Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এরইমধ্যে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরের তেতুইবাড়ির কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে দিয়েছি। এই সেবার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও যেন আকৃষ্ট হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে আরও বেশি নিয়োজিত হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা নার্সদের কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

৪০ হাজারের মতো নার্স নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বয়স ছিল না তবে অভিজ্ঞ হিসেবে আমরা ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যাতে তারা সেবাটা দিতে পারেন। তার সঙ্গে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সেবা করার দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ২৩টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করেছি। আরও ১৬টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করার প্রক্রিয়া রয়েছে। আমরা প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি। এর সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের সেবা করে। বাংলাদেশটাকে আমরা বদলে দিতে পেরেছি। আজকের বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে পেরেছি। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়েছি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ আমরা বিনা পয়সায় মানুষকে দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি কমিউনিটি ক্লিনিকে আমরা যে বিনা পয়সায় ওষুধ দেই সেখানে ইনসুলিনটাও বিনা পয়সায় দিয়ে দেব। যাতে এই রোগটা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি।'

কোভিড মহামারীকালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এখনই আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারা বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, যার ফলে মানুষের কষ্ট, যে কারণে আমরা অধিক দামে খাদ্য ক্রয় করে অল্প দামে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। যারা একেবারেই কর্মক্ষম তাদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। প্রায় ১ কোটি বিশেষ পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি, যেখানে মাত্র ৩০ টাকা দামে চাল কিনতে পারবে। সেই সঙ্গে তেল, ডাল বা রোজার সময় প্রয়োজনীয় জিনিস ছোলাসহ অন্যান্য জিনিস আমরা দিচ্ছি।'

সরকারপ্রধান বলেন, বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করছি, তারাও মেডিকেল কলেজ করছে এবং সেই সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নার্সিংয়ের ব্যাপক চাহিদা, আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি, আমাদের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় হাসপাতাল রয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, মাতৃসেবা কেন্দ্র রয়েছে, সবক্ষেত্রে আমাদেরই বেশি নার্সও দরকার। ’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের সিইও মো. তৌফিক বিন ইসমাইল।

এতে স্নাতক সমাপনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া কেপিজে হেলথকেয়ার ইউনিভার্সিটি উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস দাতো ডা. লোকমান সাইম।


আরও খবর



রামুর পানের ছড়ায় নির্বিচারে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুর পানেরছড়ায়  নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। পাহাড় খেকো  সিন্ডিকেট  পাহাড়ের  মাটি বিক্রি  করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে  বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল কেটে পাচার করা হচ্ছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সংঘবদ্ধ পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পাহাড়ের মাটি ও গাছ কেটে ডাম্পার যোগে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে।

এভাবে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,বর্তমানে রামুর পানেরছড়ার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির কাজে লিপ্ত রয়েছে পাহাড়  সিন্ডিকেটের চিহ্নিত সদস্যরা। প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ,স্থানীয় বন বিভাগকে ম্যানেজ করে বিশাল আকারে উঁচু পাহাড় কেটে মাটি ডাম্পার ভর্তি করে পাচার করছে দক্ষিণ মিঠাছড়ির চাইল্যাতলী এলাকার মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ ভুট্টো,মৃত মোহাম্মদ হোসন এর পুত্র মোক্তার আহমদ,মৃত শরবত আলীর পুত্র মনির আহমদ প্রকাশ মনিয়া।সচেতন মহল জানান, উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের অভিযান তৎপরতা না থাকায় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রকাশ্যে দিবালোকে পাহাড় কেটে মাটি, বালি ও গাছ পাচার করছে।

ডাম্পার ও পিকআপ যোগে মাটি ও গাছ ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় মাটি দিয়ে জায়গা ভরাট করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বনভূমি হতে পাহাড় কর্তন ও মাটি সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক পাহাড় কেটে ও বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত জানান,পাহাড় কাটা ও গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।ইতিমধ্যে পাহাড় কাটা ও গাছ কাটায় জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়ছে।এসব অপরাধে যারা জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান,খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।আমরা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 


আরও খবর



বৃষ্টি কমাল ঢাকার বায়ুদূষণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত রোববার কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বায়ু অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে চলে আসে। তাই বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকার অবস্থান ২১তম। গতকাল এ সময় ঢাকার অবস্থান ছিল ৪৭তম। আর আজ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১০৪।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

আজ স্কোর ১৮৫ নিয়ে বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে ছিল চীনের বেইজিং শহর। ১৭৪ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের বেইজিং। তৃতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওনের স্কোর ১৬৭। আর ১৬৩ স্কোর নিয়ে ভারতের নয়াদিল্লি আছে চতুর্থ স্থানে। থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই পঞ্চম স্থানে, স্কোর ১৫৭।

ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি-বছরের চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।


আরও খবর



শাকিবকে নোটিশ পাঠাচ্ছে সমিতি, সমঝোতা হয়নি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক ;ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আনেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। যা লিখিত আকারে গেল বুধবার তিনি জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে। যেখানে তিনি তুলে ধরেন, শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর সব অভিযোগ।

শুধু তাই না, ঢাকাই সিনেমার এই সুপারস্টার একজন নারী লোভী বলেও জানান, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার এই প্রযোজক। এরপর বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টায় করা হয়। পরদিনই মানে, বৃহস্পতিবার বিষয়টি মিমাংসার জন্য ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন শাকিব খান ও প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। কিন্তু সেদিন বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি।

