Logo
আজঃ বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৫৯

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ২২৬ জনের। এ ছাড়া নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৫৯ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৭৬৪ জন।

আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হননি এমন রোগীরা হিসাবের বাইরে আছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৩২০ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৯ জন। বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৫৫২ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ১ হাজার ২১২ জন।

এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২ হাজার ১৬১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৯ হাজার ১৭১ জন।


আরও খবর



নির্বাচনের সময় মেয়র-চেয়ারম্যানদের জন্য ১০ নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মেয়র ও চেয়ারম্যানদের জন্য ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা মানতে ব্যর্থ হলে বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম স্বাক্ষরিত এ আদেশ সিটি মেয়র, পৌর মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে ইসির নির্দেশনার পর এ উদ্যোগ নিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মেয়র ও চেয়ারম্যানদের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনাগুলো হলো:

১. স্ব-স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।

২. নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ/নির্দেশ দেবে তা প্রতিপালন।

৩. নির্বাচনি মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়।

৪. কোনো নির্বাচনি অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা।

৫. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে।

৬. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে।

৭. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

৮. মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

৯. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।


আরও খবর



খসরু চৌধুরীর নেতৃত্বে উত্তরায় অবরোধ বিরোধী মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ প্রতিহত করতে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরীর নেতৃত্বে সমাবেশ, মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোমবার রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত মিছিল করেন তারা।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত গাড়ি পুড়িয়ে, ভাঙচুর করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। এদের প্রতিহত করতে আমরা মাঠে আছি। বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক অপতৎপরতা প্রতিহত করতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে উত্তরায় আমার নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান করছে। আমরা ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন এলাকায় আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ করেছি। আমরা সতর্ক আছি। আন্দোলনের নামে কোনো নৈরাজ্য করলে দাতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই উন্নয়ন। আওয়‍ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে দেশ ধ্বংস হয়। বিএনপি- জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট, দুর্নীতি আর মানিলন্ডারিং করে। তারা এতিমদের টাকা মেরে খায়। আওয়ামী লীগ মানেই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, আওয়ামী লীগ মানেই অর্থনৈতিক মুক্তি।


আরও খবর



অবরোধ নাশকতাকারীকে আটক করে পুরস্কৃত হলেন টিআই সরিফুল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে নাশকতাকারীকে আটক করায় ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোনের টিআই সরিফুল ইসলামকে পুরস্কৃত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ডিএমপি সদরদপ্তরে টিআই সরিফুল ইসলামকে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। এসময় কমিশনার তার সাহসিকতার প্রশংসা করেন এবং ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

পুরস্কার প্রদানকালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান এবং ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাক আহমেদ জানান, প্রতিদিনের মতো গত ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোনের টিআই (প্রশাসন) সরিফুল ইসলাম জোন এলাকা পরিদর্শনে বের হোন। পরিদর্শনকালে বেড়িবাঁধের মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের মূল ফটকের সামনে সকাল ৭টার দিকে ৮-১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি “হরতাল, হরতাল” স্লোগানে নাশকতার উদ্দেশ্যে একটি পরিবহন বাসের দিকে উত্তেজিত অবস্থায় অগ্রসর হতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ টিআই সরিফুল ইসলাম সাহসিকতার সঙ্গে দ্রুততম সময়ে আশপাশের ৩-৪ জনের সহযোগিতায় নাশকতা ঘটানোর পূর্বেই দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেন এবং একজনকে হাতেনাতে আটক করেন, যাকে পরবর্তী সময়ে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার এই সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএমপি কমিশনার তাকে পুরস্কৃত করেন।

এর আগে আসাদগেট এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ করে পলায়নরত এক নাশকতাকারীকে হাতেনাতে আটক করায় ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোনের সার্জেন্ট পলাশ কুমার রায় ও টিএসআই আতাবুলকে গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।


