Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

সেচ্ছাসেবক দলের নেতার মুক্তির দাবিতে তানোরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২১২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার আলম বিপুলের মুক্তির দাবিতে তানোরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পৌর এলাকার  তালন্দ বাজারের মুল সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে হাট চত্বরে পৌর ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুর মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মাহফুজুর রহমাম।

হাজী আবু রায়হানের সনঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ। প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হামিদুর রহমান,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন সারা দেশব্যাপী যখন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে তখন তারা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত  ২৪ মে দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কে আওয়ামী পুলিশ লীগ গ্রেফতার করে মামলা দিচ্ছেন। গ্রেফতার ভয়ভীতিতে আর কোন কাজ হবে না। যত গ্রেফতার হবে ততই আন্দোলন জোরদার হবে। সেটা ফ্যাসিষ্ট অবৈধ সরকার বুঝে গেছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকে মুক্তি দেওয়া হোক, তানাহলে পাড়ায় পাড়ায় আন্দোলন শুরু হবে বলেও হুশিয়ারি দেন বক্তারা। এসময় সেচ্ছাসেবক, যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রামগড় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৮কেজি গাঁজসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল  প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে  অবৈধ মাদকদ্রব্য ৮ কেজি গাঁজা সহ মো. রফিকুল ইসলাম(৩৭) নামের এক মাদক কারবারিকে  গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মহোদয় এর নির্দেশনায় এবং দক্ষ নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলার সকল স্থানে পুলিশি অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে  রামগড় থানার চৌকস আভিযানিক দল রামগড় থানা এলাকায় নিয়মিত মাদক উদ্ধার ও  বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় থানাধীন ১নং রামগড় ইউপির ৭নং ওয়ার্ড পশ্চিম বলিপাড়া বাজারস্থ জনৈক নুর উল্ল্যাহ এর পান দোকানের সামনে অভিযান পরিচালনা করে  মো. রফিকুল ইসলাম(৩৭) কে ৮কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন-মো. রফিকুল ইসলাম(৩৭) দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউপির ৪নং ওয়ার্ড বাঁচামেরুং এলাকার 
মৃত ওমর আলীর ছেলে।

রামগড় থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে আসামীর নিজ হেফাজতে হইতে ২টি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় ৪কেজি করে ৮ কেজি নেশাজাতীয় গাঁজা কাচা মরিচ দ্বারা বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় গাঁজা সহ আসামীকে  আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতঃ আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

আরও খবর



প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক মেটলাইফের সাথে চালু করলো ব্যাঙ্কাসুরেন্স

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৩৬জন দেখেছেন

Image

 মুশফিকুর রহমানঃ 

স্ট্যার্ন্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্যাঙ্কাসুরেন্স পরিসেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। মূল্যবান গ্রাহকদের সর্বাত্মক আর্থিক সমাধান দিতেই এই কৌশলগত উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। এই অংশীদারিত্ব স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বিস্তৃত শাখা ও ডিজিটাল চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে বিস্তৃত বীমা পণ্য ও পরিসেবাসমূহ পেতে সুযোগ করে দেবে।


ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্সের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কাসুরেন্স দক্ষ ও যতœ সহকারে তৈরি করা আর্থিক পণ্য ও পরিসেবাসমূহের জন্য গ্রাহকদের জন্য ওয়ান স্টপ সল্যুশন নিয়ে এসেছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের গ্রাহকেরা যারা ব্যাঙ্কাসুরেন্স সুবিধা পাবেন তারা কাস্টমাইজড বীমা পরিকল্পনা উপভোগ করবেন, দাবি প্রক্রিয়া সহজ ও তরান্বিত করা, ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফি দেওয়ার সুযোগ ও এককভাবে রিলেশনশিপ ম্যানেজারদের সেবা পাবেন। বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও মেটলাইফ বাংলাদেশে গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড হলো দেশের প্রাচীনতম ব্যাংক, যাদের ১১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে উপস্থিতি রয়েছে, আর মেটলাইফ বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় জীবন বীমাকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের সহজে জীবনবীমা পন্য পেতে এবং তাদের সম্পদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই যৌথ উদ্ভাবনী এবং গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাঙ্কাসুরেন্স সেবা।


