Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

সাকিব-হৃদয়ের ব্যাটে সংগ্রহ ৩৩৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করেছে। যদিও তারা দুজনেই নড়বড়ে নব্বইয়ে বিদায় নিয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।  

শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। দুপুর ২টা ম্যাচটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ৩ রানে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে আউট হন। এরপর দলীয় ৪৯ রানে আরেক ওপেনার লিটন দাস ফেরেন। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ২৬ রান করা এই ডানহাতি পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দেন। আর ২৫ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিনের বলে বোল্ড হন।

দলীয় ৩৮তম ওভারে নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হন সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত ব্যাট করা এই তারকা ৮৯ বলে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে গ্রাহাম হিউমের শিকার হন। ৫৩তম ফিফটি পাওয়া এই তারকা ৯টি চার হাঁকিয়েছেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তিনি তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১২৫ বলে ১৩৫ রান তোলেন।

যদিও তামিমের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন সাকিব। ২০তম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে মিড অফে সিঙ্গেল নিয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি। পাশাপাশি ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ও হয়ে গেছে সাকিবের। আর এই ডাবলে সাকিবই দ্রুততম। তিনি পেছনে ফেলেন শ্রীলংকান কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদিকে।

৪৬তম ওভারে মুশফিকুর রহিম ও তৌহিদ হৃদয় আউট হন। যেখানে অভিষেকে দারুণ ব্যাটিং করলেও নড়বড়ে নব্বইয়ে বিদায় নিয়েছেন হৃদয়। তিনি গ্রাহামের বলে ৮৫ বলে ৯২ করে বোল্ড হন। ৮টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি। একই ওভারে এর আগে মুশফিক ২৬ বলে সমান ৩টি চার ও ছক্কায় ৪৪ করে মাঠ ছাড়েন। এই দুজন জুটি গড়ে ৪৯ বলে ৮০ রান তোলেন।

হিউমের চতুর্থ শিকার হওয়া তাসকিন আহমেদ ৭ বলে এক ছক্কায় ১১ রান করেন। আর শেষ ওভারে ইয়াসির আলী ১০ বলে ১৭ করে রান আউট হন।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান হিউম। একটি করে উইকেট পান অ্যাডায়ার, ম্যাকব্রিন ও ক্যাম্ফার।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।

আয়ারল্যান্ড স্কোয়াড: অ্যান্ড্রু বালবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টিফেন দোহেনি, হ্যারি টেক্টর, মার্ক অ্যাডায়ার, লরকান টাকার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, কার্টিস ক্যাম্ফার, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিন।


আরও খবর



উখিয়ায় মাটিকাটার সময় পাহাড় ধ্বসে তিন রোহিঙ্গা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় মাটি কাটার সময় পাহাড় ধ্বসে ৩ রোহিঙ্গা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।গতকাল  বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টার সময়  উখিয়ার মুহুরীপাড়ায় মাটি কাটার সময় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

নিহতরা হচ্ছে,উখিয়ার কুতুপালং ১/ইস্ট ক্যাম্পের বি/১ ব্লকের মৃত মোঃওয়ারেসের পুত্র সৈয়দ আকবর (২০), ডব্লিউ /১ ক্যাম্পের সি/১৪ ব্লকের মৃত আবদুল মতলবের পুত্র জাহিদ হোসেন (২৪) ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পের এইচ/১০৭ নম্বর ব্লকের সুলতান আহাম্মদের পুত্র নুর কবির (২৭)। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উখিয়ার মুহুরী  পাড়া এলাকার বাসিন্দা নেছার আহমদের বাড়ি সংলগ্ন পাহাড়ের মাটি কাটার কাজ করছিল এক দল  রোহিঙ্গা শ্রমিক।মাটি কাটার এক পর্যায়ে পাহাড়ের উপরিভাগের অংশ ধ্বসে  পড়ে। এ সময় কর্মরত ৩ শ্রমিক মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভেল ডিফেন্স এর স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, দুইজনের মরদেহ সকাল ৯টার সময়  উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ছৈয়দ আকবরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সংবাদ পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


আরও খবর



হেভিওয়েট প্রার্থীদের নিয়ে তোড়জোড়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image
  • নিজস্ব প্রতিবেদক;হেভিওয়েট প্রার্থীদের আসন বলে পরিচিত পাবনা-১। সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত এই আসন থেকে নির্বাচিত প্রার্থীরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের শেষদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এই আসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। অফিস-আদালত, চায়ের দোকান, ক্লাব, রিকশা-বাস, সিএনজি-নছিমন-করিমন স্ট্যান্ডসহ সর্বত্র এখন নির্বাচনী আলোচনা। কোন দলের পক্ষে কারা কারা মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং কে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন দলের জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। পরপর তিনবার এই আসনে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে এই আসনে বিজয়ী হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়্যিদ। ১৯৯১ সালে এই আসনে বিজয়ী হন জামায়াতের মওলানা মতিউর রহমান নিজামী (মানবতাবিরোদী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত)। ২০০১ সালে তিনি আবারও নির্বাচিত হলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তারও আগে এই আসনে বিজয়ী হয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় পার্টির মেজর (অব) মঞ্জুর কাদের।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে পরাজিত করেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। ওই মেয়াদে তিনি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে ফের মনোনয়ন পেয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়্যিদকে হারান তিনি। আবু সাইয়্যিদ প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান ১৯৯১ সালে। সেবার জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামীর কাছে পরাজিত হলেও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিজয়ী হন তিনি। তবে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আবারও নিজামীর কাছে হারেন তিনি।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। এ ছাড়াও দলটির মনোনয়ন চান সাঁথিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই নেতা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন, দলের বাইরে কোনো কাজ করবেন না।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে শামসুল হক টুকুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়্যিদ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করেন তার ছেলে ও বেড়া পৌরসভার মেয়র আসিফ সামস রঞ্জন। তিনি জানান, পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর বিকল্প নেই। তাই তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হবেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে চায়।

১৯৯১ ও ২০০১ সালে পাবনা-১ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন জামায়াতের প্রার্থী মতিউর রহমান নিজামী। শোনা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে দলটি থেকে প্রার্থী হবেন বেড়া উপজেলা শাখার আমির ডা. আব্দুল বাছেদ খান। তিনি বলেন, জামায়াত তৃণমূলের সংগঠন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে যোগ্যতম ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয় তার দল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আবারও এই আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাছেদ খান জানান, এই আসনে জামায়াত প্রার্থী ১৯৯১ সালে ৩৮ শতাংশ, ’৯৬ সালে ৩২ শতাংশ, ২০০১ সালে ৩৯ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে ৩৩ শতাংশ ভোট পায়।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেত্রী খাইরুন নাহার খানম। তিনি দাবি করেন, নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলীয় কর্মকা-ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ভোটের পরিবেশ এলে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি নির্বাচন করবেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মামলা তথ্য সংরক্ষণবিষয়ক সম্পাদক, ধোপাদহ ইউনিয়নের দুইবার নির্বাচিত চেয়াম্যান সালাহ উদ্দীন খান দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন করবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, এই আসনের সাঁথিয়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮২১ আর বেড়া অংশে (১টি পৌরসভা ও ৪টি ইউপি) নিয়ে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৩।


আরও খবর



মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ১৯৫ জন শিক্ষার্থী। যেখানে পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এবার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আসন আছে চার হাজার ৩৫০টি। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রথম ৪ হাজার ৩৫০ জন এসব কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। উত্তীর্ণ বাকি শিক্ষার্থীরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারবেন।

সারা দেশে ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এবার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মোট ছয় হাজার ৭৭২টি আসন রাখা হয়েছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।

এদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন রাফসান জামান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষায় এ শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন, যা মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ৮৮।

পরীক্ষায় সর্বমোট পাসের মধ্যে ছেলে ২০ হাজার ৮১৩ জন, পাসের হার ৪২ দশমিক ৩১ এবং মেয়ে পাস করেছেন ২৮ হাজার ৩৮১ জন, পাসের হার ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

এর আগে গত ১০ মার্চ সারা দেশে একযোগে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।

যেভাবে ফল জানবেন

পরীক্ষার ফল তিনভাবে জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশের পরই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। আবেদন করার সময় দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে ফল জানতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা।


আরও খবর



দূষিত শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান সপ্তম

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ রোববার ঢাকার অবস্থান সপ্তম। সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৩। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর ছিল রাজধানীর বাতাস।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে চরম অবনতি না হলেও বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষ দশে রয়েছে ঢাকা।

আগের দিন শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে শহরগুলোর মধ্যে নবম অবস্থানে ছিল ঢাকা।

আজ সকালের ওই সময়ে বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে শীর্ষে ছিল উত্তর থাইল্যান্ডের বৃহত্তম শহর চিয়াংমাই। এ সময়ে বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ঘানার আক্রা ও ভারতের দিল্লি।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, রোববার সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৮ গুণ বেশি। একই সময়ে চিয়াংমাইয়ের বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৩০ দশমিক ৮ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

প্রতিষ্ঠানটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।


আরও খবর



চীন তিন বছর পর আবারও সীমান্ত খুলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে তিন বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে চীন। আগামীকাল বুধবার থেকে সব ধরনের ভিসা ইস্যু করার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারির কারণে টানা তিন বছর বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ ছিল দেশটিতে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত মাসে দেশটির কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণার পর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপসারণ করা হলো।

পর্যটন খাতকে উৎসাহিত করার জন্য ১৭ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশটির এই খাত গত বছর প্রায় অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের যেসব অঞ্চলে করোনা মহামারির আগে কোনো ভিসার প্রয়োজন ছিল না, সেগুলো আবারও ভিসা-ফ্রির আওতায় আসবে। এর মধ্যে থাকবে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন দ্বীপ হাইনান ও সাংহাই বন্দরের মধ্য দিয়ে যাওয়া ক্রুজ জাহাজও।

এ ছাড়া হংকং ও ম্যাকাও থেকে বিদেশিদের জন্য দক্ষিণাঞ্চলীয় উৎপাদনকেন্দ্র গুয়াংডং যেতে ভিসা-ফ্রি যাতায়াত আবার চালু করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৮ মার্চের আগে ইস্যু করা ভিসাধারী বিদেশিরা, যাদের এখনো মেয়াদ রয়েছে, তারাও চীন ভ্রমণ করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সবার জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ায় সামনে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে চীনে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা। আবারও আলোর মুখ দেখবে চীনা পর্যটন খাত।


আরও খবর