Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রূপগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২০জন দেখেছেন

Image

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মোঃআবু কাওছার মিঠু 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এ বছর বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজার ১৬৫ একর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। ভাল ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

বিভিন্ন জাতে বারি ও বীনা সরিষার আবাদ হয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব, মিঠাব, কান্দাপাড়া, মাসাব, তেতলাব, পশ্চিম গাও, মাঝিপাড়া, পাচাইখাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ।


যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন কুয়াশায় ঢাকা শীতের চাদরে দিগন্ত জোড়া সরিষার হলুদ মাঠ। মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট মৌমাছিরাও ব্যস্ত মধু সংগ্রহ করতে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটাব গ্রাম এলাকার বাসিন্দা মাশিদুল  মিয়া জানান, তিনি ৫৬ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে প্রচুর।


হাটাব এলাকার চাষি জলিল মিয়া ও বলেন, ১ বিঘা জমিতে এবার সরিষা আবাদ করেছি। উপজেলার হাটাব পিঠাগুরি এলাকার সরিষা চাষি সামছুল মিয়া জানান ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির বালু ভরাটে কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারনে কৃষি চাষ ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর বলেন, এ উপজেলার মাটি সরিষা আবাদের জন্য অনেক উপযোগী।


উপজেলায় গত বছরের তুলনায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বারি সরিষা- ৯, ১১, ১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ জাতের ৩০টি প্রদর্শনী ও ৫০০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ বছর তারা সরিষা চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষক খুসি। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তিনবার গুড়ানো অবৈধ ইটভাটা পুনরায় চালু

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তিন বার গুড়িয়ে দেয়া তিনটি অবৈধ ইটভাটা পুনরায় চালু করার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতার দাপটে ছোট চিমনী নির্মাণ করে পরিবেশ দুষণ করে পুড়ানো হচ্ছে ইট। আর নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ও ফলমুল। তাহলে ওই অবৈধ ইটভাটা এভাবেই চলবে? এমন প্রশ্ন হতাশাগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয়দের।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারী কালিয়াকৈর উপজেলার দরবাড়িয়া এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী। অভিযান চালিয়ে ভাটার আংশিক সাইট ওয়াল ভেঙ্গে জে.আর.বি ইটভাটা ৪ লক্ষ টাকা, এস.বি স্টারকে ৪ লক্ষ টাকা এবং ন্যাশনাল ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অদৃশ্য কারণে চিমনী না ভেঙ্গে বৈশম্যে জরিমানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, সাবেক ওই ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩/৪ দিন পরেই এসব ইটভাটা আবার চালু করে ইটভাটার মালিকরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। ওই ইউএনও বদলি হলে অভিযানের ২৫ দিন গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ওই তিনটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অবশেষে চিনমনীসহ অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় জে.আর.বি ইটভাটাকে দেড় লক্ষ টাকা, এস.বি স্টার ওরফে স্ট্রং বিকসকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কাউকে না পাওয়ায় ন্যাশনাল ব্রিকসকে জরিমানা করা যায়নি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে ওই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া, সহকারী পরিচালক মইনুল হক ও মমিন ভুইয়া, পরিদর্শক সঞ্জিত বিশ^াসসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা ও থানা পুলিশ। সে সময় চিমনীসহ ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়ায় সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু ওই অভিযানের কয়েকদিন পর নতুন করে আবারও তিনটি ইটভাটার ছোট আকৃতির চিমনী নির্মাণ করে মালিকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ক্ষমতার দাপটে পরিবেশ দুষণ করে দেদারছে পুড়ানো হচ্ছে ইট। আর ছোট চিমনীতে বেশি নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ও ফলমুল। তাহলে ওই অবৈধ ইটভাটা এভাবেই চলবে? এমন প্রশ্ন হতাশাগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয়দের।

অভিযানের পর কিভাবে ইটভাটা চালাচ্ছেন জানতে চাইলে এস.বি স্টার ওরফে স্ট্রং বিকসের মালিক নাসির উদ্দিন জানান, চিমনীটা ঠিক করে রাখছি। দেখি কি হয়? ইটভাটা তো ফেলে রাখা যাবে না। সবারটা ঠিক করছে, অন্য দুজন আবার আগুন দিয়ে চালু করেছে। আমি কথা বলে তারপর প্রসেসিং করবো। চিমনী নির্মাণের কথা স্বীকার করে ন্যাশনাল ব্রিকসের মালিক নুরুল ইসলাম জানান, আমি খুব ক্ষতিগ্রস্থ। যে মাল বানাইছি, সেগুলো তো পুড়াতে হবে। তারপর যদি না হয় তাহলে তো আর করবো না, ভাই। জে.আর.বি ইটভাটার মালিক সোহেল রানা জানান, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মইনুল হক জানান, নতুন করে ওই ইটভাটাগুলো চালু হয়েছে কিনা? তা আমার জানা নেই। তবে যদি এরকম হয়, তাহলে আমরা আবার ভেঙ্গে দিবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদ জানান, বিষয়টি গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তর ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবেন। উনারা যদি জানায় আর কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তাহলে আমি আবার অভিযান চালাবো। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর এসে ভেঙ্গে দিয়েছে, তাহলে উনাদেরই বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। তারপরেও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলমান দেশের ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ এবং এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ খবর জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক।

তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেরর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



মাগুরায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:মাগুরায় টেকসই ও সু সংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বজনীন পেনশন স্কীম এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল  সোমবার বিকেলে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ আবু নাসের বেগ। সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  মতবিনিময় সভা শেষে ফিতা কেটে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। এ কর্মসূচির আওতায় প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্ক্রিমে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন সরকারি চাকরির বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ।   প্রধান অতিথি  সকলকে নিরাপদ ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠায় সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন একটি সত্যিকারের প্রগতিশীল ও জনবান্ধব দেশ গড়তে সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

আরও খবর



মামলার ৬ঘন্টার পর চুরি হয়ে যাওয়া চোরাই ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার, মূলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে মামলার ৬ঘন্টার পর  চুরি হয়ে যাওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ চোর চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে  জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর প্রেস ব্রিফিংয়ে  জানান, গত ৩০ মার্চ রাতে সুকৌশলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ ও ৪টি এন্ড্রয়েড মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। পরে ১ এপ্রিল ভুক্তভোগী রুমি চাকমা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে অভিযানে নামে পুলিশ।

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভোর রাতে খাগড়াছড়ি থানার ৩নং পৌর ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ মো. সাব্বির মিয়াকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে  আসামী মোঃ সাব্বির মিয়া (১৮) অত্র মামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং ইতিপূর্বেও বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় উক্তরূপ ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে   জানায়। মামলা তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। 

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)জানান,খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও চোরাইকৃত মালামাল সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ যথাযথ আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদা সচেষ্ট থাকবে। 

আরও খবর