Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

র‌্যাবের অভিযানে গোলাগুলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ সোমবার ভোর থেকে কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলির পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জঙ্গি সংগঠনটির শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রণবীর এবং তার সহযোগী ‘বোমা বিশেষজ্ঞ’ বাশার।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোমবার ভোরে অভিযানে নামেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ সদস্যরা। এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি শুরু করে।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আস্তানা থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শীর্ষ নেতা, শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রণবীর এবং তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

এ ঘটনায় পরে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।


আরও খবর



গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: নিহতদের নিয়ে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। হতাহত হয়েছেন শতাধিক। নিহতদের অধিকাংশই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভবনে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে ১২ জনকে নিহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। ১১২ জনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আমরা হাসপাতালে প্রস্তুত রেখেছি। আমাদের ডাক্তার, নার্স যারা ছিল সবাইকে আমরা এখানে নিয়ে এসেছি।’

তিনি আরও জানান, ‘আমাদের যে ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা আছে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরে আহতদের ওয়ার্ড বা আইসিইউ যেখানে দরকার সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো ঢাকার জন্য আমাদের একটি ইমার্জেন্সি সিস্টেম আছে। এর মাধ্যমে মেসেজ পেয়ে সবাই চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে এসেছেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আশপাশে যেসব হাসপাতাল আছে সেখানেও আমরা ব্যবস্থা করে রেখেছি। সেখানে ডাক্তারা রেডি আছে। এখানে জায়গার অভাব হলে বার্ন ইউনিটে, সলিমুল্লাহ মেডিকেলে রোগী নিয়ে যেতে পারব। ইতোমধ্যেই আমরা জেনেছি আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। অনেকেই আবার পুড়েও গেছেন। আমাদের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাত জন ভর্তি হয়েছে। তাদের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অনেকে বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর আবার এখানে চলছে আসছে। এখানে চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ইমামকে রাজকীয় বিদায়, পেলেন ১০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি ;গাজীপুরের একটি স্থানীয় মসজিদের ইমামকে রাজকীয় বিদায়ী সংবর্ধনা দিল এলাকাবাসী। তার নাম মো. হাসান। তিনি দীর্ঘ ৫৩ বছর গোসিঙ্গা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় হাদিয়া হিসেবে ইমামের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা।

গত শনিবার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নে মো. হাসানকে ব্যতিক্রমী এ সংবর্ধনা দিয়েছে এলাকাবাসী। তৈরি করা হয় অনুষ্ঠানমঞ্চ। বিদায় মঞ্চে কয়েকশ মোটরসাইকেলের বহর ও গাড়ির বহরযোগে ইমামকে বাড়ি থেকে আনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা। 

বিদায়ের এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন হাফেজ মো. হাসান। তিনি গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোঁজেখানি গ্রামের বাসিন্দা। সংসার জীবনে পাঁচ সন্তান ও দুই মেয়ের জনক। পাঁচ ছেলের মধ্য তিনজন মাদ্রাসায় শিক্ষক ও দুইজন লেখাপড়া করছেন। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মো. হাসান বলেন, ‘৫৩ বছরের হিসাব থাকলেও এর চাইতে বহু বছর ওই মসজিদে একাধারে ইমামতি করেছি। আমাকে মসজিদ কমিটি, বাজারের ব্যবসায়ী, গন্যমান্য ব্যক্তিসহ এলাকার মুসল্লিরা যে সম্মানে বিদায় দিয়েছেন তা অন্যান্য ইমামদের ইজ্জত বাড়িয়েছে। এমন নজির সব জায়গায় চালু হওয়া দরকার।’

সম্মাননা পাওয়া টাকায় তিনি একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা তৈরি করতে চান। তিনি বলেন, ‘এ টাকা মসজিদ ও মাদ্রাসার পুরো কাজ হবে না। আরও টাকার দরকার। আমি আমার সম্মাননা পাওয়া টাকায় কাজ শুরু করব। বেঁচে থাকাকালীন যতটুকু পারব করে শেষ করব। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ও আমার পরবর্তী প্রজন্ম বাকি কাজ সম্পন্ন করবেন।’

গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছাইদুর রহমান শাহিন মোড়ল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে মো. হাসান হুজুর এই মসজিদের ইমামতি করতে দেখেছি। সকল ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আন্তরিক। তার এ আন্তরিকতায় সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তারই প্রতিফলন তিনি অবসরকালে পেলেন। তার বিদায় উপলক্ষে সকলেই অশ্রুসিক্ত।’

তিনি আরও বলেন, সম্মাননা স্বরূপ বিদায়ী ইমামের হাতে নগদ ১০ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রবাসীরাও এই আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।

