Logo
আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম
ঢাকাসহ ১০ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে প্রস্তাব পাস বাংলাদেশ নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানাল প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী চাঁদপুরে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা : বেনাপোল থেকে স্বামী গ্রেপ্তার তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন বোলিং নৈপুণ্যে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে টাইগাররা গ্যাসের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্কবার্তা দিয়েছে তিতাস জামিন পেলেন কেজরিওয়াল বিরামপুর সীমান্তে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার

রাণীশংকৈলে মসজিদ মাদ্রাসার সরকারি রাস্তা উদ্ধারে এলাকাবাসীর সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের গন্ডগ্রাম আমপাথারী নামক গ্রামে আবু হানিফের ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব ইব্রাহীম আলীর সভাপতিত্বে সোমবার  (৪ মার্চ) এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে অভিযোগ পাঠ করে শুনান স্কুল শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান  প্রকাশ থাকে যে, একই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক , আব্দুল মোমিন, ও জুলকার নাইনসহ  সম্মিলিত ভাবে সরকারি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৮শতাংশ জমি রাস্তা সম্পূর্ণ রুপে বেড়া দিয়ে জবর দখলে করে রেখেছে।  

উলেখ্য যে, ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীরা মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাঁও মাঠে আসা যাওয়া করতো।
 এ ব্যাপারে রাস্তা উদ্ধারের জন্য ১২১জন গ্রামবাসীর গনস্বাক্ষরে নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে রাস্তা উদ্ধারে লাল নিশান ও সিমানা পিলার দিয়েছেন। জবর দখলকারীরা রাস্তা ছেড়ে দিচ্ছি দিব বলে কালক্ষেপণ করেই চলেছেন। জবরদখলকারীরা মসজিদ, মাদ্্রাসা ও ঈদগাঁওয়ের মুসল্লিদের উপর মিথ্যা মামলা করার হুমকি প্রদান করছে।

এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ্য ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, সরকারি রাস্তা আমরা বের করবো, তাদের নিজস্ব যে জমি জমা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য ৫জন সার্ভেয়ার মাপ যোগ করেছে। কিন্তু আব্দুল মোমিনের লোকজন তা মেনে না নেওয়ায় বিষয়টি ঝুলে রয়েছে।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ আমি পেয়েছি, তাদের দূ পক্ষের মধ্যে একটি ঝামেলা রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম, কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানাগেছে।

একাধিক অভিযোগে জানাগেছে, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু অবৈধ ভাবে জোর করে ক্ষমতার দাপটে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে। তবে কি কারনে এ বছর এই হাটের ইজারার মেয়াদ ১লা বৈশাখ শেষ হলেও নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি তা নিয়ে ‌ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন সূত্র হতে জানা গেছে, দক্ষিন বঙ্গের সব থেকে বড় শার্শার সাত মাইল পশু হাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন হাট বসে। দুই দিনের এই হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেচাকেনা হয়। সরকারী ভাবে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকায় এই হাট ইজারা দেওয়া হয়। গত ১৩২৮ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা, ১৩২৯ বঙ্গাব্দে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ও ১৩৩০ বঙ্গাব্দে এই হাটের ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। তবে নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে এই হাটের কোন ডাক বা ইজারা হয়নি।যে কারনে পূর্বের ইজারাদারেরা সরকারী আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায়
করছে।

সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের কোন ডাক বা ইজারা না হওয়ায় শার্শা উপজেলা প্রশাসন হাটের খাজনা আদায়ের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করে দেয়। যার স্মারক সংখ্যা ০৫.৪৪.৪১১০.০০২. ১৮৫.০০৫. ২০২৪-৩৪৮(ব)। যা স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য,যশোর জেলা প্রশাসক, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান ও শার্শা সহকারী কমিশনার(ভুমি) কে অবহিত করা হয়। উক্ত কমিটিতে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কে প্রধান করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বাগআঁচড়া ইউনিাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শার্শা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, বাগআঁচড়া ইউপি সদস্য আবু তালেব, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আসমা আক্তার, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) শার্শা।

একাধিক সূত্রে আরও জানা গেছে, উক্ত হাটের মেয়াদ গত চৈত্র মাসে শেষ হলেও উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া খাজনা আদায় কমিটি আজও হাটের খাজনা আদায় করতে পারেনি। যে কারনে পূর্বের ইজারা কমিটি অনিয়ম ও সরকারী নিয়ম অমান্য করে ব্যবসায়ী ও সাধারন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাজার হাজার টাকা পকেট কাটছে। হাটে বিক্রির জন্য প্রতি পশু থেকে ১৫০ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ত মানা হচ্ছে না । যার প্রতিটি পশুর খাজনা আদায় ১৫০ টাকার বিপরীতে আদায় করা হচ্ছে ৫০০/১০০০/১২০০/১৫০০/২০০০/= টাকা করে। এ ছাড়া হাটে ৩ হাজার ব্যবসায়ীকে প্রতি ১ বছরের জন্য ৩ হাজার পাশ দেওয়া হয়েছে। সেখান থে আদায় করা হয়েছে প্রচুর টাকা।

