Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাত দিনে রিজার্ভ কমেছে ১১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক : ডলার সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ এক বছরের বেশি সময় ধরে। সংকট মোকাবেলায় বাজারে প্রতিদিনই ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১১৮ কোটি ডলার কমে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলারে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৬ কোটি (২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন) ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫.৬৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমকি ৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। মাত্র ৫ মাসে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমে গেছে।

বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক আগে এগুলোকেও রিজার্ভ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল। এসব হিসাব বাদ দেওয়ার কারণে রিজার্ভ থেকে ৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।


আরও খবর



শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:২য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন নির্বাচন কমিশন।

২ মে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার এস এম শাহীন প্রার্থীদের মাঝে এ প্রতীক বরাদ্দ করেন। চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপিত ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু ( মটরসাইকেল), যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রহিম খলিল (ঘোড়া), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ (আনারস) ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন (দোয়াত কলম) মার্কা।

বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আলেয়া ফেরদৌস (হাঁস), নাজমুন নাহার (ফুটবল), জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শামিমা আলম সালমা (কলস) মার্কা।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সরদার সাহরিন আলম বাদল (টিউবওয়েল), সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার (তালা), যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম মিলন (টিয়া পাখি)। শফিকুল ইসলাম মন্টু (চসমা) মার্কা। আগামী ২১ মে শার্শা উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা,পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নিধি:সিলেটের বিশ্বনাথে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ৭বছরের শিশু সন্তানসহ হামলার শিকার হয়েছেন ছাত‌কে এক ব্যবসায়ী। সে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দীঘলী রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে আবুর কয়েছ (৪২)।

গত ৩ মে বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা বৈরাগী বাজারস্থ ঢাকা ফ্যাশনের সামনে শিশু সন্তানসহ এ হামলার শিকার হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় পরদিন ৪ মে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আসামীরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলা গ্রহণ না করে নানা টালবাহানায় প্রায় ৯দিন অ‌তিবা‌হিত হ‌লে থানায় মামলা নেয়‌নি। পরে হামলার শিকার আবুল কয়েছ নিরুপায় হয়ে ও থানায় ব্যর্থ হওয়ার পর ১০ জনের নামে সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

গত ১৩ মে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমল গ্রহণকারী ০১নং আদালতে এ মামলা দায়ের করে। বিশ্বনাথ বৈরাগী বাজার,মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের মা‌লিক সুলতান মিয়া (৪৮) কে প্রধান আসামী ক‌রে ১০ ব‌্যক্তি না‌মে সি‌লেট আদালতে এক‌টি মামলা দায়ের করেন। 

আসামীরা হ‌লেন,মনু মিয়া (৬0) ইউসুফ মিয়া (৫0),উভয় পিতা- মৃত তাহির আলী,মোঃ কাহার মিয়া (৩0), পিতা- অজ্ঞাত মেসার্স ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটরস, বৈরাগী বাজার, জাকির মিয়া (৩৫) বাবুল মিয়া (৩২), উভয় পিতা- মনু মিয়া,নূর মিয়া (৩৫), রতন (৩০),  আকিল বাবু (৪০), সাজিদুর রহমান (৩০)সাজিদুর রহমান (৩০)

বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং- ১৪২/২০২৪ ইংরেজী।

এ মামলাটি তদন্তের জন্য সিলেটের ডিবি পুলিশের কাছে দিয়েছেন আদালত।

বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারি সুলতান মিয়া (৪৮) এর কাছে কাপড় বিক্রির ১লাখ ৩০হাজার টাকা পান। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতায় ১০হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন। গত ৩ মে তার শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে বাকি ১লাখ ২০ হাজার টাকা চাইতে তার ওপর হামলা করা হয়।

এ হামলায় তার শিশু সন্তান সুফিয়ান আহমদ’সহ দুজন আহত হন। বর্তমানে ওই শিশু সন্তান সুফিয়ান আহমদ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত আছে। এছাড়াও হামলার সময় বাদির বাম পকেট থেকে ব্যবসার ৯০হাজার টাকা ও ৪৫হাজার টাকা দামের একটি স্যামসং মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।

আর এঘটনায় আদালতে দেয়া তার এজাহারে আসামি করেছেন মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারি সুলতান মিয়া (৪৮), বৈরাগী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মনু মিয়া (৬০), তার ভাই ইউসুফ মিয়া (৫০) ও বৈরাগী বাজারের মেসার্স ওয়াল্টন ডিস্টিবিউটর কাহার মিয়া (৩০) সহ ১০জনকে। অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ৪০/৫০জনকে।

