বন্যাকবলিত এলাকায় সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়নি উল্লেখ করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাবেক সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ জানিয়েছেন, বানভাসি মানুষের জন্য সরকার যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, তা মাথাপিছু মাত্র সাড়ে ৬ টাকা।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর পুরোনো পল্টনে জোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ তথ্য জানান।
সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ গুরুতর বন্যাকবলিত জেলাসমূহকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসিদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্বাসনের দাবিতে এ দিন সমাবেশ করে জোটটি।
সমাবেশে বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য একটা পরিকল্পনা ৫০ বছরেও আমাদের সরকারগুলো গ্রহণ করতে পারে নি। আমরা নাকি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছি। কিন্তু এতো বড় একটা বন্যা আসবে, তার পূর্বাভাস সরকার দিতে পারে নি।
তিনি আরও বলেন, একটা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আছে, সেটাও নাকি পূর্বাভাস দিতে পারে না। এই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ। ৪৫ লক্ষ বন্যাকবলিত মানুষের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা মাথাপিছু সাড়ে ৬ টাকা। এটা নাকি পর্যাপ্ত ত্রাণ!
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যখন সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত মানুষ ভয়াবহ সংকটের মধ্যে আছে, তখন সরকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে জড়ো করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করছে।
এই সরকার ২০১৮ সালে বিনা ভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাই তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এজন্যই আজ বন্যাকবলিত বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে তারা।
বক্তারা আরও বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানি নেই। দুর্গম এলাকাগুলোতে যথেষ্ট খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। যা দেওয়া হচ্ছে, তাও যথেষ্ট নয়।
এ সময় লক্ষ লক্ষ লোক জমায়েত না করে, সেই জমায়েত করার টাকা দিয়ে বানভাসিদের সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
দেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি দরকার। অন্যথায় জনসাধারণের মুক্তি হবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন বক্তারা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) বিধান দাস, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আবদুল আলী, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।