Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

সার্ভার জটিলতায় অনলাইনে টিকিট কাটতে ভোগান্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট কাটতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলে সার্ভার জটিলতায় যাত্রীরা টিকিট কাটতে সমস্যায় পড়েন।

গতকাল শুক্রবারের মতো শনিবারও প্রচণ্ড চাপ ছিল টিকিট কাটার। সার্ভার জটিলতায় অনেকে ‘রেলসেবা’ অ্যাপে ঢুকতেই পারেননি। অনেকে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পর দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকেছে। অনেকের পরবর্তী ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ হয়নি। ওয়েবসাইটে টিকিট দেখা গেলেও লগইন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অনেকে।

সার্ভার জটিলতায় উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টারও বেশি। ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলা চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটও শেষ হয় সাড়ে ৯টার পর। যদিও গতকাল এসব ট্রেনে সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পরেই কোনো টিকিট পাওয়া যায়নি।

যশোর ও খুলনাগামী সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসে যশোরের মাত্র পাঁচটি সিট খালি থাকলেও খুলনার প্রায় ২০০ সিট খালি রয়েছে। অন্যদিকে বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেসে খালি রয়েছে ২৪টি সিট। সিলেট রুটের কালনী, পারাবাত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকিট এখনো পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা, সুবর্ণা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে।

তবে ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও ছিল বেশি। তবে এ রুটের যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের তিন হাজার টিকেটের মাঝে মাত্র ১৫টি অবিক্রিত ছিল।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘ঈদযাত্রায় রেলের আগাম টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ বেশি থাকায় সার্ভারে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেই টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘রেলের অ্যাপে প্রতি মিনিটে অন্তত ১০ লাখ ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রতি মিনিটে টিকিট বিক্রি করা যায় আট হাজার। কিন্তু আজ টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ অনেকটাই বেশি। আজ অন্তত ১৩ লাখ ভিজিটর একবারে প্রবেশ করছেন, এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।


আরও খবর



কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার জন্য ‘২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস’ –এ পুরস্কৃত আইফার্মার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সদ্য অনুষ্ঠিত অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই) ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বৈশ্বিক বিজয়ী (গ্লোবাল উইনার) হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আইফার্মার লিমিটেড।

অর্থায়ন পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর, কৃষি সামগ্রী সংগ্রহ আরও সুবিধাজনক, বিশেষজ্ঞ কৃষি- পরামর্শ সেবা প্রদান এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আইফার্মার। এই উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজয়ীদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল আইফার্মার।

এএফআই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সদস্যদের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত একটি পলিসি লিডারশিপ অ্যালায়েন্স যা স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্তরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফিনটেক এবং রেগটেক (রেগুলেটরি টেকনোলজি) উদ্ভাবকদের কাজ প্রদর্শন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ এবং উদীয়মান বাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে এবং পরিষেবাগুলোর মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখে এই আয়োজন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এএফআই সদস্য, ফিনটেক খাত বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ অতিথিদের বিবেচনার জন্য ফাইনালিস্ট ১২টি প্রতিষ্ঠান এ বছরের এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টের জন্য তাদের উদ্ভাবন উপস্থাপন (ভার্চুয়ালি) করে। এএফআই সদস্য এবং বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে তিনজন বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আইফার্মার প্রথম স্থান, মোসাবি (সিয়েরা লিওন) দ্বিতীয় স্থান এবং রেভফিন (ভারত) তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সকল বিজয়ী এল সালভাদোরে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪ এএফআই গ্লোবাল পলিসি ফোরামে আমন্ত্রণ, এক বছরের জন্য এএফআই এর পাবলিক-প্রাইভেট ডায়ালগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং লুক্সেমবার্গ হাউস অফ ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজিতে এক বছরের জন্য সদস্যপদ পাবেন।

ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস ইভেন্টে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন আইফার্মারের হেড অফ নিউ বিজনেস অপরচুনিটিস মোহাম্মদ ইখতিয়ার সোবহান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কৃষকরা আমাদের সত্যিকারের নায়ক। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কৃষকদের সহিষ্ণু মনোভাব ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাদের কঠোর পরিশ্রমকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।”

আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা ফাইনালিস্ট এবং বিজয়ী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। এটি আমাদের আনন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অর্জন কৃষকদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশব্যাপী কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নিরলস পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমরা খুবই আনন্দিত যে, কৃষকদের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার প্রয়াস একটি বৈশ্বিক মঞ্চে সমাদৃত হয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও সুসংহত করার জন্য আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে।”