এদিকে, প্রযোজক রহমত উল্লাহ’র হাতেও সময় কম। তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। কাজের জন্য সেখানে তাকে ফিরতে হবে দ্রুত- বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যেই সমিতিগুলোকে জানিয়েছে। এর মধ্যে তার কথায় সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নেতারা। রহমত উল্লাহ’র অভিযোগের ভিত্তিতে শাকিবকে নোটিশ পাঠাচ্ছে সিমিতি।

নোটিশে লেখা হয়েছে- আগামী ৭ দিনের মধ্যেই এর জবাব দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো ঝামেলায় যেতে চাই না। এই ছবির বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। তাই বাধ্য হয়েছেই দেশে ফিরে অভিযোগ করেছি। সেদিন আমরা বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বসেছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় আছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমিতি আমার ডাকে সাড়া না দিলেও প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নেতারা বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। তারা শাকিবকে নোটিশ পাঠাচ্ছেন আজ-কালের মধ্যে। অন্যান্য সমিতির পক্ষ থেকে এখনও কোন ইতিবাচক সাড়া আসেনি।’

শাকিব খানের বিরুদ্ধে গুরুতর এসব অভিযোগের অসংখ্য প্রমাণ আছে দাবী করে প্রযোজক রহমত উল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি শাকিবের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ এনেছি সব সত্য। এখানে বিন্দুমাত্র বানিয়ে বলিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি, আমি নাকি আলোচনায় আসার জন্য শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। বিষয়টি হাস্যকর। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি- আমি কোনো ঝামেলা চাই না। শাকিব যে দোষী তার যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে। প্রয়োজনে সেসব প্রমাণ আমি সমিতিগুলো ও গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরব। তখন কিন্তু শাকিব খান আর মুখ দেখাতে পারবে না।’


আরও খবর



মাহির চাওয়া ছিল,প্রথম সন্তান মেয়ে হবে!

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির চাওয়া ছিল, তার প্রথম সন্তান যেন মেয়ে হয়। শুধু তাই নয়, তার বিশ্বাসও ছিল তার প্রথম সন্তান মেয়ে হবে! আর সে কারণে অনাগত সন্তানের নাম ‘ফারিশতা’ আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন মাহি। আর এ নামে গাজীপুর চৌরাস্তার একটি রেস্তোরাঁও দিয়েছেন মাহি ও তার স্বামী রকির সরকার।

অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম সন্তানের মা হন মাহি। কিন্তু মাহি’র চাওয়া পূরণ হয়নি। মেয়ে নয়, ছেলের মা হয়েছেন অগ্নি’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা। তবে এ নিয়ে মোটেও মন খারাপ না মাহি’র। আল্লাহ যা দিয়েছেন, তাতেই সন্তুষ্ট রাকিব-মাহি দম্পতি।

আজ বুধাবার ভোররাতে মাহি তার সন্তানের খবরটি প্রকাশ্যে আনেন। হাসপাতালের বিছানায় সন্তান কোলে একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ৮টি ভালোবাসার ইমোজি। তার ভালোবাসার ইমোজি’র সংখ্যা দেখে বোঝা যায়, দারুণ খুশি মাহি।

মাহি ও তার সন্তানের খবর জানতে যোগাযোগ করা হয় স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সবই ভালোয় ভালোয় হয়েছে। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন। আল্লাহ যা দিয়েছে আমরা তাতে দারুণ খুশি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় মাহি এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। এই নায়িকা লিখেছেন, ‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ তখনই তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন এই সুখবরের।

গত বছর আগস্টে মা হওয়ার খবরটি প্রকাশ্যে আনেন মাহি নিজেই। তখন এই চিত্রনায়িকা বলেছিলেন, ‘আমি আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়গুলো পার করছি। দিন-রাত কীভাবে চলে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছি না। প্রচণ্ড আদর-যত্নে দিনগুলো কেটে যাচ্ছে। কারণ আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে মা হতে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব‍্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি।


আরও খবর



বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ পাচ্ছে না সুপেয় পানি: বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের প্রায় ২৩০ কোটি মানুষ সুপেয় পানির অভাবে রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক (৩৬০ কোটি) মানুষের নেই নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল শুক্রবার রাতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলছে পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সংকট। অনিরাপদ পানির প্রভাব ঠেকাতে প্রতিবছর বৈশ্বিক ব্যয় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে খরা ও বন্যা পানির সমস্যাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। বর্তমানে জরুরিভাবে এ সমস্যা নিরসন করতে হবে। এজন্য বিশ্ববাসীকে এক হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি আরও জানায়, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাব মানবজাতিকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। ২০১৯ সালে মৃত্যুর অষ্টম কারণ ছিল ডায়রিয়াজনিত। অভিযোগ করা হয় সারাবিশ্বে ২০১৯ সালে নিরাপদ পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ১৫ লাখ মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে নারী ও স্কুলগামী মেয়ে শিশুদের ওপর কঠোর প্রভাব পড়ে।

ইয়েমেনের উদাহরণ দিয়ে বিশ্বব্যাংক জানায়, ইয়েমেনের অগণিত গ্রামে মৌলিক পরিষেবার অভাব রয়েছে, তবে সেখানে নিরাপদ পানির অভাব সব থেকে বেশি। দেশটির জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশের বেশি প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে রয়েছে। ইয়েমেনের আল-আদন, আল-আনিন এবং হাওফ- এই তিন গ্রামে পানির অভাব নিরসনে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। কীভাবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়ে অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, সুপেয় পানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে রিটার্ন আসে তিন বিলিয়ন ডলার। গ্রামীণ এলাকায় পানির জন্য বিনিয়োগ করলে আরও বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কৃষিকাজের জন্য পানি অপরিহার্য।


আরও খবর