

সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন বড়হিত গ্রামে জহির আলম এর একটি গরুর গর্ভে দুই মাথা চার চোখ বিশিষ্ট্য অস্বাভাবিক বাছুর জন্ম হয়েছে।বাছুরটি এক নজরে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে তার বাড়িতে।আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে ভেটেরিনারি পল্লিচিকিৎসক এর সিজারের মাধ্যমে দুই মাথা চার চোখ বিশিষ্ট ওই গরুর বাছুরের জন্ম হয়।
স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন,সকালে শুনলাম জহির আলমের একটি গাভীর দুই মাথা চার চোখ ও চার কান বিশিষ্ট একটি বাছুর জন্ম হয়েছে।দুই মাথা চার চোখ ও চার কান নিয়ে জন্ম নেওয়া বাছুর টি কে এক নজরে দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে উৎসুক জনতা ভীড় করে তার বাড়িতে।এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম দেখলাম আমরা।
জহির আলম এর স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী ফার্ণিচারের কাজ করে। আমার বাবা আমাকে একটি গরু ক্রয় করে দেই লালন পালন করার জন্য।সেটি আমি দীর্ঘ দিন ধরে লালন পালন করে আসছি। প্রথমে একটি বাছুর জন্ম দেয় গাভী টি,পরবর্তীতে ৯ মাস পরে গাভী টি ফিরলে পূণরায় ধরিয়ে দেয়।গাভী টির গতকাল রাত থেকে প্রসব এর যন্ত্রনা শুরু হয়।আজ সকালে গাভীর ফুড়া বের হলে আমার চাচা শুশুর কে অবগত করি।তারা বাছুর খালাস করতে গিয়ে দেখে বাছুরের দুটি মাথা।পরে ভেটেরিনারি পল্লিচিকিৎসক কে অবগত করলে ডা: গাভীর পেট কেটে বাছুর টিকে বের করে।এই ঘটনা প্রথম বার ঘটল।আমি ঋণ করে গাভী টি লালন পালন করেছি,গাভী টি বাচে কিনা সন্দেহ আছে।
ভেটেরিনারি পল্লিচিকিৎসক ডা: হাবিবুর রহমান বলেন,আজ সকালে একটি গাভীর বাছুর খালাস করতে গিয়ে দেখে বাছুরের দুটি মাথা।পরে আমাকে অবগত করলে আমি গাভীর পেট কেটে অপারেশন করে বাছুর টি খালাস করি।বাছুরের একটি মাথা ভিতরেই মারা যায় এবং অপর একটি মাথা খালাসের দুই তিন মিনিট পরে মারা যায়।তবে গাভী টি এখন সুস্থ্য রয়েছে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক: বায়ুদূষণ ঢাকার নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনোভাবেই দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বায়ুদূষণের কারণে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৬ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে পড়েছে। বায়ুর মান বিচারে এ পরিস্থিতি খুবই ‘অস্বাস্থ্যকর’। গতকালও এ সময় ১৯৪ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।
একইসময়ে ১৭৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু স্কোর ১৭২। চতুর্থ স্থানে ১৭১ স্কোর নিয়ে চীনের সাংহাই এবং ১৫৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কাজাখস্তানের আস্তানা।
এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৩০ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চীনের উহান। ১২৯ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঘানার আকরা। ১২৮ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১১৬ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। ১১৪ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
তথ্যমতে, বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে। আগামী রোববার নাগাদ এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন তিনি। এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আগামীকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে এটা আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দেশের পূর্বাভাস সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেছি, এটা এখন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এনামুর রহমান বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনো গড়ে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। আগামী ১২ মে নাগাদ এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেবে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে, সেটা আমাদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটির গতি ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারে এটি আঘাত হানবে। এটি টেকনাফের বর্ডার থেকে একটু দক্ষিণ দিক দিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আঘাতের সময় এর গতি ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এসওডি (দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
‘মোখা’ নিয়ে ঝুঁকির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একটি জেলা কক্সবাজারই আক্রান্ত হওয়ার বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের নিম্ন এলাকা।
উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘৫, ৬, ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি হলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে। সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সব নির্দেশনা দিয়েছি চট্টগ্রামের যতগুলো উপকূলীয় উপজেলা আছে সেগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার জন্য বলেছি।
এনামুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে খাওয়ার জন্য আমরা ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য। আমরা আশা করি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারব।
