Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

শাকিবকে আইনি নোটিশে আল্টিমেটাম

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৬৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;‘আমি আপনাকে আগে জানিয়েছিলাম, আমার হাতে সময় কম। অস্ট্রেলিয়ায় আমার বেশ কিছু কাজ আছে। বিষয়টি আমি শাকিব খান ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতিগুলোর কাছেও বলেছি। কারও ভয়ে আমি দেশ ত্যাগ করেনি। আমি আমার কাজের জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আপনাদের সঙ্গে সব প্রমাণ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এবার লড়াই হবে আইনিভাবে।’ কথাগুলো বলেছিলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই প্রযোজক। যা নিয়ে গেল ক’দিন ধরে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

এদিকে শাকিব বারবার বলছে, এসব অভিযোগ সব মিথ্যা। শুধু তাই বিষয়টি প্রমাণের জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীর সাহয্যও নিয়েছেন। তার হয়ে আইনি লাড়বেন উপল আমিন। এসবের মধ্যেই প্রযোজক রহমত উল্লাহ শাকিব খানকে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আর এই সময়ের মধ্যে যথাযথ উত্তর না দেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার বিরুদ্ধে- এমনটাই জানিয়েছেন এই প্রযোজক।

রহমত উল্লাহ’র পক্ষে ঢাকায় আইনি দিকটা সামলাচ্ছেন অ্যাডভোকেট ড. মো. তবারাক হোসেন ভুঁইয়া। জুরিসকনসাল্টস অ্যান্ড লিগ্যাল সল্যুশনের (জেএলএস) হেড অব চেম্বার তিনি। তার কাছ স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে শাকিবের ঠিকানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই চেম্বারের জুনিয়র অ্যাসোসিয়েটস ও মুখপাত্র তামান্না।

তিনি বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে নোটিশটি শাকিব খানের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। নোটিশে ৩ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি তারা কোনো সাড়া না দেয়, তাহলে আমাদের ক্লায়েন্টের (রহমত উল্লাহ) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, রহমত উল্ল্যাহ প্রযোজিত সিনেমায় অভিনয় করলেও তাকে ‘ভুয়া, প্রযোজক নামধারী বাটপার, প্রতারক’ বলে মানহানি করেছেন শাকিব। এরকম আক্রমণাত্মক মন্তব্য করার কারণে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’র ২৫ ও ২৯ ধারা এবং দণ্ডবিধি ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় শাকিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন রহমত। শাকিবের কাছে মানহানি ও সাধারণ ক্ষতির জন্য একটি উপযুক্ত পরিমাণ টাকাও দাবি করেছেন তিনি। তবে নোটিশে টাকার অংক উল্লেখ করা হয়নি। বেঁধে দেওয়া তিন দিনের মধ্যে শাকিবকে ক্ষমা চেয়ে নিজের মন্তব্যগুলো প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে আইনি নোটিশের কপি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘অভিনেতা শাকিব খানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রথম ধাপ এটি। যেহেতু বিষয়টি আইনি পদক্ষেপ পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই এই ব্যাপারে আপাতত আর কোনও বক্তব্য আমি দেবো না। এখন থেকে এই বিষয়ে যে কোনও ধরনের বার্তা দেয়ার প্রয়োজন হলে সেটা আমার বিজ্ঞ আইনজীবী দেবেন।’


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইয়াছিন আলী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইয়াছিন আলীকে (৫৭) আটক করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-৬ এর খুলনা ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায় আসামিরা।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন শানতলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াছিন আলী কলারোয়া উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার নির্যাতিত স্ত্রীকে দেখে ফেরার পথে কলারোয়া থানা এলাকায় পৌঁছলে কতিপয় সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, হাত বোমা সহ তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন সহ অন্যান্য আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়। পরে মামলাগুলোর বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে ইয়াছিন আলী অন্যতম এবং তিনি সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২৬ মার্চ রাতে তাকে যশোরের শানতলা মোড় থেকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব-৬এর সদস্যরা। পরে তাকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



