Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সাবেক সংসদ সদস্যদের পেনশন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য পেনশন সুবিধা চালুর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি একইসঙ্গে সংসদবিষয়ক কাজে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন আ ক ম মোজাম্মেল। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় সাবেক সংসদ সদস্যগণের জন্য বিশেষ ভাতা ও পেনশন সুবিধা চালু করার কোনো পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই। তবে, ভবিষ্যতে সাবেক সংসদ সদস্যগণের জন্য বিশেষ ভাতা ও পেনশন সুবিধা চালু করা যায় কি না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরকার সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দেশে ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫৩টি। সরকার আরও নয়টি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, মেহেরপুর, লক্ষ্মীপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, বগুড়া এবং নাটোর। তবে ইতিমধ্যে কয়েকটির জেলার বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদ ও সংসদে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের সম্মানী ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। ফল প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে তা পরিশোধ করা হয়।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, গত তিন মেয়াদে ৭৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৫টি স্কুল, ৩৫৯টি কলেজ, ৫৩টি স্কুল ও কলেজ এবং ৪০টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



গাংনীতে পুলিশি অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

এরা হচ্ছে- গাংনীর করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন(৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন(৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ(৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ(৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল(২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় করমদি গ্রাম থেকে স্বপন ও লিটনের কাছ থেকে ১০৫ বোতল ফেনসিডিল, হিন্দা গ্রামের রাস্তায় টেফেনের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি জনসেন মোটরসাইকেল ও মাদক বিক্রির ১৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও বাওট গ্রামের রাস্তা থেকে মামুনর রশীদ ও বামন্দী বাজারের রাস্তায় স্বজলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।


আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে নজর রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন,মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থার দিকে দৃষ্টি রাখতে ও সংকট দীর্ঘমেয়াদী হলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তার প্রস্তুতি নিতে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধাননমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় সম্ভাব্য রি-অ্যাকশন কী হতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এখন থেকে সে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কনফ্লিক্ট যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় সেটি কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব, সেগুলো মোকাবিলার জন্য আমরা কী করতে পারি সেগুলোর প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‌উত্তেজনা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তখন বিভিন্ন সেক্টরে যে ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) পড়তে পারে সেটি যেন সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে এক্সারসাইজ এবং তা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে বলেছেন যার যার সেক্টরে সবাই যেন প্রস্তুতি নেয়। ক্রাইসিস তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, তখন কী করা যায়, সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা রাখতে বলেছেন।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বা কেন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, তা মন্ত্রিসভাকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের আওতায় একটা আলাদা কর্তৃপক্ষ হবে।

একটি ১৭ সদস্যের গভর্নিং বোর্ড থাকবে, সেখানে চেয়াপারসন থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। মূল কাজ হবে মাস্টারপ্ল্যান করা। বৈদেশিক বিনিয়োগ বাজার উন্নত করা। এর আওতায় জমির পরিমাণ ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমি। ঐ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ করে করা হবে। যার প্রধান কার্যালয় হবে কক্সবাজার।

অন্যদিকে আগের মতোই সুপ্রিম কোর্টের প্রাধান ও অন্য বিচারপতিরা যেভাবে বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পান সিইসি ও ইসিরা তাই পাবেন- এমন বিধান রেখে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।


আরও খবর



ঈদের পর কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯২জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদ উল ফিতর ও বৈশাখ উপলক্ষে টানা ৫ দিনের ছুটি শেষে সোমবার ১৫ এপ্রিল খুলেছে সরকারি বেসরকারি দপ্তর,ব্যান্ক বিমা সহ সকল প্রতিষ্ঠান।গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণার পরও অনেকেই অতিরিক্ত ছুটিতে রয়েছেন বলে একাধিক প্রতিষ্ঠানেই কর্মচান্ঞল্য থাকার কথা নয়।

জানা যায়,৮ এপ্রিল অফিস শেষে করেই সরকারি ছুটি শুরু হয়ে যায়। ১৫ এপ্রিল সোমবার কাজে যোগদানের কথা থাকলেও ঢাকা গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৪ এপ্রিল রবিবার বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল শনিবার কর্মজীবিরা ঢাকা সহ অনেক জায়গায় যাত্রা শুরু করেন।টানা এ ছুটি শেষে সোমবার সব প্রকার অফিস-আদালত খুলছে বলে জানা যায়। তবে স্কুল কলেজ খুলতে আরো দুই চার দিন লাগতে পারে বলে জানান স্কুল ও কলেজ পরিচালকরা।