২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস -এ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়।বাকি ফাইনালিস্টদের মধ্যে ছিল - ডটস ফর ইনকর্পোরেটেড (পশ্চিম আফ্রিকা), ইমাইশা পে (আফ্রিকা),জিসেকে+ডেভরিয়েন্ট (জার্মানি), গুডটেক ইনফরমেশন সিস্টেমস ইনকর্পোরেটেড (ফিলিপাইন), হ্যালো ট্র্যাক্টর কেনিয়া লিমিটেড (কেনিয়া), আইফার্মার লিমিটেড (বাংলাদেশ), জুমো (ঘানা), মোসাবি (সিয়েরা লিওন), মাইস্ট্যাশ (নাইজেরিয়া), পারটেন্স (মোজাম্বিক), রেভফিন (ভারত) এবং এক্সচেঞ্জ বক্স সলিউশন (নাইজেরিয়া)।


আরও খবর



রাজধানীর তেজগাঁওয়ে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার মাছের আড়তের সামনে ঢাকা অভিমুখী আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জামালপুর থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাচ্ছে। এখন একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ'র যুগান্তকারী পদক্ষেপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ

পেট্রো বাংলার অধীনস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিস্ময়কর প্রতিভা এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহারকারী ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় কোম্পানীর লোকসান কমে এসেছে বহুগুণ।রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। তিতাস গ্যাসের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কিছু কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদার।গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর স্থলে প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেন।সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কৌশলে সিষ্টেম লস কমাতে কাজ করে চলেছেন তিনি।প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।এ কারণে তার শত্রুর কোনো অভাব নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে যাদের স্বার্থহানি হয়েছে, সে সব স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে নানা মাধ্যমে।তবুও থেমে থাকেনি তার অগ্রযাত্রা। এ যাবত কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন। গত ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে তিতাস গ্যাস কর্মচারীদের পিকনিকের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ কর্মবীর লোক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। কোম্পানিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।


২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প সেক্টরে ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার রেকর্ড করেছেন তিনি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, বকেয়া আদায়ে,নিয়েছেন নানা যুগান্তকারী উদ্যোগ।সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা, সংস্থার হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ সময় উপযোগী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।



তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগ একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যেই , ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যে গুলো এখনো বাকি আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।


ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।




এছাড়াও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।



১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর তীরে বিরাট একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানি আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানি হিসেবে তিতাস গ্যাস আত্মপ্রকাশ করে। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করে দেয়ার পর১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহার মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের আবাসিক লাইনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ বলে তিতাস গ্যাসকে জাতীয়করণ করা হয়।


তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।এই কোম্পানিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


আরও খবর



বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image
রবিউল ইসলাম বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঢালমারা গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মা, মেয়ে ও ছেলে নিহত হয়েছে। 

সূত্রে জানা যায়, ২৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০) মেয়ে রেজভী আক্তার (৯) ছেলে সালমান (৫) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহতের এই ঘটনা ঘটে। 

পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফরিদা বেগম জানান, রিয়াজ মোল্লার  বাগানের ভিতর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের তার পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যায় সেইতার দুদিন পূর্বে ছিড়ে বিভিন্ন গাছ সহ  মাটিতে পরে ছিল। দুপুর ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার (৫) বছরের  ছেলে সালমান গাছ থেকে লেবু পারতে   গেলে প্রথমে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়, সালমানের চিৎকারে  তার মা সোনিয়া বেগম (৩০)  সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। মা ও ভাইকে খুঁজতে গিয়ে (৯) বছরের রেজভী আক্তার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির আমেনা বেগম বিদ্যুতের তারে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করেন। বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার পরে তাদের নিথর মরদেহ  উদ্ধার করা হয়। রিয়াজ মোল্লার সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।  স্থানীয়দের দাবি বাকেরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় মা ছেলে মেয়ের সহ  তিনজন নিহত হয়েছে। 

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ ১ বাকেরগঞ্জের জোনাল অফিসের  ম্যানেজার (ডিজিএম) গোবিন্দচন্দ্র  শনিবার বিকেলে আমাদের সময়কে জানান  তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ঢাকা থেকে তাদের একটি তদন্ত টিম  গঠন করা হয়েছে এবং বরিশালে  তাদের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে তদন্ত টিমের রিপোর্ট পেয়ে প্রকৃত  ঘটনা উন্মোচন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পরপরই  ফোর্সসহ  ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছেন। এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। নিহতের  ঘটনায় অপমৃত্যু  মামলা রুজু  করা হবে।

আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর