Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

পিকআপভ্যানের ধাক্কায় নিহত ট্রাফিক পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৫২জন দেখেছেন

Image

আলহাজ হোসেন (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পিকআপভ্যানের ধাক্কায় কর্মরত এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঘাতক পিকআপ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে ওই সড়ক দুর্ঘটনার পরে ওই মহাসড়কে যানটজের সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। নিহত হলেন, টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার গালা এলাকার জুরান আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন (৫৬)। তিনি গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯৮৬ সালের ৫ই নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন জামাল উদ্দিন। সর্বশেষ তিনি সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) হয়ে প্রায় মাসখানেক আগে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার মৌচাক থেকে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা পর্যন্ত তার ডিউটি ছিল। তিনি সকালে তার সঙ্গে আরো দুজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই মহাসড়কে ডিউটিতে বের হন। সকাল ৭টার দিকে তিনি ও তার ফোর্স ওই মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) কার্যালয়ের সামনে উত্তরবঙ্গগামী সিমেন্ট বোঝায় একটি ট্রাক থামান। পরে তিনি ওই ট্রাকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছিলেন। এসময় তিনি দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যান (ভোলা-ন ১১-০৩৬২) আসতে দেখে সন্দেহ থামানোর সংকেত দেন। কিন্তু মাছ বহনকারী ওই পিকআপ ভ্যানটি থামানোর বদলে উল্টো গতি বাড়িয়ে দেন চালক। এসময় পিকআপভ্যানের চালক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার করে। এতে পিকআপভ্যানের ধাক্কায় মহাসড়কের ওপর পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন ওই ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই জামাল উদ্দিন। পরে সঙ্গে থাকা ট্রাফিক পুলিশের অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া ওই ঘটনার পর ঘাতক পিকআপভ্যান ও চালক মারুফ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ঘাতক পিকআপভ্যানের চালক কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। এদিকে ওই সড়ক দুর্ঘটনার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। পরে পুলিশের তৎপরতায় প্রায় ঘন্টাখানেক পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই এডমিন নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, নিহত টিএসআই জামাল উদ্দিনের লাশটি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ঘাতক পিকআপভ্যান এবং চালককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তুর করা হবে। তবে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান জানান, এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, সারাদেশে গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা অনুমোদন নিয়ে গ্যাস লাইন ব্যবহার করছেন তারা ঠিক মতো বিল দিচ্ছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তিতাস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান তিনি। এর আগে প্রতিমন্ত্রী তিতাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, এখন থেকে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দুটি কাজ খুব গুরুত্বের সঙ্গে করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, নিয়মিত সিএনজি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অডিট করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহারের জন্য অনুমোদন নিয়েছে, তাদের মিটারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তারা ঠিকমতো বিল দিচ্ছে কিনা, তাদের পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে কিনা, এগুলো নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।

দ্বিতীয় নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বাণিজ্যিক, শিল্প ও আবাসিকের যত গ্রাহক রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের ঠিকানায় গিয়ে তল্লাশি (চেক) করতে হবে। তারা ঠিকমতো গ্যাস বিল দিচ্ছে কিনা, মিটারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা দেখতে হবে।

যত ভুতুড়ে ও অবৈধ গ্রাহক আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর



রিয়েলমি সি৬৫ পাওয়া যাচ্ছে দেশজুড়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০৩জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:সম্প্রতি দুইটি ভ্যারিয়েন্টে ১ নম্বর কোয়ালিটির ‘রিয়েলমি সি৬৫’ উন্মোচন করেছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। এই ফোনটির রয়েছে স্বনামধন্য টিইউভি এসইউডি এর ৪৮-মাস মেয়াদী ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেশন এবং সেগমেন্টের প্রথম ৪৮-ওয়াট চার্জিং সিস্টেম। আজ থেকে দেশজুড়ে রিয়েলমি’র সকল অনুমোদিত আউটলেটে রিয়েলমি সি৬৫ এর ১২৮জিবি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৯,৯৯৯ টাকায় এবং ২৫৬জিবি ভ্যারিয়েন্ট কেনা যাবে ২৩,৯৯৯ টাকায়।

রিয়েলমি’র নতুন এই ফোন বাজারে চালু হয়েছে গত ৮ মে, ২০২৪ তারিখে। উন্মোচনের মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইন স্টোর পিকাবুতে সোল্ড আউট হয়ে যায় এই স্মার্টফোনটি। এছাড়াও, ৮ মে, ২০২৪ থেকে গতকাল ১২ মে, ২০২৪ পর্যন্ত এই ডিভাইসের প্রি-অর্ডারের হার আগের ডিভাইসটির তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বেশি ছিল।