মরিয়ম নামের এক নারী যাত্রী জানান, সৈয়দপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাত্রা যথেষ্ট আরামদায়ক।  সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত পুলিশি সেবা পাওয়া যায় সার্বক্ষনিক। এর ফলে প্রায় সময় ট্রেনেই যাওয়া আসা করি।

সৈয়দপুর রেলওয়ের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার রানা বলেন,রবিবার ১৪ এপ্রিল নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড় হয়েছে। যাত্রীরা যাতে ভালো ভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এজন্য প্রায় ৪ টি নতুন বগি সংযুক্তও করা হয়েছে। 

স্টেশন মাষ্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, যাত্রীদের সুব্যবস্হা ও বগি বৃদ্ধি করায়, তারা আরাম আয়াসে ফিরতে পারছেন নীজ কর্মসংস্থানে। সার্বক্ষনিক দেয়া হচ্ছে পুলিশি সেবা।

দেখা গেছে নারীর টানে প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ করতে কর্মব্যস্ত ঢাকা শহরকে সাময়িক বিদায় জানিয়ে ৮ এপ্রিলের মধ্যে গ্রামে ঈদ করতে আসেন লাখ লাখ মানুষ।

ঈদের আগে ট্রেন ছাড়াও বাস--লঞ্চ সব মাধ্যমেই ছিল বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। আর সেই উৎসব আনন্দ শেষ করে এখন কর্মে ফেরার পালা তাদের।

যদিও ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা অনেকে ঈদের সাধারণ ছুটির সঙ্গে আরো ২/৪ দিন ছুটি বাড়িয়ে গ্রামেই কাটিয়ে দেবেন আরো ৪/৫ দিন। তাই ১৭/১৮ এপ্রিল হতে পারে পূর্ণ কর্ম ব্যস্ততা।সেই সময় পুরোপুরি প্রাণ চাঞ্চল্য হয়ে উঠবে ঢাকা।

গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যস্ততা শুরু হবে ১৪ এপ্রিল রবিবার থেকেই। কেন না সোমবার সব প্রকার পত্রিকা চালু হচ্ছে বলে জানা যায়। 


আরও খবর



নওগাঁয় ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯৮জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির করছে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের তেতুলিয়া বাজারে নূর নেহা লাচ্ছা সেমাই কারখানায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রং ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। ভেজালবিরোধী অভিযান শিথিল হওয়ায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নাম্বার যেটা আছে (বিডিএস ১৬২০) সেই নাম্বার আবার নওগাঁ সদর উপজেলার মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি নিজের লাকী লাচ্ছা সেমাই নামে ( বিডিএস ১৬২০) দাবী করেন।  এছাড়াও এই কারখানায় নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, যার কারণে কারখানার পরিবেশটাও নোংরা। এই কারখানায় নিম্নমানের পাম অয়েল ও ডালডা দিয়ে তৈরি করছে এসব সেমাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য চিকিৎসকদের। 

স্থানীয়রা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে তেতুলিয়া বাজারে নুর নেহা ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বিস্কুটের কাজ বন্ধ রেখে গড়ে তুলেছেন লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা। মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদাল এসে লিখিত নিয়ে জরিমানা করেন। তারপরেও কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) ইসলামী আন্দোলন দলের নেতা হওয়ায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে  অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় ভেজাল পন্য তৈরি করেন। 

তেতুলিয়া বাজারের স্থানীয় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক দোকানদার বলেন, প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে ও তদারকির অভাবে ভেজাল লাচ্ছা তৈরির করছেন ফারুক’ এই কারখানার  কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া উচিত তা না হলে এই ভেজাল লাচ্ছা সেমাই খেয়ে শিশু বৃদ্ধসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিজেকে ইসলামী আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার কারখানায় মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত আসে তারা এসে ২.৪.৫ হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যায় আমার কিছুই করতে পারে না। আমি কিভাবে ব্যবসা করছি এটা আমার বিষয় আপনাদের সমস্যা কি আপনারা থাকেন আমার লোকজন যাচ্ছে আপনার কি করতে আমার কারখানায় আসছেন সেটা আমি দেখছি।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ জানান, পচা ডিম, অ্যানিমেল চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত সেমাই তৈরি যাতে না হয়, সে জন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে এসব ভেজাল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং আমরা এই বিষয়ে জেনেছি ব্যবস্থা নিব।

আরও খবর