Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা তুরস্কে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৯০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক; ভয়াবহ তিনটি ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে জাতীয় ও বিদেশি প্রতিনিধি অফিসে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

এক টুইট বার্তায় এরদোয়ান বলেছেন, ৬ ফেব্রুয়ারি যে ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘঠিত হয়েছে, সে কারণে সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হলো। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সারাদেশে ও আমাদের বিদেশি প্রতিনিধি অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

কয়েক দশকের ইতিহাসের সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। আহতদের মধ্যে ১১ হাজারের বেশি তুরস্কের বাসিন্দা, আর প্রায় আড়াই হাজার রয়েছেন সিরিয়ার বাসিন্দা।

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল। এর মধ্যে প্রথম ভূমিকম্প হয় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে, সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। আর দ্বিতীয় আঘাত হানে ঠিক ১৫ মিনিট পর। সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। পরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে তুরস্কে ৭ দশমিক ৫ মাত্রায় আঘাত হানে আরেকটি ভূমিকম্প।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ- উল ফিতর উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১হাজার ৮শ'৩৩জন  অসহায় দু:স্থ হতদরিদ্রদের মাঝে  প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ করা হয়েছে। 

বুধবার (৩ এপ্রিল)  দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি কার্যালয়ে সদর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮ শ' ৩৩টি  অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে পবিএ  ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১০কেজি করে চাউল বিতরণ কার্যত্রুম উদ্বোধন করেন
মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা।

এসময় তদারকি কর্মকর্তা উপজেনা প্রোগ্রামার রাজীব রায় চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো.রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান সহ ইউপি সদস্য ও উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী আমাল হত্যার ঘটনায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)সংবাদদাতাঃ-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াবো এলাকার কৃষক আমাল হোসেন(৩৫) হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত ২৪মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময়ে আদালতে চার আসামী উপস্থিত ছিলো এবং বাকি দুই আসামী পলাতক রয়েছে।


দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রূপগঞ্জের গুতিয়াবো এলাকার মো. মনরুদ্দিনের ছেলে মো. মাহবুব রহমান (৫৫), খোরশেদ আলমের ছেলে মো. সবুজ মিয়া (৪২), মো. শরীফ মিয়া (৩০), মো. জুলহাস ওরফে দেলার ছেলে মো. পারভেজ (৩৬), শহীদুল্লাহর মো. আসাদুল্লাহ (৩৩) ও হালিমের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৬)। তাদের মধ্যে মো. শরীফ মিয়া ও মো. সাদ্দাম হোসেন ছাড়া বাকীরা আদালতে উপস্থিত ছিলো।আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. আব্দুর রহিম বলেন।


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গুতিয়াবো নামাপাড়া এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের বড় ছেলে আমাল হোসেন জমির ব্যবসা করতো। সেই সাথে জমি বিক্রয়ের শর্তে দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মাহবুব রহমানের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা বায়না গ্রহণ করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাহবুব জমির টাকা দিতে না পারায় আমাল হোসেন বায়নার টাকা ফেরত দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে।


তখন আমাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে মারধর করে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আমাল হোসেনের মা ছমিরন বেগম রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। আদালত ৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৪ সালের ২৪ জুন রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় ছয় জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি ও রায়ানস কম্পিউটারসের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্র শক্তিশালীকরণের যৌথ লক্ষ্যের প্রতিফলন হিসেবে পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা নিয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ ফার্স্ট-জেনারেশন ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) ও কম্পিউটার রিটেইলে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান রায়ানস কম্পিউটারস। দুই প্রতিষ্ঠানের এ কৌশলগত অংশীদারিত্বের ফলে রায়ানস কম্পিউটারস থেকে পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকরা ইউসিবির অত্যাধুনিক ও নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার অধীনে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্যের দাম পরিশোধ করতে পারবেন।           

চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইউসিবির হেড অব রিটেইল বিজনেস ডিভিশন মোহাম্মদ শফিকুর রহমান এবং রায়ানস কম্পিউটারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান। সম্প্রতি, ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির হেড অব ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ডিভিশন মোহাম্মদ গোলাম ইয়াজদানি, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ই-কমার্স নেসার উদ্দীন আহমেদ, এর হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং শরীফ মুনিরুল হক, রায়ানস কম্পিউটারস লিমিটেডের চিফ ফাইন্যান্স অফিসার সাজেদুল করিম এবং প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দুই প্রতিষ্ঠানেরই ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ চুক্তির অধীনে, সকল ধরনের ভিসা ও মাস্টারকার্ডের জন্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থ্রিডি সিকিউর কোড ভেরিফিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রায়ানস কম্পিউটারসকে সুবিধাজনক পেমেন্ট অপশন সহ নানাবিধ পেমেন্ট সমাধান প্রদান করবে ইউসিবি। ডিজিটাল লেনদেনের পরিধি ধারাবাহিকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে; এ সময়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দু’টি প্রতিষ্ঠানই নির্ভরযোগ্য ও


আরও খবর



আর্সেনাল-সিটির ড্রয়ের দিন টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১২৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:ম্যানচেস্টার সিটি মুখোমুখি লিগে আর্সেনাল বনাম দেখায় ড্র করার দিন অ্যানফিল্ডে পিছিয়ে পড়েও ব্রাইটনের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে লিভারপুল।

লুইস দিয়াস ও মোহাম্মদ সালাহ নৈপুণ্যে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ক্লপের দল। দাপুটে জয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে তারা।

২৯ ম্যাচ শেষে ৬৭ পয়েন্ট ক্লপের শিষ্যদের। আর্সেনালের ৬৫ ও ম্যানসিটির পয়েন্ট ৬৪।

নিজেদের মাঠে ব্রাইটনের বিপক্ষে সহজ জয়ের আশা করলেও রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে লিভারপুল ফুটবলারদের। মাথার ওপর থেকে বড় বোঝা নেমে যাওয়ায় ছোটখাটো একটা উৎসব বয়ে যায় অ্যানফিল্ডে।

ম্যাচের শুরুতেই লিভারপুল সমর্থকদের আত্মা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রাইটন। দুই মিনিটেই অ্যানফিল্ডে বয়ে যায় সুনামি। দুর্দান্ত গোল করেন ড্যানি ওয়েলব্যাক। হতাশায় নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ইয়ুর্গেন ক্লপ। কোচকে ভরসা যোগাতে পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে লিভারপুল। ১৭ ও ১৮, দুই মিনিটে পরপর দুটো সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মোহাম্মদ সালাহ।

আন্তজার্তিক বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছিল লিভারপুল। শিরোপার রেসে টিকে থাকতে প্রতিটা ম্যাচই বাঁচা-মরার সামিল। তাই তো ব্রাইটনের বিপক্ষে শুরুতে গোল হজম করলেও সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে অলরেডরা। অবশেষে ২৭ মিনিটে অপেক্ষার অবসান করেন লুইজ দিয়াস। উল্লাসে ফেটে পড়েন অ্যানফিল্ডে লিভারপুল সমর্থকরা।

বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও কয়েকবার ব্রাইটন গোলরক্ষককে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন সালাহ। তবে, চাওয়ার সঙ্গে প্রাপ্তির মেলবন্ধন হয়নি।

৬৫ মিনিটে লিভারপুল শিবিরে স্বস্তি ফেরান মোহাম্মদ সালাহ। মিশরীয় তারকার গোলে ২-১ এ এগিয়ে যায় লিভারপুল। দু’মিনিট পর সবোলসাই আরও একটি নিশ্চিত সুযোগ না হারালে ব্যবধান আরও বাড়ত লিবারপুলের। ৭১ মিনিটে আবারো উৎসবের উপলক্ষ্য তৈরি করেছিলেন দিয়াস। কিন্তু অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোল। তবে, তাতে আক্ষেপ নেই ক্লপের । ব্রাইটনের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তার দল। উঠেছে লিগ টেবিলের শীর্ষেও।


আরও খবর



মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।


আরও খবর