স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন,বাংলাদেশে সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি ব্যাঙ্কাসুরেন্সের পক্ষে কাজ করছি – কারণ স্থানীয়ভাবে ইন্সুরেন্স মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ০.৪১ শতাংশ, যা কিনা ইন্সুরেন্স সেক্ট্রেরর ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে। ব্যাঙ্কাসুরেন্সের মাধ্যমে আমাদের প্রশিক্ষিত ও সার্টিফাইড সহকর্মীরা আমাদের বিশ^স্ত ক্লায়েন্ট ও গ্রাহকদের জন্য ওয়ান-স্টপ আর্থিক সেবা দেবে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, আর্থিক সুরক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাসহ ব্যাঙ্কাসুরেন্স বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসেবে কাজ করবে। অধিকহারে ব্যাঙ্কাসুরেন্স গ্রহনের ফলে ঝুঁকি বহুমুখীকরণ, কম প্রিমিয়াম, পুঁজি বাজারের উন্নয়ন এবং সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে ব্যাঙ্কাসুরেন্স বাস্তবায়নে মেটলাইফের সাথে অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত, কারণ আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বীমা খাতের আকার হবে দ্বিগুন। “


মেটলাইফ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, “ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সাথে আমাদের ব্যাংকাস্যুরেন্স কার্যক্রম বাংলাদেশে গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দায়িত্বের সাথে পূরণ ও বীমার ব্যাপারে আস্থা দৃঢ় করার জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রয়াসের প্রতিফলন। আমি বিশ্বাস করি যে ব্যাংকাস্যুরেন্স আর্থিক নিরাপত্তার একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসাবে আবির্ভূত হবে কারণ এটি ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য মেটলাইফের বিশ্বস্ত বীমার সুরক্ষা নিয়ে জীবনের নানা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা আরো সহজ করবে। “


সহনশীলতা ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির অসাধারণ যাত্রায় একটি অবিচল অংশীদার হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ১১৯ বছর ধরে বিস্তৃত অঙ্গীকারের উত্তরাধিকারকে সমর্থন করে। এই নতুন অফারটি বাংলাদেশের খুচরা ব্যাংকিং শিল্পকে রূপান্তরিত করতে ব্যাংকের উত্তরাধিকারে আরেকটি ‘প্রথম’ যোগ করেছে। স্টান্ডার্ড চার্টার্ড এদেশে শুধু প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালুই নয়, সেই সাথে প্রথম এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সমাধান এবং বাংলাদেশে একটি স্বয়ংক্রিয় ২৪ ঘন্টা কল সেন্টারও প্রথম চালু করেছিল। ২০২৩ সালে মে মাসে ব্যাংক মেটলাইফ এবং মাস্টারকার্ডের সাথে অংশীদারিত্বে দেশের প্রথম বীমা ট্যাগযুক্ত ক্রেডিট কার্ড ও অ্যাসিউরেন্স কার্ড চালুর পথ প্রদর্শক।


মেটলাইফ, দেশের শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানি, যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ এবং অবসরগ্রহনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনের জন্য বিস্তৃত পরিসরে বীমা সমাধান অফার করে। মেটলাইফের গ্রাহকের দাবি নিষ্পত্তির অসামান্য ট্রাক রেকর্ড রয়েছে। ২০২৩ সালে মেটলাইফ ২,৯৮১ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করে। বিগত ৬ বছরে নিষ্পত্তি করা দাবির সংখ্যা ১০,৫০০ কোটি টাকার বেশি।


আরও খবর



প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরেও ভবন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে মাধ্যমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ৫৮ বছরেও সংস্কার না করায় প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করতে হচ্ছে। ৬টি ভবনের মধ্যে সবগুলো ভবনই ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় এখন জোরাতালি দিয়ে ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিদ্যালয় ষুত্রে জানা গেছে, আমতলীর শিক্ষানুরাগী সাবেক এমএলএ মরহুম মফিজ উদ্দিন তালুকদার ১৯৬৫ সালে আমতলী শহরের প্রানকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে আমতলী এমইউ (মফিজ উদ্দিন) বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪২০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টির ৬টি ভবনের মধ্যে সবগুলো ভবনই ব্যবহার অযোগ্য। বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬৬ সালে ৪ কক্ষের ১ তলা মূল ভবনটি নির্মান করা হয়। এই ভবনে রয়েছে ১টি হলরুম, প্রধান শিক্ষকের বসার কক্ষ, অফিস, শিক্ষক মিলনায়তন ও শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব।

ভবনটি নির্মানের পর কোন ধরনের সংস্কার না করায় বর্তমানে ভবনের ছাদে ফাটল ধরে অনেক জায়গা দিয়ে ধসে পরেছে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরায় মূল ভবনের ভিতরে কেউ বসতে পারে না। এই ভবনের একটি কক্ষে রয়েছে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব। পানি পরার কারনে বর্ষা মৌসুমে তা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। প্রধান শিক্ষক,অফিসকক্ষসহ সকল রুমের একই অবস্থা। ভবনের অধিকাংশা দরজা জানালা খুলে পরেছে। মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে ১৯৭২ সালে ২ কক্ষের একটি টিনসেডের ক্লাশ রুম নির্মান করা হয়। সংস্কারের অভাবে ৫ বছর পূর্বে সেটি তালাবদ্ধ করে রাখ হয়েছে। এর পাশেই রয়েছে দোতালা টিনসেডের ১টি বিজ্ঞানাগার ভবন। সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় এটিও বর্তমানে তালাবদ্ধ। ছাউনির টিন দিয়ে পানি পরায় বিজ্ঞানাগারের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে শিক্ষার্থীদের ক্লাশের জন্য রয়েছে ২টি ভবন। ১টি তিন কক্ষের আরেকটি দুই কক্ষের। পূর্ব পাশে রয়েছে দোতালা পাঁচ কক্ষের ১টি ভবন।

