অবস্হায় ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। অপদিকে সোমবার খিলগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তুহিন জালান, রোববার দিবাগত মধ্যরাতে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে অজ্ঞাতপরিচয় (২২) নামে এক যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে রাত দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় ঢামেকের ভর্তি করা হয়।
পরে পাকস্থলি ওয়াশ করে ন মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পল্টন থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ জানান, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পল্টন থানার গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় এক যুবককে অচেতন অবস্হায় উদ্বার করে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, অচেতন যুবকের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তবে, তার কত টাকা খোয়া গেছে সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। তবে মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাজধানীতে হঠাৎ করে অজ্ঞান পার্টির উৎপাত বেড়ে গেছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্হান থেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে অসুস্হ হয়ে হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্হ হয়ে চলে গেছেন।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব