Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

প্রচন্ড তাপদহে থেমে নেই কৃষকরা চলছে বীজ বহন ধান কাটা মাড়ায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২০৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর:বেশ কয়েক দিন ধরে চলছে তীব্র তাপমাত্রা, ঘরে বাহিরে কোন স্বস্তি নেই, মাঠে বেশি সময় দাড়াতেই পরছেননা কৃষক শ্রমিকরা। কিন্ত খরতাপে ঘরে থাকলে তো আর চাষা বাদ হবে না। কোনকিছু আটকাতে পারে না রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষক শ্রমিকদের। ভরদমে আলু পরবর্তী ধান কাটা মাড়ায় ও রোপা আমন চাষের জন্য চলছে বীজ বপনের কাজ।  বিশেষ করে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত রাস্তায় তেমন ভাবে দেখা মিলছেনা জনসাধারনের। পিচঢালা রাস্তায় যেন শরীর পুড়ে যাচ্ছে। গত বুধবার বাড়ি টিন দিয়ে ছাওয়ার জন্য উল্টিয়ে ফেলেন পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের হান্নান। মিস্ত্রী র কাজ করছেন সুবারন। কিন্তু প্রখর রোদে দাড়াতেই পারছেন না। শুক্রবারে কাজে এসে সকালেই শুয়ে পড়েন। আর কাজে হাত দিতে পারেন নি। তিনি জানান, বিগত ২০০৩ সাল থেকে মিস্ত্রির কাজ করছি। জৌষ্ঠ মাসে এমন প্রচন্ত রোদের প্রখরতা দেখিনি। টিন ছাওয়ার জন্য উপরে উঠলে মনে হচ্ছে মাথার কয়েক হাত উপরে সূর্য। অথচ কোটিকোটি মাইন উপরে সূর্য, সেই তাপ সহ্য হচ্ছে না। শরীর হাত পা মুখমন্ডল মনে হচ্ছে পুড়ে যাচ্ছে। আমার জীবনে চলতি বছরে রমজান মাসে ও মে জুনে দেখছি ভয়াবহ তাপ প্রবাহ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বোমন ও পেশার লো হয়ে গেছে। আমার সাথে আরেকজন কাজ করছিল তার একই অবস্থা। কাজ করতে না পারলে সংসার ও কিস্তি মিটবে না।

জানা গেছে,  উপজেলা জুড়ে প্রতিটি মাঠে আলু পরবর্তী ধান কাটার ধুৃম পড়েছে। কিন্তু রোদের তাপে শ্রমিকরা এক ঘন্টা কাজ করলে দু ঘন্টা মাথায় বুকে পানি দিতে হচ্ছে। শরীরে থাকা সার্ট পরনের লুঙ্গি ঘামে ভিজে একাকার হয়ে পড়ছে।শ্রমিক মুস্তফা জানান, রোদের তাপের কারনে ফজরের আযানের আগে ধান কাটা শুরু করছি। তখন আবার কোয়াশা পড়ছে। আরেক শ্রমিক মফিজ জানান, গরীবের কাজ না করলে ভাত জুটবেনা। তাপে পুড়ে হলেও কাজ করে সংসার পরিচালনা করতে হবে।এদিকে উপজেলা জুড়ে আলুর জমিতে রোপন করা ধান পেকেছে, ইতিপূর্বেই কাটা শুরু হয়েছে। রয়েছে শ্রমিক সংকটের কারনে বেকায়দায় কৃষকরা। ধান মাড়ায় হপার হারভেস্টাকর মেশিন এসেছে অর্ধশতাধিকের মত। একবিঘায় মেশিনে নিম্মে১৫০০ থেকে উর্ধ্বে ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর শ্রমিক দিয়ে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ। কিন্তু মেশিনে খড় পাচ্ছেনা, আর শ্রমিক কাটা মাড়ায় করলে খড় পাচ্ছেন।এছাড়াও রোপা আমন রোপনের জন্য বীজ বহন শুরু হয়ে গেছে।গত বৃহস্পতিবার বীজ বপনের সময় বিহারইল মাঠে কথা হয় মাদারিপুর গ্রামের কৃষক সুফিয়ানের সাথে। তিনি জানান ১০ শতাংশের কিছু বেশি জমিতে স্বর্না জাতের ৪৫ কেজি বীজ বহন করছি। ৪৫ কেজি বীজ ভালো হলে ১০ বিঘা জমি রোপন করা যাবে। আমরা একটু আগাম বীজ বপন ও চাষ করে থাকি। তিনি আরো জানান বিঘায় ৪ কেজি বীজ লাগে। এক বিঘা জমিতে বীজ তৈরি থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়।ওহিদুল নামের আরেক কৃষক সাড়ে তিন মন বীজ বপন করেছেন।

সুফিয়ান, আব্দুল সহ একাধিক কৃষকরা জানান, এক মন বীজের ধান কিনতে হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকা দিয়ে। অথচ একমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১হাজার টাকায়।  কৃষক যাবে কোথায়, কেজি প্রতি সারের দাম ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আবার পটাশ সার ১২০০-১৩০০ টাকা ছাড়া মিলছে না। সব দিক থেকে মরছে কৃষক। কিভাবে একজন প্রান্তিক কৃষক পথে বসবে সেটাই করা হচ্ছে।উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আরো এক সপ্তাহ বোরো ধান কাটা চলবে। তারপর থেকে যেটা কাটা হবে সেটা আউশ হিসেবে ধরা হবে। রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৪০০ হেক্টর। সে মোতাবেক ১১২০ হেক্টর জমিতে বীজের লক্ষমাত্রা, সে অনুপাতে ৮০০ মে:টন বীজের প্রয়োজন। তবে খরতাপের কারনে অবশ্য শ্রমিকদের মারাত্মক কষ্ট হলেও কৃষকরা শুকনো ঝরঝরে ধান ঘরে তুলতে পারছেন। এবার বোরোতে বাম্পার ফলন হয়েছে, তবে ফড়িয়া সিন্ডিকেট দাম কমছে, সে বিষয়ে বিপনন বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে হাট বাজার, আড়ত ও চাতালে অভিযান পরিচালনা করবে।


আরও খবর



তানোরে বিএনপির দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর:বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় রাজশাহীর তানোরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে পৌর সদর গোল্লাপাড়া বাজারস্থ বরেন্দ্র ভবন সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নানের সভাপতিত্বে  এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, পৌর বিএনপির সভাপতি একরাম আলী মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জুল হক তোফা,যুবদল নেতা মাহফুজ প্রমুখ। প্রধান বক্তা মিজানুর রহমান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় আপামর জনতার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মারাত্মক অসুস্থ। মেডিকেল বোর্ড বারবার বলছেন বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকার প্রতিহিংসা বশত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দিচ্ছেন না। হাসপাতালে ধুঁকে ধুকে মেরে ফেলার নীল নকশা তৈরি করেছেন। বেগম জিয়ার এঅবস্থায় কিছু হলে সরকারকে সব দায়ভার নিতে হবে। দেশের মানুষ যখন সরকার পতনের একদফা আন্দোলন করছেন তখন থেকেই বিএনপিসহ আন্দোলন রত দলের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মিথ্যা মামলা দিয়ে ধরপাকড় শুরু করেছেন। সবচেয়ে অবাক লাগে ঢাকায় নাকি দলের মহা সচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রবেশ করতে দিবেন না বলে ভোটার বিহীন মেয়র তাপস ঘোষনা দিয়েছেন। আসলে সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারাও ভালভাবেই জানেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তাদের মারাত্মক ভরাডুবি হবে। একারনে তারা বলছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নাকি সবাই কে কেটে ফেলবে। সরকারকে পরিস্কার ভাবে বলতে চায় দ্রুত পদত্যাগ করুন বাংলার মানুষ আপনাদেরকে আর ক্ষমতার মসনদে দেখতে চায় না। যদি এক তরফা বা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত রাতে ভোট করতে চান সেটা হতে দিবেনা। আর এমন স্বপ্ন যদি দেখে থাকেন তাহলে বোকার সর্গে বাস করছেন। এত উন্নয়ন করেছেন তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে এত ভয় কেন। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনা। বিএনপি এদেশের আপামর জনতার দল। আর কত পুলিশ প্রশাসনের উপর ভর করে থাকবেন, দ্রুত পদত্যাগ করে জনগণকে রেহায় দিন।বিএনপি এখন নির্বাচনের কথা ভাবছেনা, বিএনপি চায় এই অবৈধ সরকারের পতন। কারন উন্নয়নের কথা বলে যে ভাবে লুটপাট করে দেশকে পঙ্গু করেছেন তার হিসাব এই জনগণকে দিতে হবে এবং আদায় করে নিবে। এই সরকার জনগণের না, এই সরকার আমলাদের।এজন্যই তো আমলারাও বিদেশের মাটিতে বাড়ি গাড়ি কিনে রেখেছেন। দ্রুত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে  চিকিৎসার  ব্যবস্থা করুন। শেষে অসুস্থ বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