তিন কক্ষের ভবনটি ১৯৮৭ সালে নির্মান করা হয়। দুই কক্ষের ভবনটি নির্মান করা ২০০৪ সালে। পূর্ব পাশের দোতলা পাঁচ কক্ষের ভবনটি নির্মান করা ২০০২ সালে। নির্মানের পর ভবনগুলো সংস্কার না করায় সব ভবনগুলোই জরাজীর্ন এবং ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পরেছে। ভবন ৩টির দেয়াল এবং ছাদের পলেস্তারার খসে পরেছে। দরজা জানালা খুলে গেছে। ছাদে ফাটল ধরায় বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরে ফলে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত বসে ক্লাশ করতে পারে না। মেঝে গর্তহয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব পাশের দোতালা ৫ কক্ষের ভবনটিতে নির্মানের সময় নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় অতি অল্প সময়ে ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরে। ভবনটি অধিক নাজুক হওয়ায় ভয়ে কোন শিক্ষার্থীরা দোতালায় উঠতে চান না।বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে প্রধান শিক্ষক এবং নৈশ প্রহরীর জন্য দুটি টিন সেডের ঘর। এগুলোও সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে। বসবাসকারীরা নিজেদের টাকায় কোন রকম ঠিক করে বসবাস করলেও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায়।

বিদ্যালয়টি নারী শিক্ষার হলেও স্থাপনের পর থেকে নেই কোন সীমানা প্রচীর। বিদ্যালয়টি শহরের প্রধান সড়কের পাশে নির্মিত হওয়ায় এবং সড়ক থেকে দেখা যাওয়ার কারনে নারী শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় সংকোচ বোধ করছে। এছাড়া সীমানা প্রচীর না থাকায় অবাধে গরু ছাগল প্রবেশ করে মাঠ নষ্ট করছে। তাছাড়া সীমানা প্রচীর না থাকার কারনে রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ের মাঠ বসে মাদকসেবীদের আড্ডা খানা।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নওশীন আক্তার ও ঝিনিয়া আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যায় ভবন অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন। ছাদ, দেয়াল ও পিলারের পলেস্তাররার খসে পড়েছে। বর্ষ মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাছলিমা আলম বলেন, আমারা ভয়ের মধ্যে দিয়ে ক্লাশ করি। বর্ষা কালে ছাদ চুয়ে পানি পরার কারনে ঠিকমত ক্লাশ করতে পারি না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম কবীর বলেন, বিদ্যালয়ের ৬টি ভবনের মধ্যে সবভবনগুলো এখন ব্যবহার অনুযযোগী হয়ে পরেছে। ছাদের, দেয়ালের এবং পিলারের পলেস্তারার খসে পরায় ভবনগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে। এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষোর নিকট অনেকবার আবেদন করা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও শিক্ষাকর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সেলিম মাহমুদ বলেন, আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নতুন ভবন নির্মানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভবন সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে শিলাবৃষ্টিতে তছনছ গ্রামগুলো পরিদর্শন করলেন ডিসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি;গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে তছনছ হওয়া সেই গ্রামের পর গ্রাম পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। সোমবার সকালে তিনি এসব গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর-ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন।

এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ আলম সরকার, বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবজাল হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।

শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ পরিদর্শন কালে তিনি বাড়ির মালিক এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের কথা ব্যক্ত করেন এবং তা যাতে সুষ্ঠুভাবে বন্টিন হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন ডিসি।


আরও খবর



ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটের একশোত বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিন ব্যাপি নানা আয়োজন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
মাজহারুল ইসলাম রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃবছর পূর্তি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সহকর্মী ও সমর্থকগনরা পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন অনেক আগেই। কিন্ত চলে গেলেও রেখে গেছে তাদের সৃতি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছেন নতুন প্রজন্মের জনসাধারণরা।বালয়ামারী হাটের