তৃষ্ণার্ত মানুষের জন্য খাবার পানি সরবরাহ করছেন কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:বর্তমান সময়ে গরমের খুব খারাপ পরিস্থিতি। আর এই গরমে রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে দিনমজুর ও রাস্তার খেটে খাওয়া মানুষের খাবার পানি সরবরাহ করছেন কাফরুল থানা পুলিশ। 

কাফরুল  থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফারুকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া খুব কষ্টকর ব্যাপার। আর যারা জীবিকার তাকিদে ঘর থেকে বের হচ্ছে তারা সারাদিন খুব কষ্ট করছে। তাই তাদের এই কষ্ট দূর করার জন্য আমাদের এই সামান্য উদ্যোগ। বিশেষ করে যারা রিক্সাওয়ালা শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন তাদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। 

হঠাৎ করে কেনই ব্যতিক্রম  উদ্যোগ হাতে নিলেন সেই প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমরা যারা পুলিশ তারা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি। সেই দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য এই পানির ব্যবস্থা করা।এছাড়া কাফরুল  থানার বিভিন্ন জায়গায় ১৫০০ পানির  বোতল বিতরণ করা হয়।

আরও খবর



রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচনে- তিন পদে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আমল,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২১ এপ্রিল বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারই প্রথম শুধু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এরমধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলাও রয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে  মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪ - ২৬ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ - ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে ও ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।

রবিবার ( ২১ এপ্রিল ) এ উপজেলায় সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, উপজেলা আ'লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সইদুল হক, আ' লীগ যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব, আ' লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য , আব্দুল কাদের।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোহেল রানা,  উপজেলা আ'লীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, আওয়ামী যুবলীগ সম্পাদক, রমজান আলী, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিক, হযরত আলী, কৃষক লীগ সভাপতি বাবর আলী, ও সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায় 
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, শেফালী বেগম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাহফুজা বেগম পুতুল,  আ'লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন ও শারমিন আক্তার। 

উল্লেখ এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ শ ৯১ জন। ৬৬টি কেন্দ্রে আগামি ২১ মে (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



গার্মেন্টস মালিকের নামে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে ফাইয়াজুল হক সাজু নামে এক গার্মেন্টস মালিকের নামে মিথ্যা চাদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে এক  মৎসজীবীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের মুন্সিপাড়ায় ওই ব্যবসায়ীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো: শাহীন হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,  ফাইয়াজুল হক সাজু একজন তরুন উদ্যোক্তা ও স্বনামধন্য ব্যবাসায়ী। তিনি সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আর এস ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী। সাজু দেশ বিদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন। তার গার্মেন্টসে প্রায় চারশ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ সাজুর প্রতিবেশী জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল সরকার  গায়ের জোরে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে  সাজুদের জমি দখল করে রেখেছে। এনিয়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হলেও জুয়েল কুট কৌশলে ও অনৈতিক প্রভাবে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। সম্প্রতি গোপনে নকশা অনুমোদন করিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। একারণে সাজুর পরিবার অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন। 
তিনি বলেন,  আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন জুয়েলকে। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙ্চুর করে চাঁদাবাজি, লুট ও মারপিট করার মিথ্যে অভিযোগে সাজুর পরিবারের লোকজনের নামে মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এমনকি মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তানাহলে সাংগঠনিকভাবে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি আখতার খান,  সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ মোহন, এলাকাবাসী ইলিয়াস আলী, ভুক্তভোগী ফাইয়াজুল হক সাজু ও তার মা সৈয়দা জড়িনা বেগম।

এ ব্যাপারে জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল সরকার বলেন, আমার বাবার  কেনা জমিতে বাড়ি করছি। প্রতিবেশী  ফাইয়াজুল হক সাজু আমার বাড়ির এক শতক জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ জন্য আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৯ মার্চ সাজুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

আরও খবর