

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিনোদন প্রতিবেদক:এক বছর ধরে মিলন তমাকে ওর বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছে। তখন থেকেই তমা আর মিলনের মধ্যে ভালোলাগার শুরু। মুখে ভালোবাসার কথা না বললেও তাদের দু'জনেরই পরষ্পরের প্রতি অনুভূতিটা প্রগাঢ়। তবে মিলনের ভয়: তমার বড়লোক বাবা যদি তার মত বেকার দরিদ্র ছেলেকে মেনে না নেয়! একদিন হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে আমেরিকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তমার চাচাতো ভাই ফারহান। ফারহানকে দেখে তমার বাড়ির সবাই অবাক। ফারহান আসায় তমার বাবা একদিকে যেমন খুশি তেমনি মনে মনে কিছুটা আতঙ্কিত এই ভেবে যে ফারহান হয়ত তার বাবার সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছে। তমার মায়ের মাথায় এক বুদ্ধি আসে : তমাকে ফারহানের সাথে বিয়ে দিতে পারলে সব দিক রক্ষা হয়। তবে তমা এই প্রস্তাবে রাজি না। সে এ মুর্হূতে কি করবে বুঝতে পারে না।
পরিস্থিতি যখন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে তখন ফারহানই তার চাচাকে তমার সাথে মিলনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অবশ্য তার আগে সে মিলনের সাথে দেখা করে তারও ভুল ভাঙায়। তাছাড়া ফারহান এতোদিন পর তার গ্রামে আসার উদ্দেশ্য সর্ম্পকে জানায়: তার ইচ্ছা তার দাদার নামে তাদের গ্রামে একটা কলেজ নির্মান করা। তার আরও ইচ্ছা সেই কলেজে শিক্ষকতা করবে মিলন আর কলেজের তদারকি করবে তার চাচা।
এরকমই একটি গল্প নিয়ে আলোকসজ্জার প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’। শরিফুজ্জামান সাগরের কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে এবং সাকিল সৈকতের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া, সাইফুল ইসলাম,শিল্পী সরকার অপু, আব্দুল্লাহ রানা, শেলী আহসান, মুকুল সিরাজ,অদিতি সহ অনেকে।
নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক সাকিল সৈকত বলেন, রোমান্টিক ধাঁচের গল্প নিয়ে 'হাত রেখেছি তোমার হাতে' টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছি। গল্পের চাহিদা অনুযায়ী অভিনয়শিল্পী বাছাই করেছি। শরিফুজ্জামান সাগর ভাই দুর্দান্ত একটি গল্প লিখেছেন। অভিনয় শিল্পীরাও ভালো অভিনয় করেছে। আশা করছি দর্শকরা খুবই ইনজয় করবে।
অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক বলেন, ‘টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। যখন গল্পটি আমি পড়ি মনে হয়েছে বর্তমান সময়ের গতানুগতিক ধারার চেয়ে ভিন্ন কিছু দর্শক উপভোগ করতে পারবে।’
অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া বলেন, ‘সাকিল সৈকত ভাই ভালো ডিরেক্টর। অন্যদিকে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। সহশিল্পীরাও খুবই ভালো কাজ করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি ভালোভাবে অভিনয় করার। বাকিটা টেলিফিল্মটি দেখে দর্শকরাই বলবেন।
আলোকসজ্জার প্রযোজনায় টেলিফিল্মটির সহযোগী পরিচালক হিসেবে ছিলেন দ্বীন ইসলাম সম্রাট, চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন নুরুন্নবী তরুন এবং এডিট, কালার ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন রণি শিকদার জিতু।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ৮:৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে 'হাত রেখেছি তোমার হাতে' টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে।
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিনোদন প্রতিবেদক:লোকসংগীত শিল্পী ও মানিকগঞ্জ ২ (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদর) আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত। চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়। গতকাল শুক্রবার বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মমতাজ। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালতে মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, ৯ আগস্ট কেন তার মক্কেল (মমতাজ) আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এরপর মমতাজের আইনজীবীর কথা শোনার পর বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারক অলকেশ দাস জামিন মঞ্জুর করেন।
মমতাজের জামিনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। তাদের যুক্তি, মামলার অভিযোগ গঠন হওয়ার পরও কীভাবে জামিন পান এই শিল্পী। যদিও বিচারক এই যুক্তিকে আমলে না নিয়ে, পরবর্তী শুনানির দিন ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। মামলার বাদী শক্তিশঙ্কর বাগচী জামিনের বিরোধিতা করে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে, মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত এদিন আদালতে সিআরপিসি ২০৫ ধারায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী একটি আবেদন করেন। যদি আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন তাহলে ভারতীয় আদালতে নিয়মিত সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না মমতাজের।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শক্তিশঙ্কর বাগচি নামে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজার মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ।
শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে ১৪ লাখ রুপিও দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু রুপি নিয়ে অনুষ্ঠানে যাননি বাংলাদেশের এই সংগীতশিল্পী। এমনকি রুপিও ফেরত দেননি। রুপি ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচীকে। বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শফিক আহমেদ: মিরপুর বিআরটিতে চাকরী করে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসাব রক্ষক খান মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি সরকারী চাকরীর সাইনবোর্ড নিয়ে বিআরটিএতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীত চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেই সাথে বিআরটিএর সবচেয়ে বড় দালাল হিসেবে পরিচিত বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ীর তদবীরে কাজ করে থাকেন। প্রতি কাজে বিনিময়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়েনেন তিনি। এই সব কাজ স্হানীয় দালালদের মাধ্যমে পান। বিআরটিএ সাবেক আনসার সদস্য বর্তমানে দালাল হিসেবে কাজ করে আকবর ও মো. বাবুলের মাধ্যমে এই সব তথ্য পাওয়া গেছে।
তারা বলেন, রুহুল আমিনতো টাকার 'খনিতে' চাকরী করেন। তার পরও তদবীরে কাজ করেন প্রতিদিন। তার অপকর্মের কথা পুরো বিআরটিএ'র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি দালালরাও এক নামে চিনেন টাকার 'খনি' রুহুল আমিন। এদিকে পুরান ঢাকার লালবাগের বড়কাটরা বাসিন্দা আব্দুস সালাম নামের এক ব্যক্তি গত ২০ আগস্ট (মাসে) খান মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দুনীর্তির একটি অভিযোগ দাখিল করেন সেগুন বাগিচার দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবরে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন মিরপুর বিআরটিএতে চাকরী করার মাধ্যমে আশা যাওয়া মধ্যে ১৩ বছর যাবত চাকরী করে আসছেন। তাকে বিভিন্ন অপকর্মে কারনে কতৃপক্ষ বদলি করে দিলেও তার পরেও অর্থের বিনিময়ে আবার এখানে চলে আসেন। এতে করে বুঝা যায় রুহুল আমিন টাকার 'খনিটি' ছাড়তে পারছেন না। দালাল নিয়োগ করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
বর্তমানে তিনি লালবাগের আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতাল রোডের ৩ নম্বর রোডে ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার রায়পুর মুন্সিকান্দি গ্রামের বাড়ীতে ১৫ কাঠা জমির ওপর দোতলা একটি আলিশান বাড়ী করেছেন। ওই গ্রামবাসিরা জানান, ৮/১০ বছর আগে বাড়ীটি করে।
এ ছাড়াও গ্রামে তার নামেও স্ত্রী নামে এমনকি স্বজনদের নামে অনেক জায়গা --জমি কিনেছেন। তাই এলাকাবাসিরা বলেন, রুহুল আমিন বিআরটিএতে চাকরী পেয়ে এখন তিনি টাকার 'খনি' পেয়েছেন। আগে তারা নিজেরাই চলতে পারতেনা এখন রুহুল আমিন মানুষকে লাখ লাখ দিচ্ছেন। এলাকাতে এখন তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত।
গ্রাম বাসিদের অভিযোগে আরও জানা যায়, সে মাসে বেতন পায় ৩৫ হাজার টাকা। বেতন দিয়ে কি আর এ সব করা যায়। তার উপার্জন হলো কর্মস্হলে থেকে ঘুষ ও তদবী মাধ্যমে টাকা কামাচ্ছেন। তা না হলে হঠাৎ করে এত কিছু করলো কি ভাবে। যেন আলাউদ্দিনের চেরাগেরমতো। দূদূকে অভিযোগকারী লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, ঢাকায় তার ও তার স্ত্রী নামে কয়েকটি বাড়ী ও ফ্ল্যাট রয়েছে। মাদারীপুর শিবচর এলাকায় স্ত্রী নামে ২০ কাটা জমি ক্রয় করেছেন।
এই সব মিলে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হলেন হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন। দালাল আকবর বলেন, তিনিতো অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলো তার পরও রাতে কাজ করেন। সেই কাজ গুলো হচ্ছে আমাদের। তার রুমের ভেতরে আশা যাওয়া করে বেশী ভাগ দালালরা। তিনি তদবীরে মাধ্যমে মালিকানার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গাড়ির যাচাই পরিদর্শককে মেনেজ করে মালিকের সঠিক তথ্য যাচাই, বাছাই না করে কাগজ পত্র ঠিক করে দেন।
অর্থের বিনিময়ে কারনে সরকারি নিয়ম অনুসারে সঠিক পথ অবলম্বন করা হয় না বলেও জানায় দালালরা। কিন্তু এই সরকারি কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপ চালাচ্ছেন। তার রুমে ঢুকতেই প্রথম কথা বলতে হয় তারই পরিচয়ের এক দালাল প্রতারক? তার অফিসের রুমে সারাক্ষণ দালালদের আনাগোনা রয়েছে।
এই সব দালালরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে কাগজ পত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সে সব দালালদের কাছ থেকে আবার কাজের বিনিময়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন। এই ভাবেই দিনে পর দিন, মাসে পর মাস, বছরের পর বছর তার এই সব দূর্নীতি ও অপকর্মে মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এর পরে পুর্বে চোখ রাখুন আরো বিস্তারিত জানবেন।
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