যে কারনে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সাতমাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে নিয়ে অবৈধ ভাবে জোর করে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে । প্রতি হাটে প্রায় ১২/১৫ লক্ষ টাকা আদায় হলেও সরকারের কোষাগারে জমা পড়ছে ২লক্ষ টাকা। বাকী টাকা পকেটস্থ করছে পূর্বের ইজারাদারেরা।

হাটের একাধিক সুত্রে জানাগেছে শার্শার একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধির মদদে জোর করে ক্ষমতার জোরে সাত মাইল পশু হাট দখল করা হয়েছে। যে কারনে সাত মাইল পশু হাট থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল বলেন সাত মাইল পশু হাট সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। এ ব্যাাপারে কিছু বলতে পারবো না। তবে কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংক বলেন এ বছর সাত মাইল পশু হাট ইজারা হয়নি। আমরা শার্শা উপজেলা প্রশাসনকে হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে কিছুটা সহযোগিতা করি। তিনি বলেন হাটের টাকা পয়সার ব্যাপারে আমি জড়িত না।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নতুন বছরে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা বা ডাক হয়নি।যে কারনে ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ খাজনা আদায় কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারী ভাবে জনবলের অভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে খাজনা আদায় করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া হাটে কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতির অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধীর বিরুরেদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ডেমরায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ২৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজধানীর ডেমরা এলাকার সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। এখানে ট্রাফিক পুলিশ প্রচন্ড দাবদাহে পুড়েও নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছে।বাসের চালক- হেলপার সহ পথচারীদের সচেতন করা এবং ট্রাফিক আইন ও নিয়ম কানুন মেনে চলতে উৎসাহিত করছেন প্রতিনিয়ত। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো,অবৈধ পার্কিং নিরুৎসাহিত করা, দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন টিআই জিয়া।ডেমরা,ষ্টাফ কোয়াটার, হাজী নগর, বাঁশের পুল,দেইল্লা সহ আশেপাশের এলাকার ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, মিশুক নসিমন, করিমন ভটভটি, প্রধান সড়কে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে কঠোর নজরদারি রাখছে ট্রাফিক পুলিশ। 

ডিএমপি ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর নির্দেশে টিআই জিয়ার নেতৃত্বে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে সবসময় তৎপরতা চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কনষ্টেবল। অবৈধ পার্কিং করলে যানবাহন রেকার করে জরিমানা আদায় করছে। সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে যা কিছু দরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ষ্টাফ কোয়াটার এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া উদ্দিন বলেন,আমরা সবাই যদি ট্রাফিক আইন ও নিয়ম-কানুন মেনে চলি, তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবেই।’

তিনি আরো বলেন,ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটি জাতির সভ্যতার প্রতীক। সড়ক দুর্ঘটনারোধে চালক, মালিক ও পথচারীদের দায়িত্ব রয়েছে। সবাই সচেতন হলে ট্রাফিকের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত কাজ করছে।

এতসব ভালো কাজের পরেও নানা সময়ে বিভিন্ন মহলের বেআইনি অন্যায় আবদার রক্ষা না করায় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। কখনো অপপ্রচার চালিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়।

তবে সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ডেমরা ষ্টাফ কোয়াটার এলাকার ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনায় দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর

জিয়া।


আরও খবর



ধরা ছোঁয়ার বাইরে চোরচক্র আক্কেলপুরে একই রাতে ৮টি মিটার চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক রাতে চিরকুটে ফোন নাম্বার ও সিরিয়াল লিখে পাশাপাশি দুইটি ফসলী মাঠের ৮টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ও সোনামুখী ইউনিয়নের পাশাপাশি কাদোয়া ও গণিপুর জাফরপুর মাঠে ঘটে। একই কায়দায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ৬টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ফোন নাম্বর থাকা সত্বেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে চোরেরা।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে নলকুপ মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের গভীর নলকুপের দুইটি, মাসুদ রানার একটি, সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের একটি, এনামুল হকের একটি, আবু সালেকের একটি, আব্দুর রহমানের একটি ও রামশালা গ্রামের সিরাজ মৃধার একটিসহ মোট আটটি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। সকল মিটার তালাবদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে নিয়ে যায় তারা। সকল মিটার গুলো চুরির পর সেখানে কাগজের চিরকুটে ০১৯৭৪-১৪৫১০৯ নম্বর লিখে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। প্রতিটি মিটারে তারা আলাদা একটি সিরিয়াল নম্বরও লিখে রাখে। পরে নলকূপ মালিকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশ অথবা নগদ একাউন্টে ৮ হাজার টাকা দাবি করে তারা। অন্যথায় আবারও মিটার চুরি করা হবে বলে হুমকি দেয় চোরেরা। ওই দুটি মাঠে প্রায় ৭০ হেক্টর ইরি বোরো ধানের ক্ষেত রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার শঙ্কায় দিন পার করছেন ওই মাঠের কৃষকরা।

আরও জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়ন থেকে এক রাতে ছয়টি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছিল সিরিয়াল ও ফোন নাম্বার । ফোন নাম্বার থাকা সত্তে¦ও চোর ধরতে না পারায় সেচ পাম্প মালিক ও জনসাধারণের মনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক সংযোগের মিটার নিতে প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ওই অফিসে তিন ফেইজ মিটার মজুদ নেই। এছাড়াও  প্রতিটি বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি আক্কেলপুর জোনাল অফিসে। কিছু গ্রাহক টাকার বিনিময়ে চোরের কাছ থেকে ফেরৎ নিয়েছে মিটার। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই দুইটি ইউনিয়নের আটটি গভীর নলকুপের সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হচ্ছে ইরি বোরো ধান। মিটার চুরির ঘটনায় এই সব জমিতে সেচ বন্ধ থাকায় ধান উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষি দপ্তর ও কৃষকরা।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহা. আব্দুর রহমান বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে গভীর নলকুপের মালিকরা জানিয়েছেন। থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া কোন মিটার উদ্ধার সম্ভব হয়নি।  গভীর নলকূপের সংযোগ তিন ফেইজের হয়। মামলার পাশাপাশি চুরি রোধে গ্রাহকদের স্থায়ীভাবে ট্রান্সফরমার এবং মিটার পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং গ্রাহক সচেতনতায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই চুরি রোধ হচ্ছে না।

তিলকপুর ইউনিয়নের কয়া গোপীনাথপুর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক মাসুদ রানা বলেন, গভীর রাতে বৈদ্যুতিক মিটারের তালা বদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে মিটার চুরি করে সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায়। ওই নম্বরে ফোন করলে চোরেরা বলে ৮ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে আবারও মিটার চুরি করা হবে। 

কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে এমনিতেই ধানের জমিতে পানি শুকিয়ে যায়। এ সময় ধানে দানা ধরতে শুরু করেছে। এখনি পর্যাপ্ত সেচ না দিলে ধান চিটা হয়ে নষ্ট হবে। আমরা উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে দিন পার করছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, এই সময় ধানের জন্য পানি অতীব জরুরী। সাত দিনের মধ্যে জমিতে পানি সেচ না দিতে পারলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে। এছাড়া তীব্র তাপদাহের কারণে জমিতে তিন ইঞ্চি পরিমান পানি রাখতে পরামর্শ দিচ্ছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন হোসেন বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে খবর পেয়েছি। চোর চক্রদের ধরতে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের শনাক্ত করতে দ্রুত আমরা সক্ষম হবো।
মিটার চোরদের এখনো ধরতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাদের বিষয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও খবর



ডোমারে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে যথাযথ মর্যাদায় মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়েছে।

বুধবার (১লা মে) সকাল ১০টায় অটো শ্রমিক ফেডারেশন ও শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির ব্যানারে থানা সংলগ্ন কার্যালয় হতে সংগঠনের সভাপতি ও বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জননেতা আমিনুল ইসলাম রিমুন এর নের্তৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অপরদিকে ডোমার বাসষ্ট্যান্ড থেকে নীলফামারী জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-১৪৭৬ এর ব্যানানে ওমর ফারুকের নের্তৃত্বে এক বিশাল র‌্যালি বের হয়। এ ছাড়াও জাতীয় শ্রমিকলীগ, জেলা বাস-মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়ন, সিএিনজি থ্রি হুইলার শ্রমিকলীগ, জাতীয় রিক্সা ভ্যান

শ্রমিকলীগ, দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন, ডেকোরেটর শ্রমিক সমিতি, রং ও কাঠ মিস্ত্রি শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এতে অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সদস্য মঞ্জুর আহমেদ ডন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান রুবেল, গনেশ কুমার আগরওয়ালা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, শ্রমিক নেতা আব্দুল ওয়াদুত, আখতারুল ইসলাম,মেরাজুল হক, রিফাত হাসান সৌরভসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহিন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:৬ ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় ইতিমধ্যে সামাজিক যোগযোগ ফেসবুকে অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দিনাজপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন,সাবেক পৌর মেয়র কামাল হোসেন রাজ ও আমিনুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার ও নুরুন্নাহার বেগম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাচাইয়ে ৩ টি পদে ৭ জনেরই মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার।

এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসারের কাছে। তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শাহীনুর রেজা শাহিন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়ায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন,বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের দিকনির্দেশনায় আগামী ৫ বছরে হাকিমপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিণত করে জনগণের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করবো। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে,আগামী ৫ বছরও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করতে পারবো।অতীতের মত ভবিষ্যতেও আমি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।


আরও খবর