Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

প্রতারণার মামলায় নোবেল রিমান্ডে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৯৯জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: প্রায় দুই লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

আসামি নোবেলকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। নোবেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে আজ সকালে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গত ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে সিএমএম আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত সেটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মতিঝিল থানাকে নির্দেশ দেন। পরে ১৭ মে থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নিজেকে ‘নোবেল ম্যান’ হিসেবে পরিচয় করানো নোবেল ব্যক্তিগত নানা আচরণের কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হন। সম্প্রতি কুড়িগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন তিনি। কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে। ওই ঘটনাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।


আরও খবর



মেহেরপুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী(মেহেরপুর:মেহেরপুরে লিচু বাগানগুলোতে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মুকুলের মিষ্টি মৌ মৌ গন্ধ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। গাছের প্রতিটি ডাল থেকে মুকুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে গুণ গুনিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ছুটছে মৌমাছিরা। লিচু চাষিরা যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছের পরিচর্যায়। অন্যদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে শ্রম ব্যয় করছে দিনরাত। মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন মৌচাষিরা। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাদু মধু।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুরে লিচুবাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও। মার্চ মাসের শুরু থেকে মধু সংগ্রহ করার ধুম পড়ে। দূর থেকে আসা মৌচাষিরা বিভিন্ন স্থানীয় বাগান মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌ চাষ শুরু করে। একটি বাগানে মধু সংগ্রহ করার কাজে ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করে। দেখা যায়, লিচুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা মৌমাছির ’মৌ বাক্স’ বসিয়েছে। পাশেই নিজেদের তৈরি ছোট কুঁড়েঘর থাকে বাক্সের তদারকি করছে মৌ চাষিরা।

লিচু গাছের নিচে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন কাঠের তৈরি বাক্সগুলো। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল নিজ নিজ বক্সে মৌচাকে মধু এনে জমা করছে। ৭-৮ দিন পর পর প্রতিটি বাক্স থেকে চাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। লিচুর বাগান থেকে সংগ্রহ করা মধু যেমন খাঁটি তেমনই সুস্বাদু। মানের দিক থেকে ভাল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানে আসে। এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি। এক মাস সময় নিয়ে দিনাজপুর থেকে এখানে এসেছেন মৌ চাষি রনি হাসান ও তার দল। রনি হাসান দীর্ঘ ১৪ বছর এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ৬ মাস আমাদের কাজ হয়। আমরা মাসে ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করতে পারি।

মৌ চাষি রনি হাসান আরো বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আরো বেশিও সংগ্রহ করা যায়। এখানে ১৫০টি বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সে ৪টি-১৬টি ফ্রেম আছে। প্রতিটি ফ্রেম থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত মধু আমরা সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমরা ২’শ ৯০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছি। আরও ২শ কেজি মধু সংগ্রহের সম্ভবনা রয়েছে। এখানে সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আবার অন্যত্র মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু ৬শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। মধু সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তারা সাথে করে মৌমাছিদের নিয়ে যায় বলে জানান মৌ চাষিরা। প্রতিটি বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছিসহ অসংখ্য এপিচ জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে লিচুর মুকুলে ছুটে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে।কৃষিবিদ শফিউল ইসলাম বলেন, মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটানোর মাধ্যমে লিচুর ফলন ভাল হয়।

ফলে যে গাছে মৌমাছির বেশি আগমন ঘটে সে গাছে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে, তেমনই মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



বিরামপুরে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সদস্য শাহিনুর গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর  জেলার বিরামপুরে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সদস্য শাহিনুর আলম (৩৫) নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার।

আটককৃত ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সদস্য শাহিনুর আলম (৩৫) বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের উত্তর ভগবতীপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি চুরি হওয়া সেচ পাম্পের নাইট র্গাড ছিলেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোরে বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ভগবতিপুর গ্রামের ভাটার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষকের  ৫ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। পরে তিনি বিরামপুর থানায় অজ্ঞাতনামা একটি এজাহার দায়ের করেন। পরর্বতীতে বিরামপুর থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়। গত সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বিরামপুর পৌরশহরের শাহীন পুকুর এলাকায় ভাঙ্গীর দোকানের সামনে থেকে একটি ৫ কেভি  ট্রান্সফর্মারের তামা পেচানোর যন্ত্রাংশ কোরপাতি উদ্ধারসহ সেচ পাম্পের নাইট র্গাডকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত শাহিনুর আলম’কে সোমবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



