Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাকিবকে মনোনয়ন দিয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দ্বায়িত্ব তাকে বিপুল ভোটে পাশ করানো: সংসদ সদস্য শিখর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমানত নৌকার মর্যাদা বৃদ্ধি করার মনোনিত সাকিবকে রেকর্ড পরিমান   ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার আমানত নৌকার মর্যাদা বৃদ্ধি করার  আহবান জানালেন একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর।

মঙ্গলবার বিকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সাইফুজ্জামান শিখর বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, নৌকা জননেত্রী শেখ হাসনা আমাকে আমানত হিসেবে দিয়েছিলেন । এই আমানত সাকিবের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। সাকিব যদি বেশি ভোট না পায় তাহলে নেত্রীর মর্যাদা হানী হবে। যা হতে দেয়া যায়না। তাই সবাইকে নৌকার পক্ষে উঠেপড়ে নেমে কাজ করতে হবে। শিখর বলেন, জননেত্রী  আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন সেই কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য আমাদের বেশি বেশি ভোট দেওয়া উচিত।

বিকাল সাড়ে ৪টায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি সভায় এ আসনের প্রার্থী সাকিব আল হাসানও উপস্থিত সবাইকে নির্বাচনের দিন নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের আহবান জানান।

নির্বাচনি এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম আবদুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়নুর রশীদ মুহিতসহ অন্যন্যরা।


আরও খবর



মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন প্রার্থী আনারুল ইসলামকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে আচরনবিধি লংঘনের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগটনিক সম্পাদক ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সদর-মুজিবনগর রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ওয়ালিউল্লাহ। আজ শনিবার বিকেলের মধ্যেই স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়, নির্বাচনী আচরনবিধি মালা ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর (ঘ) এবং বিধি ৩১ অনুযায়ী তাহার পক্ষে উস্কানীমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে মতবিনিময় সভায় আপনার কর্মী সমর্থকেরা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করেছে। 

উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর ১৮ (ঘ) এবং ৩১ বিধি লংঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ০৪.০৫.২৪ তারিক বিকেল ৪টার মধ্যে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে স্বশরিরে হাজির হয়ে লিখিত আকার বাখ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেছিলেন, ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের ( মোটরসাইকেল প্রতিক) ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচন কার্যালয় থেকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া গেছে। নোটিশের ব্যপারে আইননুসারে বাখ্যা দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত: আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৪৯জন দেখেছেন

Image

 নাজমুল হাসানঃ 

শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।রবিবার (১৪ এপ্রিল) শোক বার্তায় কাজিম উদ্দিন প্রধানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। তিনি বলেন,কাজিম উদ্দিন প্রধান আজীবন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।


রবিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আগামীকাল সোমবার সকাল নয়টার ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আসবে বলে জানিয়েছে তিতাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র।

এছাড়াও সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।


তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত। যার সরকারি নিবন্ধন নম্বর বি-১১৯৩। জনপ্রিয় এই নেতা টানা চারবার তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।








আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব মা দিবস পালন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ডিএমপির ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে অদ্য নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন পুলিশ বক্সে আশেপাশের দু:স্থ ও  ছিন্নমূল মায়েদের মাঝে প্যাকেট লাঞ্চ বিতরণ । এ উপলক্ষে দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম। এ সময় ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ডেমরা জোন) মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী জোন) তানজিল  আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কার্যক্রমের শুরুতে ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, "সন্তানের জন্য মায়েদের ত্যাগ অপরিসীম। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মায়েরা অধিকাংশ সময় নিজেরা না খেয়ে তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন। ঢাকা মহানগরীতে ছিন্নমূল, দুস্থ ও অসহায় এমন মা আছেন যারা মাসের পর মাস নিজেরা একবেলা ভালো খাবার খেতে পান না। তাই বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সে সকল মায়েদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মায়েদের জন্য একবেলা ভালো খাবারের আয়োজন করেছি। করোনাকালীন অতিমারিতে লাশ দাফন থেকে শুরু করে সকল কাজে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম(বার) এর নেতৃত্ব অনুসরণে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নানা মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সমাজের সামর্থ্যবান  লোকেরাও এভাবে অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার  হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবিক সমাজ গড়ে তুলবে। এ সময় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে দুই শতাধিক দরিদ্র মায়েদের মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ করা হয়। পরে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে জুরাইন পুলিশ বক্সে একইভাবে দু:স্থ মা, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র অসহায় মানুষের  মাঝে আরো ২০০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক  ইন্সপেক্টর(যাত্রাবাড়ি) পবিত্র বিশ্বাস, ট্রাফিক  ইন্সপেক্টর(জুরাইন), ইসমাইল হোসেন ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (পোস্তগোলা) মনির আহমেদ।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায় ডিবি।

এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।

এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান।

এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।


আরও খবর