
নিজস্বপ্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছেন।তার নাম ফজলে রাব্বি ওরফে সোলাইমান (২৪) ।মঙ্গলবার (২৪ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে চক্ষু হাসপাতালের পেছনে ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ফজলে রাব্বিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কলেজ ছাত্র চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামে টুলু মিয়ার ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সনো সেন্টারে এক্স-রে বিভাগে কর্মরত ছিলেন রাব্বি। বাবা টুলু মিয়ার চাকরির সুবাদে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালের পেছনে ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘দিনগত রাত ২টার দিকে অজ্ঞাত একটি নারী আমাদের ফোন করে ফজলে রাব্বি গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে তার ঘরে যেতে বলেন। আমরা গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরে জানতে পারি প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ভিডিও কলেই আত্মহত্যা করে ফজলে রাব্বি।’
পরিবারের কাছে ফোন দেওয়া নাম্বারে কথা হলে অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয় নম্বরটি চুয়াডাঙ্গার শুভ নামে এক তরুণীর। তিনি ঢাকায় একটি ছাত্রী মেসে থাকেন। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। শুভ ফজলে রাব্বির প্রেমিকা। রাতে তারা ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। হঠাৎ তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দিলে ভিডিও কলে রেখেই রাব্বি তার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে শুভর এক বান্ধবীর মাধ্যমে ফজলে রাব্বির পরিবারের নম্বর সংগ্রহ করে খবর দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, দিনগত রাত ২টার দিকে ফজলে রাব্বি নামে এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ হিম ঘরে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’