শার্শার মাদক সম্রাট মহি'র যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:মাদক মামলায় শার্শার টেংরালি গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বাবু ওরফে মহি'কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের আদালত। রোববার অতিরিক্ত দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি শ্যামল কুমার বিশ্বাস।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর শার্শার কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা বেলতা প্রাইমারি স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্দেহজনকভাবে মহি'কে আটক করেন। এসময় তার হাতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে ৯৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

এঘটনায় বিজিবি'র ডিএডি শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক মহি'কে আসামী করে শার্শা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খান মাসুদ রানা আসামী মহি'কে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামী মহি'র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রামানিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন । অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মহি'র কারাগারে আটক আছে।

আদালত সূত্র আরও জানায়, মহি'র বিরুদ্ধে মাদক আইনে যশোর, নাড়াইল ঝিনইদহ জেলায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে আটক রয়েছেন।


আরও খবর



ঘাটাইলে চোরাই গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image
সবুজ সরকার সৌরভ,ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাচটি গরুসহ গাড়ি রেখে পালিয়েছে চোরচক্রের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জ্বলছে গরু চুরিতে ব্যবহৃত ট্রাকটি।২৪শে এপ্রিল (বুধবার) সকালে উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি গরু বোঝাই একটি মাঝারি ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে গাড়িটিকে ধাওয়া করে গাড়ির ড্রাইভারের রাস্তা পরিচিত না হওয়ায় গাড়িটি জামুরিয়া ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের গালা গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় লোকের বেশি জমায়েত দেখে গাড়ি রেখে ড্রাইভার এবং চোরের দল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা গাড়ি থেকে গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এখনো গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গরুগুলো এলাকাবাসীর হেফাজতে রয়েছে।

ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো চোরাই গরু। চোর চক্র হয়তো কোথাও থেকে চুরি করে নেওয়ার সময় ধরা পড়ার ভয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর



কবে খনন করা হবে ফুলবাড়ী যমুনা নদী,পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাজার বছরের ছোট যমুনা নদীটি খনন না করায় এখন পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। নদীতে এখন ধুধু বালুচর। পানি নেই নদীতে। নদীটি প্রায় প্রস্তে ৩০০ ফিট থেকে ৪০০ ফিট। এক সময় এই ছোট যমুনা নদীটি খর¯্রােত ছিল। এই নদী দিয়ে পানি পথে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে ধান, পাট সহ বিভিন্ন পন্য আনা নেওয়া করত। কালের বিবর্তনে এখন আর ছোট যমুনা নদীতে নৌকা চলে না । ছোট যমুনা নদীতে এখন কৃষকেরা রবিশস্য সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। প্রায় ৩০ কি. ছোট যমুনা নদীটি এখন পানি শুন্য। এই নদীটি উত্তর থেকে এসে চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বাংলা হিলি, পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট হয়ে বয়ে গেছে।এর মধ্যে নদীর কিছু অংশ ভারতরে মধ্যে পড়ে যায়। বর্তমান ছোট যমুনা নদীটি খনন না করার কারণে বর্ষ কালে পানিতে অতিরিক্ত ভরার হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে। এতে গ্রামগুলো সহ ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়। হাজার বছেরের পুরাতন এই ছোট যমুনা নদীটি পুনরায় খনন করা হয়ে একদিকে যেমন বর্ষকালে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি পানিতে প্লাবিত হবে না। অন্য দিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে আবদী জমি ও গ্রামগুলি। খনন করা হলে সারা বছর নদীতে পানি থাকবে এই পানি ব্যবহার করে কৃষকেরা জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারেবে। জেলেরা সারা বছর জীবন জীবিকা জন্য মাছ অহরন করতে পারবে। দীর্ঘ এক হাজার বছর ধরে এই নদীটি খনন করার কোন উদ্দ্যেগ নেই। সারা দেশে এমন নদী গুলি খনন কাজ শুরু হলেও ফুলবাড়ী ছোট যমুনা নদীটির খনন কাজ কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এর সাথে ০১৭৫৪৪৯৫৭১১ এ নম্বরে কথা বললে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি গত মাসে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অতি শিগ্রই প্রায় ১৫ কিলো মিটার নদীর খনন কাজ শুরু হবে। নদীটির খনন কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।


আরও খবর