Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোপা আমন আগাছায় দ্বিগুণ খরচ হতাশায় ভুগছেন তানোরের কৃষকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৫৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:বরেন্দ্র অঞ্চল ও কৃষি ভান্ডার ধান উৎপাদনে বিখ্যাত এব  সুপরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি, রোপা আমন খেতে আগাছা পরিস্কারে দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে কৃষকের। এমনকি রয়েছে শ্বরমিক সংকটও। আবার যদিও পাওয়া যাচ্ছে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। আশপাশের জেলা উপজেলার চেয়ে এউপজেলায় রোপা আমন চাষ হয় প্রচুর। কিন্তু এবারে প্রথম থেকেই ভাগড়া পড়েছে কৃষকের কপালে। রোপনের পর সঠিক সময়ে পায়নি বৃষ্টির পানি। ধানী জমি থেকে শুরু করে খাল বিল শুকে চৌচির হয়ে পড়েছিল।  অবশেষে পানির দেখা পাওয়ার কারনে জমিতে প্রচুর পরিমানে আগাছা হয়ে পড়েছে। প্রতিটি মাঠে আগাছা পরিস্কারে কোমর বেধে মাঠে কৃষক শ্রমিকরা।

তানোর পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক মশিউর জানান, চারবিঘা জমির আগাছা বা ঘাষ পরিস্কার করতে বাহির থেকে শ্রমিক আনতে হয়েছে। এক বিঘায় নিম্মে ৮ জন শ্রমিক থেকে ১২ জন শ্রমিক লাগছে। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে লাগছে।আরেক প্রবীন কৃষক এমাজউদ্দীন জানান দুবিঘা জমির ঘাস পরিস্কার করতে ২০ জন শ্রমিক লেগেছে। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে ৮ হাজার টাকা লেগেছে। অতীতে কখনো এরকম ঘাস আগাছা হয়নি। এত পরিমান আগাছা কল্পনাতীত। শুধু আমার না প্রায় কৃষকের একই অবস্থা।শ্রমিক মোস্তফা জানান, ধানতৈড় গ্রামের কৃষক হামিদের আগাছা পরিস্কারের কাজ করেছি। সে ৩০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন। এক বিঘায় ১১ জন করে শ্রমিক লেগেছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করা হয়। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা মজুরি। 

কৃষকরা জানান,  রোপনের সময় অনেকে বৃষ্টির পানি পেয়েছে আবার অনেকে পাননি, সেচের পানি দিয়ে রোপন করা হয়েছে। রোপনের পর থেকে পানির জন্য হাহাকারের শেষ ছিল না। গভীর অগভীর নলকূপ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেচ দিতে হয়েছে। প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত প্রচুর খরচ গুনতে হয়েছে।  আগাছা পরিস্কারে এক বিঘায় যে পরিমান টাকা লেগেছে, সেই টাকা দিয়ে চাষাবাদ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আলু উত্তোলনের পর ধান রোপন করা হয়েছিল। ধান কাটার সময় ন্যাড়া ব্যাপক হারে রাখা হয়েছিল। পানির অভাবে ন্যাড়াগুলোতে পচন ধরানো যায়নি। মুলত এজন্য আর সময়মত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এত পরিমান আগাছা হয়েছে। এক বিঘায় ১০ জন করে শ্রমিক লাগছেই। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে হলে বিঘায় ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা করে লাগছে।এখন দেখার বিষয় আবারো যদি আগাছা হয় তাহলে কৃষকের কপালে ভাজের শেষ নেই। কারন বাড়তি দামে সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে হচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়,  উপজেলার যেদিকে তাকাই চোখ যায় যতদূর শুধু সবুজের সমারোহ আর সবুজের সমারোহ। মাঠ জুড়ে আমন ধানের ক্ষেত পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল আমন ধান। অন্য বছরের তুলনায় এবছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসেও ছিলনা আকাশের বৃষ্টির পানির দেখা। যার জন্য সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি  প্রায় কৃষক। তবে অসময়ে হলেও বাদ পড়ে নি আমন ধান চাষ করতে কোন কৃষকরা। 

 উপজেলার প্রকাশনগর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন,তিনি ২৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এতে করে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৭হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, ধান উঠা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আরো খরচ হবে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মতো। এতে করে এক বিঘা আমন ধান কাটা পর্যন্ত মোট খরচ হবে  ১২ হাজার  টাকার ঊর্ধ্বে ।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোপা আমন ধানে কোন রোগ বালা নেই। সবাই মাঠে কাজ করছে। আশা করছি বরাবরের মত এবারো ভালো ফলন হবে। তবে সময়মত বৃষ্টির পানি না পাওয়া, জমি শুকে যাওয়ার কারনে আগাছার পরিমানটা বেশি।  এজন্য কৃষকদের কিছুটা হলেও বাড়তি খরচ হচ্ছে। 


আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর



শিবপুর বিদ্যালয়ের জায়গা বেদখল,বাজার পরিচালনা কমিটির সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে জায়গা সম্পত্তি বেদখল ও দোকান পাঠ সহ- গরুর বাজার পরিচালনা ও অনিয়ম প্রসঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  ।

বৃহস্পতিবার  দুপুরে অত্র বিদ্যালয়ে এলাকার মান্যবর ব্যাক্তিবর্গগণের উপস্থিতিতে এই  অনুষ্ঠিত  হয়েছে ।

এসময় অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ আহম্মদের সভাপতিত্বে ও  অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসেন কবিরের  সঞ্চালণায় এতে বক্তব্য রাখেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম, 

শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. আর মজিব, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ও সমাজসেবক, মোঃ শাহীন সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অলিউর রহমান ভূঁইয়া,যুগ্ন আহবায়ক ডা: আবু জাফর জামাল, অত্র  বিদ্যালয়ে সাবেক সভাপতি হাজী মুসা মিয়া , মোহাম্মদ ইউনুস সরদার , অত্র বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য হাজী লিটন মেম্বার , অত্র বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল ফায়েজ , মোহাম্মদ জাকির হোসেন,  আশরাফ উল্লাহ সবুজ,সালাউদ্দিন সরকার, হুসনা বেগম , বিদ্যুৎ শাহী সদস্য  সোঃ মনজুরুল আলম মজনুর, শিবপুর ইউনিয়ন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কবির আহমেদ, মোঃ হোসেন আহম্মেদ , মোঃ আবুল হাশেম মোল্লা, লুৎফুর রহমান , মোহাম্মদ দুলাল মিয়া , অত্র ডিগ্রি কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আশরাফ হোসেন আকছির, 

মাওলানা মাইনুদ্দিন মেম্বার , ফারুক ডাক্তার , ওয়াসেক সরদার, অত্র এলাকার মান্যবর ব্যাক্তিবর্গগণ।

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ঐতিহাসিক পুরাতন চিন্তামন পশু মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের পুরাতন চিন্তামন পশু মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা আলাদীপুর ইউনিয়নে পুরাতন চিন্তামন পশু মেলার বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মুশফিকুর রহমান

বাবুল। মেলার উদ্বোধন শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মুশফিকুর রহমান বাবুল। তিনি বলেন, এই মেলাটি ঐতিহাসিক মেলা, এই মেলা কোনভাবে বন্ধ করা যাবেনা, এটা আমাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, সারা বাংলাদেশে এমন মেলা আর কোথাও নাই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শতশত ঘোড়া ও অন্যান্য পশু এই মেলায় আসে এবং বেচা কেনা হয়। এই মেলা আগামীতে আরও বেগবান ভাবে মেলাটিকে সাজিয়ে তোলা হবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ডাবলু, আলাদীপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসান আজাদ, আলাদীপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, কাষ্টম অফিসার মোঃ রাকিবুল ইসলাম ডাবলু। এছাড়া মেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



তানোরে ফসলি জমি কেটে পুকুর ভরাট নিরব প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায়  তিন ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি কেটে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাবশালী কামাল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে  । উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপির নলপুকুরিয়া গ্রামে ঘটে রয়েছে ঘটনা। ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে হেরো ট্র্যাক্টরে মাটি বহন করে পুকুরটি ভরাট করছেন ওই গ্রামের প্রভাবশালী কামাল নামের এক ব্যক্তি। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন যেমন হচ্ছে তেমনি ভাবে শব্দে অতিষ্ঠ পাশে বসবাস কারীরা। অথচ উপজেলায় পুরাতন পুকুর পুন সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। আর শ্রেনী পরিবর্তন না করে দাপটের সাথে পুকুর ভরাট করলেও রহস্য জনক কারনে নিরব প্রশাসন। 

গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির কুজিশহর থেকে আজিজপুর যাওয়ার রাস্তার নলপুকুরিয়া মাঠের দক্ষিণ পশ্চিমে বাঁশ ঝাড় সংলগ্ন ফসলী জমির মাটি কেটে ওই জমি সংলগ্ন পশ্চিমে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পুকুরের উত্তরে, পশ্চিমে ও দক্ষিণে ধানী জমি। আর পূর্ব দিকে বাঁশঝাড় ও কয়েকটি বসতবাড়ি রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব শালী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দিনরাত সমান তালে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে দাপটের সাথে। 
সেখান থেকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার শামসুল ইসলাম কে মোবাইলে বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চাইলে  তিনি জানান, আইনে কি আছে জেনে বলেন ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফসলী জমি কেটে পুকুর ভরাট হয় কিনা প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর ভরাটের কোন সুযোগ নেই, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে হলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। আবার শর্ত থাকে কোনভাবেই মাটি বের করা যাবে না। আর কামাল কিভাবে পুকুর ভরাট করেন বুঝে আসেনা। উপজেলাটি প্রচন্ড খরা প্রবন। আবার ভূগর্ভের পানি দিনের দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। উপরি ভাগের পানি রক্ষা করার জন্য বিএমডিএ থেকে খাস পুকুর ও খাল খনন করা হয়েছে। তাহলে কামাল কোন ক্ষমতা বলে পুকুর ভরাট করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে  এমন নানা প্রশ্ন বিরাজমান। 

সুত্রে জানা যায়, গত দু বছর আগে সরনজাই ইউপির সরকার পাড়া বাজারে ছোট আকারের খাস পুকুর ভরাট করা হয়েছিল। এঘটনায় আদালতে তৎকালীন  ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ও সরনজাই ইউপির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। পরে অবশ্য মিমাংসা হয়।

মান্দা ফেরিঘাট এলাকার ভেকু মেশিন মালিক জামাল জানান, আমার জানা মতে কৃষি জমিতে পুকুর খনন এবং  পুকুর ভরাটের কোন নিয়ম নেই। আমি মেশিন দিতে চায়নি। কিন্তু মালিক কালাম সবার কাছ থেকে নাকি অনুমতি নিয়েছেন, এজন্য কাজ করছি।মালিক প্রভাবশালী কামাল বলেন, আমার পুকুর ভরাট করব না খনন করব সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর ভরাট করা যায় না জানতে চাইলে তিনি জানান, কি যায় আর কি যায় না সেটা দেখা হবে বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।

আরও খবর