Logo
আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিনে ৪২ জনের আপিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রথম দিন ৪২ জন প্রার্থী আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। মনোনয়ন বাতিল হওয়া বেশির ভাগের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে জটিলতা ছিল।

এদিন সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের ভবনের সামনে ১০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে এ আপিল আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপিল দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নোটিশ জারি করে ইসি।

ইসি জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪] অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ (২৬ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৩টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি অনবদ্য থিয়েটার পারফরমেন্স ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’ পরিবেশিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ‘অদম্য শিল্পোৎসব’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, সেখানে আইআইডি’র তত্ত্বাবধানে সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য সহ আরও নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয় । এছাড়াও থিয়েটার পারফরমেন্স, প্যানেল আলোচনা, ফিল্ম প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, গ্রেআই থিয়েটার কোম্পানির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট, ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাসিরুদ্দীন ইউসুফ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। এছাড়া, সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের অংশ এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। বাংলাদেশের শিল্পকলা খাত ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরিই এই বহুস্তরীয় ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য। বৃহত্তর সমাজ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে এনে সংযোগ স্থাপন করা এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ঢাকা থিয়েটার ও আইআইডির (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে চালু হয় প্রকল্পটি।

আয়োজনের প্রথম দিনে অতিথিদের জন্য রমেশ মেয়াপ্পানের ‘৭১ ইন সাইলেন্স’, মোস্তাফিজ শাহিন পরিচালিত ‘সার্কাস সার্কাস’, কাজী নওশাবা আহমেদের ‘ত্রিবেণী’, এশা ইউসুফ ও রফিকুল ইসলামের ‘কেন্দ্র বরাবর সুড়ঙ্গটির নাম পৃথিবী’ এবং কলকাতার জনসংস্কৃতি সেন্টার ফর থিয়েটার অফ দ্য অপ্রেসডের পরিচালক সঞ্জয় গাঙ্গুলির ‘ওয়েস্টল্যান্ড- এ জার্নি’, এই ৫টি থিয়েটার প্রযোজনা পরিবেশিত হয়। প্রথম দিন ‘ডিজেবিলিটি রিপ্রেজেন্টেশন ইন দ্য আর্ট সেক্টর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিল্পকলা সহ সমাজের নানান স্তরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী দিনে আরও ৫টি থিয়েটার প্রযোজনার আয়োজন করা হবে - শামীম সাগরের ‘অতঃপর করিম বাওয়ালি’,সামিউন জাহান দোলার ‘সঙ্গতি’, আল জাবিরের ‘কাজলরেখা’, ড. আমির জামানের ‘পিতৃগণ’ ও অসীম দাশের ‘স্বপ্নকাহন’। এছাড়া, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ ও ‘ফান্ডিং ইনক্লুশন ফর ডিজ্যাবিলিটি আর্টস’ এই দুইটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স ফর অ্যাক্সেসিবল আর্টস’ প্যানেল আলোচনায় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তাদের বেশিরভাগই বুদ্ধি, মননশীলতা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে অন্যদের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সৃজনশীলতার দিক থেকে অনেক সময়ই বেশি যদি তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যায়। আমি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা থিয়েটার, আইআইডি, এবং এই অনবদ্য আয়োজনের সাথে যারা জড়িত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।”বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমতার ভিত্তিতে পূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগ ও অনুশীলনের সুযোগ তৈরি করতে যুক্তরাজ্য সারা বিশ্বে কাজ করছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজেবিলিটি আর্টস: রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প ও এই উৎসব বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিভা ও অর্জনকে উদযাপন করা এবং একটি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার সুযোগ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর (ইন্টেরিম) শ্যানন ওয়েস্ট বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর উদ্বোধন করতে পেরে আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত; যা আমাদের ডেয়ার প্রকল্পের একটি চূড়ান্ত আয়োজন। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের ডেয়ার প্রকল্পটি বাংলাদেশি থিয়েটার সংস্থাগুলো ও দেশব্যাপী ডেয়ার শিল্পীদের সক্ষমতা তৈরি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুশীলন চর্চা, নীতিমালা পরিবর্তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজেবিলিটি আর্ট থিয়েটারকে মূলধারায় আনয়নে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করায় সরকার ও সকল অংশীদারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বলেন, “২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার থিয়েটারের সাথে ডিজেবিলিটি আর্টকে একীভূত করার ক্ষেত্রে ঢাকা থিয়েটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নানান প্রতিবন্ধকতা এবং নিত্যনতুন বাধা আসার পরেও প্রতিবন্ধী শিল্পী, প্রশিক্ষক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটারের অব্যহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার কারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পেরেছি আমরা; আর এই ইন্টারন্যাশনাল ডিজেবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সফল আয়োজন তারই প্রমাণ।”

এই আয়োজন থেকে অতিথিরা অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে বোঝার সুযোগ পান; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পের যাত্রায় তাদের অতিক্রান্ত বাধাগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।


আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে বিআরটিসি বাস বন্ধের ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃভূলতা (গাউছিয়া)-কুড়িল বিশ্ব রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে একটি মহল। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় সিএনজি চালক ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিআরটিসি'র যাত্রীবাহী গাড়ির চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের উপড় চড়াও হয়ে প্রতিনিয়ত লাঠি সোটা নিয়ে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করছে বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে বিআরটিসি বাসের চালক ভুক্তভোগী খাইরুল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মারধর ও প্রাননাশের অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভুলতা (গাউছিয়া) -কুড়িল বিশ্বরোড এই রুটে কিছু সংখ্যক বিআরটিসি বাস চালু করা হয়।সময় মতো সেবা ও কম খরচে যাত্রী পরিবহন করায় এ অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। পক্ষান্তরে স্থানীয় ফিটনেস বিহীন প্রাইভেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন সিএনজি গাড়ির যাত্রী কমে যায়। এই কারণে সেই সকল চালকরা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। শুরু থেকেই তারা বিআরটিসি চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের প্রতি বৈরি মনোভাব পোষণ করে। তারা বিআরটিসি বাস বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। রুপগঞ্জের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে  ওই সকল ফিটনেসবিহীন গাড়ির চালকগনকে ও সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে প্রায় সময়েই সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন বিআরটিসি বাসের চালক হেলপার কর্মচারীদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চালককে মার ধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় এই সন্ত্রাসী  বাহিনী এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে বর্তমানে কোন চালক ওই রুটে বিআরটিসি'র বাস চালাতে চায় না। বিআরটিসি বাসের ভাড়া কম এবং সার্ভিস ভালো থাকায় যাত্রী সাধারণ এই গাড়িতে চড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন প্রাইভেট কার অবৈধ সিএনজি দ্বিগুণ তিন গুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করে। আবার এই সকল পরিবহন গুলো নিরাপদ নয়। ফিটনেস বিহীন যানবাহনে প্রায় ঘটে নানা দুর্ঘটনা, রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রী সাধারণ ঐসব গাড়িকে এড়িয়ে চলে। এই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, "বিআরটিসি বাস চালককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"

উল্লেখ থাকে যে, ভুলতা গাউছিয়া, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন এলাকার হাজার হাজার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে। তারা কম খরচে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও যাত্রী সাধারণ নিরাপদে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। তাই এই রুটে বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।


আরও খবর



নাসিরনগরে প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন রোমা আক্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

৮ মে ২০২৪ রোজ বুধবার প্রথম ধাপের ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়।এই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রোমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগনেতা রোমা আক্তার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৮ মে বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।


নাসিরনগরে প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বাবাও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ অবঃ গোলাম নুর ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার (ঘোড়া) প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়ার স্ত্রী।


তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) টানা তিনবারের চেয়ারম্যান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ওমরাও খান (আনারস) প্রতিকে  পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন; ভোট পড়েছে ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর গরু বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সিরাজগঞ্জে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর আওতায় জেলেদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে-১৮জন জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করার আগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য বিভাগ ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) সদর  উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নদীর নিকটবর্তী নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে অক্ষত, স্বাস্থ্যবান ও দেশি প্রজাতির গরু (বকনা বাছুর) ৭-১০ মাস বয়সি ৪০-৫০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর১৮জন মৎস্য জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান, অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে  সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন  সিরাজগঞ্জ- সদর ও  কামারখন্দ ২  আসনের  জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার  হেনরী । 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী তিনি তার বক্তব্যে বলেন– মা ইলিশ মাছ সম্পদ রক্ষায় দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সহায়তা দিচ্ছে। আপনারা ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। বিধান অমান্য করে জাটকা ধরবেন না। আর মনে রাখবেন এই বকনা বাছুর গরু কেউ বিক্রি করবেন না বা অন্যস্থানে হস্তান্তর করবেন না, ভালোভাবে পালন করতে গরুর যত্ন নিবেন। নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যোগাযোগ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এ গরু দেওয়া হচ্ছে আপনার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। মৎস কর্মকর্তা শাহিনুর রজমান বলেন, ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) বিতরন করা হয়েছে।

আরও খবর



মিয়ানমার ২৮৫ বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত নিচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ সদস্যকে দেশটি ফেরত নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আগামী সোমবার (২২ এপ্রিল) নৌপথে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। সেই জাহাজে করে দেশে আসবে মিয়ানমারে আটকা পড়া ১৫০ বাংলাদেশিও। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নিতে আশ্বস্ত হয়েছে দেশটি। আগামী ২২ এপ্রিল আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্য ও সেনা বাহিনীর সদস্যদের জাহাজ যোগে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। এবিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে। যে জাহাজটি তাদের নিতে আসবে। সে জাহাজে মিয়ানমারে আটকে থাকা ১৫০ জন বাঙালিকে নিয়ে আসা হবে।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, গ্রিসে আমাদের জনশক্তি পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশে গ্রিস দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তারা নতুন করে ৬টা দেশে দূতাবাসের কথা ভাবছেন সে তালিকায় বাংলাদেশও আছে।

এ ছাড়া গ্রিসের এক সভায় পরিবেশ দূষণ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষার বিষয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ৬৫ দিন মৎস্য শিকার বন্ধের যে সিদ্ধান্ত তা প্রশংসা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।


আরও খবর