Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুর ৩টায় ক্যাম্পের ‘বি’ ও ‘ই’ ব্লকে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে ৫০টিরও বেশি বসতঘর পুড়ে গেছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আজ দুপুরে ১১ নম্বর ক্যাম্পের একটি বাড়ি থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ও জেলা হেড কোয়ার্টার থেকে আরও দুটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে তাৎক্ষণিক আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানাতে পারেননি তিনি।


আরও খবর



নিটারের ফাইবার ক্রাফট স্কোয়াডের অনন্য সাফল্য: এনআইসি ২.০ তে নেতৃত্ব প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image

লাবিবা সালওয়া ইসলাম:নিডল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২.০ (এনআইসি) নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাছাইকৃত নয়টি দলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ এর "ফাইবার ক্রাফট স্কোয়াড"। এনআইসি ২.০ এর লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম ভূমিকা রাখা এবং রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) সেক্টরকে একটি নতুন প্রজন্ম, অনন্যতা এবং সাফল্যের এক উচ্চ মাত্রা প্রদান করা।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্প অন্যতম ভূমিকা রাখে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই খাত ২৪.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৭.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দেশের সম্মানিত ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১২১ টি আবেদন পায় এনআইসি ২.০ তে। ৯-১০ মার্চ অনুষ্ঠিত আইডিয়াথনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২৮ টি দল অগ্রগামী হিসেবে মর্যাদা পায় এবং জুরি রাউন্ডে অগ্রসর হয় । পরবর্তীতে ২৩-২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত জুরি রাউন্ডে, মেধা, মাপযোগ্যতা, নতুনত্ব, টেকসই, আরএমজি খাতে অবদান এবং রূপায়নে ভূমিকার উপর নির্ভর করে অভিজ্ঞ জুরি বোর্ড ২৮ দলের মধ্য হতে ৯টি দলকে নেতৃত্বের জন্য নির্বাচন করেন। নির্বাচিত দলগুলো হলো নিটারের "ফাইবার ক্রাফট স্কোয়াড", কুয়েটের "রিনিউ ওয়ার ভেঞ্চার", ব্রাকের "রাইন্ড কো লেদার", খুবি ও কুয়েটের যৌথ দল "ইকো টেক্সটাইল ভেনগার্ড", বুটেক্সের "ইবতেকার ইন্ডাস্ট্রি", সাস্টের "সুই-সুতা", চবির "টেক্সসুডো", রাবি ও বুটেক্সের সমন্বিত দল "ওয়েভ ব্লক", ব্রাক ও অস্টের সমন্বিত দল "জেনারা"। নিটারের ফাইবার ক্রাফট স্কোয়াডের মেম্বাররা হলেন নিটারের নবম ব্যাচের তাজভীর আহমেদ তৌফিক, দশম ব্যাচে সাবরিন সুলতানা স্বপ্ন ও ইফরাদ উদ্দীন আহমেদ।

নিটারের ফাইবার ক্রাফট স্কোয়াডের অদম্য সাফল্যে নিটার সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেইজ থেকে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়াও নিটারের শিক্ষকবৃন্দ জানান তাদের এই সাফল্য নিটারের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় আয়াত এডুকেশনের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিসের সভা কক্ষে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়াত এডুকেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লায়লা করিম’র সভাপতিত্বে অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার শর্মা, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মু. বেলায়েত হোসেন। এছাড়াও সভায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসারবৃন্দ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা পাবলিক হেলথ্ নার্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্পের এডভোকেসি, কমিউনিটি মবিলাইজেশন, এ্যাওয়ারনেস কার্যক্রম বিষয়ে উপস্থাপনা করেন আয়াত এডুকেশন’র প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক। সভায় অন্যান্যের মাঝে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, স্বেচ্ছাসেবক পান্না আক্তার, আয়াত এডুকেশনের এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার সারোয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান ও ফাহিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



দুর্যোগ সহনশীল ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি বছরের মতো দেশব্যাপী ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেকসই ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় এলাকার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুর্যোগ মোকাবিলার উন্নত টেলিযোগাযোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। আমরা মুজিব কিল্লাকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে মানব ও প্রাণিসম্পদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই আশ্রয়স্থল করেছি।

একইভাবে পুরুষের সঙ্গে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, নতুন বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং দুর্যোগের প্রস্তুতি ও উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেকোনো দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণ করলে উপলব্ধি করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ জন, ১৯৯১ সালের সাইক্লোনে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার জন, ২০০৭ সালের সাইক্লোন সিডরে তিন হাজার ৬৬৩ জন, ২০০৮ সালের সাইক্লোন আইলায় ১৯০ জন, ২০১৬ সালের সাইক্লোন রুয়ানুতে ২৭ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন বুলবুলে ২৪ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন ফণিতে আটজন, ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে আটজন, ২০২১ সালের সাইক্লোন ইয়াসে সাতজন, ২০২২ সালের সাইক্লোন সিত্রাংয়ে একজন এবং ২০২৩ সালের সাইক্লোন মোখায় মৃতের সংখ্যা শূন্য।

বাংলাদেশের এই ক্রমোন্নয়ন ‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ এর শর্ত শতভাগ অর্জন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিপুলভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।


আরও খবর



দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্রগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জেলা প্রশাসকদের প্রতি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে একটু ভিন্ন। একসময় পশ্চাদপদ জনপদ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য  চট্টগ্রামে দুই যুগেরও বেশি সময় চলমান ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত নিরসনে ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। পার্বত্য অবহেলিত অঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এখন দক্ষ ও স্মার্ট পার্বত্য চট্রগ্রাম গড়ে তোলার কাজে সকলকে নিবেদিত হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা পার্বত্যবাসীরা ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

বুধবার (৬মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর চতুর্থ দিনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এমন মন্তব্য করেন।

অধিবেশন শেষে মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে একীভূত করে সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে পার্বত্য দুর্গম এলাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড পৌঁছানো সম্ভব নয়, সে সমস্ত এলাকায় সরকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার সোলার প্যানেল স্থাপন করে আড়াই লাখ দুর্গম পার্বত্য মানুষের কাছে বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এছাড়া খুব শিগগিরই আরও ১ লাখ সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে ৫ লাখ দুর্গম মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে এ সরকার।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পানির সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের বনায়নকে ফিরিয়ে আনতে উজার হওয়া বনগুলোতে নতুন করে গাছপালা লাগানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ইতোমধ্যে ভূমি কমিশন আইন করা হয়েছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ভূমি কমিশনের প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে। এখন বিধির কাজ চলছে। বিধি হয়ে গেলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

অধিবেশন সভাপতিত্ব ও পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



রেকর্ড ছাড়াল রেমিট্যান্স ফেব্রুয়ারিতে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রথমবারের মতো প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা প্রায় ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ২১৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।

কখনও ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি।ফেব্রুয়ারি মাসে দিন সংখ্যা কম হওয়ায় রেমিট্যান্স কম থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলারের ভালো দর পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে ২১০ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে প্রবাসীরা এক হাজার ৫০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন।

গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪০১ কোটি ডলার। এ হিসেবে প্রথম ৮ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০৫ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৫৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। এর আগে একক কোনো ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২১ সালে ১৭৮ কোটি ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার।

দেশের ইতিহাসে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার।


আরও খবর