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের ২০ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়া পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এ সময়ে সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কতা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনের আগে প্রায় ১ হাজার ৩৫০ মামলায় সাজা দেওয়া হবে, এমন তথ্য কানে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক আয়বর্হিভূত মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও তার সহধর্মিনী সাবেরা আমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মৃত্যু যখন ঘনিয়ে আসে, যখন আর কোনো আশা থাকে না। তখন অনেকেই চেষ্টা করেন- কোনো রকমের কোনো কিছু ধরে যদি টিকে থাকা যায়। আজকে বিরোধীদলের নেতাদের সাজা দেওয়ার এই যে রায়, এই রায় হচ্ছে তাদের সেই পরিকল্পনা, যে পরিকল্পনায় বাংলাদেশের রাজনীতিকে একেবারে তিরোহিত করা, বিরাজনীতিকরণ করা, রাজনীতিবিদদের রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া, সরিয়ে আবার যদি এককভাবে পার হওয়া।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই যে ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে তারা (সরকার) মাঠে নেমেছে কিছুদিন আগেও আমরা বলেছি এই কথাগুলো। আমাদের কানে এসেছে, প্রায় সাড়ে ১ হাজার ৩৫০ মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে, যে মামলাগুলো নির্বাচনের আগেই তারা শুনানি করে সব শেষ করে সাজা দিয়ে দেবে। তার সবগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক মামলা মামলা। প্রত্যেকটি মামলার আসামি হচ্ছেন বিএনপিসহ বিরোধীদলের শীর্ষ নেতারা।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (সরকার) অত্যন্ত চমৎকার উদ্দেশ্য। এদেরকে (বিরোধীদলের নেতাদের) যদি আটক করে ফেলা যায়, সাজা দিয়ে দেওয়া যায় তাহলে তাদের কথা মতো এরা তো নির্বাচন করতে পারবে না। সব সময় সেই সংবিধানের উল্লেখই তারা করছে যে সংবিধান তারা তৈরি করেছে, ১৯৭২ সালে সেই সংবিধান পরবর্তীকালে জনগণের যেটুকু অ্যামেন্ডমেন্ট হয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে তারা নিজেরা শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সংবিধানকে কাটা-ছেঁড়া করে তাদের মতো করে নিয়েছে সেই সংবিধান অনুযায়ী তারা একদম একা খেলার মাঠে খেলবেন আর গোল দিয়ে যাবেন। যেটাকে আমরা বলি যে, প্রতিপক্ষ কেউ থাকবে না। ওই লক্ষ্যে তারা যাচ্ছে, এগুচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল আদালতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেটা আমি মনে করি এদেশের বিচার ব্যবস্থার কফিনে একটা পেরেক ঠুকে দেওয়া হয়েছে। সেটা হচ্ছে যে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয় ২০০৭ সালে, এতদিন ধরে এই মামলা চলে নাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হঠাৎ করে দেখা গেলো যে, দ্রুত মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। এখন অতি দ্রুত প্রতিদিন একজন-দুইজন-তিনজন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে এবং তাদের রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আমাদের আইনজীবীরা ঢাকার কথা বলতে চেয়েছিলেন বিশেষ আদালতে তখন তাদেরকে সেখানে কথা শুধু বলতেই দেওয়া হয়নি তা নয়, তাদেরকে সরকারি দলের আইনজীবীরা আক্রমণ করেছে, তাদেরকে আহত করেছে এবং কি পুলিশ সেখানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে তাদেরকে নির্যাতন করেছে।
তিনি বলেন, ‘এরপরে আমরা কীভাবে বলব, এই দেশে একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন হওয়ার সুযোগ আছে? এদেশে কীভাবে বলব যে, বিরোধীদলের এখানে রাজনীতি করার, মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার আছে?’
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উদ্দেশ্য একটাই সাজা দিয়ে আমাদের নেতাদেরকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা।’ একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মোহাম্মদ নাসিমের (প্রয়াত) মামলায় তাদেরকে আদালত খালাস দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর দক্ষিণের সদস্য রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এভাবে তারা (সরকার) মিথ্যা মামলা দায়ের করে গোটা দেশে ভয়-ত্রাস এবং একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে তারা একই কায়দায় এককভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় যেটা এদেশের মানুষ এটা হতে দেবে না। এদেশের মানুষ তাদের বিতারণ করেই নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, ‘জগনের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করবার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে- এই আন্দোলনকে মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে বন্ধ করা যাবে না’।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ জেগে উঠেছে, জনগণের উত্থানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে সরে যেতে হবে। পরাজিত হতে হবে এবং পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই, একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই আমরা বলতে চাই যে, এখনো সময় আছে। এই সমস্ত খেলাধুলা বাদ দেন, এই সমস্ত মানুষকে প্রতারণা করবার পথ থেকে সরে গিয়ে, মানুষকে নির্যাতন করবার পথ থেকে সরে এসে সোজা পথ ধরেন, একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এবং দেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, কায়সার কামাল, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
সোমবার ০৫ জুন ২০২৩