আরও খবর



"আগুন সন্ত্রাসের হুকুমদাতা ও অর্থদাতা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে"

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যেসব নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদেরকে আগুন সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, হোতা ও অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে টেলিফোন করে বিএনপি শীর্ষ নেতারা, বিশেষ করে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলছেন আগুন সন্ত্রাস চালাতে। সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।

তিনি বলেন, এটি কোনো রাজনীতি নয়, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। যারা এ কাজ করছেন, এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে কেবল সরকার নয়, জনগণও ব্যবস্থা নেবে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে তাতে কোনো বাধা কিংবা আপত্তি নেই। তারা এতদিন সবকিছু করেছেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ও পুলিশ হত্যা করেছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের কয়েক লাখ নেতাকর্মী দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলেন। একজনও তাদের সমাবেশের দিকে যাননি। বিএনপিকে মুসলিম লীগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট।


আরও খবর



সুন্দরবনে আবারও মিলল বাঘের দেখা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বন বিভাগের অফিস চত্বরে আবারও বাঘের দেখা পেয়েছেন বনরক্ষিরা। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরবনব পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের চত্বরে  বাঘটিকে দেখতে পায় বনরক্ষিরা। 

টর্চ লাইট মেরে বাঘটির ভিডিও করেন বনরক্ষীরা। এ সময় বনরক্ষীরা কৌশলে বাঘটিকে তাড়িয়ে দেয়। পরে রাত ১২টার দিকে আবারও বাঘটির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এদিকে ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যার পরে কোনো বনরক্ষীকে একা বের হতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান।

এ নিয়ে চলতি বছরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন অফিসে চারবারে ছয়টি বাঘের দেখা পেয়েছেন বনরক্ষীরা। এর আগে ৭ অক্টোবর রাতে ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশন অফিসের বনরক্ষীদের ব্যারাকের সামনে দুটি বাঘ দেখা গেছে। ৮ আগস্ট সকালে কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে বিশাল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ সময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন বনরক্ষীরা। 

এ ছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রেঞ্জের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি অফিসের পুকুরপাড়ে দেখা মেলে জোড়া বাঘের। প্রায় ২২ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে বাঘ দুটি আবার বনে ফিরে যায়।

এসিএফ শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, সন্ধ্যার দিকে অফিস চত্বরে কয়েকটি হরিণ ঘাস খাচ্ছিল। এমন সময় বনের ভেতর থেকে বিশাল একটি বাঘ এসে আক্রমণ করে হরিণের পালে। পরে ব্যারাক থেকে বনরক্ষীরাও বিষয়টি দেখতে পায় এবং কিছু ভিডিও করেন। এ সময় নানাভাবে শব্দ করে বাঘটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে রাত ১২টার দিকে হরিণের অস্বাভাবিক ডাকাডাকি শুনতে পান তারা। এতে ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি গভীর রাতে আবারও ওই এলাকায় এসেছিল। বাঘ দেখার পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই হয়তো সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও অফিসের চারপাশে বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের অসংখ্য ছাপ দেখতে পেয়েছি। এ থেকে বোঝা যায় এর আগেও বাঘ এসেছিল অফিস চত্বরে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নূরুল করিম বলেন,  শরণখোলা রেঞ্জ অফিসটির পূর্ব পাশ থেকেই গহীন বন এবং পশ্চিম পাশে ভোলা নদী। তাই পূর্ব পাশ থেকেই বাঘ, হরিণসহ বিভিন্ন পন্যপ্রাণি অফিস চত্বরে সহজেই প্রবেশ করে। পূর্ব পাশের পৌনে এক কিলোমিটার এলাকা যদি কাটাতারের বেড়া দিয়ে আটকানো যায় তাহলে আর কোনো বাঘ ঢুকতে পারবে না, নিরাপদ থাকবে কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীরা। শিগগিরই সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। মনে হচ্ছে সুন্দরবনে আগের তুলনায় বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে।


আরও খবর