উদ্যোক্তাঃ প্রয়াতঃ ব্যাক্তিরা হলেন আলহাজ্ব ছমির উদ্দিন, বিদাশী মন্ডল, বানিজ উদ্দিন দেওয়ানি, জহর মামুদ, জুগলু বেপারী, হাসেন ব্যাপারী, আলহাজ্ব কামুল্লাহ বেপারী বেপারী, আলেক বেপারী, আবেদ বেপারী, গোলাম হোসেন বেপারী, ইউসুফ উদ্দিন বেপারী, মনির উদ্দিন বেপারী, সৈয়দ আলী দেওয়ানি, তথ্য সুত্র বালিয়ামারী বাজার পাড়া গ্রামের প্রয়াত আঃ জুব্বার দেওয়ানী। প্রয়াত আলহাজ্ব নতিবুল্লাহ ময়েজ উদ্দিন মন্ডল, আলহাজ্ব মোজাফফর হোসেন আলহাজ্ব জয়েন উদ্দিন, গাদু বেপারী,আলহাজ্ব সেতাব আলী, শরিয়ত উল্লাহ, রহিম উদ্দিন খান, সোনা উল্লাহ মাল,এলাকাবাসীর পক্ষে তথ্য সংরক্ষনে সহযোগিতায় মতিউর রহমান সাংবাদিক সাবেক বালিয়ামারী ।১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন আইটেমের সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো। বিশেষ অতিথিরা হলেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হাই, রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস মোহাম্মাদ মিরন, রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান সোহাগ, আয়োজনে বালিয়ামারী হাট ইজারাদার সাইদুর রহমান সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মিন্টু, বনিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল শ্রেণী পেশাজীবীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বালিয়াতারী হাটবাজারের একশোত বছর প্রর্তি এর মিলনমেলা।এসময় প্রবীণ নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে উঠেছে আসে ততকালীন ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটের জীবনকাহিনীর ইতিহাস। বিটিস শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকার উত্তরে কোন হাটবাজার ছিলনা। পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সবচাইতে পরিচিত ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী সোনাম ধন্য বড় হাট। এই হাটে আসতেন ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, রাজশাহী, রংপুর,কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, লালমনির হাটের লোকজন। হাটের বার ছিলো শুক্রবার,সোমবারসহ সপ্তাহে দুইদিন। হাটের দুদিন আগে হাটুরেরা নৌকা যোগে
নোঙ্গর তুলে এসে রাত্রিযাপন করে মালামাল ক্রয় বিক্রয় করে চলে যেতেন তারা তাদের গন্তব্যস্থলে । অপরদিকে পাশাপাশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইয়ের চর হাট ছিলো।

প্রবীণের বরাত দিয়ে আরও জানা গেছে বিটিস শাসনামলে ভারত বাংলার কোন
ভেদাভেদ ছিলনা। ততকালীন পাশাপাশি ভারত বাংলা এই দুটি হাট করতেন পূর্ব
পাকিস্তান, ভারতের সকল রাজ্য থেকে ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাট করে চলে যেতেন হাটুরেরা। তারপর বিটিস শাসকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্নভাবে কৌশল অবলম্বনে বিটিস শাসনের হাত থেকে রক্ষা হয় সকল কার্যক্রম। এরপর বিভাজনে পরিনত হয় বিটিস শাসকরা অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। বিটিস চলে যাওয়ার পর ভারত পাকিস্তান নামে নামকরণ হরা হয় দুদেশের। সেই থেকে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান ছিলো আজকের বাংলাদেশ। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি সরকারের অমানবিক নিপীরিত

নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয় পূর্ব পাকিস্তানের সাদামাটা মানুষ জীবন। শুধু তাই নয়
মাতৃভাষার উপরও চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। মায়ের ভাষা বলতে দেবেনা ততকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা। এমনকি পাকিস্তানী ভাষায় কথা বলতে বাধ্য করতে চালিয়ে ছিলো অমানবিক নির্যাতন। এসময় নির্যাতিত নিপীড়িত পূর্ব পাকিস্থানের প্রয়াত শহীদ বুদ্ধিজীবিরা পাকিস্থানের নির্যাতনে গর্জে উঠেছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আনন্দলনে। সেই ভাষা আনন্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছিল দেশকে পাকিস্থানের হাত থেকে কিভাবে মুক্তি করা যায় সেদিকে পা বাড়িয়ে ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহসি নেতৃত্বে এই আজকের বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করেছেন। দুঃসাহসী নেতৃত্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান,
তার আরও অনেক সাহসী সহযোগীদের সহযোগিতায় আজকে স্বাধীনতা পেয়েছি
আমরা। স্বাধীনতার কয়েকবছরের মধ্যে পাকিস্থানি দালালরা পরো পরিবারকে
নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর পরিবাকে। আজকে সেই দুঃসাহসী নায়কের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেন। এরপর আবারও ডিজিটাল বাংলাদেশের কাতারে দাড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে বাস্থবায়নের লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহ্য বাহী বালিয়ামারী হাটটি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।

আরও খবর