বিদায় অনুষ্ঠানে মসজিদ কমিটির সভাপতি গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছাইদুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কাপাসিয়ার পীর সাহেব দেওনা ও মাদ্রাসা দাওয়াতুল হকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী, জামিয়া আনওয়ারীয়া মাদ্রাসার বরমী মোহতামিম আল্লামা আশেখে মোস্তাফা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল হোসেন মোড়ল, গোসিঙ্গা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন মন্ডলসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদ পরিচালনা কমিটি, বাজার পরিচালনা কমিটির নেতা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দলের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



রোজায় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

রোজায় স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যাভ্যাসে আসে বড় পরিবর্তন। সাধারণত আমরা দিনে তিনবেলা খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু রোজার সময়ে খাবারের এই পরিচিত নিয়ম পাল্টে যায়। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু হয়, শেষ হয় মাগরিবের আজান শুনে ইফতার করার মাধ্যমে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রোজা পালন করেন মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে আলাদা খাদ্যাভ্যাস বলেই এসময় খাবারের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হতে হবে। এমন সব খাবার খেতে হবে, যেগুলো শরীরের জন্য বেশি উপকারী। সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবারে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর সব খাবার।

রমজানে কোন কোন খাবার খাবেন আর কী কী খাবেন না, সে বিষয়ে আজকের পরামর্শ।

অতিরিক্ত লবণ: অতিরিক্ত লবণ বা কাচা লবণ খাবেন না। কারণ লবণ পানির তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। রোজায় বেশিরভাগ মানুষের ক্ষুধার চেয়ে পানির তৃষ্ণায় বেশি কষ্ট পেতে দেখা গেছে।

ফ্রাইড ফুডস: ভাজা পোড়া একদমই না। ভাজা পোড়া খাবার এ তেলের অধিক্য থাকে এবং অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকার পরে ভাজাপোড়া পেটে গ্যাসের  সমস্যা করে। তাছাড়া ওজন আধিক্যের ব্যপার তো আছেই।

সাদা বা রিফাইন্ড খাদ্যদ্রব্য: ভাত, সাদা আটা, চিনি এবং চিনি জাতীয় খাবার। এই খাবারগুলো তে প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকলেও পুষ্টির পরিমাণ খুব কম। এই খাবারগুলো সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি দিলেও বেশিক্ষণ থাকে না।

চা বা কফি: চা বা কফি খাবার অভ্যাস যাদের আছে, তারা চেষ্টা করবেন শুধুমাত্র ইফতারের পর পরই পান করতে। কারণ চা/কফি ডায়ারিউটিক, অর্থাৎ ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ তৈরি করে ফলে দেহে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।

সবশেষে সেহরি বা ইফতার এ একদমই বেশি বেশি খাওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করুন এবং রমজানে সুস্থ থাকুন।

কী কী খাবেন

* প্রচুর পানি। ইফতার থেকে সেহেরির মাঝের সময় তাতে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি গ্রহণ করুন। মানে ৮-১০ গ্লাস পানি প্রতিদিন।

* জটিল শর্করা গ্রহণ করুন সেহেরিতে। কারণ তা অনেক্ষণ সময় লাগে হজম হতে। ফলে সারাদিন ক্ষুধা অনুভব হতে দেয় না। জটিল শর্করার মধ্যে আছে বিভিন্ন শাক-সবজি, সিম, বাদামি চাল, গমের আটা, বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।

* ইফতারের শুরুটা খেজুর দিয়ে করতে পারেন। খেজুর এ আছে প্রাকৃতিক চিনি যা আপনাকে তৎক্ষণাৎ শক্তি দিবে। তা ছাড়াও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং মিনারেলস।

* ডাবের পানি রাখতে পারেন ইফতার এ। ডাবের পানি শরীরের ইলেক্ট্রলাইট ব্যলেন্স ঠিক রাখে এবং শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে।

* ইফতারে একটি সুষম খাবার প্লেট সাজানোর চেষ্টা করুন যে প্লেটে থাকবে রমজানের মিষ্টি (খেঁজুর), ফল, ১টি ভারী খাবার, সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি। ফল ও সবজিতে আছে জটিল শর্করা যা পেট ভরপুর রাখবে। কিন্তু ক্যলোরি কম এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য থেকেও রক্ষা করবে।

* সেহেরিতে আমরা অনেকেই ক্ষুধা লাগবে ভেবে অতিরিক্ত ভাত খেয়ে ফেলি। আসলে এই অতিরিক্ত খাবার আমাদের কোনো কাজেই আসে না বরং ওজন বাড়ায়। তাই সেহেরিতে শাকসবজি বেশি খান কারণ ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেটে থাকে এবং ক্ষুধা অনুভব কম হয়।

* যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা ইফতারের আগে ব্যয়াম করুন। কারণ এসময় শক্তির জন্য অন্য কোনো খাবারের সোর্স না পেয়ে দেহ ফ্যট ভাংতে থাকে।

রমজান মাসে একটু ভেবে চিনতে খাওয়া দাওয়া করলে কোনো কষ্ট ছাড়াই সিয়াম পালন করা যাবে। তাই একটু সচেতন হই এবং সুস্থ ও সুন্দরভাবে সিয়াম পালন করি। শুভ হোক মাহে রমজান।


আরও খবর

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩




কূটনীতিকদের বাণিজ্য বাড়াতে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

 বাসস: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ টেকসই করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে তৎপর হতে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‌‘দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি আপনাদেরকে (কূটনীতিকদের) অর্থনৈতিক কূটনীতিকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় হতে হবে।

স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের অংশগ্রহণে দোহায় তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত একটি আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে এই নির্দেশনা দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক অর্জন করতে যাচ্ছে। এজন্য সে সব দেশের প্রতি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে লাভবান হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আপনাকে চোখ খোলা রেখে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতা করতে হবে। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা টিকে থাকতে পারব, আরও এগিয়ে যেতে এবং অবশেষে উন্নত দেশ হিসেবে স্নাতক হতে পারব।

‘এক সময় কূটনীতি একটি রাজনৈতিক বিষয় ছিল। কিন্তু এখন এটি অর্থনৈতিক বিষয়, মানে অর্থনৈতিক কূটনীতি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাই যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন তাদেরকে সেই দেশগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে যেখানে আমরা বাণিজ্য ও ব্যবসা করতে পারি। একই সঙ্গে সেসব দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে এবং যে দেশগুলো থেকে আমরা কম এবং ন্যায্য দামে পণ্য আমদানি করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যবসা ও বাণিজ্য আরও বাড়াতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সরকারপ্রধান বলেন, ‘যেসব দেশে আমাদের পণ্যের চাহিদা আছে এবং যেখানে বিপণনের সুযোগ আছে সে সমস্ত দেশকে চিহ্নিত করুন।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বাংলাদেশের নীতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। অন্তত আমি দাবি করতে পারি যে, বাংলাদেশ সঠিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। কিন্তু যখন কোনো অন্যায় দেখা যাবে, তখন বাংলাদেশ অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলবে, যা মিয়ানমারকে বলা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন মিয়ানমারে ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন আমরা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াইনি। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের পঞ্চম স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী এখন কাতার সফরে রয়েছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে তিনি গত শনিবার সেখানে পৌঁছেন। আগামীকাল বুধবার ঢাকার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



বিদেশি তামাকের বাজার প্রতিরোধে আইনের বাস্তবায়ন দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সিগারেটের নিম্ন স্ল্যাব দেশীয় কোম্পানির জন্য সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতা আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছে দেশীয় তামাক কোম্পানিগুলো। আজ শনিবার রাজধানীর সিক্স সিজন্স হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সিংহভাগ আসে মূসক খাত থেকে। আর এই খাতে আহরিত মোট রাজস্বের এক তৃতীয়াংশ আসে দেশের সিগারেট খাত থেকে। প্রধানমন্ত্রী দেশীয় শিল্পের বিকাশ, উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বেকারত্ব দূরীকরণসহ শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে সব সেক্টরে ইতিবাচক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। শুধুমাত্র দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে ‘Made in Bangladesh’ স্লোগানে দেশীয় শিল্পকে বিশেষ প্রণোদনা অথবা কর অব্যাহতি/অবকাশ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তারাও সিগারেট খাতে অনুরূপ প্রণোদনা ও স্বার্থ সংরক্ষণের নীতি সহায়তা চান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেন যে, অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ সালের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে দেশীয় কোম্পানীর স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করে বলেন, ‘বিদেশী ব্র্যান্ডের সিগারেট শুধুমাত্র মধ্যম এবং উচ্চ স্তরে তৈরি করা যাবে। নিম্ন স্তরে কোন বিদেশি ব্র্যান্ড আমরা Allow  করব না, এটা শুধুমাত্র দেশী শিল্পের জন্য দেশী ব্র্যান্ডের জন্য রিজার্ভ থাকছে।’

এই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ইতিপূর্বে বাজেটের মাধ্যমে গৃহিত সকল সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধুমাত্র সিগারেট খাতে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পের সুরক্ষার্থে এবং জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের মাধ্যমে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে বিলম্বিত হচ্ছে।’

সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বন্টন ব্যবস্থা আনয়নে প্রতিযোগিতামূলক আইন-২০১২ বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।


আরও খবর