Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই) এর ৩৩-তম মৃত্যু বার্ষিকী' তে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের শ্রদ্ধা ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন দেশে ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৬ কোটি ডলার মিরপুরের কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, যান চলাচল বন্ধ বাংলাদেশি ছাত্র কিরগিজস্তানে খুব জখম হয়েছে এমন খবর নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত 'সব দল অংশগ্রহণ করলেও ভোটের হার বাড়ার নিশ্চয়তা নেই' বিএনপি নেতা ইশরাক জামিন চেয়ে কারাগারে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে এক মেয়ের বাড়িতে আরেক মেয়ে হাজির! মেট্রোরেলে ভ্যাট বসলে সুনাম নষ্ট হবে : ওবায়দুল কাদের

প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া একটি মহল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলামের রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি মহল। জহুরুল ইসলাম জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কুষ্টিয়া জেলার উন্নয়নের রুপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম - সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩  আসনের সংসদ সদস্য মাটি ও মানুষের নেতা কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের মানুষের আস্থার প্রতীক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি’র নির্দেশনায় জেলা পরিষদের সকল আর্থিক অনুদান সদর উপজেলার মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজ উদ্যেগে পৌছে দিচ্ছেন। এছাড়াও অসহায় গরীব মানুষের মাঝে চিকিৎসা খরচ সহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে চলেছেন। বিগত দিনে সরকারের দেওয়া সকল আর্থিক সহযোগিতা আসলে সাধারণ মানুষের অজান্তেই চলে যেত তাদের কাছে। জহুরুল ইসলাম একজন তরুন জনপ্রতিনিধি হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতার পরিচালনায় যখন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে চলেছেন ঠিক সেই মূহুর্তে তার এই ভাল কাজ ও রাজনৈতিক দক্ষতার প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পাশাপাশি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য একজন তরুন দক্ষ প্রতিনিধি ও দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। তার বিষয়ে জহরুলসহ কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আরও খবর



মাগুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:আগামী ০৮ মে, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ সভা  ৫ মে  দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে  অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। মাগুরা সদর উপজেলা ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে বুধবার।

সভায় জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে  বিস্তারিত আলোচনা  হয়। নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধি প্রতিপালনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া, যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরী হলে উক্ত স্থানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার  মো: মশিউদ্দৌলা রেজা, পিপিএম (বার), উপ-অধিনায়ক ৫৮ বিজিবি  মেজর মাহমুদুল হাসান; পরিচালক, র‍্যাব-৬  এএসপি হাবিব; সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা; জেলা নির্বাচন অফিসার  মাসুদুর রহমান; জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও ভিডিপি  চন্দন দেবনাথ, অফিসার-ইন-চার্জ,সকল থানা; উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রমূখ।

সভায় বক্তব্যে আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা,  সকল ধরনের অপচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সকলের সহযোগিতা কামনাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতেও অনুরোধ করা হয়।
সভায় সকলেই অবাধ, সুষ্ঠ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা,কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ শনিবার দিবাগত রাত ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়ে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ-সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



তানোরে কাপ পিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:আগামী ৮ মে বুধবার রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কে সামনে রেখে প্রচারের শেষ দিনে কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নির্বাচনী জনসভায় আপামর জনতার ঢল নামে। সোমবার বিকেলের দিকে তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠেে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনী জনসভা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, তানোর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, বাধাইড় ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আতাউর রহমান, পাচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি দক্ষিণের সভাপতি আব্দুল মতিন, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি মজিবর রহমান, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান ইউপির সাবেক সভাপতি নাজিমুদ্দিন বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি পারিশো দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম কমল সাহা, সরনজাই ইউপির সভাপতি সরনজাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান,   যুগ্ন সম্পাদক চাপড় স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন মোহাম্মাদ মুন্টু, কামারগাঁ ইউপির সাবেক সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী ছাড়াও আপামর জনতারা উপস্থিত ছিলেন।    

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




রসুল নগর যুব সংসদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া হাজী নগর এলাকার নব মল্লিকাএকাডেমী'তে রসুল নগর যুব সংসদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এডভোকেট মলি আক্তার রিতা । সভাপতিত্ব করেন রসূল নগর যুব সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পেয়ার আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তুষার। এতে অন্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রসূল নগর যুব সংসদের অর্থ সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নেয়ামত উল্লাহ, ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ ইমরান হোসেন, হাজী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মজিবুর রহমান মন্টু, সুলাইমান মৃধা, নবমল্লিকা মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষিকা রীমা হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬৬নং ওয়ার্ড ডগাইড় উত্তর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুর রহমান ফয়সাল সহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী দের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করা হয়।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৬৭,৬৮,৬৯ নম্বর ওয়ার্ডকে ডিজিটাল হিসাবে গড়তে চান এডভোকেট মলি আক্তার রিতা।নাগরিকের অধিকার সর্বোচ্চ বজায় রাখতে চান তিনি।নারীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু নারীকে কর্মসংস্থান ব্যবস্হা করেছেন মলি আক্তার রিতা।তিনি অসহায় গরীব মেয়েদের নিজের অর্থ সহোযোগিতায় বিয়ে দিয়েছেন। নির্যাতিত নারীদের পক্ষ নিয়ে আইনজীবী হিসেবে বিনা অর্থে আইনি সেবা দিয়েছেন।এলাকাবাসীর অত্যন্ত পছন্দের একজন মানুষ হিসেবে করো বোন,কারো ভাবি,কারো মেয়ে হয়ে সামাজিক বহু সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের মাঝে এান খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন।

নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চান মলি আক্তার রিতা। নারী ও বৃদ্ধদের জন্য ব্যায়ামাগার নির্মাণ করতে চান সংরক্ষিত নারী আসনের এ প্রার্থী। এলাকার যানজট সমস্যা নিরসন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

মলি আক্তার রিতা বলেন, ওয়ার্ডের মাঠগুলোকে শুধু খেলাধুলা করার জন্য উপযোগী করে দেব। মেয়েদের খেলার সুযোগ তৈরি করব। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেয়েদের মাঠে খেলার ব্যবস্থা করে দেব। এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা বাড়াব। মাদক নির্মূল করার চেষ্টা করব,আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সুখে দুঃখে সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে থাকব। এলাকার অবহেলিত নারীদের উন্নয়নে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি।আমি যেন আরও বেশি করে জনগণের সেবা করতে পারি এজন্যই জনগণের অনুরোধে এবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


আরও খবর