হাত রেখেছি তোমার হাতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:এক বছর ধরে মিলন তমাকে ওর বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছে। তখন থেকেই তমা আর মিলনের মধ্যে ভালোলাগার শুরু। মুখে ভালোবাসার কথা না বললেও তাদের দু'জনেরই পরষ্পরের প্রতি অনুভূতিটা প্রগাঢ়। তবে মিলনের ভয়: তমার বড়লোক বাবা যদি তার মত বেকার দরিদ্র ছেলেকে মেনে না নেয়! একদিন হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে আমেরিকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তমার চাচাতো ভাই ফারহান। ফারহানকে দেখে তমার বাড়ির সবাই অবাক। ফারহান আসায় তমার বাবা একদিকে যেমন খুশি তেমনি মনে মনে কিছুটা আতঙ্কিত এই ভেবে যে ফারহান হয়ত তার বাবার সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছে। তমার মায়ের মাথায় এক বুদ্ধি আসে : তমাকে ফারহানের সাথে বিয়ে দিতে পারলে সব দিক রক্ষা হয়। তবে তমা এই প্রস্তাবে রাজি না। সে এ মুর্হূতে কি করবে বুঝতে পারে না।

পরিস্থিতি যখন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে তখন ফারহানই তার চাচাকে তমার সাথে মিলনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অবশ্য তার আগে সে মিলনের সাথে দেখা করে তারও ভুল ভাঙায়। তাছাড়া ফারহান এতোদিন পর তার গ্রামে আসার উদ্দেশ্য সর্ম্পকে জানায়: তার ইচ্ছা তার দাদার নামে তাদের গ্রামে একটা কলেজ নির্মান করা। তার আরও ইচ্ছা সেই কলেজে শিক্ষকতা করবে মিলন আর কলেজের তদারকি করবে তার চাচা।

এরকমই একটি গল্প নিয়ে আলোকসজ্জার প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’। শরিফুজ্জামান সাগরের কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে এবং সাকিল সৈকতের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া, সাইফুল ইসলাম,শিল্পী সরকার অপু, আব্দুল্লাহ রানা, শেলী আহসান, মুকুল সিরাজ,অদিতি সহ অনেকে।

নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক সাকিল সৈকত বলেন, রোমান্টিক ধাঁচের গল্প নিয়ে 'হাত রেখেছি তোমার হাতে' টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছি। গল্পের চাহিদা অনুযায়ী অভিনয়শিল্পী বাছাই করেছি। শরিফুজ্জামান সাগর ভাই দুর্দান্ত একটি গল্প লিখেছেন। অভিনয় শিল্পীরাও ভালো অভিনয় করেছে। আশা করছি দর্শকরা খুবই ইনজয় করবে।

অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক বলেন,  ‘টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। যখন গল্পটি আমি পড়ি মনে হয়েছে বর্তমান সময়ের গতানুগতিক ধারার চেয়ে ভিন্ন কিছু দর্শক উপভোগ করতে পারবে।’

অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া বলেন,  ‘সাকিল সৈকত ভাই ভালো ডিরেক্টর। অন্যদিকে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। সহশিল্পীরাও খুবই ভালো কাজ করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি ভালোভাবে অভিনয় করার। বাকিটা টেলিফিল্মটি দেখে দর্শকরাই বলবেন।

আলোকসজ্জার প্রযোজনায় টেলিফিল্মটির সহযোগী পরিচালক হিসেবে ছিলেন দ্বীন ইসলাম সম্রাট, চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন নুরুন্নবী তরুন এবং এডিট,  কালার ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন রণি শিকদার জিতু

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ৮:৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে 'হাত রেখেছি তোমার হাতে' টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে।


আরও খবর

পরীমণি-বুবলী একসঙ্গে খেলবেন!

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মমতাজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:লোকসংগীত শিল্পী ও মানিকগঞ্জ ২ (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদর) আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত। চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়। গতকাল শুক্রবার বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মমতাজ। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

আদালতে মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, ৯ আগস্ট কেন তার মক্কেল (মমতাজ) আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এরপর মমতাজের আইনজীবীর কথা শোনার পর বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারক অলকেশ দাস জামিন মঞ্জুর করেন।

মমতাজের জামিনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। তাদের যুক্তি, মামলার অভিযোগ গঠন হওয়ার পরও কীভাবে জামিন পান এই শিল্পী। যদিও বিচারক এই যুক্তিকে আমলে না নিয়ে, পরবর্তী শুনানির দিন ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। মামলার বাদী শক্তিশঙ্কর বাগচী জামিনের বিরোধিতা করে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে, মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত এদিন আদালতে সিআরপিসি ২০৫ ধারায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী একটি আবেদন করেন। যদি আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন তাহলে ভারতীয় আদালতে নিয়মিত সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না মমতাজের।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শক্তিশঙ্কর বাগচি নামে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজার মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ।

শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে ১৪ লাখ রুপিও দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু রুপি নিয়ে অনুষ্ঠানে যাননি বাংলাদেশের এই সংগীতশিল্পী। এমনকি রুপিও ফেরত দেননি। রুপি ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচীকে। বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।


আরও খবর

পরীমণি-বুবলী একসঙ্গে খেলবেন!

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিন্দুবা লাগো তুমি কার আকাশে থাকো জোসনা বলে রাখো

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন


আরও খবর



মিরপুর বিআরটি'র হিসাব রক্ষকের দূর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদ: মিরপুর বিআরটিতে চাকরী করে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসাব রক্ষক খান মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি সরকারী চাকরীর সাইনবোর্ড নিয়ে বিআরটিএতে  ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীত চালিয়ে যাচ্ছেন।

সেই সাথে বিআরটিএর সবচেয়ে বড় দালাল হিসেবে পরিচিত বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ীর তদবীরে কাজ করে থাকেন। প্রতি কাজে বিনিময়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়েনেন তিনি। এই সব কাজ স্হানীয় দালালদের মাধ্যমে পান। বিআরটিএ সাবেক আনসার সদস্য বর্তমানে দালাল হিসেবে কাজ করে আকবর ও মো. বাবুলের মাধ্যমে এই সব তথ্য পাওয়া গেছে।