মামলা বাদি আরও অভিযোগ করে বলেন, তিনি ৪ মে হতে বিশ্বনাথ থানায় চার পাঁচবার গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অবশেষে তিনি ৯দিন পর নিরুপায় হয়ে সি‌লে‌টের আদালতে গিয়ে এই মামলা করেছেন।

বিশ্বনাথ জানতে চাইলে থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, এবিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে মনে হয়নি। তবে দেখে বলতে হবে বলে জানান।


আরও খবর



অপরিপক্ব লিচুতে সয়লাব ভোলায় বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:জ্যৈষ্ঠ মাসে লিচুর মতো সুস্বাদু ফলে ভরে ওঠে বাজার। শুরু হচ্ছে এই রসালো ফলের মৌসূম। সপ্তাহখানেক পরে বাজারে আসবে পরিপক্ব লিচু। তবে এরই মধ্যে ভোলার বাজারগুলো ছেয়ে গেছে টক-মিষ্টি স্বাদের অপরিপক্ব লিচুতে। বুধবার ভোলার চকবাজার ও নতুন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চকবাজার ও নতুন বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানে সবুজাভ ও হালকা লাল রঙের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি মৌসূমে পাওয়া লিচুর তুলনায় এগুলোর আকার কিছুটা ছোট। মান ও আকারভেদে প্রতি ১০০ লিচুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। অনেক ক্রেতাকেই এসব লিচু কিনতে দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, এসব লিচু রাজশাহী, যশোর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসে। 

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে পাওয়া বেশিরভাগ লিচুই আসছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে। এছাড়া মাদ্রাজি জাতের এসব লিচুর বেশিরভাগই এখনও পরিপক্ব হয়নি। এই কথা বিক্রেতারাও স্বীকার করেছেন। যে কারণে এসব লিচুর স্বাদও টক-মিষ্টি। 

জানা যায়, রাজশাহী, নাটোর ও দিনাজপুরের বোম্বাই ও বেদানা লিচু আরও এক সপ্তাহ পর বাজারে উঠবে। সেসব পরিপক্ব লিচুর আকার এখনকার তুলনায় বড় হবে, তেমনি স্বাদও মিষ্টি হবে। সেসব লিচুর রঙ হবে লাল। তবে পরিপক্ক লিচুর দাম এখনকার মতোই হবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

নতুন বাজারের লিচু বিক্রেতা হারুন বলেন, এখন যেসব লিচু বাজারে আছে সেগুলো পুরোপুরি মিষ্টি না; কিছুটা টক মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি লিচু সপ্তাহখানেক পরে আসবে। চক বাজারের বিক্রেতা ইলিয়াস বলেন, বছরের প্রথম লিচু বাজারে উঠেছে, ক্রেতাও আছে মোটামুটি। আরও ১০ দিন পর আরও ভালো লিচু আসবে। তখন বিক্রিও বাড়বে। 

সুমন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, সোনারগাঁও ও গাজীপুর থেকে লিচু আসছে। এগুলো একটু টক-মিষ্টি স্বাদের। দিনাজপুরের লিচু আরও পরে উঠবে। তবে তখন দাম ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর চায়না লিচুর দাম হতে পারে প্রতি ১০০ লিচু ১ হাজার টাকা। এখন বাজারে এই ধরনের লিচু নেই। এটা আরও পরে উঠবে। 

এদিকে, বাজারে এখনও পরিপক্ব লিচু না উঠলেও অনেক ক্রেতাকে পরিবারের জন্য অপরিপক্ক লিচু কিনতে দেখা যায়। আবার লিচু পরিপক্ব না হওয়ায় অনেক ক্রেতাকে সেগুলো কেনা থেকে বিরত থাকতেও দেখা যায়। শাহাদাত হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, বছরের প্রথম লিচু উঠেছে। ঘরে ছোট ছেলে মেয়ে আছে। তাদের জন্য বছরের প্রথম লিচু কিনলাম।

চকবাজারে বাজারে ফল কিনতে আসা আবুল কালাম আজাদ লিচু না কিনতে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, আমার বাড়ি বরিশাল চাকরির সুবাদে ভোলায় থাকি। বাজারে এখন যেসব লিচু উঠছে সেগুলো পরিপক্ব নয়। ঝড়ে ডাল ভেঙে যেসব লিচু পড়েছে, সেগুলোই বাজারে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার অনেক মুনাফালোভী বিক্রেতা কাঁচা লিচু বাজারে নিয়ে আসছেন এবং তারা এগুলোর সাথে ফরমালিন যুক্ত করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে, এগুলোর স্বাদ মিষ্টি নয়। এসব লিচু খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, বিষ যুক্ত এ-সব ফলমূল প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও বাজার মনিটরিং এর অভাবে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যেন কেউ নেই।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১০৮ বার পেছাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ। আগামী ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।   

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী,  চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।



আরও খবর