এই স্মার্টফোনে রয়েছে টিইউভি লো ব্লু লাইটের মতো নানা প্রযুক্তিগত সুরক্ষা, যা চোখের চাপ কমায়। এতে আরও রয়েছে আইপি৫৪ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং উদ্ভাবনী কার্যক্ষমতাসম্পন্ন রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ ও ৩৬০ ডিগ্রি সারাউন্ড অ্যান্টেনা ডিজাইন, যা ফোনটির দীর্ঘস্থায়িত্বের পাশাপাশি ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

রিয়েলমি সি৬৫ বাজারে আনার সময় এর এআই বুস্ট ফিচারটি ডিভাইসপ্রেমীদের সামনে হাজির করতে পেরে রিয়েলমি গর্বিত। ফোন ব্যবহারকারীদের একটি নিরবচ্ছিন্ন ও সত্যিকারের সক্রিয় ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিতে এই ফিচারটি পারফরম্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বোচ্চ পাওয়ার এফিশিয়েন্সিও প্রদান করে।

এছাড়াও, স্মার্টফোনটির ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা ফোন ব্যবহারকারীকে দেয় মাত্র ৩০ মিনিটেই চার্জহীন একটি ডিভাইসকে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত চার্জ দেওয়ার নিশ্চয়তা। রিয়েলমি সি৬৫ এ রয়েছে ৭.৬৪ এমএম আল্ট্রা স্লিম বডি, যা এই ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা ফোন।

তারার আলোর (স্টারলাইট) ঝলকানিতে অনুপ্রাণিত হয়ে, এই ফোনে যুক্ত করা হয়েছে একটি উন্নত ৩০০এনএম ৭-লেয়ার কোটিং প্রক্রিয়া, যা একটি অনন্য দ্বি-স্তরযুক্ত তারার আলোর (স্টারলাইট) প্রভাব তৈরি করে।

ফোনের ডিজাইনকে আরও অসাধারণ করে তুলতে, এতে ব্যবহার করা হয়েছে ভ্যাকুয়াম-প্লেটেড হাই-গ্লস প্রক্রিয়া, যা আপনার সামনে আপনার অনন্য পছন্দকে উপস্থাপন করে। স্মার্টফোনটি স্টারলাইট পার্পল ও স্টারলাইট ব্ল্যাক- এই দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

এসব উন্নত ফিচারের মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা একটি ধারাবাহিকভাবে মসৃণ ও নিরবচ্ছিন্ন অপারেটিং অভিজ্ঞতা প্রত্যাশা করতে পারে, যা স্মার্টফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

রিয়েলমি সি৬৫ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/realmeBD/ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সব দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব। স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাগুলো হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।


আরও খবর



কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

রুবেল মিয়া,সরাইল:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের  ঐতিহ্যবাহী  স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়" এর ম্যানেজিং কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্কুল কমিটির ৪ জন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এ উপলক্ষ্যে  বৃহস্পতিবার দুপুরে  বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সদ্য নির্বাচিত সদস্যদের কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান  সাবেক সংসদ সদস্য ও কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এড. জিয়াউল হক মৃধা, এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, স্কুলের  সদস্য মো. ফয়সাল আমহেদ দুলাল, স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হলেন যারা- অহিদুজ্জামান লস্কর (অপু), কামরুজ্জামান সজল, দূলাল চন্দ্র সুত্রধর, মো. মোশাররফ এছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় স্কুলের দাতা পদে সদস্য মো.আইয়ুব খান, সাধারণ শিক্ষক সদস্য জসিম উদ্দিন খান, শেখ মো. ইব্রাহিম, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য দিপু দেব, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি নাজনীন আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। 

সাবেক সাংসদ ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এড. জিয়াউল হক  মৃধা বলেন,  বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে নব নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যরা কাজ করবে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  ও প্রিজাইডিং অফিসার মো. মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, স্কুল কমিটির নির্বাচনে পদ ও প্রার্থীর সংখ্যা সমান থাকায়, তাদের কে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় ছিল ২৮ এপ্রিল  থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ।মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন - সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে ৫ জন, দাতা সদস্য পদে ১ জন ও সাধারণ শিক্ষক সদস্য পদে ২ জন। পরে ৫ই মে অভিভাবক সদস্য পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন মো. মামুন মিয়া ।

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর