Logo
আজঃ সোমবার ০৫ জুন ২০২৩
শিরোনাম

পত্নীতলায় জাতীয় মহিলা সংস্থার ক্রিড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

দিলিপ চৌহান, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: পত্নীতলায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার পত্নীতলার আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার

বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রুমানা আফরোজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও পত্নীতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার পত্নীতলার আমিনুল হক, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন পাল, তথ্য সেবা

কর্মকর্তা তিথি রাণী, উপজেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার রেজাউল ইসলাম, উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সহ অন্যান্য সূধীজন প্রমূখ। পরে মহান স্বাধীনতা ও

জাতীয় দিবস উপলক্ষে ক্রিড়া প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলেদেন অতিথিবৃন্দ।



আরও খবর



রাশিয়ার রাজধানীতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রাজধানী কিয়েভে আকাশ পথে হামলা জোরদার করছে রাশিয়া। চলতি মাসটিতে অন্তত ১৭ বার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। আজকের (মঙ্গলবার) হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ বলে অভিহিত করেছে রাশিয়া। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভে তৃতীয়বারের মতো বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া। এরপরেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। মূলত ইউক্রেনজুড়েই চলছে এই যুদ্ধ। তবে, নিজেদের ভূখণ্ডেও বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতে একটি হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি ক্রেমলিনের।

আজ ভোরের দিকে মস্কোর অভিজাত এলাকাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পুতিনসহ রাশিয়া অন্যান্য ধনী ব্যক্তিরা ওই এলাকায় বাস করেন। হামলায় দুজন আহত ও বেশ কয়েকটি ভবনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মস্কোর মেয়র। তার মতে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিয়েভ থেকে আসা আটটি ড্রোন ভূপাতিত বা লক্ষ্য থেকে বিমুখ করা হয়েছিল। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে ‘বাজা’ নামের একটি চ্যানেলে বলা হচ্ছে, ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এই চ্যানেলটির সঙ্গে রাশিয়ার সিকিউরিটি সার্ভিস সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মস্কোর বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে পেট্রোলের গন্ধ পান তারা। এরপর তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। কেউ কেউ একটি ড্রোনকে লক্ষ্য করে গুলি করতে দেখে। পরে, মস্কোর আকাশে ধোঁয়া দেখা যায়।

আজকের সকালের ড্রোন হামলাকে গুরুতর বলে অভিহিত করেছেন আইন প্রণেতা ম্যাক্সিম ইভানভ। তিনি বলেন, ‘নাৎসিদের পর মস্কোর ওপর সবচেয়ে গুরুতর হামলা এটি। কোন নাগরিকই নতুন বাস্তবতা এড়াতে পারে না। আপনি হয় আমাদের মাতৃভূমির শত্রুকে পরাজিত করবেন, নয়তো কাপুরুষতা, সহযোগিতা ও বিশ্বাসঘাতকতার অদম্য লজ্জা আপনার পরিবারকে গ্রাস করবে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মস্কোতে দুটি ড্রোন বিস্ফোরিত হয়। ওই হামলার জন্যও কিয়েভকে দায়ী করেছিল ক্রেমলিন। তবে, তারা তা অস্বীকার করে।

আজকের হামলার বিষয়ে রাশিয়ার আইন প্রণেতা আলেকজেন্ডার খিনসেতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা আরও বাড়বে। আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও বাড়াতে হবে।

এদিকে, আজকের হামলার দায় নিতে অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, ‘এই হামলার জন্য কিয়েভ দায়ী না। তবে, আমরা এটি দেখে খুশি হচ্ছি।’ আরও হামলা হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছেন পোডোলিয়াক।


আরও খবর



আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে: আইজিপি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘দেশে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।

আজ সোমবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত ‘স্ট্রেনদেনিং ক্রাইম প্রিভেনশন ক্যাপাসিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জাপানকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, জাইকা পরিচালিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ‘ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ কোর্সও করানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়বে। পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে, যা বঙ্গবন্ধুর ‘জনগণের পুলিশ’ গঠনে সহায়ক হবে। এ প্রকল্পের একটি বিশেষ দিক হলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করা। যা তাদেরকে ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। জাইকার আর্থিক সহায়তায় এ ধরনের কর্মসূচি এক নবযাত্রার সূচনা করেছে এবং আশা করি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, এ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত স্কুলশিক্ষার্থীরা বিশেষ পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া, নিরাপদে রাস্তা পারাপার, প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ কল করা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। যা তাদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তমাহিদে ইচগুচি, অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (রেক্টর) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম, মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. আতিকুল ইসলাম, আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক (পুলিশ সুপার) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজধানীর মহাখালী আবদুল আজিজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগমসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



মেসিকে বার্সাতে ফেরাতে সবকিছু করা হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনা এক সময় একটি সমর্থক শব্দই মনে হতো। যেখানে বার্সার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়া থেকে মেসির যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর আর্জেন্টাইন তারকাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অসংখ্যা ইতিহাসের জন্ম হয়েছে তাকে দিয়ে।

তবে দীর্ঘ পথ চলার পরে ২০২১ সালে বার্সা ক্যারিয়ারের ইতি হয় মেসির। সেসময় আর্থিক সমস্যার কারণে মেসিকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল কাতালানরা। পরে পিএসজিতে চুক্তিবদ্ধ হন এই তারকা। সেখানে আসন্ন জুনেই শেষ হচ্ছে তার চুক্তি। আর এমন আবহেই মেসিকে বার্সেলোনাতে ফেরাতে যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবেন তা স্পষ্ট জানিয়েছেন বার্সেলোনার সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। খবর গোল ডট কমের।

বার্সেলোনা ক্লাবের সময়টা এই মুহূর্তে ভালো যাচ্ছে । গত ম্যাচে তারা এস্পানিওলকে হারিয়ে ২৭তম বার লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মেসি ক্লাব ছাড়ার পর এই প্রথমবার তারা লিগ শিরোপা জিতেছে। এমন সময়ে এখন আর্জেন্টাইন এই তারকাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও চালাচ্ছে কাতালান ক্লাব।

এস্পানিওলের মাঠে রবিবার রাতে রবার্ট লেভানডস্কির জোড়া গোলে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। জয়ের পর শিরোপা নিশ্চিত করেছে বার্সা। উচ্ছাসে ভেসেছে ন্যু ক্যাম্প। সেখানেই এবার আরও খুশির জোয়ার আনতে 'সবকিছু' করার অঙ্গীকার করেছেন লাপোর্তা।

ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘জিজান্তেস’কে লাপোর্তা জানিয়েছেন, ‘আমি এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, মেসিকে ফের ক্লাবে ফেরাতে সবকিছু করা হবে।

প্রসঙ্গত মেসিকে ক্লাবে ফেরাতে সবচেয়ে বড় বাধা লা লিগার ফিন্যানসিয়াল ফেয়ার প্লে নীতি। সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন বার্সা সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা ফিনান্সিয়াল পেয়ার প্লে নীতি বজায় রাখার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা করেছি। দলকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।

উল্লেখ্য পিএসজির সঙ্গে লিওনেল মেসির আগামী মাসেই চুক্তি শেষ হবে। গুঞ্জন রয়েছে আর্জেন্টাইন তারকাকে রেকর্ড পরিমাণ বেতনে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল নিতে বদ্ধপরিকর। ইন্টার মিয়ামিও রয়েছে লড়াইতে। এর মাঝে বার্সা সভাপতির কথায় বেড়েছে জল্পনা।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্তরীণ অবস্থায় রয়েছেন; মিথ্যায় মামলায় সাজা দিয়ে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত হয়ে আছেন। আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা দিয়েছে এই আওয়ামী লীগাররা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা সেদিনও (১৯৭২-৭৫ সাল) ক্ষমতায় ছিল। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে সেদিনও বাকশাল করেছিল। তারা আবারও ভিন্ন মোড়কে একদলীয় বাকশাল করতে চায়। কিন্তু কথায় বলে না, মানুষ ভাবে এক; হয়ে যায় আরেক। কয়েকদিন আগেও কত লাফালাফি, কী লাফালাফি এখন লাফালাফি কমে এসেছে। সুর নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে- সংঘাত চাই না (ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে)। আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান করতে হবে। আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সেদিনও আমাদের সমস্ত জেলার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জেলায় কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে আমাদের নিপুণকে আহত করা হয়েছে। কত চক্রান্ত আমাদের খোকন-শিরীনের নামে নরসিংদীতে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নিজেরা হত্যা করে ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গায়েবি মামলা, কিছুই ঘটবে না- একটা মামলা হয়ে গেল। কিছু নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বাকি অজ্ঞাত হিসেবে এই মামলা দেওয়া  হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে এই লড়াই করছি। এই লড়াই এখন একটি চূড়ান্ত পর্যায় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১০টি দাবি দিয়েছি। তার প্রথম দফা হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দেশের মানুষ তোমাকে ক্ষমতায় রেখে দেশের মানুষ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তা মনে করে না- এটাই বাস্তবতা। এই সংসদ যে সংসদে তুমি সংবিধান পরিবর্তন করেছ, সংবিধানকে বিভিন্ন কাঁটাছেড়া করে পরিবর্তন করে যে সংসদ রেখেছ, সেই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

দলের প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের সবচেয়ে বড় শপথ হবে, যে কোনো মূল্যে আমাদের জীবনের মূল্যে হলেও এই ভয়াবহ ভোটচোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বাঁচাতে হলে, বাস্তবায়িত করতে হলে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রীকে মুক্ত করতে হলে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও সফল, সৈনিক হিসেবেও সফল। আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা শহীদ জিয়াকে ভয় পায়। তাই তার সম্পর্কে অবান্তর কথা ছড়ানো হচ্ছে। দেশকে চলমান সংকট থেকে মুক্ত করতে শহীদ জিয়ার আদর্শিত সৈনিকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির লজ্জিত হবার কোনো ইতিহাস নেই, গৌরব করার মতো ইতিহাস আছে। আমরা সামরিক শাসন জারি করি নাই, গণতন্ত্র হত্যা করিনি। এ আওয়ামী লীগ ১/১১-এর অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। বিএনপিকর্মী হিসেবে বলতে পারি বিএনপি শুধু স্বাধীনতা ঘোষকের দল নয়, গণতন্ত্র রক্ষাকারী দল। বিএনপির শাসনামলেই জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পেয়েছিল। জিয়াউর রহমানকে আজ শ্রদ্ধা করা উচিত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব কি চিন্তা করছে তা সবাই জানেন। আমেরিকায় গণতন্ত্র সম্মেলনে পৃথিবীর ১০৭ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানালেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমেরিকার ভিসানীতি তো আগেই ছিল, তবে কেন বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি করতে হলো? কারণ, দেশের গণতন্ত্র আজ ভূলণ্ঠিত তা আজ বিশ্ব অবগত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অত্যাচারের ইতিহাস আজ নতুন নয়। এর আগেও তারা গণতন্ত্র কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অবাধ লুটপাটের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে যে গণতন্ত্র ও বাক্‌স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, তা ভূলণ্ঠিত করেছে এই আওয়ামী লীগ।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।


আরও খবর



পেরুতে সোনার খনিতে আগুন, ২৭ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পেরুতে একটি সোনার খনিতে আগুন লেগে অন্তত ২৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দেশটির আরেকুইপা অঞ্চলের একটি খনিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরেকুইপা অঞ্চলের ‘লা এসপেরানজা’ নামের ওই সোনার খনিতে শনিবার এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

উদ্ধার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে খনিটি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে ৩০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তার আগেই সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা ছবি ও ভিডিওতে পাহাড়ের পাদদেশের ওই খনি থেকে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।

ধারণা করা হয়, যখন আগুন লাগে তখন খনি শ্রমিকরা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০/১০০ মিটার নিচে কাজ করছিলেন।কয়েক দশকের মধ্যে এটা পেরুতে সব থেকে প্রাণঘাতী খনি দুর্ঘটনা।

আঞ্চলিক গভর্নরের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খনিটি খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখান থেকে সড়কপথে সবচেয়ে কাছের পুলিশ স্টেশনটিতে পৌঁছাতেও ৯০ মিনিট সময় লাগে। আর সবচেয়ে কাছের শহরে যেতে লাগে বেশ কয়েক ঘণ্টা। এই দূরত্ব জরুরি উদ্ধার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের স্বজনরা রোববার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু তাদের দুর্ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

খনি কোম্পানির পক্ষ থেকেও এ দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি পেরু।


আরও খবর