তারা বলেন, রুহুল আমিনতো টাকার 'খনিতে' চাকরী করেন। তার পরও তদবীরে কাজ করেন প্রতিদিন। তার অপকর্মের কথা পুরো বিআরটিএ'র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি দালালরাও এক নামে চিনেন টাকার 'খনি' রুহুল আমিন। এদিকে পুরান ঢাকার লালবাগের বড়কাটরা বাসিন্দা আব্দুস সালাম নামের এক ব্যক্তি গত ২০ আগস্ট (মাসে) খান মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দুনীর্তির একটি অভিযোগ দাখিল করেন সেগুন বাগিচার দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবরে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন মিরপুর বিআরটিএতে চাকরী করার মাধ্যমে আশা যাওয়া মধ্যে ১৩ বছর যাবত চাকরী করে আসছেন। তাকে বিভিন্ন অপকর্মে কারনে কতৃপক্ষ বদলি করে দিলেও তার পরেও অর্থের বিনিময়ে আবার এখানে চলে আসেন। এতে করে বুঝা যায় রুহুল আমিন টাকার 'খনিটি' ছাড়তে পারছেন না। দালাল নিয়োগ করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।

বর্তমানে তিনি লালবাগের আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতাল রোডের ৩ নম্বর রোডে ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার রায়পুর মুন্সিকান্দি গ্রামের বাড়ীতে ১৫ কাঠা জমির ওপর দোতলা একটি আলিশান বাড়ী করেছেন। ওই গ্রামবাসিরা জানান, ৮/১০ বছর আগে বাড়ীটি করে।

এ ছাড়াও গ্রামে তার নামেও স্ত্রী নামে এমনকি স্বজনদের নামে অনেক জায়গা --জমি কিনেছেন। তাই এলাকাবাসিরা বলেন, রুহুল আমিন বিআরটিএতে চাকরী পেয়ে এখন তিনি টাকার 'খনি' পেয়েছেন। আগে তারা নিজেরাই চলতে পারতেনা এখন রুহুল আমিন মানুষকে লাখ লাখ দিচ্ছেন। এলাকাতে এখন তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত।

গ্রাম বাসিদের অভিযোগে আরও জানা যায়, সে মাসে বেতন পায় ৩৫ হাজার টাকা। বেতন দিয়ে কি আর এ সব করা যায়। তার উপার্জন হলো কর্মস্হলে থেকে ঘুষ ও তদবী মাধ্যমে টাকা কামাচ্ছেন। তা না হলে হঠাৎ করে এত কিছু করলো কি ভাবে। যেন আলাউদ্দিনের চেরাগেরমতো। দূদূকে অভিযোগকারী লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, ঢাকায় তার ও তার স্ত্রী নামে কয়েকটি বাড়ী ও ফ্ল্যাট রয়েছে। মাদারীপুর শিবচর এলাকায় স্ত্রী নামে ২০ কাটা জমি ক্রয় করেছেন।

এই সব মিলে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হলেন হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন।  দালাল আকবর বলেন, তিনিতো অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলো তার পরও রাতে কাজ করেন। সেই কাজ গুলো হচ্ছে আমাদের। তার রুমের ভেতরে আশা যাওয়া করে বেশী ভাগ দালালরা।  তিনি তদবীরে মাধ্যমে মালিকানার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গাড়ির যাচাই পরিদর্শককে মেনেজ করে মালিকের সঠিক তথ্য যাচাই, বাছাই না করে কাগজ পত্র ঠিক করে দেন।

অর্থের বিনিময়ে কারনে সরকারি নিয়ম অনুসারে সঠিক পথ অবলম্বন করা হয় না বলেও জানায় দালালরা। কিন্তু এই সরকারি কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপ চালাচ্ছেন। তার রুমে ঢুকতেই প্রথম কথা বলতে হয় তারই  পরিচয়ের এক দালাল প্রতারক? তার অফিসের রুমে সারাক্ষণ দালালদের আনাগোনা রয়েছে।

এই সব দালালরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে কাগজ পত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সে সব দালালদের কাছ থেকে আবার কাজের বিনিময়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন। এই ভাবেই দিনে পর দিন,  মাসে পর মাস,  বছরের পর বছর তার এই সব দূর্নীতি ও অপকর্মে  মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এর পরে পুর্বে চোখ রাখুন আরো বিস্তারিত জানবেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব

আরও খবর